![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুরুটা পরিমল
জয়ধরকে দিয়েই শুরু করা যাক। ২০১১ সালের
জুন-জুলাইয়ের দিকে পরিমল জয়ধরের
স্ক্যান্ডালটি ব্যাপকভাবে চাউর হয়।
বলছি রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল
এন্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার
বাংলা শিক্ষক পরিমল জয়ধেরর কথা।
ঘটনাটি প্রথম মিডিয়াতে আসে ১৭ জুন।
সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, বিভিন্ন
শ্রেণির সুদর্শনা ছাত্রীদেরকে পরীক্ষায়
ভালো নাম্বার পাইয়ে দেয়ার
প্রলোভনে কোচিং করার জন্য উদ্বুদ্ধ
করতেন পরিমল। কোচিং করানোর সময়
বিভিন্ন কৌশলে ছাত্রীদেরকে উত্ত্যক্ত
করতেন এবং এক পর্যায়ে তাদের ওপর
চালাতেন যৌন নির্যাতন। এভাবে একের পর
এক যৌন নির্যাতন চালিয়ে গুনধর হয়ে উঠেন
পরিমল জয়ধর। দশম শ্রেণির কতিপয়
ছাত্রী তার হাতে যৌন নির্যাতনের
শিকার হলেও মান সম্মানের ভয়ে সব
চেপে যায়। সর্বশেষ এক
ছাত্রীকে জোরপূর্বক বেঁধে তার অশ্লীল
ছবি মোবাইলে ধারণ করেন। এরপর সেই
ছবি ছড়িয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ
করের। প্রথমে ছাত্রীটি ভয়ে কাউকে কিছু
বলেনি। কিন্তু পরবর্তীতে সে বিষয়টি তার
বাবাকে অবহিত করলে বাবা পরিমলের
নামে থানায় মামলা করে। পরে ৬ জুন
বুধবার সকাল ৬টায় কেরাণীগঞ্জ
থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরিমলই
শুধু নয়, এর আগে ১৪ বা ১৫
জানুয়ারি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের শহীদ
আনোয়ার গার্লস কলেজের
ইংরেজি শিক্ষক তারক চন্দ্র ম-লের বাসায়
প্রাইভেট পড়তে গেলে ধর্ষিত হয় দশম
শ্রেণির এক ছাত্রী।
মেয়েটি ঘটনাটি প্রথমে স্কুলের
ভিপি ম্যাডামকে (তাহমিনা শামসী) ও
তার অবিভাবককে জানায়। ভিপি ম্যাডাম
ঘটনা শোনার পর তাকে শাসিয়ে বলে এ
ঘটনা যেন কোনোভাবেই প্রকাশ না পায়।
এরপর ঘটনাটি মিডিয়াতে প্রকাশ পায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রমেই
বাড়ছে যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
এতে করে নিরাপত্তাহীনতায়
ভুগছে শিক্ষিকা, ছাত্রী ও অভিভাবক মহল।
শুধু গ্রাম কিংবা মফস্বলেই নয়, প্রাচ্যের
অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে শুরু করে রাজধানীর নাম করা স্কুলের
শিক্ষিকা ও ছাত্রীরাও
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির শিকার
হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধর্ষণ
প্রবণতা থামাতে গত বছরের ৩০ জুন রবিবার
সুপ্রিম কোর্টের
নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন
হয়রানি বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্জুরি কমিশন থেকে সব
বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ কমিটি গঠন
করতে বলা হয়েছে।
সে অনুযায়ী ২৪টি পাবলিক ও
৩১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ
কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তবুও বন্ধ
করা যায়নি এই অন্যায়। গত ২৬ এপ্রিল
ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের এক
ছাত্রীকে দিনে-দুপুরে পালাক্রমে ধর্ষণ
করেছে ছাত্রলীগের দুই কর্মী।
ক্যাম্পাসের ভিতরেই ওই ছাত্রী ধর্ষণের
শিকার হন। তবে ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত
অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন,
ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়নি; ছাত্রীর
শ্লীলতাহানি করা হয়েছে!
এরপর গত ১৫ মে সোনারগাঁও পাইলট
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের
ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক
মাজহারুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের
এসএসসি পরীক্ষার্থী এক
ছাত্রীকে ডেকে এনে বিদ্যালয়ের
কম্পিউটার কক্ষে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এসময় ওই ছাত্রীর
আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন
ছুটে এসে আপত্তিকর অবস্থায়
দেখে ফেলে শিক্ষককে উত্তম মাধ্যম
দিয়ে ছেড়ে দেয়।
শুধু তাই নয়। আরো শিউরে উঠার মত খবরও
ঘটে চলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের
নারীনেত্রীরা ইডেনের সাধারণ
ছাত্রীদের প্রতারিত করে সরকারদলীয়
কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও
সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে উপহার
হিসেবে পাঠিয়েছেন বলে গুজব
ওঠে কিছুদিন আগে। আরও ভয়াবহ সংবাদ
হলো, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক
ছাত্রনেতার কাছে যেচে বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্রীদের ধর্ষিত হতে হয়।
নয়তো সে সনসমক্ষে এই অপকর্ম সাধন
করে থাকে। তাই সম্ভ্রম
বাঁচাতে ছাত্রীরা নিজেরাই নিজেদের
সম্মান রক্ষা করে নিজেদের সঁপে দিচ্ছে।
এছাড়া ইদানীং রাজধানীতে সক্রিয়
হয়েছে সহ¯্রাধিক সাইবার ক্রিমিনাল।
তাদের নজর বিশেষ করে টিনএজদের দিকে।
বিভিন্ন কৌশলে, চাপ প্রয়োগ করে, ভয়
দেখিয়ে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ
করা নগ্নচিত্র
ইন্টারনেটে ছাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
ব্ল্যাকমেইল করে আদায়
করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ।
এছাড়া নগ্নছবি প্রকাশের ভয়
দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ
করা হচ্ছে ভুক্তভোগীকে। উদ্দেশ্য
হাসিলের পর নগ্ন ভিডিওচিত্র বিভিন্ন
ব্লগেও লিংক দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।
ফলে মুহূর্তেই সেগুলো ছড়িয়ে পড়ছে দেশে-
বিদেশে। এমনও হচ্ছে যে,
নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে
প্রভাবশালী কোনো সংগঠনের
নেতা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ধর্ষণ
উল্লাসে মেতে ওঠেন।
তাদেরকে বাধা দেয়ার কেউ নেই।
ধর্ষিতা ছাত্রীদেরও নীরবে চোখের
পানি ফেলা ছাড়া নেই কোনো উপায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্ষিত হওয়ার
ঘটনা বর্তমানে এমন রূপ ধারণ করেছে যে,
অভিভাবকগণ মেয়েদের স্কুল-
কলেজে দিতেও ভয় পাচ্ছেন।
নামি দামি স্কুল-কলেজগুলোতে ধর্ষণের
ঘটনা আরও বেশি ঘটছে।
বিভিন্ন সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য
থেকে জানা যায়, স্কুলের শিক্ষক
এমনকি প্রধান শিক্ষক, কলেজ-ভার্সিটির
শিক্ষকও ছাত্রী ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ঘটনায়
জড়িত। ধর্ষণকারী যখন হয়
সামাজিকভাবে প্রভাবশালী কেউ, যেমন
ডাক্তার, অ্যাডভোকেট, সেনাসদস্য,
ইউপি চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক
কোনো নেতা তখন প্রতিকারের
প্রত্যাশাটও পরিণত হয় দুরাশায়। আর দুষ্টের
দমনের দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যস্ত, আইনের
পোশাকধারী সেই পুলিশ যখন অপরাধ
দমনের পরিবর্তে অবতীর্ণ হয় ধর্ষণকারীর
ভূমিকায়, তখন এই সমাজকে ধিক্কার
দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।
==বিঃদ্রঃইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামে
পর্দা করা ফরজ।যদি সবাই ইসলাম ধর্ম
মানত তাহলে ধর্ষন রোধ করা সম্ভব হতো।।।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৩
মামুন তালুকদার বলেছেন: বয়াবহ কথা বলেছেন
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
মামুন তালুকদার বলেছেন: তাই
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১০
প্রামানিক বলেছেন: ভয়াবহ চিত্র