![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন, "ধর্মান্ধতা পরিহার করে ধর্মিষ্ঠ হই" "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" [আল-কোরআন-৯৬. সূরা আল-আলাক] ০১. পাঠ কর (এবং ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন- ০২. সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। ০৩. পাঠ কর, আর (ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। ০৪. যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- ০৫, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।] পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা 'আলাক'-এর প্রথম এই পাঁচটি আয়াত অত্যন্ত মূল্যবান এবং যা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিলকৃত সর্বপ্রথম ওহি অর্থাৎ ঐশীবাণী। মহামহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠ করা ( Study ) অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় থেকে জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে কলমের ব্যবহার অর্থাৎ 'লিখন' যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে তা সর্বজনবিদিত। মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে খাঁটি মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য যে সর্বপ্রথমে এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকর ঐশীবাণী প্রদান করে অনুপ্রাণিত করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্থিব জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান চর্চার তাগিদে সময় বের করে নিতে হয়েছে। যে জ্ঞানের কোন সীমা পরিসীমা নেই, যে জ্ঞানের কথা লিখতে বসলে মহাসাগরের এমনকি আকাশ ও পাতালের সকল জলরাশিকে কালি বানালেও তা ফুরিয়ে যাবে- তার জন্য এই সময়টুকু অতি নগন্য। তথাপি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য দয়াময় আল্লাহতায়ালা যে আমাকে সুযোগ ও তৌফিক দিয়েছেন সেজন্য আমি অবনত মস্তকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছে প্রতি মূহুর্তে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ , সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই। আর সরল ও সত্যের পথ যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার উছিলায় একজন হতভাগা পাপী বান্দা হিসেবে তোমার জ্যোতির্ময় আরশের ছায়াতলে চিরকালের জন্য একটুখানি ঠাঁই চাই। আশাকরি ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিন্তাশীল সুধীজনদের সুচিন্তিত পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।
এ ধরণীতে ঠিক কতকাল পূর্বে জীবনের উন্মেষ ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কোটি কোটি বছর পূর্বে আবির্ভূত এলজে জাতীয় সামূদ্রিক এককোষী প্রাণীর ফসিলকে জীবনের প্রচীনতম নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়।
Cyanobacteria are prokaryotes (single-celled organisms) often referred to as "blue-green algae."
Cyanobacteria are very old, with some fossils dating back almost 4 billion years (Precambrian era), making them among the oldest things in the fossil record.
Cyanobacteria lack cilia, performing locomotion by gliding along surfaces. They are found most frequently in freshwater, but variants exist almost anywhere where there is water, including inside of other organisms such as lichen, plants and protists.
Cyanobacteria at mainly found in the oceans, where they are primary producers and are eaten by many other organisms. The blue-green tinge they give the water is the source of their name, blue-green algae.
পানির স্পর্শে জীবনের সূত্রপাত ঘটে। তাছাড়া সমস্ত জীবেরই দৈহিক গঠনে, জীবনের স্পন্দনে এবং জীবন ধারণের জন্য পানি অপরিহার্য এবং এর কোন বিকল্প নেই। জীবনের স্পন্দনে পানির উপস্থিতিই যে একমাত্র পূর্বশত তা আজ একটি চরম বৈজ্ঞানিক সত্য। কিন্ত্তু আশ্চর্যের বিষয়, সেই ১৪৫০ বছর পূর্বেই ঐশী গ্রন্থ আল-কোরআনে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির বিষয়ে এই মৌলিক বৈজ্ঞানিক তথ্যটি সংক্ষেপে অথচ কত নিখুত ভাবেই না ব্যক্ত করা হয়েছে-
আল-কোরআন-
সূরা আম্বিয়া -আয়াত নং-৩০
(২১ : ৩০) অর্থ:- যারা অবিশ্বাস করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে, তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না?
সূরা ত্বহা- আয়াত নং-৫৩
(২০ : ৫৩) অর্থ:- তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি জোড়ায় জোড়ায় বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি।
সূরা নূর- আয়াত নং-৪৫
(২৪ : ৪৫) অর্থ:- আল্লাহ্ সকল প্রকার প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে। তাদের কতক বুকে ভয় দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে; আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।
(২১ : ৩০), (২০ : ৫৩) ও (২৪ : ৪৫) নং আয়াতে 'মা' এর আভিধানিক অর্থ 'পানি'। এখানে সরাসির পানির কথা বলে প্রথমত এই ইংগিত দেয়া হলো যে, প্রণবান সবকিছু অর্থাৎ তা অনুজীব বা উদ্ভিদ বা প্রাণী, যাই হোক না কেন তা সৃষ্টির জন্য পানি অপরিহার্য।
Heterotroph, chemotroph organisms কিংবা Eubacteria, Archaebacteria, Stromatolites আর RNA বা DNA world
এর মধ্যে কোনটাকে আগে আর কোনটা পরে সৃষ্টি করা হয়েছে- আমার এ আলোচনায় সেটি মূল বক্তব্য নয়। প্রাণ সৃষ্টির জন্য যে পানি অপরিহার্য- আল-কোরআনের সেই মেসেজটি আমি এখানে হাইলাইট করতে চেয়েছি। বিজ্ঞানও তাই বলে এবং সে কারনেই বিভিন্ন গ্রহে প্রথমেই পানির সন্ধান করা হয়। এ পৃথিবীতে সমূদ্রই যেহেতু পানির মূল উৎস, তাই এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে সমূদ্রকে এ পৃথিবীতে জীবের প্রাথমিক উৎপত্তি ও আবাসস্থল হিসেবে ধারনা করাটাই স্বাভাবিক। সমগ্র বিশ্বের তথ্য ভান্ডার আল কোরআনে কিন্তু সমূদ্রের কথা না বলে মৌলিক তথ্য হিসেবে 'পানি থেকে প্রাণ' সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। কারন হয়ত এমন কোন গ্রহ থাকতে পারে যেখানে সমূদ্র নয়, বরং অন্য কোন পানির উৎসে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। উৎস যাই হোক না কেন- 'প্রাণ সৃষ্টির জন্য যে পানি অপরিহার্য', সে দিকেই ইংগি ত দেয়া হয়েছে।
এখন সভাবতই প্রশ্ন আসতে পারে যে, জীবন সৃষ্টির জন্য কোথাকার বা কোন ধরনের পানি উপযোগী?
সমূদ্র প্রাচীন প্রাণের আবাসস্থল হলেও, গবেষণার আলোকে অনেক বিজ্ঞানীরা প্রাণের প্রথম উৎপত্তিস্থল হিসেবে স্বচ্ছ সাদু বা মিঠা পানিকেই বিবেচনা করে থাকেন-
One new insight into the evolution of life is that plants first colonized the land not from the oceans, as originally assumed, but from fresh water. Then some land plants invaded the ocean as green seaweed.
Life Might Have Started in Fresh Water
এই তথ্যটিও (২০ : ৫৩), (১৩:১২) ও (১৩:১৩) নং আয়াতে মহান স্রষ্টা আমাদেরকে জানিয়ে দিলেন-
সূরা ত্বহা- আয়াত নং-৫৩
(২০ : ৫৩) অর্থ:- তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি জোড়ায় জোড়ায় বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি।
সূরা রা’দ- আয়াত নং- ১২, ১৩
(১৩:১২) অর্থ:- তিনিই তোমাদেরকে বিদ্যুৎ দেখান ভয়ের জন্যে এবং আশার জন্যে এবং পুঞ্জিভুত করেন ঘন মেঘমালা।
(১৩:১৩) অর্থ:- তাঁর প্রশংসা পাঠ করে বজ্র এবং সব ফেরেশতা, সভয়ে। তিনি বজ্রপাত করেন, অতঃপর যাকে ইচছা, তাকে তা দ্বারা আঘাত করেন; তথাপি তারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতন্ডা করে, অথচ তিনি মহাশক্তিশালী।
(২০ : ৫৩) নং আয়াত থেকে ধারনা পাওয়া গেল যে, জীবন সৃষ্টার জন্য আকাশ থেকে বর্ষিত পানি ব্যবহৃত হয়েছে। (১৩:১২) নং আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, বাহ্যিকভাবে বিদ্যুতের চমক ভীতির সৃষ্টি করে এবং বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু এই ভীতিকর বজ্রপাত আমাদের জন্য যে আশার কারনও বটে তা আমরা বিজ্ঞানের গবেষণায় আজ জানতে পেরেছি। আমরা এখন নাইট্রোজেন চক্রের বিষয়টি মোটামুটি সবাই জানি এবং এর মাধ্যমে আমরা অবগত হয়েছি যে, বজ্রপাতের সময় প্রচুর তাপ ও চাপে নাইট্রোজেন অণু ভেঙ্গে বাতাসের অক্সিজেনের সাথে মিলিত হয়ে নাইট্রোজেন অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
আমরা এটাও জানি যে, বৃষ্টির স্বচ্ছ ও সাদু বা মিঠা পানি বিশুদ্ধ এবং তা পানের উপযোগী হিসেবে গণ্য করা হয়। ঊর্ধাকাশে বজ্রাঘাতের ফলে উৎপন্ন নাইট্রোজেন অক্সাইড এই বৃষ্টির পানির (Fresh Water) সাথে মিশ্রিত হয়ে নাইট্রেটস এ পরণিত হয় এবং পৃথিবিতে নেমে আসে। যা অণুকোষ বা জীবকোষ গঠনের মূল 'আরএন', 'ডিএনএ' ও প্রোটিন প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় 'এমাইনো এসিড' গঠনের অপরিহার্য উপাদান। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, 'পানি' শুধুমাত্র প্রাণ সৃষ্টির জন্য অপরিহার্য উপাদান "নাইট্রেটস" এর উৎপাদন ও বাহনের সাথেই জড়িত নয়, বরং এ পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের আবাসস্থলও এই 'পানি'।
(২০ : ৫৩) নং আয়াতে (তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি জোড়ায় জোড়ায় বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি) উদ্ভিদ জগৎ সৃষ্টির ক্ষেত্রে আকাশ থেকে বর্ষিত পানির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উদ্ভিদ জাতিয় প্রাণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে যেহেতু বৃষ্টির পানির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে এখানে ইংগিত দেয়া হয়েছে। তাই প্রথমে আবির্ভূত প্রাণটি যদি উদ্ভিদ জগতের অন্তর্ভূক্ত হয়ে থাকে, তবে তা সৃষ্টিতে সরাসরি আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি ও তাতে নিহিত উপাদানসমূহের যে নিশ্চয় বেশ গুরুত্ব রয়েছে- মূলত এ থেকে সে তথ্যই পাওয়া যায়।
আবার (২১ : ৩০) নং আয়াতে (প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে) ও (২৪ : ৪৫) নং আয়াতে (আল্লাহ্ সকল প্রকার প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে) প্রাণবান সমস্ত কিছু তথা প্রাণী জগৎ সৃষ্টির ক্ষেত্রে শুধু পানির কথা বলা হলো। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোরে কোন উৎসের পানির কথা উল্লেখ করা হয়নি। সুতরাং অণূজীব জগৎ ও প্রাণী জগৎ সৃষ্টির জন্যও যে আকাশের বা ভূগর্ভস্থ বা সমূদ্রের পানি কিংবা একত্রে এই সবগুলো উৎসের পানি ও তাতে নিহিত উপাদানসমূহ ব্যবহৃত হয়েছে - মূলত সে দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এভাবে আল-কোরআনে প্রাণ সৃষ্টি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা দেবার জন্য অতি সংক্ষেপে যে কত নিখুঁত ও নির্ভুল তথ্য প্রদান করা হয়েছে তা যারা বোঝার তারা ঠিকই বুঝে নেবে।
Nitrogen is a component of many organic molecules. It forms an essential part of amino acids (which make up proteins) and DNA.
Nitrogen is essential for all living cells.
• All life requires nitrogen-compounds, e.g., proteins and nucleic acids.
• Air, which is 79% nitrogen gas (N2), is the major reservoir of nitrogen.
• But most organisms cannot use nitrogen in this form.
• Plants must secure their nitrogen in "fixed" form, i.e., incorporated in compounds such as:
• nitrate ions (NO3−)
• ammonia (NH3)
• urea (NH2)2CO
The enormous energy of lightning breaks nitrogen molecules and enables their atoms to combine with oxygen in the air forming nitrogen oxides. These dissolve in rain, forming nitrates, that are carried to the earth.
আপনি যদি এখন প্রশ্ন করেন- এখানে পানির স্থলে তরল পদার্থ বলা যায় কি?
জী ভাই, এই প্রশ্নের উত্তরটি আপনি ৭৬ নং সূরার ১ ও ২ নং আয়াতে খুঁজে পাবেন।
(৭৬ : ১) হাল আতা-আলাল ইনছা- নি হীনুম মিনাদ দাহরি লাম ইয়াকুন শাইআম মাজকুরা।
(৭৬ : ১) অর্থ:- নিশ্চয় এমন কিছু কাল অতিবাহিত হয়েছে- যখন মানবসত্তা উলেখযোগ্য কিছু ছিল না।
(৭৬ : ০২) ইন্না- খালাক্বনাল ইনছা- না মিন নুত্বফাতিন আমশা- জ্বিন নাবতালীহি ফাজ্বাআলনা- হু ছামীআম বাছীর।
নুতফা=(অর্থ) তরল পদার্থের অতি সামান্য অংশ
আমশাজুন =(অর্থ) মিলিত, মিশ্রিত
নাবতালি=(অর্থ) বাছাইকৃত, পাল্টান
(৭৬ : ০২) অর্থ:- আমি তো মানুষকে সংমিশ্রিত পরিচ্ছন্ন পানির বা তরল পদার্থের বাছাইকৃত বা পরিবর্তিত অতি সামান্য অংশ থেকে সৃষ্টি করে তাকে পরিগঠন করেছি শ্রবণ ও দর্শনকারী রূপে।
অথবা {আমি তো মানুষকে (অসংখ্য শুক্রাণূর) সংমিশ্রনের বাছাইকৃত শুক্রাণূ থেকে সৃষ্টি করে তাকে পরিগঠন করেছি শ্রবণ ও দর্শনকারী রূপে।}
যারা আরও বেশি কিছু জানতে চায় এই আয়াত দুটিতে আল্লাহতায়ালা তাদের জন্যও তথ্য দিয়ে দিয়েছেন। জীবনের জন্য পানি তো অপরিহার্য বটেই অর্থাৎ পানি ছাড়া তো সম্ভবই না এবং এখানে বলা হলো এর সাথে আরও কিছু পদার্থের সংমিশ্রন ছিল।
এখন যারা আরও জানতে চায় যে- এই পানির সাথে কিসের সংমিশ্রন ঘটানো হয়েছিল?
তার উত্তরে ৩২নং সূরার ৭নং আয়াতে মহান স্রষ্টা সেই তথ্য দিয়ে দিয়েছন-
(৩২ : ০৭) লাজী-আহছানা কুল্লা শাইয়িন খালাক্বাহূ ওয়া বাদাআ খালাক্বাল ইনছা-নি মিন ত্বীন।
(৩২ : ০৭) অর্থ:- তিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি হতে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।
কাদামাটি অর্থাৎ পানির সাথে মাটির সংমিশ্রন ঘটলেই তো কাদামাটি হয়। সুতরাং এ থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, (২০ : ৫৩) আকাশ হতে বর্ষিত নাইট্রোজেন (নইট্রেটস) সমৃদ্ধ পানির সাথে (৩২ : ০৭) মাটিতে নিহিত জীবন সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান সমূহের সংমিশ্রন ঘটান হয়েছে। আর তাই (৭৬ : ০২) নং আয়াতে 'আমশাজুন' (অর্থ= মিলিত, মিশ্রিত) শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। (বর্তমানে বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা জানতে পেরেছি যে, মানব দেহের গঠন ও বৃদ্ধির জন্য যে সমস্ত খনিজ পদার্থ প্রয়োজন তার প্রায় সবই এই মাটিতেই পাওয়া যায়।) তারপর এই সংমিশ্রিত তরল পদার্থটি (৭৬ : ১) বেশ কিছু কাল প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে তা এমন অবস্থায় পরিবর্তিত হয়েছে যে, এই (নাবতালি) বাছাইকৃত বা পরিবর্তিত (নুতফা) তরল পদার্থের অতি সামান্য অংশ থেকে পর্যায়ক্রমে সকল জীবন তথা মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এই (৭৬ : ০২) নং আয়াতে যে আরবী শব্দগুলো {"নুত্বফাতিন আমশা- জ্বিন নাবতালীহি" (সংমিশ্রিত পানির বা তরল পদার্থের বাছাইকৃত বা পরিবর্তিত অতি সামান্য অংশ)} ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো জীবন সৃষ্টির প্রাথমিক অবস্থার সাথে যেমন সামঞ্জস্যপূর্ণ, তেমনি প্রাণী তথা মানবদেহের প্রজনন তন্ত্রে উৎপাদিত বীর্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
আল-কোরআন-৫৩ নং সূরা নজম-৪৫ ও ৪৬ নং আয়াতের দিকে লক্ষ করি-
(বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম)
(৫৩:৪৫) ওয়া আন্নাহু খালাকাজ যাওজাইনিজ জাকারা ওয়াল উংসা-
যাওজাইনি = (অর্থ) স্বামী-স্ত্রী, দুই প্রকার, দুই জোড়া (কোরআনের অভিধান- মুনির উদ্দীন আহমদ)
(৫৩:৪৫) অর্থ- এবং তনিই সৃষ্টি করেন পুরুষ ও স্ত্রীর যুগল
(৫৩:৪৬) মিন নুত্বফাতিন এজা তুমনা
নুত্বফাতুন = (অর্থ) পরিচ্ছন্ন পানি, স্ত্রী বা পুরুষের বীর্য ( আল -কাওসার- আধুনিক আরবী বাংলা অভিধান- মদীনা পাবলিকেশান্স) এবং তরল পদার্থের অতি সামান্য অংশ
এজা তুমনা =(অর্থ) স্খলিত/নিক্ষিপ্ত/নর্গিত/ফোটায় ফোটায় আসা
(৫৩:৪৬) অর্থ- নুতফা (বীর্যের বা তরল পদার্থের অতি সামান্যতম বা সূক্ষতম অংশ অর্থাৎ শূক্র) হতে- যখন তা স্খলিত/নিক্ষিপ্ত/নর্গিত হয়।
'নুতফা'- এই আরবী শব্দটির মূল অর্থ হলো 'তরল পদার্থের অতি সামান্য অংশ'- এ কারনে এর অর্থ ক্ষেত্র বিশেষে (sperm) 'শূক্র' হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে।
যেহেতু 'নুতফা' শব্দটির মূল অর্থটি 'পানি বা তরলের সামান্যতম বা ক্ষুদ্রতম অংশ' - এ ধরনের ভাব প্রকাশ করে, তাই (sperm) 'শূক্র' আবিষ্কারের আগে 'নুতফা'- কে 'বীর্য' বা 'বীর্যের ফোটা বা বিন্দু' হিসেবে অনুবাদ করা হত।
(sperm) 'শূক্র' আবিষ্কারের পর যেহেতু পরিষ্কারভাবে বোঝা গেল যে, মানব সৃষ্টির জন্য সম্পূর্ণ 'বীর্য' নয়, বরং 'তরল বীর্যের ক্ষুদ্রতম অংশ' অর্থাৎ একটিমাত্র শূক্রই যথেষ্ট। তাই 'নুতফা' শব্দটির অর্থ মূলত (sperm) 'শূক্র' হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে।
মহান স্রষ্টা মানব সৃষ্টি সংক্রান্ত আয়াতে 'নুতফা' শব্দটি কেন ব্যবহার করেছেন তা যারা চিন্তাশীল ও সত্যানুসন্ধানী তারা ঠিকই বুঝে নিয়েছেন। এভাবে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মাধ্যমে 'নুতফা'- এই আরবী শব্দটির মূল অর্থ 'তরল পদার্থের অতি সামান্য অংশ' এর যথার্থতা স্পষ্টরূপে প্রকাশিত হেয়েছে।
এবার আবার (৭৬ : ০২) নং আয়াতের প্রতি লক্ষ করি-
(৭৬ : ০২) অর্থ:- আমি তো মানুষকে (নুত্বফাতিন আমশা- জ্বিন নাবতালীহি) সংমিশ্রিত তরল পদার্থের বাছাইকৃত অতি সামান্য অংশ থেকে সৃষ্টি করে তাকে পরিগঠন করেছি শ্রবণ ও দর্শনকারী রূপে।
আমরা জানি-
পুরুষের বীর্যের মধ্যে মাত্র ১-৫% হচ্ছে শুক্রাণু; এই শুক্রাণুর মাথার নিউক্লিয়াসে ব্যক্তির বংশগতির তথ্য-পরিচিতি ধারণ করে ডিএনএ (DNA)। প্রতিবার স্খলনের সময় যে পরিমাণ বীর্য বের হয়, তাতে ২০০-৫০০ মিলিয়ন শুক্রাণু অবস্থান করে। আর বীর্যের বাকি অংশ অর্থাৎ তরল অংশ বিভিন্ন জৈব-অজৈব রাসায়নিক পদার্থ মিলে তৈরি, যেমন : অ্যামাইনো এসিড, সুগার, লিপিড, এনজাইম, হরমোন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, দস্তা বা জিংক ইত্যাদি।’
সুতরাং (নুত্বফাতিন আমশা- জ্বিন নাবতালীহি)- এই আরবি শব্দগুলো দ্বারা যে বীর্যকেও নির্দেশ করে তা সহজ্ই বোঝা যায়।
তবে ক্ষেত্র বিশেষে 'নুতফা' শব্দটির সাথে অন্যান্য বিশেষণ যুক্ত হওয়ার কারনে জীবন সৃষ্টি সংক্রান্ত আরও গভীর তথ্যও প্রকাশ করার অবকাশ রয়েছে-
আল-কোরআনের আলোকে জ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ হলে মানুষ ধীরে ধীরে অলীক কল্পনা ও মিথ্যার মায়াজাল থেকে বেরিয়ে আসে। সত্যের স্বচ্ছ জ্যোতিতে তার জ্ঞানচক্ষু হয় শাণিত ও উন্মোচিত। সুদূরপ্রসারী চিন্তাশক্তির সহায়তায় প্রচলিত মতবাদগুলোর মধ্য থেকে প্রকৃত সত্যটি সে সহজেই খুঁজে ও বুঝে নিতে পারে। এটি নিছক কোন বিজ্ঞানের বই নয়। তাই এতে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও ত্বত্ত্বগুলোর বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে ঐশী ইংগিত দেয়া হয়েছে মাত্র। সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে একজন ইমানদার যখন আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে গভীর চিন্তা-গবেষণায় রত হয়, তখন পরম শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসে জগৎসমূহের স্রষ্টা সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান এক আল্লাহর সামনে মাথা নত করতে সে বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হয় না। আল-কোরআন যে স্বয়ং মহান স্রষ্টা প্রেরিত পথপ্রদর্শনকারী মহাগ্রন্থ তা জ্ঞানী ও সরলমনা বিশ্বাসীরা তখন নির্দিধায় মেনে নেয়।।
বিঃদ্রঃ - লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে। অপ্রাসঙ্গিক কোন মন্তব্য মুছে ফেলা হবে এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য পেশ করলে প্রয়োজনে ব্লক করতে বাধ্য হব।
এর সাথে নিচের সকল মন্তব্য ও লিংকগুলো পড়ার জন্য অনুরোধ রইল
Click This Link
Click This Link
Click This Link
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: থিওরি নয়, সত্য
Click This Link
Click This Link
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫২
তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: মানুষ বলেছেন: আদম হাওয়া থিওরির কি হবে?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৩৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: থিওরি নয়, সত্য
Click This Link
Click This Link
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:০০
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: আমার জানামতে, এখানে যা আলোচিত হয়েছে তা প্রান সৃষ্টির তথাপি মানুষ সৃষ্টির অতি আদি সময়ের কথা। আদম হাওয়ার আগমন এর পরবর্তিতে হয়েছে। লেখক এ ব্যাপারে আরো কিছু আলোকপাত করলে মনে হয় বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তবে, সবার উপরে ঈমান। এর উপর ভিত্তিকরেই আলোচনা আগানো উচিৎ। কারন, ঈমান না থাকলে, আমাদের সবচেয়ে দরকারী বিষয়টিই মিসিং হয়ে যাবে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫৪
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনার মূল্যবান বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
Click This Link
Click This Link
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:১১
সজীব আকিব বলেছেন: পানি থেকে প্রাণীর উৎপত্তি ঘটে তা আপনাকে কে বলল? বিশুদ্ধ পানি থেকে কখনো কিছুই উৎপত্তি লাভ করবে না। এছাড়া পানি আবার তরল পদার্থ যখন যা তখন তা দিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে এক্কেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা। যাই হোক, ভাল থাকেন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: পানির সাথে প্রান অর্থাৎ জীবনের যে সম্পর্ক সে কথাই বোঝাতে চেয়েছি।
তাহলে পানির অপর নাম জীবন বিজ্ঞানের এই সিদ্ধান্তকে কি আপনি মানেন না?
স্বাভাবিক অবস্থায় পানি যে একটি তরল পদার্থ তা এখন শিশু শ্রেণীর বাচ্চারাও জানে। তবে তাপমাত্রা ভেদে এটি তিন অবস্থায় থাকতে পারে তা আপনি বলতে পারেন।
কোন কোন বিষয়টি এক্কেবারে যাচ্ছেতাই মনে হলো তা কিন্তু বলেননি।
মুহাম্মদ ফয়সল@ ভাইয়ের বক্তব্যের প্রত আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই-
তবে, সবার উপরে ঈমান। এর উপর ভিত্তিকরেই আলোচনা আগানো উচিৎ। কারন, ঈমান না থাকলে, আমাদের সবচেয়ে দরকারী বিষয়টিই মিসিং হয়ে যাবে।
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৮
মৈত্রী বলেছেন: Click This Link
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: নাস্তিক সাহেবের দেয়া এসব পুরান রেকর্ড বাজিয়ে আপনার অবিশ্বাসে ভরা মন ও মগজ ধোলাই হতে পারে। এর বেশি কিচ্ছু হবে না
এখন আমার দেয়া তথ্যের দিকে নজর দিন
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: In humans, there is a gene on the Y chromosome that codes for the presence and development of testes, and if those testes are formed, then, under guidance from other genes, they will begin to produce testosterone and other hormones that, in turn, are able to stimulate development of male genitalia. (Beard quality, by the way, is a totally separate, autosomal trait with its own genes/alleles, and its expression/phenotype is influenced by a variety of factors.) However, for development of male genitalia to happen, another gene, which is located on the X chromosome and which codes for the presence and functioning of testosterone receptors, must also do so. Interestingly, in human embryonic development, development of female genitalia is the “default” condition, so if there is no Y chromosome, there are no instructions to form testes and the baby develops as a girl, but even if there are testes and testosterone, and there’s also an alternate allele that codes for “faulty” or missing testosterone receptors, the baby still developes as a girl. Thus, the mere condition of being, chromosomally, XY, does not automatically mean that person is male! Again, sex is a phenotype, not a genotype. As described below, while it is not a very common thing, it is entirely possible that someone could have an X and a Y chromosome, yet because of the ways in which her alleles/genes are expressed, be phenotypically, female. In the past, before people knew about and were able to test for X and Y chromosomes, such a woman might have been labeled as “barren” or “infertile” – a bad-enough label, but now that we know about X and Y chromosomes and can test for their presence, some people, including some doctors and researchers, forgetting that sex is a phenotype, not a genotype, much less a karyotype, incorrectly and callously try to label these women as “chromosomally male” – a term which is sheer nonsense.
The “opposite” condition is also possible. A colleague told me of a case in which a couple who were having problems conceiving a baby went to a fertility specialist, and it was discovered that the very masculine, fully-bearded husband wasn’t producing sperm because he happened to be XX. Also, sex determination works differently in different species of animals. In humans and other mammals, due to the presence of Barr bodies, the expression of the genes/alleles on the Y chromosome “normally” results in a male phenotype, and thus people who are XXY (Klinefelter’s syndrome) are “normally” male.
উপরের দয়া তথ্য অনুসারে X ও Y উভয় ক্রমজোমে টেসটিস গঠন ও টেসটোটেরন উৎপাদনের অ্যলিল/জিন থাকলেও সাধারনভাবে Y এর মধ্যকার জেনেটিক সংকেতের কারনেই মূলত পুরুষের পুরুষত্ব নির্ভর করে অর্থাৎ সন্তান জন্মের জন্য শূক্রাণুর উৎপাদন সম্ভব হয়। অতি নগন্য ব্যতিক্রম যে ঘটনাগুলো ঘটে, যেমন- কোন স্ত্রীলোকের স্ত্রী-যৌনাঙ্গ থাকা সত্বেও তার কোষে XY সেক্স-ক্রোমজমের উপস্থিতির কারনে সে নারীত্ব অর্থাৎ সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত থাকে। আবার কিছু কিছু পরুষ XX ক্রমোজম ধরান করার কারনে পুরুষের মত দৈহিক গঠন ও পুরুষাঙ্গ থাকা সত্বেও পরুষত্ব অর্থাৎ সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য শূক্রানু উৎপাদনে অক্ষম হয়। তাই XY সেক্স-ক্রমোজমের অধিকারী একজন নারীকে যেমন পূর্ণরূপে নারীত্বের অধিকারী বলা যায় না, তেমনি XX ক্রমোজমের অধিকারী পরুষকেও পূর্ণরূপে পুরুষত্বের অধিকারী বলা যায় না। সুতরাং এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, শুধুমাত্র ক্রমোজম নয়, বরং ক্রমোজমের মধ্যে নিহিত অ্যালিল বা জিনের কারনেই এরূপ ঘটনা ঘটে। X সেক্স-ক্রমজোমের মধ্যে শুধুমাত্র পরুষের পুরুষাঙ্গ- টেসটিসের গঠন ও হরমোন টেসটোসটেরন উৎপাদনের জিন থাকলেও পরুষের শূক্রাণু উৎপাদনের কোন সংকেত থাকেনা। আর তাই XX ক্রমোজমধারী কোন পুরুষ সন্তান জন্মদানে তথা শূক্রাণু উৎপাদনে অক্ষম হয়। আবার XY সেক্স-ক্রোমজমধারী কোন ফেনোটাইপ নারীও সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়। গবেষণায় দেখা গেছে Y ক্রমোজমের মধ্যে অবস্তিত একটি মাত্র জিনের (SRY) উপস্থিতি maleness অর্থাৎ পরুষত্বের কারন। কথনও X সেক্স-ক্রমজোম এই SRY জিন বহন করলেও XX ক্রমোজমধারী পুরুষটি sterile অর্থাৎ সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়। সুতরাং গভীরভাবে চিন্তা করলে বুঝে নেয়া যায় যে, X+X অথবা X+Y মিলে সন্তান জন্ম নিলেও, শুধুমাত্র আকৃতিতে পুরুষ বা স্ত্রী নয়, বরং পরিপূর্ণ পুরুষ সস্তান জন্মের জন্য X সেক্স-ক্রমজোমের সাথে (SRY) জিন বহনকারী Y ক্রমোজমের মিলন অপরিহার্য। এর ব্যতিক্রম ঘটলেই নানা রকম অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। ফলে বংশবিস্তারে অক্ষম সন্তান জন্ম নয়ে।
এখানে স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালা যে আরবী শব্দ ‘নুতফা’ ব্যবহার করেছেন প্রকৃত অর্থে এটি কোন লিঙ্গ নির্দেশ করেনা। X এর সাথে X অথবা X এর সাথে Y এর মিলন ঘটলেই স্ত্রী/পুরুষ সন্তানের জন্ম হতে পারে। সন্তান জন্মের জন্য সংমিশ্রিত তরল পদার্থের অতি সুক্ষ্ম অংশ বলতে যে ‘নুতফা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে প্রকৃত অর্থে এটি দ্বারা X এবং Y উভয় ক্রমোজম বহনকারী শুক্রাণুকে/ডিম্বাণূকে বোঝান যেতে পারে।
এবার ৩২ নং সূরার ৮ নং আয়াতের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই-
(৩২ : ০৮) ছুম্মা জ্বাআলা নাছলাহূ মিন ছুলা-লাতিম মিম মা-য়িম মাহীন।
(৩২ : ০৮) অর্থ:- অতঃপর তিনি তার বংশধারা বা ভিত্তি স্থাপন করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে
এখানে তুচ্ছ পানির নির্যাস বলতে X এবং ও Y ক্রমোজমের মধ্যকার জিনগুলোর কথাই সম্ভবত বোঝান হয়েছে। বিশেষ করে পুরুষের বীর্যের Y ক্রমোজমের SRY জিনের কারনে যেহেতু একজন সন্তান পূর্ণরূপে পুরুষ হবে, নাকি স্ত্রী হবে তা নির্ভর করে। তাই এর দ্বারা মূলত পুরুষের বীর্যের Y ক্রমোজমের মধ্যে অবস্থিত এই SRY জিনেকেও বোঝান যেতে পারে। কারন এই SRY জিনের কারনেই মূলত বংশধারা রক্ষা করা অর্থাৎ বংশবিস্তারে সক্ষম সন্তান উৎপাদনের বিষয়টি নির্ভরশীল।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৭
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আল-কোরআনে এ ধরনের আরও অনেক শব্দ ও আয়াত এসেছে তা যখন নাজিল হয়েছিল শুধু তথনকার জন্য নয়, বরং কেয়ামত পর্যন্ত এর সঠিক অর্থ বোঝানোর জন্যই মহান স্রষ্টা শব্দটাকে সেভাবেই ব্যবহার করেছেন। মানুষের জ্ঞানের পরিধি যত বিস্তৃত হবে, সে চিন্তা-ভাবনা করলে তত সূক্ষ্মভাবে তার অর্থ বুঝতে সক্ষম হবে।
আমি সব তফসীরকারগণের উপর শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই যে, তাঁরা তাদের সে সময়কার বৈজ্জ্ঞানিক জ্ঞান অনুসারে ভিন্ন জন বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। আর তাই আমি কখনই সেসব ব্যাখ্যার সমালোচনার পক্ষে নই অথবা তাদের এই মহৎ প্রচেষ্টাকে আমি ভুল বলতে রাজি নই।
।
আল-কোরআনের অন্যান্য সব বিষয়ের ব্যাখ্যায় আমি নিশ্চয় তাদের মত যে পারদর্শি নই- তা নির্দিধায় স্বীকার করছি। তবে এ বিষয়টিকে হয়ত আল্লাহতায়ালা আমাকে এভাবে চিন্তা-ভাবনা করার মত যৎসামান্য জ্ঞান অর্জনের ও ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিয়েছেন। যেহেতু আমি বর্তমান কালের নমকরা আলেম ব্যক্তিবর্গের বা বুদ্ধিজীবি সমাজের অন্তর্ভূক্ত নই, সুতরাং আপনারা অথবা আলেম সমাজ আমার এই যৎসমান্য প্রয়াশকে গ্রহণ করতেও পারেন অথবা নাও করতে পারেন। তা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। আমাকে আল্লাহতায়ালা যতটুকু বোঝার মত তৌফিক দিয়েছেন- আমি তা প্রকাশ করেছি মাত্র। এখন সর্বজ্ঞ মহান স্রষ্টা যা চাইবেন তাই হবে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৫
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধৈর্যসহ নিচের লিংকটি পড়ার আহ্বান রইল
Click This Link
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:০৫
এস এইচ খান বলেছেন:
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: আমার জানামতে, এখানে যা আলোচিত হয়েছে তা প্রান সৃষ্টির তথাপি মানুষ সৃষ্টির অতি আদি সময়ের কথা। আদম হাওয়ার আগমন এর পরবর্তিতে হয়েছে। লেখক এ ব্যাপারে আরো কিছু আলোকপাত করলে মনে হয় বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তবে, সবার উপরে ঈমান। এর উপর ভিত্তিকরেই আলোচনা আগানো উচিৎ। কারন, ঈমান না থাকলে, আমাদের সবচেয়ে দরকারী বিষয়টিই মিসিং হয়ে যাবে।
++++++++++
পোস্টের ব্যপারে মুহাম্মদ ফয়সল এর সাথে সহমত।
পোস্টে ++++++
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:০৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: অনুগ্রহ করে নিচের লিংকগুলো ঘুরে আসবেন
Click This Link
Click This Link
Click This Link
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ++
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১৭
ক্রস ফায়ার০০৭ বলেছেন: এস এইচ খান বলেছেন:
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: আমার জানামতে, এখানে যা আলোচিত হয়েছে তা প্রান সৃষ্টির তথাপি মানুষ সৃষ্টির অতি আদি সময়ের কথা। আদম হাওয়ার আগমন এর পরবর্তিতে হয়েছে। লেখক এ ব্যাপারে আরো কিছু আলোকপাত করলে মনে হয় বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তবে, সবার উপরে ঈমান। এর উপর ভিত্তিকরেই আলোচনা আগানো উচিৎ। কারন, ঈমান না থাকলে, আমাদের সবচেয়ে দরকারী বিষয়টিই মিসিং হয়ে যাবে।
++++++++++
পোস্টের ব্যপারে মুহাম্মদ ফয়সল এর সাথে সহমত।
পোস্টে ++++++
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৯
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,
অনুগ্রহ করে নিচের লিংকগুলো ঘুরে আসবেন
Click This Link
Click This Link
Click This Link
৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২৩
সন্যাসী বলেছেন: লেখক বলেছেন: নাস্তিক সাহেবের দেয়া এসব পুরান রেকর্ড বাজিয়ে আপনার অবিশ্বাসে ভরা মন ও মগজ ধোলাই হতে পারে। এর বেশি কিচ্ছু হবে না
১৪০০ বছর পূর্বের গ্রন্থখানি আপনাদের কাছে চিরনতুন!! তাতো হবেই!! নিত্য নতুন অর্থ করছেনতো, তাই এটা স্বাভাবিক!! কোরানের মত শব্দের অর্থবিকৃতি পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় আর কোন গ্রন্থের ভাগ্যে জোটেনি। আর কোন বইয়ের ভাগ্যে জুটবেও না। দিনে দিনে আমরা কোরানের অর্থের আরো বিকৃতকরন দেখতে পাব ইনশাল্লাহ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই, আপনি যদি এ পোষ্টের সাথে দেয়া আমার মন্তব্য ও প্রতিটা লিংক ভাল করে পড়ে একটু চিন্তা করতেন তাহলে চট করে এমন একটা আনাড়ি বক্তব্য পেশ করতে পারতেন না। যদি কিছু বলার থাকে নির্দিষ্ট করে বলুন।
আল-কোরআনে অনেক শব্দ ও আয়াত এসেছে তা যখন নাজিল হয়েছিল শুধু তথনকার জন্য নয়, বরং কেয়ামত পর্যন্ত এর সঠিক অর্থ বোঝানোর জন্যই মহান স্রষ্টা প্রতিটা শব্দ ও আয়াতকে সেভাবেই ব্যবহার করেছেন। মানুষের জ্ঞানের পরিধি যত বিস্তৃত হবে, সে চিন্তা-ভাবনা করলে তত সূক্ষ্মভাবে তার অর্থ বুঝতে সক্ষম হবে।
মুহাম্মদ ফয়সল@ তবে, সবার উপরে ঈমান। এর উপর ভিত্তিকরেই আলোচনা আগানো উচিৎ। কারন, ঈমান না থাকলে, আমাদের সবচেয়ে দরকারী বিষয়টিই মিসিং হয়ে যাবে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:০৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: অনুগ্রহ করে নিচের লিংকগুলো ঘুরে আসবেন
Click This Link
Click This Link
Click This Link
১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪১
সন্যাসী বলেছেন: আল-কোরআনে অনেক শব্দ ও আয়াত এসেছে তা যখন নাজিল হয়েছিল শুধু তথনকার জন্য নয়, বরং কেয়ামত পর্যন্ত এর সঠিক অর্থ বোঝানোর জন্যই মহান স্রষ্টা প্রতিটা শব্দ ও আয়াতকে সেভাবেই ব্যবহার করেছেন। মানুষের জ্ঞানের পরিধি যত বিস্তৃত হবে, সে চিন্তা-ভাবনা করলে তত সূক্ষ্মভাবে তার অর্থ বুঝতে সক্ষম হবে।
---------------------
যদি আমি এভাবে বলি তাতে কোন অর্থ দাড়াবে কীনা দেখুনঃ
আল-কোরআনে যেসব শব্দ ও আয়াত এসেছে তা যখন নাজিল হয়েছিল শুধু তখনকার জন্য প্রযোজ্য, কেয়ামত পর্যন্ত ইসলাম প্রচারের জন্যই তাফসীরকারকরা প্রতিটা শব্দ ও আয়াতকে সেভাবেই পরিবর্তন করেছেন এবং করবেন। মানুষের জ্ঞানের পরিধি যত বিস্তৃত হবে, সে চিন্তা-ভাবনা করলে তত সূক্ষ্মভাবে তার অর্থ পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৫৭
মাহফুজশান্ত বলেছেন: গায়ের জোরে বা মিথ্যাচার করে কেউ আল-কোরআনের আলো নিভিয়ে দিতে পারবে না!!! না জেনে-শুনে আপনার নাস্তিকগুরুর মত আবারও আপনি আনাড়ি বক্তব্য দিলেন।
মথ্যি মনা সাইটের মিথ্যাচার শুনে কোন লাভ হবে না। এবার বিশ্বাসে ভরা মন নিয়ে সত্যের পথে মুখ ফেরান। অন্যের নয়, নিজের বিবেককে কাজে লাগান-
জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ আল-কোরআন নিছক কোন বিজ্ঞানের বই নয়, বরং একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। প্রায় ১৪৫০ বছর পূর্বেই মহান স্রষ্টা তাঁর প্রেরতি গ্রন্থ আল-কোরআনে এমন সব অকাট্য বৈজ্ঞানিক তথ্যের অবতারনা করেছেন যেগুলোর মর্ম ধীরে ধীরে উপলব্ধি করা সম্ভব হচ্ছে। এ বিষয়টি তো সর্বজ্ঞ আল্লাহতায়ালার পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল এবং তিনি ভালভাবেই জানতেন যে, এমন এক সময় আসবে যখন আল-কোরআনে প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো অন্যান্য ধর্মের বিজ্ঞানীদের দ্বারা তাদের অজান্তেই সত্য বলে আবিষ্কৃত হতে থাকবে। এরফলে এই সত্য তথা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো একদিকে যেমন তারা সরাসরি অস্বীকার করতে পারবে না, অপরদিকে তেমনি এই তথ্যগুলো কিভাবে আল-কোরআনে স্থান পেল তা অবিশ্বাসীরা ভেবে কুল পাবেনা। কিন্তু এই সত্য তথ্যগুলোকে যে স্বয়ং মহান স্রষ্টাই তাঁর প্রেরিত মহাগ্রন্থে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আগে থেকেই সংযোজন করে রেখেছেন তা ঈমানদারেরা সহজেই বুঝে নেবে ও একবাক্যে বিশ্বাস করে নেবে। এই ঐশী তথ্যগুলোর অছিলায় অনেক নীরহংকার জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যাক্তিবর্গ যে ইমানের আলোয় আলোকিত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে এপরও যারা অহংকার বশত বে-ইমানের পথে পা বাড়াবে তাদের ফায়সালার জন্য তো মহান আল্লাহই যথেষ্ট। অবিশ্বাসীরা যখন বিজ্ঞানের নামে মিথ্যে মতবাদ ও ত্বত্ত্বের ছলনায় সরল মানুষদেরকে ধোঁকা দিয়ে ঈমান নষ্টের খেলায় মেতে উঠবে, তখন ঈমানদার বান্দারা আল্লাহ প্রদত্ত ঐশী-দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে বৈজ্ঞানিক সত্য তথ্যগুলো এমনভাবে উপস্থাপন করবেন যে, আবিষ্কৃত তথ্যগুলো বুমেরাং হয়ে তাদেরই মনগড়া মতবাদকে মিথ্যা প্রমাণিত করবে। আল্লাহতায়ালা এভাবে সত্যকে প্রকাশিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং ঈমানদার বান্দাদের চেষ্টা ও সাধনাকে বিজয় দান করেন। স্থান, কাল ও পাত্রভেদে কোন মতবাদ বা ত্বত্ত্বকে হয়ত সেই নির্দিষ্ট কাল বা স্থান বা সীমাবদ্ধ কোন মানবগোষ্ঠীর জন্য লাভজনক বা সঠিক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আল-কোরআনের মাপকাটিতে যদি তা সার্বজনীন ও সঠিক হিসেবে বিবেচিত না হয় তবে সাময়িকভাবে যত লাভজনক ও আকর্ষণীয়ই মনে হোক না কেন, তাতে ঈমানদারগণের কিছুই যায় আসে না এবং তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। সুতরাং রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, শিক্ষানীতি ইত্যাদি সবগুলো ক্ষেত্রেই আধুনিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সেইসাথে আল-কোরআনকে সত্যের মাপকাঠি হিসেবে ধরে নিয়ে ঈমান বিনষ্টকারী অকল্যাণকর সকল মতবাদ ও ত্বত্ত্বের খারাপ দিকগুলো সর্বসাধারনের মাঝে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি ঈমানের ভিতকে শক্ত ও পোক্ত করে এমন বক্তব্যগুলোকে সমুন্নত রাখতে হবে। এর ফলে বিশ্বাসীগণের বিশ্বাস হবে সুদৃঢ়। হয়তো বা কোন অবিশ্বাসীর হৃদয় ঈমানের আলোয় হতে পারে আলোকিত। সবই সর্বদ্রষ্টা আল্লাহতায়ালার ইশারা মাত্র।
১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:১১
সন্যাসী বলেছেন: গায়ের জোরে বা মিথ্যাচার করে কেউ আল-কোরআনের আলো নিভিয়ে দিতে পারবে না!!!
ঈমানের জোরে মিথ্যাচার করেও কেউ কোরানকে বিজ্ঞান বলে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না। কোরান যে অবিজ্ঞান তা চিরকালই অবিজ্ঞান থাকবে। যারা এটাকে বিজ্ঞান বলে বিশ্বাস করতে চাইবে তারা জানেনা যে তাদেরকে আসলে কুবিজ্ঞান শেখানো হচ্ছে। যারা শিখাচ্ছে তাদের ঈমানের চেয়ে ধর্মকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করার/ক্ষমতার ধান্দা বেশি। যদি আপনিও সে কাজ করেন তাহলে আপনিও ওদের দলের।
আপনাদের উচিত কোরানের মধ্যে এইসব কুবিজ্ঞান খোজার চেয়ে সত্যিকারের বিজ্ঞান পড়া। সময়কে তার নিজের গতিতে আগাতে দেন। ঈমানের জোর দিয়ে সময়কে পিছনে টেনে ধরে রাখার জন্য কোরানে বিজ্ঞান খোজা এক প্রকার আহাম্মকি।
বিজ্ঞান গতিশীল। ধর্মের স্থবিরতা এবং অ্যাবসলুটিজমই ধর্মের মুর্খতা নির্দেশ করে। স্থবিরতা উন্নতির অন্তরায়- এতো দেখতেই পাচ্ছেন। অ্যাবসলুটিজমও স্থবিরতার অন্যতম একটা কারণ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি কিন্তু অর্থহীন কথা বার বার একই ভঙ্গিতে বলেই চলেছেন। আল-কোরআন সম্পর্কে সীমিত জ্ঞান তো বটেই, বিজ্ঞান সম্পর্কেও আপনার জ্ঞান এতটুকু পরিষ্কার নয় তা আপনার কথাবার্ততে ফুটে উঠছে।
আল-কোরআনের বাণী-
(৬১:৮) তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।
(৩১:৪০) আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ কোরআনকে বিশ্বাস করবে এবং কেউ কেউ বিশ্বাস করবে না। বস্তুতঃ তোমার পরওয়ারদেগার যথার্থই জানেন দুরাচারদিগকে।
(৩১:৪১) আর যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তবে বল, আমার জন্য আমার কর্ম, আর তোমাদের জন্য তোমাদের কর্ম। তোমাদের দায়-দায়িত্ব নেই আমার কর্মের উপর এবং আমারও দায়-দায়িত্ব নেই তোমরা যা কর সেজন্য।
(৩১:৪২) তাদের কেউ কেউ কান রাখে তোমাদের প্রতি; তুমি বধিরদেরকে কি শোনাবে যদি তাদের বিবেক-বুদ্ধি না থাকে!
(৩১:৪৩) আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ রাখে; তুমি অন্ধদেরকে কি পথ দেখাবে যদি তারা মোটেও দেখতে না
পারে।
(৩১:৪৩) আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর, বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে।
১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৯
প্রবাসী১২ বলেছেন: এ পোষ্টে সজীব আকিবের লেখা আশা করেছি। পেয়ে হতাশ হয়েছি। উনি শুধুই নাস্তিক। বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার সম্পর্কেও ধারনা নেই। অথচ বিজ্ঞান বিজ্ঞান করে চিল্লাচ্ছেন।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৫
মাহফুজশান্ত বলেছেন: মন্তব্য ও পার্ফেক্ট রিয়ালাইজেশনের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৭
ঘোড়ারডিম বলেছেন: আল্লাহ আপনার হেফাযত করুন। অনেক ধণ্যবাদ ++
এবং আমি সবাইকে ইমানের উপরে উপলব্দির আহবান করছি।
Click This Link
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ
আল্লাহ আপনারও হেফাযত করুন
১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৮
প্রবাসী১২ বলেছেন: সন্যাসী আপনিতো চট গায়ে কোন গাছ তলায় কিংবা কোন আলোহীন বিজন কোনায় থাকার কথা। এখানে কি করছেন। ভন্ডামী হয়ে গেলনা।
বিজ্ঞান কখনো আল কোরআনের ধারে কাছেও যেতে পারবেনা। বিজ্ঞান শত সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ মানুষের সৃষ্টি। আর আল কোরআণ সকল জ্ঞানের উৎস মহান সৃষ্টার বাণী।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৫
মাহফুজশান্ত বলেছেন: অসংখ্য অসংখ্য অসংখ্য অসংখ্য...............ধন্যবাদ
১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩
ক্লান্ত দুচোখ বলেছেন:
মানব সৃষ্টি পানি থেকে?
"সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।" [৮৬: ৬]
"তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম।" [২৫: ৫৪]
"অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে।" [৩২:৮]
মানব সৃষ্টি মাটি থেকে?
"যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।" [৩২: ৭]
মানব সৃষ্টি বীর্য থেকে?
"এবং তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল-পুরুষ ও নারী।
একবিন্দু বীর্য থেকে যখন স্খলিত করা হয়। " [৫৩:৪৫-৪৬]
"তিনি মানবকে এক ফোটা বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন। এতদসত্বেও সে প্রকাশ্য বিতন্ডাকারী হয়ে গেছে।" [১৬:৪]
আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, এভাবে যে, তাকে পরীক্ষা করব অতঃপর তাকে করে দিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন।" [৭৬:২]
মানব সৃষ্টি জমাট রক্ত থেকে?
"সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।" [৯৬:২]
আপনার মত মানুষরাই(যাদের ঈমান হালকা, প্রমানের প্রয়োজন হয়) কোরানের মাঝে কোয়ান্টম ম্যাকানিক্স খোজে...মাইনাস
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাল করে পড়লে আপনার নাস্তিকগুরুর পুরানা রেকর্ড আবার বাজাতেন না
লিংটা দিলাম, মস্তিষ্কটা আপটুডেট করেন
Click This Link
এরপরও যদি বোধ ন জাগে, তাদের জন্য-
আল-কোরআনের বাণী-
(৩১:৪২) তাদের কেউ কেউ কান রাখে তোমাদের প্রতি; তুমি বধিরদেরকে কি শোনাবে যদি তাদের বিবেক-বুদ্ধি না থাকে!
(৩১:৪৩) আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ রাখে; তুমি অন্ধদেরকে কি পথ দেখাবে যদি তারা মোটেও দেখতে না
পারে।
১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৯
সন্যাসী বলেছেন: এইখানে আমার আরেকটা মন্তব্য ছিল সেটা কি ডিলিট করেছেন? কারণটা কি আমার মন্তব্যে 'বাল' শব্দটা ব্যবহারের আধিক্য নাকি যুক্তির অকাট্যতার উত্তর ছিলনা বলে?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আবার্ও বলছি-
লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে। অপ্রাসঙ্গিক কোন মন্তব্য মুছে ফেলা হবে এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য পেশ করলে প্রয়োজনে ব্লক করতে বাধ্য হব।
১৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৩৭
চাঁন মিঞা সরদার বলেছেন: আপাতত প্রিয়তে
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৯
মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ-
১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:০৬
অচিনপাখি বলেছেন: @৪ -এর মন্তব্য,,
পানির অপর নাম জীবন বলতে কি এইটা বোঝায়? ফাউল কোনহানকার..
১৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:২৯
শুভ রহমান বলেছেন: সায়ানোব্যাক্টেরিয়া প্রাচীনতম জীবন? হাসতেই আসি ....
একটা জেনারেল মাইক্রোবায়োলজি বই খুইলা দেইখেন ...
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:২৫
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আঃ হা! কি সোন্দর হাসি- ভাইটি, হাসেন কেন?
কারা প্রথমে না বুঝে হাসে, আবার বুঝতে পারার পরও হাসে- জানেন তো?
অন্তত আপনাকে তো সেই দলের ভাবতাম না!
আমার এখানে একটু বুঝে-শুনে হাসবেন- আর না বুঝলে জিগাবেন- ঠিক আছে?
সরি, আপনারা তো নিজেদেরকে অতবি জ্ঞিয়ানী ভাবেন- থাউক, এই মুখ্যরে জিগানোর দরকার নাই-
জ্ঞান হাবার পর থেকে তো খালি fossil-fossil-আর fossil এরই গান গাইলেন-
তারপরও সেই গানের প্রাচীনতম নিদর্শণ কি- সেটাও জানেন না!?
আপনি না পিওয়র সাইন্সের লোক-!!
এ ধরণীতে Eubacteria, Archaebacteria আর Stromatolites এর কোনটা আগে আর কোনটা পরে আইছে- সেটা তো আমি কই নাই-
fossil record অনুসারে এগুলোর মধ্যে কোনটার fossil কে এ পৃথিবীতে প্রাপ্ত প্রাণের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়-- এইবার একটু কন দেখি ভাই?
আপনার পাঠ্য বইগুলা খুইলা একটু দেইখেন-
২০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫১
শুভ রহমান বলেছেন: রাইবোসোমাল আরএনএ কি খালি আঙুল চুষতে আছে?
বিজ্ঞানের তথ্যগুলোকে আপনি ভালোই ব্যবহার করতে পারেন।
সায়ানোব্যাক্টার প্রাচীনতম ফসিল হইতে পারে। কিন্তু সে প্রাচীনতম কোষ না। সায়ানোব্যাক্টারের আগে আরো ব্যাক্টেরিয়া আছে। তাদের আগে আর্কিয়া আছে। ইত্যাদি ইত্যাদি।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৬
মাহফুজশান্ত বলেছেন: বাংলা ভাষায় পরিষ্কার কোরে বললাম, তাও একই প্যাচাল-!?
সায়ানোব্যাক্টার প্রাচীনতম ফসিল হইতে পারে। কিন্তু সে প্রাচীনতম কোষ না। সায়ানোব্যাক্টারের আগে আরো ব্যাক্টেরিয়া আছে। তাদের আগে আর্কিয়া আছে। ইত্যাদি ইত্যাদি।
সায়ানোব্যাক্টারের প্রাচীনতম ফসিলের কথাটাই তো আমি এখানে বলেছি-
খামাখা আপনি নিজেই তো সায়ানোব্যাক্টারকে প্রাচীনতম কোষ বানিয়ে বেসুরা গান গাইতে শুরু করলেন-
রাইবোসোমাল আরএনএ কি খালি আঙুল চুষতে আছে?
আমার আগের জবাবটা আবার পড়েন-
তাহলে heterotroph আর chemotroph organisms- এরা কি দোষ করল? এরা কি চুষবে?
এখানে তো আমি সেই বর্ণনা দিতে বসি নাই-
যায়গা মত সেই বৃত্তান্তও পাবেন-
কই আরেক- আর বুইঝা বসেন আরেকটা-
ধর্মের কথা বললেই মনে করেন- এরা কিছুই জানেনা-!
আল্লাহর কালামকে নিয়েও আপনারা একই কারবার করেন-
একদিকে স্বার্থবাদী ফতোয়াবাজ আর আরেক দিকে মিথ্যামনাদের পাল্লায় পড়ে হুদাই মাথা গরম করবেন না- মাথা ঠান্ডা রাখেন- তাহলে সব পরিষ্কার বুঝতে পারবেন-
২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ৮:৪১
শুভ রহমান বলেছেন: এ ধরণীতে ঠিক কতকাল পূর্বে জীবনের উন্মেষ ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কোটি কোটি বছর পূর্বে আবির্ভূত এলজে জাতীয় সামূদ্রিক এককোষী প্রাণীর ফসিলকে জীবনের প্রচীনতম নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৩৫
মাহফুজশান্ত বলেছেন: fossil record অনুসারে কোনটার fossil কে এ
পৃথিবীতে প্রাপ্ত প্রাণের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়-- এইবার একটু কন দেখি ভাই?
২২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:৪৯
ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: আপনি আপনার মত করে ব্যাখ্যা দিলেন। আমিতো অন্যভাবেও দিতে পারি।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৩০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমি আমার মত কোরে ব্যাখ্যা দেই নাই-
আপনি অন্যভাবে দিলে সেটা আপনার বিষয়-
শুধু আমার মত কোরে ব্যাখ্যা দেয়া আমার কর্ম নয়-
আমি আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকেই ব্যাখ্যা দিয়েছি-
২৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:১৬
ফাহিম আহমদ বলেছেন: চালিয়ে যান, , সুজাসুজি প্রিয়তে
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৩১
মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্য দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই-
২৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১১:৫২
ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: কোরআন ও বিজ্ঞান একশত জন একশত ভাবে ব্যাখ্যা দেয়! আপনারটার সাথে আরেকজন আলেমের একমত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:০৪
মাহফুজশান্ত বলেছেন: শুধু তথাকথিত আলেম হলেই হবে না-
বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত আয়াতগুলো বর্ণনার জন্য তাকে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক জ্ঞানও রাখতে হবে-
একমাত হওয়ার বিষয়টি আপেক্ষিক-
তবে কেউ একমত না হতে পারলে তার কারনটা বোঝার মত জ্ঞান তো থাকা চাই-
২৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:১১
ওয়াহিদ০০১ বলেছেন: আপনার শেষ কমেন্টের সাথে সহমত!
অনেকেই আছেন বিজ্ঞান/ধর্ম কোনটা নিয়েই পড়ালেখা না করে দুটিকে পরস্পরবিরোধী বলে প্রচার করে। এটা তাদের মাথায় আসে না যে, তাদের বোঝার ক্ষেত্রে ভুল থাকতে পারে।
এই ব্লগে জৈববিবর্তন নিয়ে কিছু বিজ্ঞানভিত্তিক পোস্ট দিয়ে নাস্তিক বলে গালিও শুনেছি!
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৫০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমি অযথা কাউকে নাস্তিক বা কাফের বলে গালি দেবার পক্ষে নই-
ইসলাম বিরোধী মনোভাব প্রকাশ না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে অযথা সরাসরি কাফের বলা উচিত নয়-
আপনি যদি স্রষ্টায় বিশ্বাসী হয়ে থাকেন- তাহলে এমন বলা তো মোটেই উচিত হয় নাই-
আমাকেও অনেকেই ভুল বোঝে- গালিও দেয়- তাতে আমার কিছু যায় আসে না-
আমার উদ্দেশ্যে আল্লাহতায়ালাই ভাল জানেন-
২৬| ০১ লা মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৮
শুভ রহমান বলেছেন: বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের মধ্য ফসিল রেকর্ডই একমাত্র নয়। রাইবোজোমাল আরএনএ তুলনা করেও লাইফ অব ট্রি তৈির করা যায়। রাইবোজোমাল আরএনএ-র মিউটেশন তুলনা করে প্রাণটি কত পুরনো তা বের করা যায়।
০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ১০:০৯
মাহফুজশান্ত বলেছেন: বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের মধ্যে ফসিল রেকর্ডই একমাত্র- এই কথা আমি কি কোথাও বলেছি?
তথাকথিত বিবর্তনবাদীরা ফসিল ফসিল কোরে বেশি গলাবাজি করে, তাই এখানে সেই রেকর্ডের কথাই উল্লেখ করেছি-
যাক, আপনি অন্তত তাদের মত নন জেনে ভাল লাগলো-
রাইবোজোমাল আরএনএ তুলনা করেও যে লাইফ অব ট্রি তৈরি কার যায় তা আমার জানা আছে-
একটা পোষ্টে সব বিষয় এনে জগাখিচুড়ি বানানো ঠিক নয়। রাইবোজোমাল আরএনএ-র মিউটেশন তুলনা করে প্রাণীটি যতই পুরনো হোক না কেন- তার সৃষ্টির সাথে পানির সম্পর্ক আছে কিনা এখানে এটাই আমার আলোচ্য বিষয়- এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি?
২৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৩২
শুভ রহমান বলেছেন: দেখেন বিজ্ঞানে অনেক সুনির্দিষ্ট ভাবে বাতচিত করা হয়। আপনার প্রথম অনুচ্ছেদটি সাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য যথেষ্ট। আপনি এমনিতেই বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের জগাখিচুরী পাকাচ্ছেন। এতে ধর্মের কোন উপকার হচ্ছে কি না জানি না। কিন্তু বিজ্ঞানের কোন লাভ হচ্ছে না। সৃষ্টির সাথে প্রাণের অবশ্যই সম্পর্ক আছে। কোরানই এই কথাটা প্রথম বলে নাই। আমার মনে পড়ছে গ্রীক দার্শনিকদের কথা। মনে পড়ছে মেসোপটেমিয়ার কথা। তারাও বলতো প্রাণের শুরু পানিতে। তাই বলে তাদের সব কথা আমরা গ্রহণ করি না। কিংবা তাদের সব কথাই বিজ্ঞান হয় না।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৩২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমার প্রথম অনুচ্ছেদটিতে আমি মোটেই বিভ্রান্তিকর কিছুই বলিনি-
আমর বক্তব্য বুঝতে হলে অন্যান্য লেখাও পড়া প্রয়োজন-
Click This Link
আমর ধর্ম স্বয়ং-সম্পূর্ণ, সুতরাং তা আমার কাছ থেকে উপকার পাবার জন্য বসে থাকে না-
যারা নিরহংকার মনে সত্যের সন্ধান করেন তারা আমার ধর্ম-গ্রন্থ থেকে ঠিকই তার সন্ধান পেয়ে যাবেন-
আর যারা অহংকারী ও একগুয়ে তারা পাবেনা-
গ্রীক দার্শনিকেরা এটা বলতে পারে। কিন্তু তফাৎটা এই যে, আল-কোরআনে তো শুধু এটাই বলা হয়নি, আরও অনেক কিছুই বলা হয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্টসগুলোর সাথে সেগুলো খুবই সংগতিপূর্ণ-
আপনারা ভালভাবে না যেনেই নাক সিটকালে তাতে আমার বা আমার ধর্মের কিচ্ছু এসে যায় না-
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:২০
মানুষ বলেছেন: আদম হাওয়া থিওরির কি হবে?