নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমানেরা নিজেও মরে অন্যকেও মারে?

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১০

শহরে পোড়া মাটির একটি স্থানে যে কারও নজর আটকে যাবে। এটি সেই স্থান, যেখানে একটি মাদ্রাসা থেকে কমপক্ষে ২০টি শিশুকে ধরে এনে ঝুলিয়ে ও পেট্রলে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জুতা-স্যান্ডেলের মধ্যে এখনো ভেসে আসছে ভস্ম করে ফেলা দেহের গন্ধ।

উইন টেইন নামের সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা ও নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শী জানাচ্ছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা, ‘সামরিক জান্তা আমলের অনেক সহিংস ঘটনারই সাক্ষী আমি। কিন্তু মিকতিলায় যা দেখেছি, তা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। সেখানে আমার সামনেই আটটি শিশুকে মেরে ফেলা হয়।’

জনাথন হেড বলেন, মুসলিমদের প্রতি এই নির্মমতার মূলে কাজ করছে তাদের প্রতি বৌদ্ধদের একধরনের অলীক ভীতি ও অসন্তোষ। গত বছর মুসলিমবিরোধী দাঙ্গার উসকানিদাতা ও প্রভাবশালী ভিক্ষু অশিন বিরাথুর ভাষ্যে ফুটে ওঠে সে কথাই।

অশিন বলেন, ‘আমরা বার্মার বৌদ্ধরা খুব কোমল প্রকৃতির। তবে আমাদের দেশপ্রেমের ঘাঁটতি রয়েছে। অপর দিকে মুসলমানরা ব্যবসায় ভালো। তারা দেশের যোগাযোগ ও নির্মাণ খাত নিয়ন্ত্রণ করে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পরিণতি একদিন আফগানিস্তান বা ইন্দোনেশিয়ার বৌদ্ধদের মতোই পোহাতে হবে।



মিয়ানমারে বহু বছর ধরেই সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সহিংসতা চলছে। গত মাসে নতুন করে সৃষ্ট সহিংসতায় মধ্যাঞ্চলীয় শহর মিকতিলায় নিহত হয় ৪৩ জন। জ্বালিয়ে ও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ১৩ শতাধিক বাড়িঘর, দোকান ও মসজিদ। গৃহহীন হয় প্রায় ১২ হাজার মানুষ। গত বছর এ রকম আরেক সহিংসতায় নিহত হয়েছিল কমপক্ষে ১৮০ জন।

সহিংসতার সময় হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগ ঠেকাতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে বলে গত সোমবার অভিযোগ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংগঠনটি পুলিশের এই ব্যর্থতা তদন্তেরও আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু এই সহিংসতার নেপথ্য কারণ কী, তা অনুসন্ধান করে দেখেছেন বিবিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন হেড।

জোনাথন বলেন, প্রথমে দেখলে মনে হবে যে মিকতিলায় কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে। শহরের গোটা এলাকাই মাটিতে মিশে গেছে। ধ্বংসস্তূপে একাকার হয়ে আছে দালানের সব ইট-পাথর ও সিমেন্ট। তবে ভালোভাবে খেয়াল করলে ভবনের দেয়ালগুলোতে থাকা বড় বড় গর্তের চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যাবে। এসব মানুষেরই তৈরি।

গুঁড়িয়ে দেওয়া দালান ও দোকানমালিক পরিবারগুলোর সদস্যদের কোনো খোঁজ নেই। যাদের দেখা মিলছে, তারা মানুষ নয়, ভাগাড় অনুসন্ধানী কিছু পশু-পাখি। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা মূল্যবান কিছু বের করতেই তারা ব্যস্ত। এ দৃশ্য মিলবেই না বা কেন? শহরে বংশপরম্পরায় বসবাসকারী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে যে একেবারে উৎখাত করা হয়েছে।

বিবিসি।





আমাদের পরিণতি একদিন আফগানিস্তান



লক্ষনীয় যে, এই ভয়টা এখন বাংলাদেশেও চালু করার চেষ্টা চলছে, সামুতে প্রায়শ:ই আফগানিস্তানের ভয় দেখানো হয়।

মজার ব্যপার, আফগানিস্তানে প্রথমে তান্ডব চালিয়েছিল, সেভিয়েতের আশ্রয়ে পালিত সেক্যুলার টাইপের লোকেরাই। মানুষজনকে দাড়ি রাখতে দিতনা, হাজার হাজার ইমাম তাদের হাতে নিহত হয়।



একবার একটি হোটেলের ছোট্ট একটি রূমে একটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হল। ঐ সময় সেই রূমটিতে সর্বসাকুল্যে চার পাচজন মানুষ ছিল। একজন মুসলমান, একজন ইহূদি, একজন খ্রীষ্টান আর একজন হিন্দু ভদ্রলোক।

পশ্চিমা মিডিয়াতে এনিয়ে ব্যাপক আলাপ আলোচনার ঝড় উঠে। যদিও কেউ জানত না, কে মারা গেছে, কখন এবং কিভাবে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।

এরি মধ্যে মিডিয়ার লোকেরা আয়োজন করে বিভিন্ন টক শোর।

বক্তাদের প্রায় সকলেই এই মত পোষন করেন যে এটি মুসলমানটির সন্ত্রাসীমুলক কর্মকান্ড। তারা বিভিন্ন ইতিহাস ঘেটে, ইসলামের বিভিন্ন গ্রন্হের পংক্তি উল্লেখ করে এই যুক্তি দেখান এটি কেবলমাত্র মুসলমানটির পক্ষেই করা সম্ভব। তাদের মতে মুসলমানরাই কেবল পারে অন্য ধর্মের লোককে নির্দ্বিধায় খুন করতে।

যাহোক কিছুক্ষন পরেই জানা গেল যে মুসলমান লোকটি নিজেই খুন হয়েছে।

এবার মিডিয়ার লোকজনেরা বিড়ম্বনায় পড়ল। কিন্তু মিডিয়া বলে কথা।

এবারও বক্তারা বিভিন্ন যুক্তি তর্ক উপাস্থন করে প্রমান করে দিতে চাইল কেবল মুসলমানের পক্ষেই এভাবে মানুষ মারা সম্ভব। এরিমধ্যে উপস্থাপক স্বরন করিয়ে দিলেন যে মুসলমান লোকটি নিজেই এই হত্যাকান্ডের ভিকটিম।

মোটেও দমে গেলেন না বক্তারা। তারা এবার এক সুরে জোরালে কন্ঠে বললেন তাহলে এটি ছিল একটি আত্মঘাতি হামলা।

এরপর তারা বিভিন্ন দলিল উপস্থাপন করে যুক্তি দেখিয়ে বোঝালেন কেবল একজন মুসলমানই পারে আত্মঘাতি হামলা চালিয়ে নিজেকে হত্যা করতে।



শেষপর্যন্ত শ্রোতারা কোনভাবেই জানতে পারল না কিভাবে কখন কি করে একজন মুসলমান মারা গেল। তারা শুধু জানল মুসলমানরা সহজেই অন্য ধর্মের লোকজনকে মেরে ফেলে আর তারা যদি নিজেরা মরে সেটা আত্মঘাতি হামলা অথবা অন্তর্দন্দ্ব কলহের কারনে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৯

মাহিরাহি বলেছেন: আমরা কখনও চাইনা, একজন নিরাপরাধ মানুষ, সে যে ধর্মেরই হোকনা কেন, অন্য কোন ধর্মের লোকদের দ্বারা নির্যাতিত হোক।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৬

"চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ সেথা শির" বলেছেন: মাহিরাহি বলেছেন: আমরা কখনও চাইনা, একজন নিরাপরাধ মানুষ, সে যে ধর্মেরই হোকনা কেন, অন্য কোন ধর্মের লোকদের দ্বারা নির্যাতিত হোক।


নাস্তিকতাকে আরেকটি ধর্ম হিসেবে প্রমানের চেষ্টা...............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.