| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাহদী আব্দুল হালিম
এই জন্মে এবং এরপরের জন্মেও (যদি সত্যি নতুনকরে আবার জন্মানোর সুযোগ দেন করুণাময় আমাকে,) আমি কেবল একজন কবি-ই হতে চাইব
পশ্চিম দিক থেকে বালুর ঝড় ওঠে। কুণ্ডলি পাকিয়ে ধোয়ার মত পাক মেরে মেরে বালু উঠে আসছে আকাশে, এদিকে। ওদিকে। বাতাসের সাথে বালু মিশে বাতাস ভারি হয়ে ওঠেছে। মুখে ত্বকে, শরীরের অনাবৃত অঙ্গে বেতের বাড়ির মত বাতাসের তোড় প্রবাহিত হয়। জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। বাতাসের দিকে মুখ করে তো নয়ই। তার গায়ে আবরণ নেই। নাভি থেকে একপ্রস্থ চাদর হাঁটুর নীচ পর্যন্ত ঝুলানো। এটাই তার পোশাক। কি শীতে কি গরমে। পোশাকের দু:খে এখন মন ভেঙ্গে বসে পড়ার চাইতে বড় ধরনের দু:খ এখন তার দিনরাতের একান্ত ভাবনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে বিয়ে করবে? তাকে বিয়ে করতে হবে। বিয়ের বয়স পড়ে এলো, সেজন্য না। সবাই বিয়ে করে। বিয়ের জন্য তো আর তেমন উপলক্ষের প্রয়োজন হয় না। পুরুষ মানুষ বিয়ে করবে না তো কে করবে? কিন্তু বিয়ের খরচা পাতি আছে। কোথায় পাবে? তাছাড়া তার মত কপর্দকশূন্য, কুচকুচে কালোকে কে বিয়ে করবে? এমন কোন বাবা আছে সন্তানের প্রতি নিষ্ঠুরচরিত্র, তার কাছে মেয়ে দিবে? কিন্তু বিয়ে যে তাকে করতে হবে। হুম, পুরুষ সে। রুটিরুজির ভয় সে করে না, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কিন্তু দু:শ্চিন্তা যে তার অন্য কোথাও। অসম্ভব কালো তার গায়ের রং। এমনি কালো যে সন্ধারাতের অন্ধকারেই তাকে বোঝার উপায় নেই। দূরদিগন্তে কিছু কালো পাখি উড়ে যায়।
১
কি পাখি ওগুলো? বুঝা যায় না। একদিক থেকে এসে আরেকদিকে চলে যায়। দৃশ্যপটে তেমন কোন প্রভাব পড়ে না। কিন্তু আসওয়াদের মাঝে মাঝে মনে হয় এই প্রচন্ড রোদের তাপে বুঝি পাখিগুলোর নরম শরীর ভুনা হয়ে নীচে পড়বে। আহা পড়তো যদি! স্বর্গে এরকম হবে। তার মনে হতে থাকে কেবলি, হুমম, স্বর্গে এরকম হবে। আকাশে পাখি উড়ে যাবে, রঙবেরঙ পাখি। স্বর্গবাসিন্দা মনে মনে খায়েশ করবে পাখির ভুনা খাবে। পাখি ঠিকই ভুনা হয়ে রুপার পাত্রে পরিবেশিত হবে। হবে? হুমম, আবুল কাসেম বলেছে, সে তো মিথ্যা বলে না। নগরীর সবার কাছে তার অসামান্য মর্যাদা। সে মিথ্যা বলে না। অন্যায় কিছু করে না। তার ভালো কাজের ফিরিস্তি দেয়া সম্ভব না। সংক্ষেপে এতটুকু বলা যায় সে কখনো কোন মন্দ কাজ করে না। করে না! আগে করতো? না তাও না। কখনোই করতো না। মানুষ যে তাতে সন্দেহ নেই, তবে স্বভাবে কিনা ফেরেশতা। আবুল কাসেম সবাইকে পরামর্শ দেয়। সে যাবে তার কাছে। মনের কথা খুলে বলবে। শরম, শরম লাগে। কিন্তু আবুল কাসেমের কাছে তো কোন শরম কেউ করে না। সবাই অকপটে বলে মনের কথা। আবুল কাসেম সবার কথা মনোযোগ সহকারে শুনে। ধুলোবালি বাড়তে থাকে। সেই সাথে দাবদাহও। প্রচণ্ড গরমে পাখি না, তার নিজেরই ভুনা হওয়ার অবস্থা। বালুর ভেতর খেজুর পাতার তোলা ঘরটি চোখে পড়ে।
২
আবুল কাসেম তাকে দেখতে পেয়েছে। এক চিলতে হাসি ঠোঁটের উপর খেলে গেছে। কত ক্লান্তি ছিল তার গায়ে। এই মধ্যদুপুরে বালুকাঝড়, আর দাবদাহ এড়িয়ে সে তো এসেছে আসলে মনের বাসনা বলতে। আবুল কাসেম কি তার মনের খবর পড়ে ফেলেছে। জেনে গেছে সে কি বলতে চায়। আর জেনেই তো এরকম মুচকি হাসি দিয়ে তার দিকে তাকায়। তার বুক দুরু দুরু করে। ভয়ে না, আশার পালে একটু একটু যাত্রার হাওয়া লাগে বলে। লোকের ভিড়ের ফাঁক গলে আবুল কাসেমকে একটু দেখা যায়। সৌম্য কান্তি চেহারা। দেহের গড়ন-গঠনে এক রত্তি খাঁদ নেই কোথাও। সুখময় এক নূরানি প্রদীপ্ত বিভায় উজ্জ্বল সারামুখ। তার জন্য শুধু এই নগর দেশ কেন দূর স্বর্গের হুরপরীরাও বুক তড়পিয়ে মরে। আর সে যেন থলিঝাড়া মাটির তৈরি। মোটা মোটা ঠোঁট, বোতকাঁ নাক, মাথাভর্তি কোকড়ানো এক চুল? হাঁ, তাতো আছেই। ছোট ছেলেমেয়েরা দূর থেকে দেখলেই সটকে পড়ে। যেন তার ছায়া মাড়ালেও গায় শাপ পড়বে। মায়েরা অবাধ্য শিশুদের তার ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়। তার কি খারাপ লাগে না, কি লাগে না বুঝি? আলবত লাগে। কিন্তু তাই বলে সে কাকে দোষবে? সৃষ্টিকর্তাকে? তাকে কি আর দোষতে আছে? বাবার রাখা নাম শুনতে যতই কটু লাগুক, তাইকি কেউ ফেলে দিবে নিজের থেকে? সৃষ্টিকর্তা যে তাকে মানুষই বানালেন শেষ পর্যন্ত, এরই বা ঋণ সে শোধে কেমন করে?
৩
লোকের ভিড় কমে গেছে। আবুল কাসেমের কাছে এসে বসেছে। নি:শ্বাসের ভারি শব্দ নেমে আসছে কানে, বুকে। মুখে ঈষৎ হাসির রেখা। এখন আর একটু প্রশস্ত বরং। আবুল কাসেম কি সত্যিই তার মনের খবর পড়ে নিয়েছে। না, মানুষের পক্ষে তা সম্ভব না। তবে মুখে যে হাসি। হোক, তাকে দেখে তো যে কারো হাসি পায়। বোঁতকা নাক, মোটা ঠোঁট...
সেকি, অত চিন্তার কি আছে? বিয়ে তুমি করছো। আবুল কাসেম কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল কথাটা। তার যে বিশ্বাস হতে চায় না। তবে কি সত্যি মনের কথাও পড়তে পারে আবুল কাসেম! ফেরেশতা হৃদয় বলেই পারে। হয়তো বা। আর যে বলল কথাটা। তার বিয়ে হবে। শহরের কোন মেয়ে তাকে বিয়ে করতে রাজি হবে? অবশ্য কত মেয়েই তো আছে, লেংচা, আইবুড়ি, কানা...
আবুল কাসেম চুপ। কে তাকে বিয়ে করতে পারে, কোন বাবা তাকে দিবে কলিজার টুকরো? অাবুল কাসেমের নিরবতা তার ভেতরে পাথুরে জমিতে নৈ:শব্দের বান ডাকে। তবে কি এই শেষ ভরসাও? নোয়ানো মাথা আর তুলতে ইচ্ছা করে না। এই মুখ, মুখচ্ছিরি এতই অবাধ্য যে, মনের বিরুদ্ধে কি শক্ত প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। সাধ্য নেই তো স্বপ্ন কেন দেখেছিলো? আবুল কাসেম এখন তাকেই বা কি ভাববে? এভাবে কত সময় যে গড়ায় তার হিশেব রাখে কে? কত যুগ যে পেরিয়ে যায় নৈ:শব্দের ঝরণা বেয়ে, কেবল নোয়ানো মাথা ভারি থেকে ভারি হয়। কাঁধে আবুর কাসেমের ধরে রাখা হাত কি একটু ভারি মনে হয়। উহুদ পাহাড় বুঝি চাপিয়ে দিচ্ছে কেউ তার কাঁধে। সে কি ঝটকা দিয়ে কাঁধ সরিয়ে নিবে? নিজের শরীরের চাইতে ভার কিছু কাঁধে চেপে বসেছে। আর নৈ:শব্দ কি? শরীর বেয়ে ঘামের নহর ছুটে।
৪
আবুল কাসেম তার সাথে ঠাট্টা করছে না তো? না। সে ঠাট্টা করে না। যা বলে সত্য বলে। তার কথার অন্যথা হবারও উপায় নেই। নেই? কি জানি। সে অত বুঝে না। কেবল জানে ফেরেশতাহৃদয় আবুল কাসেম সবার থেকে আলাদা। তার মত কেউ হতে পারে না। তার কাছে এই কদাকার আসওয়াদের আদর অাদর অাছে। আর কারো কাছে নেই। তবে কি স্বপ্ন দেখছে? ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিবাস্বপ্ন? স্বপ্ন দেখতে দেখতে একটা পর্যায় আসে, যখন আর জাগতে ইচ্ছে করে না। অবশ্য সুখস্বপ্ন হলে কথা। এখন কি সে স্বপ্নের ওই চিরজীবন ঘুমিয়ে থাকার ইচ্ছার পর্যায়ে? না। স্বপ্ন দেখছে না। কিন্তু আবু যুরারার কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সে কোন মুখে যাবে। আবু যুরারার মেয়ে এই শহরের সবচেয়ে সুন্দর যুবতী। সে কি রাজি হবে তার কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে? আবুল কাছেমের কথা ভিন্ন। আবু যুরারা অমত করবে না এই নাম শুনলে। সে বিদায় নিতে দুরু দুরু বুকে আবু যুরারার বাড়ির পথে নামে।
৫
প্রস্তাব শুনে তিনি বিব্রত, ইতস্তত করছেন। কারণ প্রস্তাবকারী চেহারাছবিতে যেমন তেমন হোক, একেবারে ফেলনা নয়। খোদ আবুল কাসেমের প্রিয়জন। বামন হয়ে চাঁদের স্বপ্ন তিনি মুখের ওপর উড়িয়ে দিতে পারছেন না। আবার তাড়িয়েও দিতে পারছেন না কাঙাল বলে। ভেতর থেকে মেয়ে মেহমান ও পিতার কথোপকথন শুনতে পেল। বাবার মতই মেয়ে বুদ্ধিমতী। শান্ত, ভদ্র, নম্র, উপস্থিত বিবেকবান। পিতাকে সম্বোধন করে বলল, যদি আবুল কাসেমের অভিমতে এ বিবাহ হতে পারে তবে আমার অাপত্তি নেই। আপনি বিবাহের দিনক্ষণ ধার্য করুন। মেয়ের সম্মতি পেয়ে পিতা হাঁফ ছাড়েন। বুকের উপর থেকে দায়িত্বের এক জগদ্দল পাথর নেমে গেল। দিনক্ষণ ধার্য হল। হল কি? পারে তো এখনি নিয়ে যায়। তার যে তর সয় না। যে কারো তর সইবে না। আর তার অবস্থা তো মুফতে পাওয়া ঐশ্বর্যের মত। কিন্তু মুফতে তো অার বধু জোটে না। দেন মোহর চাই।
৬
দেনমোহরের জন্য আবুল কাসেমের কাছেই তাকে অাবার ফিরতে হয়। সে ছাড়া তার আর কে? আবুল কাসেম বলে দিলেন উসমানের কথা। বিরাট ব্যবসায়ী সে। সমুদ্রদীল। সে যাবে উসমানের কাছে। যেতেই তো হবে, যদি বিয়েটা তাকে করতে হয়। আর যাকে তাকে কি বিয়ে করছে সে, নগরীশ্রেষ্ঠ সুন্দরীকে বিয়ে করছে। সে তবে ফেলনা নয়। এই বোঁতকা নাক, মোটা ঠোঁটের কি রহস্য? যার বিয়ে হওয়া নিয়েই ছিল সন্দিহান, এখন সে কি না বিয়ে করছে...উসমানের বাড়ি পর্যন্ত এসে থমকে দাঁড়াতে হল। দরজায় টোকা দেওয়ার আগে এক মুহূর্ত কি ভেবে আবার ফিরে চলল। আবুল কাসেম কি তবে এবার সত্যিই তার সাথে ঠাট্টা করল? না। কিন্তু নিজের কানে সে তো ভুল শুনেনি। ব্যাপারটা নিয়ে সে উদ্বিগ্ন। বিয়ে না হয় হোক। কিন্তু আবুল কাসেম কি তবে সত্যিই এবার ঠাট্টা করলো? নাকি সে ভুল ঠিকানায়...? ঠিকানা ভুল ছিল না। উসমানেরই বাড়ি। আবুল কাসেমেরই জামাতা না কি? এই লোক আবুল কাসেমের জামাতা হয় কি করে। জগতে কত কিছুই যে হয়। কয়টার আর পাত্তা আছে তার কাছে। এই যে সেই তো, কিভাবে পাকা হয়ে গেল তার সাথে নগরীশ্রেষ্ঠ যুবতীর বিয়ে। উসমানের কাছে মোহরের টাকা পাওয়া গেলো না, বলে তার মন বিষন্ন। কী আবুল কাসেম জেনে বুঝে তার সাথে মশকরা করল তাই তার মন ভীষণ ভার। আবুল কাসেমের ঘরের সামনে এলো। ডাক দিতে বেরিয়ে এলো। সবশুনে বলল, অ কিছু নয়। উসমান অইরকমই। তুমি আবার যাও। যাবে? আবুল কাসেম কি বিষয়টা গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে না? কিন্তু আবুল কাসেমের মুখে মুখে কেউ কথা বলে না। সে কথা বলতে শুরু করলে বাকিরাও চুপ মেরে যায়। সবাই জানে আবুল কাসেম যা বলে তার চেয়ে নিজেদের কথার কানাকড়ি মূল্য নেই।
৭
উসমানের বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে সে শেষবার শুনতে পেয়েছিল, সামান্য কুপি বাতিতে আলো জ্বালিয়ে রেখে, তেল খরচ করায় বউকে ধমকাচ্ছে। এই রকম হাড়কেপ্পন আবার তাকে সাহায্য করবে? কিন্তু এবার তার কেন জানি মনে হয়, না সে ভুল করেনি। উসমানের ব্যাপারে মন্দ ধারণা পোষণ করে সে বরং অন্যায়ই করেছে। মনস্তাপে পুড়তে পুড়তে সে আবার হাজির উসমানের দরজায়। আবুল কাসেম সবশুনে যখন ফেরত পাঠিয়েছে তাকে উসমানের কাছে তাহলে ঘটনা অন্য কিছু। দেখা যাক কি হয়।
৮
উসমান তাকে দেনমোহরের পুরো টাকা দিয়ে দিল। সে কি অবাক হলো? রীতিমত ধাক্কা খেলো, উসমানের আচরণে। উসমান তা কি লক্ষ্য করেনি? জবাব দিল, অপচয় করা আর কৃপণতা এক জিনিশ নয় ভাই। ব্যস, জবাব পেয়ে গেছে। সে উসমানের দেয়া দেনমোহর নিয়ে নগরের পথে ছুটতে ছুটতে যায়। তারচেও ছুটতে ছুটতে এসে একজন ঘোষণা করে-‘যুদ্ধ, যুদ্ধ হবে। সবাই যুদ্ধের প্রস্তুতি নাও।' সেকি আওয়াজ তোয়াক্কা করে নগরীশ্রেষ্ঠ হবু স্ত্রীর ডোরবন্ধনে যাবে নাকি যুদ্ধে? না পছন্দটা সমতায় হয়নি। যুদ্ধের ডাক এসেছে, সেকি নপুংসক হয়ে ঘরে আত্মশ্লাঘায় মাথা কুটবে না কি ময়দানে শত্রুর গর্দান উড়াবে? এবার সমতায় এসেছে। সে স্ত্রীর কথা ভুলে উসমানের দেয়া দেনমোহরের টাকা দিয়ে বর্শা ও ঢাল কিনে নিয়ে যুদ্ধের কাতারে শামিল হলো। মাঝে একবারও মনে হলো না, এইবার না হয় থেকে গেলাম, পরেরবার সবার আগে যাব। কিন্তু শহীদ হওয়ার বাসনা কি তাকে কখনো সে কথা ভাবতে দিয়েছে, না দেয়?
৯
কতগুলি আঘাত ছিলো তার সমস্ত দেহে? দশটা। বিশটা। অসংখ্য? গোটা দেহ জুড়ে ক্ষত আর আঘাতের দগদগে চিহ্ন। তার নিথর দেহটা ঘিরে অদ্ভূত প্রশান্তি, সুঘ্রাণ ছড়াতে থাকে। একদল ফেরেশতা দেহটা নিজেদের হেফাজতে নিতে তর্ক বাঁধিয়ে দিয়েছে। কার আগে কে নিবে? কাউকে নিতে হয় না। শহীদের গোসল, জানাযা নেই। ছয়ফুট মাটি খনন করে, আবুল কাসেম নিজে নামেন কবরে। কিন্তু লাশ রেখে প্রায় সাথে সাথেই উঠে আসেন উপরে। মুখে সলাজ হাসি, এপার থেকে ওপার ছড়ানো। বড় অনাবিল, পূন্যতায় ভরপুর সেই হাসি।
১০
আবুল কাসেম কেন এত দ্রুত উঠে এলেন উপরে? একজন। দুজন। সবারই প্রশ্ন এখন। বিবাহের জন্য সে উসমানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলো। কিন্তু যখনি যুদ্ধের ডাক শুনলো আর দুকথা ভাবেনি। মোহরের টাকা থেকে অস্ত্রপাতি কিনে নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। তাই কবরে লাশ রাখার সাথে সাথে স্বর্গের বধুরা তাকে স্বাগত জানাতে এসেছে। সে এখন স্বর্গবধুদের বাহুবেষ্টনে।
____________________________________________♠
মাসিক কৈশোরে সম্ভাব্য প্রকাশিত। ২১/০২/১৪
©somewhere in net ltd.