নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অণুষ

অণুষ

কখনো নিজেকে মানুষ মনে হয়, আবার কখনো ক্ষুদ্র অণুজীবের চেয়ে নিকৃষ্ট মনে হয়। তাই আমি অণুষ

অণুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ব্রা দিবস।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

আগেই বলে দিচ্ছি, এটি কাউকে ব্যাঙ করে বা অশ্লীল কোন পোস্ট নয়। তারপরও যদি এই পোস্ট নিয়ে চেতনাওয়ালাদের চুলকানি থাকে তাহলে দূরে যান।



আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ব্রা দিসস। এমনি দিনে ১৯১৩ সালে Mary Phelps দুটি রুমাল ও ফিতা জোড়া লাগিয়ে ব্রা বানিয়ে ছিলেন। ১৯১৪ সালে তিনি ব্রার বর্তমান ডিজাইনটি নিয়ে আসেন এবং পেটেন্ট করে নেন। তার আবিষ্কৃত ব্রা, বক্ষকে সমান করে দিত। পরবর্ততে রুমালের পরিবর্তে কাপ সংযোজত হয়। কোনোরকম বিজ্ঞাপন ছাড়াই তার নিজেস্ব দোকান "Warner Brothers Corset Company" ১৫০০ ডলারের ব্রা বিক্রি করে! এর পুর্বে ২৫০০ খৃষ্টপূর্বের সময়ে অবশ্য গ্রিক মহিলারা রেশমি কাপড় দিয়ে ব্রা পরতো।


নারীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বক্ষবন্ধনীর ব্যবহার। বিশেষ এই পোশাকটি ছোট হলেও, নারীদের কাছে এটি অত্যন্ত উপকারী ও প্রয়োজনীয় বিষয়। কিন্তু, এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু সচেতনতা প্রয়োজন। সুন্দর ও সুডৌল বক্ষের অধিকারিণী হতে চান সকল নারীই। বক্ষযুগল সুন্দর না হলে নারীর নারীত্ব বিকশিত হয় না। সেই কারণে বক্ষের যত্নে একান্তভাবে স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক অন্তর্বাস প্রয়োজন। সেই কারণে কৈশোর থেকে মা, বোন বা পরিবারের অন্য কোন মহিলার পরামর্শ ও সাহায্য প্রয়োজন।

সারাবিশ্বের প্রায় সমস্ত নারীই বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করে থাকেন। বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে বক্ষবন্ধনীর ভোলবদল ঘটেছে অনেকটাই। নারীবাদীরা একসময়ে ব্রা কে বন্ধনের প্রতীক মনে করে একে রাস্তায়ও পুড়িয়েছেন।
চলুন ব্রা সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করি।

পুশআপ ব্রাঃ

নিজের স্তনযুগল নিয়ে যারা সন্তুষ্ট নন বা অল্পবয়সী মেয়েরা নিজেদের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পুশ আপ ব্রা বা ভেতরে ফোম দেওয়া বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করে থাকেন। যেহেতু মহিলাদের দিনের প্রায় বেশিরভাগ অংশই এটি ব্যবহার করতে হয় তাই এটি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

স্ট্র্যাপলেস ব্রাঃ

পশ্চিমা দেশের সাথে সাথে এটি এখন বাংলাদেশেও জনপ্রিয়। কোন ফিতা ছাড়াই এই ব্রা কাধঁ খোলা জামা পরতে সহায়তা করে।
সদ্য মায়েদের জন্য বিশেষ বক্ষবন্ধনীঃ

সদ্য যারা মা হয়েছেন, তাদের জন্য বিশেষ ধরনের বক্ষবন্ধনী রয়েছে। শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর সময় যাতে মা এবং শিশুর কোনও ধরনের অসুবিধা না হয় সেই কারণেই মায়েদের বিশেষ ধরনের এই বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করা উচিত। এতে শিশুর দুধ পান করাতেও কোন অসুবিধে হবে না।
কীভাবে বাছবেন বক্ষবন্ধনী?
বাজারে বিভিন্ন ধরণের বক্ষবন্ধনী পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র রঙ, ডিজাইন আর দাম দেখে নয় বক্ষবন্ধনীটি স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী তা জানাও প্রয়োজন। বক্ষবন্ধনীতে ব্যবহৃত কাপড়ের গুণগত মানও দেখে নিতে হবে। অনেকক্ষেত্রে স্তনের আকারে সুন্দর করতে বক্ষবন্ধনীতে পাত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি আপনারে ক্ষেত্রে ক্ষতি বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে কি না সে বিষয়েও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।

অনেক সময় অনেকে নিজের স্তনযুগল বড় বলে নির্দিষ্ট সাইজের চেয়ে ছোট বক্ষ বন্ধনী পড়েন। এটি কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়।কারণ, এটি দেখতেও যেমন ভাল লাগে না তেমনই এটি স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর।এছাড়া বেশি টাইট বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করলে অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হতে পারে।

বর্তমান সমাজে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে প্রতি ২২ মিনিট অন্তর একজন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন। সে কারণে ধর্ষণ প্রতিরোধ করতেও নতুন ইলেক্ট্রিক ‘ব্রা’ তৈরি করেছেন ভারতের তিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়রে ছাত্র। এই ধরনের ব্রা পড়ে থাকাকালীন যদি কোন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন, তবে সেই খবর সরাসরি পুলিশ এবং মহিলার পরিবারের কাছে। কারণ, এই ব্রাতে জিপিএস ও জিএসএম ডিভাইস লাগানো রয়েছে।

বক্ষবন্ধনী বর্তমানে নারীর শরীর থেকে বেরিয়ে প্রদর্শনীতেও প্রদর্শিত হচ্ছে। জার্মানির রাটিঙ্গেন শহরে বক্ষবন্ধনীর একটি প্রদর্শনী হয়েছে। শুধুমাত্র প্রদর্শনী নয়, জার্মানির ফ্লো মার্কেটে পুরনো জিনিসের সঙ্গে পুরনো বক্ষবন্ধনীও বিক্রি করা হয়। তবে, এটি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

বক্ষবন্ধনী নারীর বক্ষযুগলকে আগলে রাখার জন্য তৈরি করা হলেও একে যৌনতার প্রতিক হিসেবেও দেখা হয়। বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বা সিনেমার দৃশ্যে নারীকে বিকিনি পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়। যদিও, এমন দৃশ্য নিয়ে বারবার সমালোচনা হয়েছে কিন্তু সে বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ না করেই এর ব্যবহার চলছেই।

বিশ্ব ব্রা জন্ম দিবস উপলক্ষে ব্রা সংক্রান্ত কিছু তথ্যঃ

১। ১৯৯১ সালে গড় মহিলারা ৩৪ ইন্চি ব্রা পরলেও এখন পরে ৩৬ ইন্চি ব্রা।
২। ৭০% মহিলারা তাদের ব্রা সাইজ জানেনা।
৩। ১৮ বছরের বেশি ৯০ মিলিয়ন মহিলা ভুল সাইজের ব্রা পরে।
৪। ৩৪% মহিলা ব্রা এর ফিতা দেখতে পছন্দ করে।
৫। ৬৩% বক্ষ কেন্সার হয় ভুল ব্রা পরার জন্য।
৬। ৯৮% পুরুষই এক হাতে বা একবারে মহিলাদের ব্রা খুলতে পারেনা।

*** সংগৃহীত ও পরিবর্তিত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

যমুনার চোরাবালি বলেছেন: ভাই কি এই লাইনে মার্কেটিং এ আছেন নাকি নিজেরই একখানা শো-রুম বা দোকান আছে।

ইন্টারেস্টিং কিছু তথ্য জানলাম।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২২

অণুষ বলেছেন: না ভাই আমার কোন দোকান নাই, একজায়গায় দেখলাম তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

তূর্য হাসান বলেছেন: আমার মতে পৃথিবীতে নারীর সৌন্দর্য বর্ধনে যত উপকরণ তৈরি হয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে ব্রা।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৫

অণুষ বলেছেন: হতেও পারে। আপনার প্রশংসা করতে হয়। নারীর সৌন্দর্য কতজনই বা নিবিড় ভাবে উপলব্ধি করতে পারে।

ক্যারি অন ব্রো।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

নিজাম বলেছেন: দিনে দিনে আরও কত কী দিবস দেখব!!!!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৬

অণুষ বলেছেন: অপেক্ষা করেন কিছুদিন পর হয়তো শুনতে পাবেন বিশ্ব জুতা দিবস ও পালন হচ্ছে।
:) :) =p~

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

নীলমেঘ আমি বলেছেন: আমার জানা মতে আন্তর্জাতিক ব্রা দিবস ১৫ অক্টোবর। গোগোলে খুজেও একই তথ্য পেলাম। এখানে দেখুন

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

অণুষ বলেছেন: আপনার কথাও সত্য, কিন্তু আমি এক জায়গায় দেখছিলাম ২৩ সেপ্টেম্বর। যা হোক তথ্যে ভুল ছিল। ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

খাটাস বলেছেন: নতুন তথ্য জানলাম। সব বিষয়ে জানাই সচেতনতার মুল।
শঙ্কা পরিহার করে শেয়ারের জন্য সাধুবাদ। ++++

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৯

অণুষ বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৩

ডি মুন বলেছেন: বাহ, দারুণ পোস্ট।

অনেক নতুন তথ্য জানলাম।

ধন্যবাদ আপনাকে। +++++

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১

অণুষ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.