নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আধার রাত্রি ভোরের অনেক বাকী স্বপ্ন দেখার সুযোগ এখন তাই

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

মাহিরাহি

বাড়ী আখাউড়া। আখাউড়া রেলওয়ে হাইস্কুল থেকে পাস করে সোজা ঢাকায় চলে আসি। কিছুদিন সিটি কলেজে ছিলাম। ছিলাম জগন্নাথেও। তারপর টোকিওতে কাটিয়েছি সাড়ে ছয়টি বছর। দেশে ফিরে এসে চাকুরি আর সংসার নিয়ে আছি। দুটো ছেলে, মাহি আর রাহি। একজনের সাড়ে ছয় আর আরেকজনে সদ্য চার পেরিয়েছে। ওদের নামদুটো জুড়ে দিয়েই আমার নিকের জন্ম। বেশিরভাগ সময়কাটে সন্তানের সান্নিধ্য। ঘরকুনো মানুষ আমি। লেখালেখিতে হাতেখড়ি এই সা ইন বল্গে এসেই। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল ফিরিয়ে দেয়ার মত উদ্ধত্য আমার নেই। সবারই বন্ধু হতে চাই।

মাহিরাহি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাত্র ৬২ জন ধনী ব্যক্তির অর্থের পরিমাণ পৃথিবীর অর্ধেক মানুষের অর্থের পরিমাণের সমান, ১% ধনী ব্যক্তির অর্থের পরিমাণ ৯৯ % মানুষের অর্থের পরিমাণের সমান

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

নিউজ উইকে প্রকাশিত একটি কার্টুনের কথা দিয়ে শুরু করছি।

বয়ে যাওয়া শীর্ণকায় নদীর একপাশে উন্নত বিশ্বের একজন মানুষ, অপর পাশের দরিদ্র বিশ্বের একজন মানুষ। দুচারটা কাঠ লাকড়ি জ্বালিয়ে দরিদ্র মানুষটি শীত নিবারনের চেষ্টা করছে আর উন্নত বিশ্বের মানুষটি ক্ষুদ্র ধুম্রকুন্ডলির দিকে তার অভিযোগের তর্জনি উত্তোলিত করে বলছে তুমি পরিবেশ নষ্ট করছ অথচ তার পেছনের কারখানার চিমনি থেকে গলগল করে বেরিয়ে আসা ধোয়া আকাশ অন্ধকার করে ফেলেছে।

এখন সবাই জানে পরিবেশের সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে উন্নত বিশ্বের লোকেরা।

পৃথিবী দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, যা ভয়াবহ বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে মানুষের জন্য।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য যে সাতটি দেশ সবচাইতে বেশি দায়ী, তারা হয় উন্নত নয়ত অর্থনীতির উদীয়মান দেশ।

The US is the clear leader, responsible for 0.15 °C, or 22 percent of the 0.7 °C warming. China accounts for 9 percent, Russia for 8 percent, Brazil and India 7 per centeach, and Germany and the UK for 5 percent each.


কয় যুগ আগেও সারা দুনিয়াব্যাপী যারা উপনিবেশ স্হাপন করেছিল তারা এখন উন্নত বিশ্ব।
সারা দুনিয়াব্যাপি যুদ্ধ লাগিয়ে অস্র বিক্রির মাধ্যমে বিলিয়ন ডলার কামিয়ে নেয় উন্নত বিশ্বের পুজিবাদীরা।
(ইরাক যুদ্ধের জন্য এবছর বিশব অস্রবাজারের মন্দা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠা সম্ভব হয়েছে যে বাজারের ৪০% আমেরিকার দখলে।)
হলিউড মুভিজের মত সস্তা বিনোদন বেচে কামিয়ে নেয় কয়েক বিলিয়ন ডলার। এর সাথে আমদানী হয় বিজাতীয় সংস্কৃতি।
এরপরও কিছু ব্লগার ওদের সমাজ সংষ্কৃতির চিন্তা ভাবনার প্রশংসায় পন্চমুখ হয়, অভিযোগের তরজনি উত্তোলিত করে দরিদ্র দেশগুলোর মানুষের দিকে, তাদের মনমানসিকতাই নাকি সব সমস্যার জন্য দায়ী। দরিদ্র দেশগুলোর ধর্ম নাকি সব নষ্টের গোড়া।


উপরের পরিসংখ্যানগুলো বলে পৃথিবীর ক্ষমতাবানরা কারা আর ক্ষমতাবানরা দরিদ্র আর অসহায়ের ক্ষতি করে সবচাইতে।

তারপরও কিছু ব্লগার সব দোষ চাপাতে চায় মুসলমানদের উপর।

একবার একটি হোটেলের ছোট্ট একটি রূমে একটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হল। ঐ সময় সেই রূমটিতে সর্বসাকুল্যে চার পাচজন মানুষ ছিল। একজন মুসলমান, একজন ইহূদি, একজন খ্রীষ্টান আর একজন হিন্দু ভদ্রলোক।
পশ্চিমা মিডিয়াতে এনিয়ে ব্যাপক আলাপ আলোচনার ঝড় উঠে। যদিও কেউ জানত না, কে মারা গেছে, কখন এবং কিভাবে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।
এরি মধ্যে মিডিয়ার লোকেরা আয়োজন করে বিভিন্ন টক শোর।
বক্তাদের প্রায় সকলেই এই মত পোষন করেন যে এটি মুসলমানটির সন্ত্রাসীমুলক কর্মকান্ড। তারা বিভিন্ন ইতিহাস ঘেটে, ইসলামের বিভিন্ন গ্রন্হের পংক্তি উল্লেখ করে এই যুক্তি দেখান এটি কেবলমাত্র মুসলমানটির পক্ষেই করা সম্ভব। তাদের মতে মুসলমানরাই কেবল পারে অন্য ধর্মের লোককে নির্দ্বিধায় খুন করতে।
যাহোক কিছুক্ষন পরেই জানা গেল যে মুসলমান লোকটি নিজেই খুন হয়েছে।
এবার মিডিয়ার লোকজনেরা বিড়ম্বনায় পড়ল। কিন্তু মিডিয়া বলে কথা।
এবারও বক্তারা বিভিন্ন যুক্তি তর্ক উপাস্থন করে প্রমান করে দিতে চাইল কেবল মুসলমানের পক্ষেই এভাবে মানুষ মারা সম্ভব। এরিমধ্যে উপস্থাপক স্বরন করিয়ে দিলেন যে মুসলমান লোকটি নিজেই এই হত্যাকান্ডের ভিকটিম।
মোটেও দমে গেলেন না বক্তারা। তারা এবার এক সুরে জোরালে কন্ঠে বললেন তাহলে এটি ছিল একটি আত্মঘাতি হামলা।
এরপর তারা বিভিন্ন দলিল উপস্থাপন করে যুক্তি দেখিয়ে বোঝালেন কেবল একজন মুসলমানই পারে আত্মঘাতি হামলা চালিয়ে নিজেকে হত্যা করতে।

শেষপর্যন্ত শ্রোতারা কোনভাবেই জানতে পারল না কিভাবে কখন কি করে একজন মুসলমান মারা গেল। তারা শুধু জানল মুসলমানরা সহজেই অন্য ধর্মের লোকজনকে মেরে ফেলে আর তারা যদি নিজেরা মরে সেটা আত্মঘাতি হামলা অথবা অন্তর্দন্দ্ব কলহের কারনে।

এখন আবার ব্লগের কিছু দালালেরা আধুনিকতার নামে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমাদের ঐতিহ্য, সংস্ক্বতি, চিরাচরিত মুল্যবোধ ধংস করার জন্য। এটি করতে পারলে দরিদ্র মানুষের আর কিবা বাকি থাকে।

শোষনের দুয়ারটি তখন পুরোপুরি উন্মোচিত হয়ে পড়বে ওদের জন্য।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

খন্দকার আঃ মোমিন বলেছেন: একবার একটি হোটেলের ছোট্ট একটি রূমে একটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হল। ঐ সময় সেই রূমটিতে সর্বসাকুল্যে চার পাচজন মানুষ ছিল। একজন মুসলমান, একজন ইহূদি, একজন খ্রীষ্টান আর একজন হিন্দু ভদ্রলোক।
পশ্চিমা মিডিয়াতে এনিয়ে ব্যাপক আলাপ আলোচনার ঝড় উঠে। যদিও কেউ জানত না, কে মারা গেছে, কখন এবং কিভাবে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।
এরি মধ্যে মিডিয়ার লোকেরা আয়োজন করে বিভিন্ন টক শোর।
বক্তাদের প্রায় সকলেই এই মত পোষন করেন যে এটি মুসলমানটির সন্ত্রাসীমুলক কর্মকান্ড। তারা বিভিন্ন ইতিহাস ঘেটে, ইসলামের বিভিন্ন গ্রন্হের পংক্তি উল্লেখ করে এই যুক্তি দেখান এটি কেবলমাত্র মুসলমানটির পক্ষেই করা সম্ভব। তাদের মতে মুসলমানরাই কেবল পারে অন্য ধর্মের লোককে নির্দ্বিধায় খুন করতে।
যাহোক কিছুক্ষন পরেই জানা গেল যে মুসলমান লোকটি নিজেই খুন হয়েছে।
এবার মিডিয়ার লোকজনেরা বিড়ম্বনায় পড়ল। কিন্তু মিডিয়া বলে কথা।
এবারও বক্তারা বিভিন্ন যুক্তি তর্ক উপাস্থন করে প্রমান করে দিতে চাইল কেবল মুসলমানের পক্ষেই এভাবে মানুষ মারা সম্ভব। এরিমধ্যে উপস্থাপক স্বরন করিয়ে দিলেন যে মুসলমান লোকটি নিজেই এই হত্যাকান্ডের ভিকটিম।
মোটেও দমে গেলেন না বক্তারা। তারা এবার এক সুরে জোরালে কন্ঠে বললেন তাহলে এটি ছিল একটি আত্মঘাতি হামলা।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫১

কালনী নদী বলেছেন: ভালো হয়েছে।

০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

মাহিরাহি বলেছেন: কি ভালো হয়েছে!

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:২৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ঈদ মুবারাক !!

১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

মাহিরাহি বলেছেন: ঈদ মুবারাক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.