![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভূমিকা : ইসলাম মানব
জাতির জন্য সর্বোত্তম জীবন
ব্যবস্থা। এর বিধানসমূহ কেবল তত্ত্বগত
বুলি নয় বরং তা বিশ্ব মানবতার
বাস্তবমুখী ও কল্যাণকামী এক চিরন্তন
সংবিধান। ইসলামের বিধান সমূহ যেমন
ব্যক্তির জন্য কল্যাণকর, তেমনি সামষ্টিক
পর্যায়েও এ বিধানসমূহ অনন্য এক কল্যাণকর
ব্যবস্থা। ইসলাম সর্বকালের সকল মানুষের
জন্য সর্বোত্তম জীবন ব্যবস্থা। কারণ এর
বিধান সবচেয়ে বাস্তবমুখী ও জনকল্যাণকর,
যা বিশেষ কোন জাতি-গোষ্ঠীর জন্য
নির্ধারিত নয়। তাই বলা যায়, ইসলামী
বিধান কার্যকর হলে তার ফলাফল অবশ্যই
ইতিবাচক
হবে এবং অপরাধের হার আশাতীতভাবে
হরাস
পাবে। বিশ্বের যে কোন দেশে ইসলামের
বিধান কার্যকর হলে সমাজে শান্তি-
শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং সমাজে
বসবাসকারী
সকল ধর্মের মানুষ মানসিক যন্ত্রণা থেকে
মুক্তি পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস
ফেলবে। কারণ আল্লাহর বিধান সত্য ও
ন্যায়ে পরিপূর্ণ।
মহান আল্লাহ বলেন,ُ
‘তোমার রবের কথা সত্য ও ন্যায়ে পরিপূর্ণ।
এ কথার পরিবর্তনকারী কেউ
নেই। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ’ (আন‘আম
৬/১১৫)। মানুষ আশরাফুল মাখলূকাত। কিন্তু
সৃষ্টির সেরা জীব হলেও
তার জ্ঞান সসীম ও সীমাবদ্ধ। আর এই
সীমাবদ্ধ জ্ঞান দিয়ে মানুষ কস্মিনকালেও
কোন বিষয়ে চূড়ান্ত
সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে না। পারে না
সত্য-
মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়, হালাল-হারাম
প্রভৃতি বিষয়ে নির্ভুল রূপরেখা পেশ করতে।
তাই সমাজ পরিচালনার জন্য মানুষ
মনগড়া বিভিন্ন আইন তৈরী করে আবার
নিজেই
সেই আইন ভঙ্গ করে, সংশোধন
আনে এবং পরিবর্তন করে। এখানেই মানুষের
বড় দুর্বলতা। মানুষ যে কত অসহায় তা বলার
অপেক্ষা রাখে না। অপরদিকে মানুষের
রচিত
বিধান বা দন্ডবিধি কতটা যে বর্বর, নির্মম
ও
ধ্বংসাত্মক তা আজ বিশ্ববাসীর
কাছে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট
হয়ে ফুটে উঠেছে। ফলশ্রুতিতে মানুষ আজ এ
বিধানের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছে।
কারণ এ বিধানে কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই
বেশী পরিদৃষ্ট হয়। বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন
দেশে সামাজিক অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার
প্রধানতম কারণ হচ্ছে মানুষের রচিত বিধান
বা দন্ডবিধি। এ বিধান অপরাধ নির্মূল করে
না।
অপরাধী সংশোধনও হয় না বরং
অপরাধীদের হিংস্র ও ক্ষিপ্র করে তোলে।
এ
বিধানে ব্যভিচারী, চোর ও মধ্যপায়ীদের
প্রকৃত শাস্তি হয় না। হয়না হত্যাকারী,
সন্ত্রাসী ও ধর্ষকের প্রকৃত শাস্তি। উপরন্তু
এ বিধান চোরকে পাকা চোর,
সন্ত্রাসীকে বড় সন্ত্রাসী হিসাবে গড়ে
তোলে। তাই
সঙ্গতকারণে মানুষ আজ ইসলামের
দিকে ধাবিত হচ্ছে। কারণ ইসলামের
বিধান
চিরকল্যাণকর। নিমেণ ইসলামের বিধানের
কয়েকটি দিক তুলে ধরা হল। কিছাছের
বিধান : ﻗﺼﺎﺹ এর শাব্দিক অর্থ সমপরিমাণ
বা অনুরূপ। অন্যের প্রতি যতটুকু যুলুম
করা হয়েছে তার সমপরিমাণ প্রতিশোধ
গ্রহণ করা তার পক্ষে জায়েয। এর
চাইতে বেশী কিছু করা জায়েয নয়।
কিছাছের
বিধান সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ٌﺃٌ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি
নিহতদের ব্যাপারে কিছাছ
গ্রহণ করা ফরয করা হয়েছে। স্বাধীন
ব্যক্তির ক্ষেত্রে স্বাধীন ব্যক্তি, দাসের
ক্ষেত্রে দাস এবং নারীর ক্ষেত্রে নারীর
কিছাছ গ্রহণ করবে। অতঃপর তার ভাইয়ের
তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে
দেয়া হয়, তাহ’লে যথাযথ বিধির অনুসরণ
করবে এবং ভালভাবে তাকে প্রদান
করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার
তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ।
এরপরও যে ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করে তার
জন্য
রয়েছে বেদনাদয়ক শাস্তি’ (বাক্বারাহ
২/১৭৮) । কিছাছের বিধান মানুষের কল্যাণে
বিধিবদ্ধ
করা হয়েছে। এ বিধানের মধ্যে অসংখ্য
মানুষের সুস্থ জীবন লুক্কায়িত রয়েছে।
সমাজ
বা রাষ্ট্রে অন্যায় ও নৃশংসভাবে মানুষ
হত্যা হরাস করতে হলে এ বিধানের কোন
বিকল্প নেই।
এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন‘হে
বুদ্ধিমানগণ! কিছাছের মধ্যে তোমাদের
জন্য জীবন রয়েছে। যাতে তোমরা সাবধান
হতে পার’ (বাক্বারাহ ২/১৭৯) । এ বিধান
বাস্তবায়ন হলে সমাজে হত্যার
পরিমাণ কমে যাবে। অন্যরা সতর্ক হবে।
শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আর
তা কার্যকর করার দায়িত্ব সরকারের। কোন
সাম্রদায়িক গোষ্ঠী কিংবা কোন
চরমপন্থী মহলের দায়িত্ব নয়।
রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর হওয়া দেশ সমূহ এর
সুফল ভোগ করছে। কিছাছের বিধান
ইতিপূর্বে তাওরাতের অনুসারীদের উপর
প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু ইহুদীরা এ
বিধানকে নিজ স্বার্থে পরিবর্তন
করেছিল।
যেমন মহান আল্লাহ বলেন, َ
‘আমি এই গ্রন্থে তাদের
প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের
বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু,
নাকের
বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান,
দাঁতের
বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের
বিনিময়ে সমান যখম। অতঃপর
যে ক্ষমা করবে তার পাপ মোচন হবে।
যে ব্যক্তি আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন
তদনুযায়ী ফায়ছালা করে না, মূলতঃ তারাই
যালেম’ (মায়েদা ৫/৪৫)। তাই বলা যায় যে,
কিছাছের বিধান একটি সার্বজনীন বিধান।
যা রাষ্ট্রীয়ভাবে সকল দেশে বাস্তবায়ন
করা অত্যন্ত tযরূরী।.
,,,,,,,,,,,,-মামুন তালুকদার,,,,,,,,
©somewhere in net ltd.