নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি সবকিছিই স্বপ্নিল হবে।আমার ফেবু আইডি নাসির উদ্দীন বাকী

অর্কিড নীহারিকা

Nasir Uddin Baki

অর্কিড নীহারিকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি এবং আমারা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬

১। আমারা যারা নিম্মবিত্ত বা নিম্মমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান,আমাদের নিম্মবিত্ত বা নিম্মমধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা মধ্যবিত্ত বলে পরিচয় দেই। মধ্যবিত্তের মত চলতে চেষ্টা করি।কিন্তু মধ্যবিত্তের মত চলতে গিয়েও হিমসিম খাই।মাসশেষে আমাদেরকে দেনা/ধার করতেই হয়।তবুও আমারা নিজেদের গায়ে মধ্যবিত্তের ট্যাগ লাগিয়ে চলি ।আমাদের ম্যাক্সিমাম ফ্যামিলির উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি একজন কিংবা কখনও দুইজন।কারো বাবা কিংবা কারো ভাই।
কারো মা,কারো বা বোন।কেউবা ছোটখাট
সরকারি চাকুরীজীবী কেউবা ছোট ব্যাবসায়ী কেউবা এনজিওকর্মী কেউবা গ্রামের
গৃহস্ত ।আমরা জানি উনরা শরীরে রক্ত
পানি করে আমাদের সাংসারিক খরচ ও
পরিবারের অন্য সদস্য যারা পড়ালেখা করে তাদের পড়ালেখার খরচ মেটান। উনারা আমাদের পড়ালেখার খরচ দেওয়ার
পর কিভাবে সাংসারিক খরচ মেটান
তা কি আমারা কখনও জানতে চাই?
বুঝতে চাই?
কখনও কি নিজথেকে জিজ্ঞেস
করি কিভাবে সংসার চলে?সংসারের
টাকা প্লাস আমার আপনার আমাদের
পড়ালেখার টাকা কিভাবে ম্যানেজ
করেন? কখনও চাই?
কখনও চাই।কখনও বা চাই
না।অথচ উনাদের যদি জিজ্ঞেস
করি তাহলে বলেন তা জেনে তুমি বা তোমরা কি করবে।তোমাদের কাজ তোমরা কর।মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা কর।ভাল রেজাল্ট কর।পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে ভাল
চাকুরী কর।তুমি এস্টাবিস্লড হও।কতটুকু
মায়া থাকলে এমন কথা বলা যায়।কতটুকু
ভালবাসা থাকলে। কতটুকু বন্ধনে আবদ্ধ
থাকলে এমনভাবে ভালবাসা যায়।এই
ভালবাসার মূল্য কি দিয়ে দেওয়া যায়?
এই মায়ার মূল্য কি দেওয়া সম্ভব? এই
বন্ধনের দাবী কি আমারা মেটাতে পারব?
পারব না।সত্যিই পারব না।আমাদের মায়েরা সারাদিনের সাংসারিক কাজকর্ম
শেষে ক্লান্ত থাকেন।আমাদের সংসার
কর্তারা উনাদের হাতে টাকাপয়সা খুব
বেশি একটা দেন না।দিবেন কিভাবে উনাদের হাতে সংসার খরচ শেষে যে খুব বেশি অবশিষ্টও থাকে না। এমনও দেখা যায় বাচ্চাদের আইসক্রিম কেনার টাকাও
মাকে বাবার কাছ থেকে চেয়ে নিতে হয়। ফেরিওয়ালার কাছ থেকে সাংসারিক সরঞ্জামাদি কেনার টাকাও বাবার কাছ থেকে নিতে হয়। তাদের নেই কোন স্বাদ, নেই কোন আহ্লাদ।যাদের জীবন কাটে প্রতিনিয়ত
টানাপোড়নে তাদের আবার কিসের স্বাদ ,কিসের আহ্লাদ।
তাদেরকে স্বাদ,আহ্লাদের কথা জিজ্ঞেস করলে বলবে তাদের সব স্বাদ আহ্লাদ আমাদেরকে ঘিরে।তাদের সব স্বপ্ন আমাদের ঘিরে।সন্তানদের ঘিরে। এই ভালবাসা কি আমরা ভুলতে পারব? পারব না।সত্যিই পারব না।এই মায়েদের ঋণ কি আমারা শোধ করতে পারব?শোধ করা কি সম্ভব?
এই ঋণ কিভাবে শোধ করা যায় তা আমরা জানা নেই।কারই জানা নেই।আমার যারা মধ্যবিত্ত,নিম্মবিত্ত কিংবা নিম্মমধ্যবিত্ত
পরিবারের তাদের বাবাদের কিছু করার
থাকে না।যদি দুই তিনজন কলেজ, অনার্স
পড়ুয়া ছেলেমেয়ে থাকে তাহলে তো তাদের
পড়ালেখার খরচ মেটাতে তাদেরকে পরতে হয় অকুল পাথারে।তারপর আবার তাদের
পাত্যহিক খরচ।সবমিলিয়ে মায়েদের
হাতে টাকা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও
তারা দিতে পারেন না।দিতে পারেন
না ভাল কোন শাড়ি কিংবা পছন্দের
গহনা।তবুও নেই তাদের কোন অভিযোগ।
নেই কোন অভিমান। যা আছে তাতেই
তারা তুষ্ট। তাদের সকল চিন্তা চেতনা সন্তানদের ঘিরে।তাদের চাওয়া একটাই তাদের সন্তান যেন সুখে থাকে।সন্তানের সকল চাহিদা মেটাতে তারা সদা ব্যাস্ত।


২। প্রত্যেক মাসের শুরুতে আমার বাবা আমাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন কত
টাকা লাগবে।আমি টাকা চাইতে ইতস্ত বোধ
করি এবং আমার মোটামোটিভাবে মাস পার করতে যা প্রয়োজন তারচে ৫০০ টাকা কম চাই ।কিন্তু আমার আব্বা আমি যা বলি তার
চেয়ে ৫০০ টাকা বেশি দেন।উনি জানেন বুঝেন ,বাইরে একটা ছেলের চলতে কত
টাকা প্রয়োজন। উনি যানেন মধ্যবিত্ত
জীবনের চাহিদা মেটাতেই হিমসিম
খেতে হয়,সেখানে তো বিলাসিতার
প্রশ্নই আসে না।অপচয় তো অচিন্তনিয়।

৩।আমাদের গ্রামের প্লাস আমার দেখা অনেক ফ্যামিলির একই অবস্থা। আবার আমরা অনেকেই নিম্মমধ্যবিত্ত ফ্যামিলির হয়েও মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মত চলার
চেষ্টা করি।অভিনয় করি।এই চলার চেষ্টা করুয়া,অভিনয় করুয়া ফ্যামিলির সংখ্যাও নেহাত কম নয়।অনেক অনেক।
সত্যিই অনেক।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: সত্যি তাই। জীবনটাই এমন

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

খেলাঘর বলেছেন:


স্বাগতম

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৯

অর্কিড নীহারিকা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৫

অর্কিড নীহারিকা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।ভাল থাকবেন। # মায়াবী_রুপকথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.