নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি সবকিছিই স্বপ্নিল হবে।আমার ফেবু আইডি নাসির উদ্দীন বাকী

অর্কিড নীহারিকা

Nasir Uddin Baki

অর্কিড নীহারিকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি আর আমার ‘মা'।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

ইন্টারমেডিয়েট পরিক্ষা শেষে ঢাকায় এসেছি এডমিশন টেষ্ট কোচিং এর উদ্যেশে।লক্ষ একটাই ইউনিভার্সিটিতে চান্স।ঢাকায় আমার দ্বিতীয়বার আসা।এর আগে একদিনের একটা পোগ্রামে রাজধানী শহরে

আসা হয়েছিল।উঠেছি বড় মামার বাসায়

মোহাম্মদপুরে।ভর্তি হলাম UCCতে মোহাম্মদপুর শাখায়।সাথে এসেছ ’মা' আর ছোট বোন।ক্লাস শুরু হবে সপ্তাহখানিক পরে।শুরু হল অচেনা শহরে ভ্রমণ।বঙগবন্ধু নভোথিয়েটার,ঢাকা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস,লালবাগ কেল্লা আর চিড়িয়াাখানা।

ভ্রমণসাথী ’মা' ,মামী,মামা আর ছোটবোন।



এবার মায়ের বিদায় নেওয়ার পালা।বিদায়বেলায় মায়ের কান্নাজড়িত কন্ঠ।মামা-মামীর আর নানোর হাতধরে বলা ছেলেকে তোমাদের হাতে দিয়ে গেলাম দেখে রেখ।

আমাকে উপদেশ দেওয়া মামা-মামীর কথা যেন শুনি।মামা-মামী আর নানোর মাকে আশ্বস্ত করা।মায়ের চোখের জলে আমার চোখেও জল। মামার চোখও টলমল।নোনা জলের তীব্রতা বাড়ে।সেই তীব্রতায় বড্ড অচেনা লাগে মাকে,আমাকে,মামা

কে।বড্ড অচেনা।মায়ের শেষ কথা,“বাবা মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করো"।যেই আশা নিয়ে এত দূরে এসেছ তা পূরণ

কর।’মা' সিএনজিতে উঠে চলে যায়। আমি তাকিয়ে থাকি।একসময় ঝাপসা হয়ে উঠে চোখ।রাস্তায় হাজারোভিড়ে হারিয়ে যায় সেই সিএনজি।তবু আমি তাকিয়ে থাকি।অপলক তাকিয়ে থাকি।ক্লাস শুরু হয়।নতুন জায়গা,নতুন পরিবেশ।

সবকিছু বড্ড অচেনা। অচেনা নগরীর পথঘাট অচেনা।অচেনা হাওয়ায় অচেনা জীবন।অচেনা জীবনের হাওয়া বদল।এত এত মানুষ।তবুও মানুষের মাঝে একা।

সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যাতিব্যাস্ত।সবাই গন্তব্যের পেছেনে ছুটে। কেউ পিছু তাকাবার নয়।শহরের নিয়ন আলোয় নিজেকে হারিয়ে ফেলি।হারিয়ে যাই কাকডাকা ভোরে।মানিয়ে যাই নিয়ন আলোতে, ভুলে যাই চাঁদের আলো।ভুলে যাই ফসলের মাঠ,ভুলে যাই ফসলের গন্ধ।মাঝে মাঝে ভেসে উঠে মায়ের মুখ।মায়ের সাথে শেষ কথোপকথন।আবারো ঝাপসা চোখ।

পরমুহুর্তেই হারিয়ে হারিয়ে যাই নাগরিক কোলাহলে।মামা-মামীর সাথে মাঝে মাঝে ঘুরাঘুরি।মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্ট এ যাওয়া।মামা-মামীর হেল্পে মানিয়েই যেতে থাকি।মানিয়েই যাই।দুইমাস টানা নাগরিক জীবন কাটিয়ে রেজাল্টের আগের দিন বাড়ি যাই।রেজাল্ট শেষে আবার ফেরার দিন ভোরে মায়ের হাতের রান্না খেয়ে রওয়না দিব ঢাকারউদ্যেশে। মায়ের চোখে পানি।মায়া ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে না।

মায়ের চোখের দিকে বেশিক্ষণ তাকাতে পারি না যদি চোখে জল

এসে যায়।তবুও নোনাজল এসেই যায়।নিরবে নোনাজল পরে যায়।মায়ের একই কথা “মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করো।”তোমাকে নিয়ে আমাদের অনেক আশা।অনেক অনেক।আমি শুধু শুনে যাই মায়ের কান্নাজড়িত কন্ঠ।

আমি মায়ের আশা হয়ে বেচে থাকতে চাই সারাজীবন। মায়ের আশায় আলো ফুটাতে চাই।মায়েরআলো হয়ে থাকতে চাই।





এরপর যতবার বাড়ি থেকে বিদায় নিয়েছি ততবার মা-ছেলের এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: এজন্যঈ বাবা মা। খুব টাচি। ভালো থেকো ভাইয়া

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

অর্কিড নীহারিকা বলেছেন: হুম আপু।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.