| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
1. ১৯৭১ সালে গঠিত হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট- ৩০ হাজারের মতো।
2. আন্তর্জাতিক ভাবে বলা হয় বিহারী ও অবাঙ্গালী সহ নিহত হয়েছে ২ লাখ।
3. কিছুদিন আগে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল বলেছে সব মিলিয়ে দেড় লাখ।
4. বিচিত্রায় (শাহাদাত হোসেন সম্পাদক) এক সাক্ষাতকারে জেনারেল অরোরা বলেছিলেন, ৩ লাখ হলেও বেশী বলা হবে।
5. বিবিসি বলেছে 5লাখ (সরকার প্রতিবাদ করায় তারা দু:খ প্রকাশ করেছে)।
6. বিখ্যাত সাংবাদিক ও গবেষক শর্মীলা বসু (জ্যোতি বসুর ভাইয়ের মেয়ে) তার গবেষণা বই ‘ডেড রেকনিং’ এ লিখেছে ৫০ হাজার থেকে ১লাখ।
7. ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু ...সরকার শহীদ পরিবারকে প্রতিজন শহীদের বিপরীতে ২০০০ টাকা করে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছিলো। ঐ সময় তৎকালীন সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধারা সারা দেশে প্রায় ৭২ হাজার মতো শহীদের তালিকা তৈরি করেছিলো। ঐ তালিকা থেকে নিহত রাজাকারদের নাম বাদ দিয়ে মোটামোটি ৫০ হাজার জন শহীদের পরিবারকে ২০০০ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছিলো।
আমরা কোন তথ্য প্রমান ছাড়াই এখনো জানি মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা 30লাখ। এতবড় পার্থক্য কিভাবে হয়? শহীদদের সংখ্যা নিয়ে এতবড় একটি ঘাপলা অবশ্যই দূর করা উচিত। তাহলেই জাতি জানতে পারবে কাদের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে।
(সুত্র-প্রথম আলো ব্লগ)
প্রশ্ন} মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের কাজ কি? তারা এটা বের করেনা কেন??
ক্যালেন্ডারি হিসাবে ’৭১ সালে পাকিস্তানীদের সাথে আমাদের যুদ্ধের ব্যাপ্তি ছিল ২৬৭ দিন, অর্থাৎ ৩,৮৪,৪৮০ মিনিট। ৩০ লাখ শহীদের হিসাবে ঐ সময়টায় মিনিটে প্রায় ৮ জন প্রাণ দিয়েছিল বাংলাদেশে। অন্যদিকে ৬৫ হাজার গ্রামের হিসাবে প্রতি গ্রামে প্রায় ৪৬ জন প্রাণ হারানোর কথা। পাঠক, এবার আপনি আপনার নিজ গ্রামে ফিরে গিয়ে তালিকা করুন ৪৬ জনের। ৫৪ হাজার বর্গমাইলের দেশে ৩০ লাখ শহীদকে দাফন করতে কতটা জায়গার প্রয়োজন সে হিসাবে আমাদের প্রতি পদক্ষেপে কবর থাকার কথা। আর তা যদি না পাওয়া যায় তাহলে অস্তিত্ব থাকার কথা শত শত গণকবরের। কোথায় সে সব কবর? ৩০ লাখ সংখ্যাটা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আরও একটা সমীকরণ মেলাতে হবে। নব্বই হাজার সেনা নিয়ে পাকিস্তানিরা যুদ্ধ করতে এসেছিল এ দেশে। এদের প্রত্যেকে গড়ে ৩৩ জন করে হত্যা করে থাকলে সংখ্যাটা ৩০ লাখে মেলানো সম্ভব। বাস্তবে যদি এমনটা হয়ে থাকে তা হলে প্রশ্ন জাগবে কোন অধিকারে শেখ মুজিব এসব কসাইদের বিনা বিচারে পাকিস্তান ফেরৎ পাঠিয়েছিলেন।
-বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা প্রসঙ্গে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন বলেছে, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ই জানুয়ারি লন্ডনের ক্লারিজ হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ‘লক্ষ লক্ষ’ (মিলিয়নস) উল্লেখ করেছিলেন। তিনি ত্রিশ লাখ বলেননি।’
লন্ডনের প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ান পত্রিকায় এবারে নতুন করে এ বিতর্কের সূত্রপাত করেন সাংবাদিক আয়ান জ্যাক। গার্ডিয়ান পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক আয়ান জ্যাক অক্সফোর্ড একাডেমিক শর্মিলা বোসের বই ‘ডেড রেকনিং: মেময়ার্স অব দ্য বাংলাদেশ ওয়ার’ সূত্রে উল্লেখ করেন যে, একাত্তরের যুদ্ধকালে সকল পক্ষে নিহতের সংখ্যা ৫০,০০০ থেকে ১ লাখের মধ্যে হবে। আয়ান বলেন, শর্মিলার বই অনেক প্রতিবেদনের সত্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে। যেমন একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আট হাজার হিন্দু হত্যার কথা বলা হলেও সেখানে সম্ভবত শুধুই ১৬ জনের মৃত্যু ঘটে। গত ২১শে মে গার্ডিয়ানে প্রকাশিত নিবন্ধের শুরুতেই আয়ান উল্লেখ করেন, ‘অজ্ঞতা এমন একটি বিষয় যার সঙ্গে সহজেই বসবাস করা সম্ভব। আর সম্ভবত সে কারণেই এটা একটা মামুলি ব্যাপার।’
গার্ডিয়ানে অন্তত দু’টি চিঠি ছাপা হয়। বিবিসি বাংলা সার্ভিসের সাবেক উপপ্রধান সিরাজুর রহমান গত ২৪শে মে লিখেছেন, পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ৮ই জানুয়ারি ১৯৭২ আমিই প্রথম বাংলাদেশী যিনি স্বাধীনতার নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। হিথরো থেকে তাকে ক্লারিজে নিয়ে এসেছিলেন ভারতের তৎকালীন হাইকমিশনার অপা ভাই পান্থ। আমি হিথরোতে তার পরপরই ছুটে যাই। মুজিবকে যখন মি. পান্থ ‘ইয়োর এক্সিলেন্সি’ বলেছিলেন তখন মুজিব খুবই অবাক হন। তিনি প্রায় শকড হন। তখন আমি তাকে বলি যে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এবং আপনার অনুপস্থিতিতে আপনাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি করা হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তান থেকে তিনি যেন এ ধারণা পেয়ে এসেছিলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন মেনে নেয়া হয়েছে। ওইদিন আমি এবং অন্যরা তাকে পুরো ঘটনার বিবরণ দেই। আমি তাকে বলি যে, মোট কতজন নিহত হয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা আমরা জানি না। তবে আমাদের অনুমান ‘তিন লাখ’ হতে পারে। ত্রিশ লাখ সংখ্যাটি অবাস্তব এবং অবিশ্বাসযোগ্য।
লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনের রেকর্ডপত্র থেকে দেখা যায়, ওই সময়ে লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনার পান্থ কিংবা তাদের কোন কর্মকর্তা তাকে অভ্যর্থনা জানাতে হিথরোতে যায়নি। বাংলাদেশী কূটনীতিকরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
এখানে লক্ষণীয় যে, বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ ব্যাখ্যায় ‘ত্রিশ লাখ’ বিষয়ে শর্মিলা বোস ও আয়ান জ্যাকের মন্তব্যের বিষয়ে কোন মন্তব্য নেই। বরং তারা বলেছে, বঙ্গবন্ধুকে তখন বাংলাদেশের পক্ষে ব্রিফ করা হয় যে, যুদ্ধে ‘মিলিয়নস অব পিপল’ মারা গেছেন। আর ক্লারিজ হোটেলের সংবাদ সম্মেলনে মুজিব বলেন, ‘মিলিয়নস অব পিপল ডায়েড... থাউজেন্ডস অব ভিলেজেস হ্যাভ বিন বার্ন্ট।’ বঙ্গবন্ধু যে ‘ত্রিশ লাখ’ বলেননি তা প্রমাণ করতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এমনকি ওই সময়ের ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যাওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করে।
http://www.hello-today.com/32597#.UxYRDoVRyP2
০৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:০৬
মাইরালা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২|
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
এমএস ইসলাম বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ধন্যবাদ
৩|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯
আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: এই পোস্টে কবিরা সব নিরব
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১০
প্রিয় জন বলেছেন: ভাল পোস্ট