নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাতির মামা আজ এসেছে ভাগ্নেকে উদ্ধার করতে । কিন্তু ভাগ্নে মামুর কথা শুনছে না ।

মামা ভাগ্নে যেখানে আপদ নাই সেখানে ।

জাতির মামু

আমি অনেক কিছু জানি তবে বলি কম ।

জাতির মামু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!! দাবিটা মেনে নিন প্লিজ.... by Bujtesina Bishoyta

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

আমার এখনো এস এস সি পরীক্ষার আগে স্কুলের বিদায় অনুষ্ঠানের কথা মনে আছে! সবাই নতুন নতুন জামা পরিধান করে এদিক ওদিন ঘোরাফেরা করছে, খাওয়াদাওয়া করছে, স্যাররা আসন্ন পরীক্ষা নিয়ে উপদেশ পরামর্শ দিচ্ছে! আমি একদম শেষে গিয়েছিলাম, চুপ করে বসে ছিলাম! অনুষ্ঠান শেষে সবাই এদিক ওদিক ছুটাছুটি করছে, স্কুলের শেষ দিনটিকে ছবির ফ্রেমে ধরে রাখছে।এত এত আনন্দ উৎসবের মাঝে হঠাৎ এক স্যারের সাথে কথা বলতে গিয়ে স্যারকে জড়িয়ে ধরে আমি হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দিলাম। সবসময় কমেডি করে বেড়ানো আমাকে কাঁদতে দেখে সবাই বোঝে গেল আজকের দিনটি আনন্দের নয়, বিষাদের! আমরা আর কোনদিন এই স্কুল প্রাঙ্গনে ছাত্র ছাত্রী হয়ে আসতে পারবোনা! স্যারদের রোল কলের সাথে ‘present sir’ বলে দাঁড়াতে পারবোনা!স্যারদের বেতের প্রহার সহ্য করার আতংক আর কোনদিন অনুভব করতে পারবোনা! স্যার আর কোনদিন আমাকে দাড় করিয়ে দীর্ঘ বাংলা রচনা মুখস্থ বলতে বলবেনা! ব্ল্যাক বোর্ডে নিয়ে গিয়ে আর কোনদিন ম্যাথ করতে দেবেনা! আর কোনদিন না......



স্কুল জীবনের ব্যাপারগুলো অন্যরকম। কোন আবেগ দিয়েও ঠিক যেন অনুভূতিগুলো প্রকাশ করা যায়না। আর পড়ালেখার সেই প্রথম নিকেতন স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ, ভার্সিটি সবজায়গায় আমাদের ভালোলাগা, অর্জন, আবেগ অনুভূতিগুলোর সাথে একটা নাম অতপ্রতভাবে জড়িত____ শিক্ষক! আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যাররা! যে ছেলে বা মেয়েটা কয়েকটা দিনের জন্য স্কুলে গিয়েছে সেও তাঁর কোন স্যারের গল্প কাউকে না কাউকে বলেছে! “আমাদের এক স্যার ছিল বুঝলি...” এই লাইনটার মধ্যেই কি জানি একটা আছে! এই লাইন দিয়ে শুরু করা গল্পে বক্তা আর শ্রোতা কেউই আগ্রহ হারায় না! হুমায়ূন আহমেদের সৃতিচারণমূলক লেখাগুলো একসময় মুখস্থের মতো ছিল। তিনি চট্টগ্রামের কলেজিয়েট স্কুলে পড়েছিলেন। বিখ্যাত হবার পর একবার চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর এক প্রিয় স্যারের সাথে দেখা করতে গেলেন। স্যার অবসর নিয়েছে, চোখেও ভাল দেখতে পায়না! হুমায়ূন আহমেদ বললেন, “স্যার আমি হুমায়ূন”! স্যার উনাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, “হুমায়ূন কিরে ব্যাটা! বল হুমায়ূন আহমেদ!” তাঁর ছাত্রটা বিখ্যাত হয়েছে সেই গর্ব উনাকেও ছুয়েছে!এরকম পছন্দের শিক্ষক আমাদের সবার আছে।আমাদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এগুলো যেন আমাদের অন্তরে সিল করাই থাকে! ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীও তাঁর স্কুল কলেজের স্যারকে দেখলে দাঁড়িয়ে সালাম দেয়! দূর থেকে স্যারকে আসতে দেখে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়া পাড়ার বখাটে ছেলেটাও হাতের সিগারেটটা লুকিয়ে ফেলে! এই মানুষগুলোর জন্য আমাদের শ্রদ্ধা আর ভালবাসার কোন কমতি নেই! আসলেই কি তাই???



সেকান্দার আলী! বয়স ৪২! এই মানুষটা মারা গেছে! প্রতিদিনই তো কত শত মানুষ মারা যায়, সেকান্দার আলীর কথা বলার কি হল?? সেকান্দার আলীর কথা বলার কারণ তিনি একজন শিক্ষক! এবং “আমরা তাকে দিনেদুপুরে খুন করেছি”! “আমরা আমাদের এক শিক্ষককে দিনেদুপুরে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছি”! কি? পাগলের প্রলাপ মনে হচ্ছে?? সেকান্দার আলী মারা গেছেন! ডিজিটাল বাংলাদেশ বানানোর “আলাদিনের চেরাগ” বাংলাদেশ সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ আমাদের শিক্ষকদের উপর মরিচের গুঁড়ার স্প্রে, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট আর লাঠিপেটা করেছে! তাদের অপরাধ তাঁর একটি ছোট্ট আবদার নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছে!তাদের স্কুলের বেতনভাতাটুকু যেন সরকার দেয়! শুধু এতটুকুই! খুব বেশী কিছু নয়! তারা চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রানজিট সুবিধা চায়নি, তারা টিপাইমুখ বাধ নির্মাণের অনুমতি চায়নি, তারা দেশের তেল- গ্যাস বিদেশের কাছে বিক্রি করতে আসেনি, তারা বিপিএলের কোটি কোটি টাকায় ভাগ চায়নি, তারা পদ্ধা সেতুর হাজার কোটি টাকা মেরে দেয়নি,তারা যুদ্ধাপরাধী নয়, তারা শেয়ার বাজার কিংবা হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা নয়, তারা মৌলবাদী নয়, রেলের কালো বিড়ালও নয়!! এরা আমাদের শিক্ষক! শ্রদ্ধেয় শিক্ষক। আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়ানোর বিনিময়ে এরা সম্মানের সাথে তিনবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তাটুকুই শুধু চেয়েছে! খুব বেশী কিছুনা!



মাননীয় প্রধানমন্ত্রী.........

পত্রিকায় আপনার হাস্যজ্জল ছবি দেখলাম! রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে সেই ছবিতে আপনার চোখে মুখে তৃপ্তির ছোঁয়া! ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন! সফলতার সাথে আপনি নিশ্চিত করতে পেরেছেন যে রাশিয়া অস্ত্র কেনার জন্য বাংলাদেশকে ৮০০০ কোটি টাকা দিচ্ছে! ৮০০০ কোটি টাকা!! চেকে বাংলায় লিখলে হয়তো লেখা হবে “ আট হাজার কোটি টাকা মাত্র”!! এই অস্ত্র দিয়ে কি করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী?? আপনি তো কখনো সীমান্তে গুলি ছোড়ার নির্দেশ দেবেননা! সীমান্তে মানুষ গুলি খেয়ে মরবে! গুলিবিদ্ধ ফেলানি পানি পানি বলে কাঁটাতারে ঝুলে কাতরাতে কাতরাতে মরবে! ধর্ষক ধর্ষণ করবে, বিকাশরা ছাড়া পাবে, দিনেদুপুরে মানুষ খুন হবে! কাঁধে ঝুলানো অস্ত্র নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশ্বজিতকে কুপানোর দৃশ্য দেখবে! এই অস্ত্র কার জন্য?? এই ৮০০০ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের শিক্ষকদের দাবিটা মেনে নেওয়া যায়না?? শেয়ারবাজারের হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি রোধ করে সেই টাকায় আমাদের শিক্ষকদের দাবিটা মেনে নেওয়া যায়না?? শুধুমাত্র মন্ত্রী আমলারা বছরে যে পরিমাণ দুর্নীতি করে সেই টাকায় আমাদের শিক্ষকরা ফাইভ স্টার হোটেলে থাকতে পারে!!অত বেশী তো নয়!! এই দুর্নীতি রোধ করে শিক্ষকদের ছোট্ট দাবিটা মেনে নেবেন শুধু! শুধু বেতনভাতাটুকু তাদের দেবেন! পুলিশের অভিনবকায়দায় অত্যাচারে এই প্রিয় শিক্ষকদের কষ্ট আপনাকে কি একটুও ছুঁয়ে যায়না?? আপনিও তো স্কুলে পড়েছেন! আপনারও তো স্যার ছিল! কোন না কোন স্যার তো আপনার মাথায়ও মমতার হাত রেখেছিল! আপনিও নিশ্চয় আপনার কোন স্যারের গল্প কাউকে না কাউকে শুনিয়েছেন! স্কুলের শেষ দিনটাতে আপনিও নিশ্চয় চোখের পানি মুছেছেন! আজ দেশের অধিকর্তা হয়ে সেই শিক্ষকদের কিছু প্রতিদান দিইতে ইচ্ছে করেনা?? ইচ্ছে করেনা তাদের পাশে দাঁড়াতে?? এই শিক্ষকদের উপর মরিচের গুঁড়া, টিয়ার শেল, লাঠিপেটার দৃশ্য আপনি কিভাবে সহ্য করেন?? কিভাবে?? দাবিটা মেনে নেন প্লিজ! এমন আচরণ করবেন না এই শিক্ষকদের সাথে......



এই যে দেশপ্রেমিক বাঙ্গালী...

এই কয়দিন আগেই ১৬ ডিসেম্বরে দেশের বিজয় উদযাপন করলেন আপনারা! স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আপনারা কতোটা গর্বিত তা আর বলতে!!তাঁর কয়দিন পর থার্টি ফার্স্ট নাইটে আবার বিনদেশি হয়ে গেলেন প্রতিদিনের মতই! এই দিনটাকে ঘিরে আধুনিকতার নামে নোংরামি বাঁদরামির পেছনে যতো টাকা জলের মত খরচ করেছেন সে টাকায় আপনাদের প্রিয় শিক্ষকগুলো আরামে থাকতে পারত!তাদেরকে পুলিশের অত্যাচার সহ্য করতে হতনা! এমন এক দেশের অদ্ভুত বাসিন্দা আমরা! আতিফ আসলাম, সনু নিগাম, সুনিধি চৌহানের চিল্লাচিল্লি শোনার জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করা যায় আর আমাদের মানুষ বানানো শিক্ষকরা এদেশে তিনবেলা ভাতের নিশ্চয়তা পায়না! সত্যই কি মানুষ হতে পেরেছি?? কয়দিন পর বিপিএল শুরু হবে! লাখ লাখ ডলারের বিনিময়ে কিছু মানুষ মাঠে বল পেটাবে আর পকেটের টাকা খরচ করে সেই বল পেটানো দেখে লাফালাফির মাঝে আমাদের শিক্ষকদের উপর চলবে মরিচের গুঁড়ার স্প্রে! এদের জন্য আবেগ আছে! আমাদের অতি সস্তা আবেগ! এদের কথা কেউ বলবেনা! এদের মৃত্যুর খবর ফলাও করে পত্রিকায় আসবেনা! এরা তো আর সাগর রুনি নয়, রুমানা রশিদ নয়, এরা মুসা ইব্রাহীম নয় যে পাহাড়ে উঠে দেশের মান উজ্জ্বল করবে! এরা আবুল হোসেনের মত দেশপ্রেমিক নয়, এরা সাকিব তামিম নয় যে চার ছক্কায় বাঙ্গালীকে “বাঘের গর্জন!!” করার সুযোগ করে দেবে! এরা মাস্টার! সামান্য স্কুল মাস্তার!এদের কথা চিন্তা করার কিছুই নেই?? এদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই, এদের কথা বলারও কেউ নেই! এদের তো মরিচের গুঁড়া দিয়ে, পিঠিয়ে ধীরে ধীরে মারা হয়েছে, এরা তো আর ৭১’ এ গুলি খেয়ে মরেনি যে বাঙ্গালী এদের নিয়ে গর্ব করবে!!



যে পুলিশগুলো এত অমানবিক আচরণ করছে তাদের আর কি বলব?? শুধু ঢাকা শহরের পুলিশ বছরে যত টাকা ঘুস খায় তা দিয়ে এরকম বেসরকারি স্কুলগুলোকে এম্পিওভুক্ত করা যায়! তাদের কাছে আর মানবিকতা আশা করে কি লাভ?? মানুষ একবার অমানুষ হয়ে গেলে তাকে আবার মনুষ্যত্বে ফেরানো কঠিন! তাই এই অমানুষ গোলামগুলোকে কোন অনুরোধ করতেও ইচ্ছে করছেনা! শুধু একটা দৃশ্য কল্পনা করতে চাই। এরকম কোন এক পুলিশের ছোট্ট মেয়েটা হয়তো একদিন স্কুল থেকে ফিরে আসবে! পুলিশ বাবা ফিরে আসার কারণ জানতে চাইবে! আর পিচ্চি মেয়েটা এক বুক দরদ নিয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় বলবে, “আব্বু জানো!! আমাদের ইস্কুলের স্যারদের পুলিশ মরিচের গুঁড়া দিয়ে অন্ধ বানিয়ে দিয়েছে! পুলিশ এত্ত খারাপ কেন বাবা??”

একদিন বলবে! অবশ্যই তোর পিচ্চি বাচ্চাটা একদিন বলবে , “পুলিশ এত্ত খারাপ কেন বাবা?” হয়তো এতদিনে বলেও ফেলেছে!



আবাএ সেই সিকান্দার আলীর কাছে ফিরে যাই! এই মানুষটি নিজেই একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই থেকে এর বেতন ভাতার সরকারীকরণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন! এবার তাই আরও একটি আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন হয়তো সেই আশাটা পূরণ হবে! সারাজীবন যাদের মানুষ বানানোর জন্য খেটে গেলেন তারাই অমানুষ হয়ে তাঁর প্রাণটাই কেঁড়ে নিল! কি ভয়ঙ্কর সুন্দর প্রতিদান! এই মানুষগুলো ছাত্রদের অনেক কিছু বোঝালেও নিজেরা গণতন্ত্রের প্যাচ বুঝতে পারেনি! বারবার একই আশায় তারা ব্যালট পেপার জমা দিয়ে গেছে ধানের শীষ থেকে নৌকা, নৌকা থেকে ধানের শীষে! তাদের সব স্বপ্ন ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আর তাদের স্বপ্ন চাপা দিতে সর্বশেষ পাথরটির নাম___ ডিজিটাল বাংলাদেশ! শুধু এই শিক্ষররাই নয় গণতন্ত্রের মাইংকার চিপায় ১৬ কোটি বাঙ্গালীর অজস্র কোটি স্বপ্ন আর পাণ্ডুলিপি চাপা দেওয়ার আরও অনেক পাথর আছে___ যুদ্ধাপরাধ, পদ্ধাসেতু, হলমার্ক, শেয়ার বাজার......পাথর......পাথর...পাথরে সব চাপা পড়ে যাবে!



শেষকথাঃ পত্রিকায় একটা নিউজ দেখে মনটা এত খারাপ হল তাই হঠাৎ করে এটা লিখলাম! এটা প্রথম আলোতে জাফর ইকবালের মৌলবাদবিরোধী ধর্মনিরপেক্ষ কোন কলাম নয় যে তা সবার কাছে পৌঁছে যাবে! আমি এক সাধারণ অনুঝ মানুষের কথা প্রধানমন্ত্রী শুনবেনা, আবাল বাঙ্গালী বুঝবেনা, অমানুষ পুলিশগুলোও মানুষ হবেনা! তারপরও লেখা! আমি শুধু আমারত শিক্ষকদের কাছে বলতে চাই আমার বুক হু হু করা আবেগের স্কুলের প্রতিটা শিক্ষকের মতই আমি আপনাদেরকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি! আপনারা আমার ভালোবাসা গ্রহণ করুন! এটা ছাড়া দেবার মত আমার আর কিছুই নেই! আমি লজ্জিত, আমাকে ক্ষমা করবেন! আপনারা যারা এই লেখাটা পড়বেন তাদের বলছি এটা লাইক কমেন্টের জন্য কোন লেখা নয়! আপনাদের কাছেও শুধু একটা অনুরোধ যারা বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় আছেন আপনারা সবাই একটা বার্তা পোঁছে দেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!! দাবিটা মেনে নিন প্লিজ..."



17.1.2013

Bujtesina Bishoyta note

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.