নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উল্টা পাল্টা

যত সব উল্টা পাল্টা চিন্তা, ভাবনা, ধ্যান ধারনা

চারশবিশ

চোরের মন পুলিশ পুলিশ

চারশবিশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্যারদের নিয়ে মজার কাহিনী - ১

০১ লা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

প্রথমেই আমাদের এক শিক্ষকের কাহীনি বলে নেই, উনি সাধারনত কোন দাওয়াত মিস দেননা, ছাত্রদের কারও বোন বা ভাইয়ের বিয়ে উনি আছেন, কোনও খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠান উনি আছেন, ছাত্রদের শিক্ষামূলক সফর বা পিকনিক উনি আছেন, মোট কথা কোনও অনুষ্ঠান উনার মিস নাই। তবে শিক্ষামূলক সফর বা পিকনিকে উনি একটু টেনশনে থাকেন কারন একটু পর পর উনাকে বাথরুমে যেতে হত (ছোট কাজ না, বড় কাজের জন্য), উনি বেশিক্ষন বেগ চেপে রাখতে পারতেন না।



তখন ৫ম বা ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ি, আমাদের ক্লাশের পিকনিক এবং যথারীতি ঐ স্যারও আছেন। আমরা বাসে চড়ে যাব, সময় মোটামুটি ২ ঘন্টা লাগবে। ওখানে একটি স্কুলে গিয়ে উঠব, আমাদের মাল-পত্র রেখে ঘুড়তে বের হব আর স্কুলের মাঠে রান্না হবে।



সকাল ৮টায় রওনা দিব এবং সবাই বাসে উঠে রেডি কিন্তু ঐ স্যার নাই, যাই হোক কিছুক্ষন অপেক্ষার উনি এসেই তারা দিলেন তারাতরাি বাস ছাড়ার জন্য এবং হাসতে হাসতে অন্য স্যারদের বলনেন দুই ঘন্টার পথতো পেটটা একটু ক্লিয়ার করে নিলাম।



মহা হইচই এর মধ্য যাত্রা শুরু হল এবং ঘন্টা খানেক বাস চলার পর শুরু হল ভাঙ্গা রাস্তা, বাস খুব ধীরে ধীরে চলতে শুরু করল এবং আমরা চিন্তা করলাম ৩ ঘন্টার আগে পৌছাতে পারবনা।



আড়াই ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার পর আমাদের ঐ স্যার একটু উশখুষ শুরু করলেন। আরেক স্যারকে বললেন আর কতক্ষন লাগবে, ওখানে বাথরুম সারার ব্যাবস্থা কি? স্যার বললেন স্কুলের বাথরুমেই যেতে পারবেন মাঠের পূর্ব কোনাতে তবে বদনা নিয়ে পুকুড় থেকে পানি নিয়ে আসতে হবে। কিছুক্ষন পর স্যার দাঁড়িয়ে গেলেন আর হাটাটাটি শুরু করলেন আর বলতে লাগলেন আর কতক্ষন লাগবে।



যাইহোক আমরা স্কুলের কাছাকাছি আসতেই স্যার বাসের দড়জার কাছে গেলেন এবং বাস থামতেই আমাদের বাসের মধ্যে একটা বদনা ছিল তা নিয়ে দৌড় দিলেন।



কাজ শেষে স্যার খুব চিন্তিত মনে ফিরে এলেন এবং এক স্যারকে বললেন -

- ক্যা জাফর মিয়া, হামার গোয়া কেমবা জলোছে আর হাতও কেমন জানি ল্যালপা, ল্যালপা লাগোছে



- ক্যান জলবে, আপনি কোন পানি দিয়ে সুচেছেন



- না, চিন্তা করলাম পুকুড় থেকে পানি আনতে গেলে দেড়ি হয়ে যাবে তাই বাস থেকে নামার সময় দেখলাম বাসের ভিতরে এক বদনা পানি, ওটা নিয়েই দৌড় দিছি



- হায় হায় আপনি করছেন কি, বদনাতে করে কেরসিন আনছিলাম চুলা জালানোর জন্য, আসেপাশে কেরসিন পাওয়া যাবে কি না সেজন্য।











স্যার মারা গেছেন, সবাই দোয়া করবেন স্যারকে যেন আল্লাহ বেহেসত্ নসিব করেন - আমীন

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

বেলা শেষে বলেছেন:
স্যার মারা গেছেন, সবাই দোয়া করবেন স্যারকে যেন আল্লাহ বেহেসত্ নসিব করেন - আমীন
..at first "Dua" for Sir .
thenk you very much for good writing, good style, good description.
Up to next time...

০১ লা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০২

চারশবিশ বলেছেন: অনেক উৎসাহ পেলাম

ধন্যবাদ

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

বনসাই বলেছেন: কেরোসিনের গন্ধ তখন কোথায় গিয়েছিল?

০১ লা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

চারশবিশ বলেছেন: ঐ পরিস্থিতে যে পরে সে বোঝে

ওখানে গন্ধ কোন ব্যাপারই না

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

হেডস্যার বলেছেন:

স্যারের নাকে সমস্যা ছিল। যাই হোক স্যারকে আল্লাহ জান্নাত নসিব করুক।

০১ লা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

চারশবিশ বলেছেন: স্যারের নাক ঠিক ছিল

তার চেয়ে বেগ ছিল বেশি

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

নাহিদ হাকিম বলেছেন: মজা পাইলাম।স্যারকে আল্লাহ বেহেস্ত নসিব করুক।

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

খেলাঘর বলেছেন:


মোটামুটি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.