![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জিজ্ঞাসাঃ আমি( প্রশ্নকারী) একটি মেয়েকে খুবই
ভালবাসতাম এবং সেও
আমাকে ভালবাসত। এভাবে দুই-আড়াই
বৎসর চলতে থাকে। হঠাৎ মহান
আল্লাহর অনুগ্রহে আমি তাবলীগ
জামাতে এক চিল্লা সময় কাটাই। এখন
আমার অন্তরে আল্লাহর ভয়
সৃষ্টি হয়েছে। তাই
বর্তমানে মেয়েটির সাথে যোগাযোগ
কম করি এবং সেও আমার সাথে সম্পর্ক
রাখতে রাজি নয়। আমিও
তা মেনে নেই। উক্ত সম্পর্ক
থাকা অবস্থায় আমরা উভয়ে মহান
আল্লাহর নামে কসম করে বলেছিলাম
এবং দৃঢ়ভাবে ওয়াদাবদ্ধ হয়েছিলাম
যে, আমরা একে অপরকে ব্যতীত অন্য
কাউকে বিয়ে করব না, কোনো দিন
ভুলে যাব না এবং প্রতারণা করব না।
এখন আমার প্রশ্ন হলো-
(ক) ‘না’ শব্দটি প্রথমে মেয়ের পক্ষ
থেকে এসেছে, তাহলে আমাকেও
কি কসম ভঙ্গের কাফফারা আদায়
করতে হবে?
(খ) উক্ত নাজায়েয সম্পর্ক সৃষ্টির
জন্যে আমার ভূমিকাই
সবচেয়ে বেশী ছিল। এখন
সে যদি তাওবা না করে থাকে, এ
জন্যে পরকালে আমাকেও
কি জবাবদিহী করতে হবে? এ
ক্ষেত্রে আমার জন্যে করণীয় কি-
জানালে উপকৃত হব।
সমাধানঃ পবিত্র কুরআন সুন্নাহ ও
ফিক্বহে ইসলামীর আলোকে স্পষ্ট
হয়ে ওঠে যে, প্রশ্নোল্লিখিত
সুরতে আপনার কসম ভঙ্গ করে,
পরস্পরে যে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন,
এটাই আপনাদের জন্যে জরুরী ছিল
এবং সম্পর্ক ছিন্ন করে ভালই
করেছেন। আর ভবিষ্যতে যেন এ ধরণের
অবৈধ সম্পর্ক পুণরায় আপনাদের
মাঝে না হয়, সে দিকে সজাগ
দৃষ্টি রাখতে হবে এবং আল্লাহর
কাছে সাহায্য চাইতে হবে।
হাদীসে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ
করেন, “যে ব্যক্তি কোনো কাজের
শপথ করে। অতঃপর তার
বিপরীতটি উত্তম মনে করে,
তাহলে সে যেন ঐ উত্তম
কাজটি করে এবং কসমের
কাফফারা দেয়।” (মুসলিম- ২/৪৮)।
সুতরাং এখন আপনাদেরকে কসমের
কাফফারা দিতে হবে। কসমের
কাফফারা হলো, দশজন
মিসকীনকে সতর ঢাকা যায় পরিমাণ
২টি কাপড়
দেওয়া অথবা তাদেরকে দু’বেলা তৃপ্তি
সহকারে খাওয়ানো
। যদি দু’টির কোনো একটির সামর্থ
না থাকে, তাহলে লাগাতার
তিনটি রোযা রাখবে। আর পূর্বের
সম্পর্কের কারণে, আপনারা আল্লাহর
দরবারে গোনাহ
ক্ষমা চাইতে হবে এবং বেশী বেশী
ইস্তিগফার
তথা তাওবা করতে থাকুন।
আশা করা যায়, মহান আল্লাহ
তাআলা ক্ষমা করে দিবেন।
(হিদায়া-
৪/৩৬৫, দুররে মুখতার- ৩/৭২৫,৭২৮)।
উৎসঃ জিজ্ঞাসা-সমাধান
ইসলামী আইন ও গবেষণা বিভাগ
আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল
ইসলাম,
হাটহাজারী-চট্টগ্রাম।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭
মামুন তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ,,,ভাই,,ওয়ারেছুল।।।পোষ্টে আমি বলতে প্রশ্নকারী ছিল।।আমি বলতে আমি মামুন না।।। আপনার দোয়া প্রশ্নকারী ও আমার উপর কবুল হউক। আমিন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
ওয়ারেছুল ইসলাম বলেছেন: আল্লাহপাক আপনাকে মাফ করুন। আন্তরিকতার সাথে আমল করলে আল্লাহ পাক কবুল করবেন।