নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন তালুকদার

মামুন তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

★ইসলাম প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় যৌবনকালের ভূমিকা★

২০ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৯



দাওয়াত: মহান আল্লাহ্ এই সুন্দর
ভুবনে ইহকালীন
কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির দিক
নির্দেশনা সম্বলিত স্বভাব ও শান্তির
গ্যারান্টিযুক্ত একমাত্র জীবন
ব্যবস্থা ইসলাম।

আল্লাহ্ বলেন
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ নিকট একমাত্র
গ্রহণযোগ্য জীবন ব্যবস্থা হ’ল
ইসলাম’ (আলে-ইমরান ৩/১৯)। পবিত্র কুরআন,
ছহীহ হাদীছ ও ইসলামের ইতিহাস
অধ্যয়ন করলে যেখা যায় যে, ইসলাম প্রচার

প্রতিষ্ঠায় যুবসমাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
দায়িত্ব পালন করেছেন। চারিদিকে যখন
যুলুম,
অত্যাচার ও নির্যাতনের জয়জয়কার চলছিল;
অজ্ঞতা, মূর্খতা, হঠকারিতা এবং
গোঁড়ামীর কারণে তাওহীদ
যখন ভূলুণ্ঠিত হচ্ছিল, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ
ইবাদতখানা বায়তুল্লাহ শরীফে ৩৬০টি
মূর্তির
সামনে মানুষ মাথা নত করছিল এবং নযর-
নেয়াজ পেশ করছিল, তখন যুবকদের হুঙ্কার
ও তাকবীর ধ্বনির মাধ্যমে এবং আল্লাহ্র
অশেষ রহমতে তাওহীদ ও সুন্নাতের চির
অম্লান বাণী উচ্চারিত হয়েছিল
এবং প্রকাশ্যে কা‘বা ঘরে আল্লাহ্র ইবাদত
করা শুরু হয়েছিল। তাই ইসলাম প্রচার ও
প্রতিষ্ঠায় যৌবনকালের গুরুত্ব
সম্পর্কে কিছু কথা তুলে ধরার প্রয়োজন
রয়েছে বলে মনে করি। যাতে মানুষ এ
থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তাদের যৌবনের
এই
সোনালী সময়টাকে অহির বিধান
প্রতিষ্ঠায়
ব্যয় করতে পারে। যৌবনকাল : কিছু কথা
একটু চিন্তাশীল মন
নিয়ে একনিষ্ঠভাবে ভাবলে যার
প্রতি তৎক্ষণাৎ সিজদায় লুটিয়ে পড়তে হয়,
সেই মহান স্রষ্টা আল্লাহ্র চিরন্তন
রীতি অনুযায়ী এ সুন্দর ধূলির
ধরণীতে প্রতিনিয়ত মানুষের আগমন ও
প্রত্যাগমন ঘটছে। এ আগমন হয় মানুষের
অত্যন্ত অসহায় অবস্থায়। যখন
সে উল্লেখযোগ্য কিছুই থাকে না। যেমন-
মহান আল্লাহ বলেন,
- ‘মানুষের উপর এমন কিছু সময়
অতিবাহিত
হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল
না।
আমরা মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু
থেকে এভাবে যে, তাকে পরীক্ষা করব।
অতঃপর তাকে করে দিয়েছি শ্রবণ ও
দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন’ (দাহর ৭৬/১-৩)। তিনি
আরো বলেন,‘আল্লাহ বলেন

তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের গর্ভ
থেকে বের করেছেন যখন তোমরা কিছুই
জানতে না। তিনি তোমাদেরকে কর্ণ, চক্ষু

অন্তর দান করেছেন
যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর’ (নাহল
১৬/৭৮)। এ পৃথিবীতে মানুষের স্বাভাবিক
জীবন
প্রবাহের ধারাকে মোটামুটি তিনটি স্তরে
ভাগ
করা যায়। শৈশব, যৌবন ও বার্ধক্য। এই
তিনকালের মধ্যে সকল বিবেচনায়
যৌবনকাল
হ’ল শ্রেষ্ঠ সময়। শৈশবে মানুষ থাকে
অসহায়
ও পরনির্ভর। পিতা-মাতা ও অন্যের
সহযোগিতা ব্যতীত সে সমাজে প্রতিষ্ঠিত
হতে পারে না এবং এ সময় তার কোন
চিন্তার সুষ্ঠু বিকাশ ঘটেনা।
অনুরূপভাবে বার্ধক্যেও সে অসহায় দুর্বল ও
পরনির্ভর হয়ে পড়ে। মনের ইচ্ছা থাকলেও
সে সবকাজ সঠিকভাবে সম্পাদন করতে
পারে না। এমনকি চিন্তাশক্তির
বিলোপ পর্যন্ত ঘটে থাকে।
তাইতো বলা হয়, ‘গাছ পাকলে সার আর
মানুষ
পাকলে অসাড়’। কিন্তু যৌবনকাল এ দু’য়ের
ব্যতিক্রম। যৌবনকালে মানুষ অসাধ্য
সাধনে আত্মনিয়োগ করতে পারে। তপ্ত লহু
ও বাহুর শক্তিবলে শত ঝড়-ঝাপটা, অসত্যের
কালোমেঘ ও রক্তচক্ষু
উপেক্ষা করে সত্যের, ন্যায়ের ও অহি-র
বিধান প্রতিষ্ঠায় বীর বিক্রমে সামনের
দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ইংরেজিতে
বলা হয়
যে, Youth is called the golden season of life
‘যৌবনকে জীবনের
সোনালী কাল বলা হয়’। আল্লাহ প্রদত্ত
অফুরন্ত নে‘মতরাজির মধ্যে অন্যতম নে‘মত
হচ্ছে এই যৌবনের শক্তিমত্তা। মহান
আল্লাহ বলেন,
‘তোমরা যেসব নে‘মত ভোগ কর
তাতো আল্লাহ্রই নিকট
হতে; আবার যখন দুঃখ-দৈন্য
তোমাদেরকে স্পর্শ করে তখন
তোমরা তাঁকেই ব্যাকুলভাবে আহবান
কর’ (নাহল ১৬/৫৩)। যৌবনকালের
জবাবদিহিতা : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
যৌবনকালকে গণীমাতের
মাল তথা মূল্যবান সম্পদ হিসাবে উল্লেখ
করে তা মূল্যায়ন করতে তাগিদ দিয়েছেন।
কেননা এ সময়
সম্পর্কে পরকালে জবাবদিহিতা করতে
হবে।

‘আমর ইবনু মায়মূন আল-আওদী
(রাঃ) বলেন,
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জনৈক ব্যক্তিকে উপদেশ
স্বরূপ বলেন, পাঁচটি বস্ত্তর
পূর্বে পাঁচটি বস্ত্তকে গণীমত মনে করো।
যথা (১) তোমার বার্ধক্য আসার
পূর্বে যৌবনকে (২) পীড়িত হওয়ার পূর্বে
সুস্বাস্থ্যকে (৩) দারিদ্র্যতার
পূর্বে সচ্ছলতাকে (৪) ব্যস্ততার
পূর্বে অবসরকে (৫) মৃত্যুর পূর্বে
জীবনকে’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫১৭৪,
বঙ্গানুবাদ
মিশকাত হা/৪৯৪৭, ৯/২০৫ পৃঃ)। আল্লাহ
প্রদত্ত যৌবনের এই মহা মূল্যবান
সময়টাকে আল্লাহ্র অহির বিধান প্রচার ও
প্রতিষ্ঠায় ব্যয় না করে হেলায়-দোলায় নষ্ট
করলে কিংবা মানুষের মস্তিষ্ক প্রসূত
তন্ত্র-মন্ত্র, ইযম-তরীকা ও শিরক-বিদ‘আত
এবং মনগড়া ইবাদত প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় ব্যয়
করলে তার কড়ায় গন্ডায় হিসাব
দিতে হবে কিয়ামতের কঠিন দিবসে।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
‘ইবনু
মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত নবী করীম
(ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন পাঁচটি
প্রশ্নের
জবাব না দিয়ে আদম সন্তানকে স্ব স্ব
স্থান
থেকে এক কদমও নড়াতে দেওয়া হবে না।
যথা (১) সে তার জীবনকাল কিভাবে
অতিবাহিত
করেছে (২) যৌবনকাল কোথায় ব্যয় করেছে
(৩) ধন-সম্পদ কিভাবে উপার্জন
করেছে (৪) কোন পথে তা ব্যয় করেছে (৫)
সে দ্বীনের কতটুকু জ্ঞান অর্জন
করেছে এবং অর্জিত জ্ঞান
অনুযায়ী সে আমল করেছে
কিনা’ (তিরমিযী হা/২৪১৭; মিশকাত
হা/৫১৯৭;
বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৯৭০, ৯/২১৩ পৃঃ) ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.