![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায়,হ্যালো বাদ দিয়ে সালাম দিতে হবে!
সালাম সৃজনশীল সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।
সালামের মাধ্যমে অভিবাদন, শিষ্টাচার ও
ভদ্রতা প্রকাশ পায়। একটা ভালো ও উন্নত
সংস্কৃতি গ্রহণে কোনো লজ্জা নেই। লজ্জা
সেখানে, যেখানে নিজের সংস্কৃতি ধরে
রাখা যায় না। আমরা ধীরে ধীরে
আমাদের নিজেদের অজান্তেই আমাদের
সংস্কৃতির অবসান ঘটাচ্ছি। আজ যাকে
নিজের দেশ, নিজের মাটি, নিজের
সংস্কৃতি বলে ভাবছি; কিন্তু কিছু সময়ের
ব্যবধানে তা অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে।
আর এ জন্য নিজের ভাষা, নিজের সংস্কৃতি,
নিজের কৃষ্টি-কালচার নিয়ে ভাবতে হবে।
কিন্তু এসব নিয়ে আমাদের কোনো
চিন্তাভাবনাই নেই। যদি আমরা এসব নিয়ে
না ভাবি, তাহলে একসময় আমাদের
চিন্তাভাবনার জায়গা কেউ চট করে দখল
করে নিয়ে যাবে। তখন করার কিছুই থাকবে
না। আর আমাদের নিজেদের সংস্কৃতি হলো
সালাম। এর ভেতরেই আছে আমাদের গর্ব,
আমাদের অহঙ্কার।
হজরত আবুজার রা: সর্বপ্রথম ইসলামী
কায়দায় রাসূলুল্লাহ সা: কে সালাম পেশ
করার গৌরব অর্জন করেন। অতঃপর সালাম
বিনিময়ের এ পদ্ধতিই গৃহীত ও প্রচারিত হয়।
আবুজার রাসূল সা: কে বললেন, ‘আসসালামু
আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ।’ রাসূল সা:
জবাব দিলেন, ‘ওয়া আলাইকাস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু।’
একজন আরেকজনকে সম্মান, শ্রদ্ধা, স্নেহ ও
শিষ্টাচার দেখানোর সর্বোচ্চ স্তর হলো
সালাম বা অভিবাদন। ‘আসসালামু
আলাইকুম’-এর অর্থ হলো আপনার ওপর
আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। কত বড়
চমৎকার একটা শব্দ সালাম, যা ভাবতে
অবাক লাগে। সূরা নিসার ৮৬ নম্বর আয়াতে
আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের যদি কেউ
অভিবাদন (সালাম) জানায়, তাহলে
তোমরাও তাদের অভিবাদন জানাও। তার
চেয়ে উত্তম অথবা তার মতো। নিশ্চয়
আল্লাহ সব বিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী।’
হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, রাসূল
সা: বলেন, ‘এক মুসলমানের ওপর অন্য
মুসলমানের হক ছয়টি, যথা- ১. অসুস্থ হলে
তাকে দেখতে যাওয়া; ২. মারা গেলে
জানাজায় শরিক হওয়া; ৩. বিপদে ডাকলে
সাড়া দেয়া; ৪. সাক্ষাৎ হলে সালাম
বিনিময় করা; ৫. হাঁচি শুনলে ইয়ার
হামুকুমুল্লাহ বলা এবং ৬. সর্বাবস্থায় শুভ
কামনা করা’ (তিরমিজি)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা: থেকে
বর্ণিত, রাসূল সা: বলেন, ‘হে লোক সকল,
বেশি করে সালাম দাও, ুধার্তকে খেতে
দাও, আত্মীয়তা রক্ষা করো, রাতে নামাজ
পড়ো এবং নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ
করো’ (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)। যারা
দুনিয়াতে সালামের ব্যাপক প্রচার ও
প্রসার ঘটাবে তারা জান্নাতেও সালাম
পাবে। সেই সব জান্নাতবাসীকে আল্লাহ
সম্ভাষণ জানাবেন এবং জান্নাতের
রক্ষীরাও তাদের অভিবাদন জানাবেন। ‘ওই
দিন জান্নাতিরা আনন্দে মশগুল থাকবে।
তারা সস্ত্রীক উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময়
পরিবেশে, আসনে হেলান দিয়ে। সেখানে
থাকবে ফলমূল এবং যা চাইবে। করুণাময়
পালনকর্তার পক্ষে থেকে বলা হবে-
তোমাদের ওপর সালাম’ (সূরা ইয়াসিন :
৫৫-৫৮)। পবিত্র কুরআনের সূরা জুমার ৭৩
নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘জান্নাতিরা
যখন জান্নাতের নিকটবর্তী হবে, দরজাগুলো
খুলে দেয়া হবে। জান্নাতের রক্ষীরা
সালাম দেবে আর বলবে আজ তোমরা সুখী
হও এবং প্রবেশ করো, যেখানে তোমরা
চিরদিন থাকবে।’
সালামের মাধ্যমে আমরা ঈমানের পূর্ণতা,
অর্থাৎ ঈমানের স্বাদ পেয়ে থাকি। হজরত
আম্মার রা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি তিনটি গুণ
হাসিল করল, সে যেন ঈমানের পূর্ণতা পেল।’
১. নিজের ব্যাপারে ইনসাফ; ২. সালামের
ব্যাপক প্রচলন করা; ৩. অভাবগ্রস্ত অবস্থায়
সাহায্য করা’ (সহিহ আল বুখারি)। হজরত
আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা: থেকে বর্ণিত, এক
ব্যক্তি রাসূল সা: কে জিজ্ঞাসা করল,
দ্বীনের মধ্যে কোন কাজ সর্বোত্তম।
তিনি বললেন, ‘অভাবগ্রস্তকে খাওয়ানো
এবং চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম
দেয়া’ (বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ি
ও আহমদ)।
সব ধর্মের বা সব জাতির মধ্যে অভিবাদন,
সম্মান বা শ্রদ্ধা জানানোর রীতি
রয়েছে। কিন্তু সবারটা সমান নয়। ইংরেজ
বা অন্যান্য জাতির অভিবাদনে কল্যাণ
কামনা বিশেষ বিশেষ সময়ে সীমাবদ্ধ।
যেমন- সকালের অভিবাদন সকালের জন্য,
সন্ধ্যার অভিবাদন সন্ধ্যার জন্য, আবার
রাতের অভিবাদন রাতের জন্য। আবার
কোনো কোনো ধর্মের অভিবাদন শুধু
মাটিতে মস্তক লুটানো, মাথা ঝাঁকানো
বা করজোড় করা। কিন্তু আমাদের
অভিবাদন বা সালাম কোনো সময়ের ভেতর
সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের সালামের ভেতর
আছে সার্বজনীনতা ও সৃজনশীল ক্ষমতা।
সালামের বেশ কয়েকটা বৈশিষ্ট্য আছে,
তা হলো- এর দ্বারা মানুষের ভেতরের
অহঙ্কার ও গর্ব দূর হয়। হজরত আবদুল্লাহ
ইবনে মাসউদ রা: বলেন, রাসূল সা: বলেছেন,
‘আগে সালাম প্রদানকারী গর্ব ও অহঙ্কার
থেকে মুক্ত’ (বায়হাকি)।
সালামের মাধ্যমে ভালোবাসা ও
আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায়। হজরত আবু হুরাইরা
রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেন,
‘পরস্পরের মধ্যে সালাম প্রচলন করবে,
তাহলে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি
পাবে’ (মুসলিম)। মালেক-আতা
খোরাসানি রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা:
আরো বলেন, ‘পরস্পর মুসাফাহ করলে অন্তরে
হিংসাবিদ্বেষ দূরীভূত হবে।’ হজরত আবু
দারদা রা: থেকে বর্ণিত আছে, নবী করিম
সা: ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা সালামের খুব
প্রচলন ঘটাও। তাহলে তোমরা উন্নত হয়ে
যাবে’ (তাবরানি, মাজমায়ে জাওয়ায়েদ)।
হজরত আবু উম্মা রা: থেকে বর্ণিত, নবী
করিম সা: বলেন, ‘তোমাদের কারো হাত
রোগীর কপালে বা হাতের ওপরে রেখে
জিজ্ঞাসা করবে কেমন আছো? আর
সালামের পূর্ণতা মুসাফাহ করা’ (আহমদ ও
তিরমিজি)।
সালাম আল্লাহর নৈকট্য ও বরকতের কারণ।
সূরা নূরের ৬১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন,
‘তোমরা যখন নিজেদের ঘরে প্রবেশ করবে,
স্বজনদের সালাম দেবে, এটা আল্লাহর পক্ষ
থেকে কল্যাণকর ও পবিত্র দোয়া।’
সূরা নাহলের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ
আরো বলেন, ‘ফেরেশতা তাদের জান কবজ
করে পবিত্র অবস্থায় এবং বলে, আসসালামু
আলাইকুম, দুনিয়াতে যা করেছ তার
প্রতিদান হলো জান্নাত, সেখানে প্রবেশ
করো।’ হজরত আবু উমামা রা: বর্ণনা করেন,
রাসূল সা: ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের মধ্যে
আল্লাহ তায়ালার নৈকট্যের সর্বাপেক্ষা
উপযুক্ত ওই ব্যক্তি যে আগে সালাম
করে’ (আবু দাউদ)।
হজরত আনাস রা: বলেন, আমাকে রাসূল সা:
ইরশাদ করেছেন, ‘হে আমার প্রিয় বেটা!
যখন তুমি আপন ঘরে প্রবেশ করো, তখন ঘর
ওয়ালাদের সালাম করো। এটা তোমার জন্য
এবং তোমার ঘরওয়ালাদের জন্য বরকতের
কারণ হবে।’
অন্য হাদিসে আছে, জাবের রা: থেকে
বর্ণিত, রাসূল সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি
সালাম না করে তাকে প্রবেশের অনুমতি
দিয়ো না’ (বায়হাকি)। সালামের মাধ্যমে
আমরা আমাদের গুনাহ মাফ করাতে পারি।
নবী করিম সা: বলেন, ‘যখন দু’জন মুসলমান
পরস্পর সাক্ষাৎ করে, সালাম ও মুসাফা
করে, পৃথক হওয়ার আগেই তাদের গুনাহ মাফ
হয়ে যায়’ (আহমদ, তিরমিজি ও ইবনে
মাজাহ)।
সালাম বা সম্ভাষণ জানানো আসমানি
তাকিদ। কুরআন ও হাদিসে একাধিকবার
সালামের কথা বলা হয়েছে। তাই পবিত্র
কুরআনে সূরা নূরের ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ
বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজেদের
গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ কোরো না, যে
পর্যন্ত না গৃহবাসীকে পরিচয় জানাও এবং
সালাম না করো, এটাই তোমাদের জন্য
উত্তম। যদি তোমরা জেনে থাকো।’
সালামের মাধ্যমে গৃহবাসীকে অভিবাদন
জানানো হয় এবং এই অভিবাদন শুনে
গৃহবাসীও পাল্টা অভিবাদন জানায়। ফলে
ওই গৃহে একটা চমৎকার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
কোনো খালি ঘরে প্রবেশ করলে বলতে হয়,
‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল বাইত,’
অথবা ‘আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা
ইবাদিল্লাহিছ ছালিহিন।’ হজরত
কাতাদাহ রা: থেকে বর্ণিত, নবী করিম
সা: বলেন, ‘তোমরা যখন গৃহে প্রবেশ করবে,
তখন গৃহবাসীকে সালাম দেবে। আর যখন
বের হবে তখন গৃহবাসীকে সালাম করে
বিদায় গ্রহণ করবে’ (বায়হাকি)। ফলে
মুসলিম সমাজে যে ভ্রাতৃত্ববোধ আছে, তা
আরো দৃঢ় ও মজবুত হবে। আমরা আমাদের
পরিবার ও সমাজে ব্যাপকভাবে সালামের
প্রচলন করতে পারি।
বাবা তার ছেলেকে, ছেলে তার বাবাকে,
ছাত্র শিক্ষককে, শিক্ষক ছাত্রকে, স্বামী
স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে সালাম দিতে
পারে। এর ফলে আমাদের ভেতর
ভালোবাসা ও আন্তরিকতা আরো বৃদ্ধি
পাবে। ফলে সমাজ থেকে দূর হয়ে যাবে
হিংসা, গিবত, পরচর্চা, অহঙ্কার। আমরা
ফোনের রিসিভারটা তুলে সালাম দিতে
পারি। পরিচিত ও অপরিচিত সবাইকে
সালাম দেয়ার ব্যাপারে আমরা উদাসীন
থাকব না। মেরাজের রাতে রাসূল সা: যখন
সিদরাতুল মুনতাহা নামক সর্বোচ্চ স্থানে
আল্লাহর কাছে আল্লাহর নির্দেশে
সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন, আল্লাহ তখন
তার হাবিবকে সালামের মাধ্যমে
অভিবাদন করলেন এবং কল্যাণ ঘোষণা
করলেন। সুতরাং সালামের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
কত বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সালাম আমরা কাকে দেবো, কখন দেবো
এবং কিভাবে দেবো সে সংক্রান্ত কুরআন
ও হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি।
হজরত জাবের রা: থেকে বর্ণিত, নবী করিম
সা: বলেন, ‘কথাবার্তার আগেই সালাম
করবে’ (বায়হাকি)।
আমর ইবনে শুআইব রা: থেকে বর্ণিত, রাসূল
সা: বলেন, ‘যে বিজাতীয় অনুসরণ করবে, সে
আমাদের দলভুক্ত নয়। তোমরা ইহুদি-
নাসারাদের অনুসরণ কোরো না। ইহুদিরা
আঙুলের ইশারায় আর নাসারারা হাতের
ইশারায় সালাম দেয়’ (তিরমিজি)। অন্য
হাদিসে রাসূল সা: বলেন, ‘আরোহী ব্যক্তি
পথচারীকে, পথচারী উপবিষ্টকে ও
কমসংখ্যক অধিকসংখ্যক ব্যক্তিকে সালাম
করবে’ (বুখারি ও মুসলিম)।
সালাম হবে আল্লাহর জন্য, আল্লাহকে খুশি
করার জন্য, কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে
খুশি করার জন্য নয়। তাই হাদিস শরিফে
আছে, হজরত আবু হুরায়রা রা: বলেন, রাসূল
সা: বলেছেন, ‘ইহুদি নাসারাদিগকে আগে
সালাম দেবে না, রাস্তায় চলার পথে যখন
তোমাদের কারো সাথে দেখা হয়, তখন
তাদের সঙ্কীর্ণ পথ দিয়ে যেতে বাধ্য
করবে’ (মুসলিম)।
সাবিত ইবনে উবাইদ রা: বলেন, আমি এক
মজলিসে উপস্থিত হলাম। সেখানে
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা:ও ছিলেন। এক
ব্যক্তি সালাম দিলে তিনি তাকে বলেন,
‘তুমি সালাম দিলে তা অপরের কানে
কর্ণগোচর করো, কেননা সালাম আল্লাহর
পক্ষ থেকে বরকতময় এক পবিত্র বাক্য’ (আল
আদাবুল মুফরাদ)। সালামের মাধ্যমে আমরা
অশেষ কল্যাণ, বরকত ও নেকি লাভ করতে
পারি। আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত,
রাসূল সা: বলেন, ‘রাস্তায় বসার মধ্যে
কোনো কল্যাণ নেই,’ তবে কল্যাণ আছে- ১.
পথ ভোলাকে পথ দেখালে; ২. সালামের
জবাব দিলে; ৩. চু বন্ধ রাখলে (পর্দার জন্য)
৪. বোঝা বহনকারীকে সাহায্য করলে
(শরহে সুন্নাহ)। আবু হুরায়রা রা: থেকে
বর্ণিত- একদিন রাসূল সা: সাহাবিদের
নিয়ে বসা অবস্থায় এক ব্যক্তি আগমন করল
এবং বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম’ রাসূল সা:
বললেন, সে দশ নেকি পেল। এরপর এক ব্যক্তি
এলো এবং সে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম
ওয়ারাহমাতুল্লাহ।’ হুজুর সা: বললেন,
লোকটি কুড়ি নেকি পেল। তৃতীয় এক ব্যক্তি
এসে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম
ওরাহমাতুল্লাহু ওয়াবারাকাতুহু।’ হুজুর সা:
বললেন, লোকটি ত্রিশ নেকি পেল।
সুতরাং আমরা সালাম দেবো প্রাণ খুলে।
সালাম দেয়া ও তার উত্তর জানানোর
ব্যাপারে কোনো কার্পণ্য আমরা করব না।
এ ব্যাপারে হজরত আবু হুরায়রা রা: বলেন,
‘যে ব্যক্তি সালামের উত্তর দেয় না, সে
প্রতারক, যে সালাম দিতে কৃপণতা করে সে
নিকৃষ্ট। যদি তোমার ও তোমার ভাইয়ের
মাঝে গাছ প্রতিবন্ধক হয়, তবু তাকে তুমি
আগে সালাম দিতে তৎপর হবে। সে যেন
তোমার আগে তোমাকে সালাম দিতে না
পারে’ (আল আদাবুল মুফরাদ)।
আমাদের উচিত সালামের বাক্যটা সঠিক ও
সুন্দরভাবে উচ্চারণ করা। তা না হলে এর
দ্বারা সত্যিকার ভালোবাসা ও
আন্তরিকতা সৃষ্টি হবে না। আমাদের
গৌরবময় নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও
সংস্কৃতি আছে। এগুলোকে ধরে রাখা, রক্ষা
করার দায়িত্ব আমাদেরই। আমরা যদি এসব
ব্যাপারে আন্তরিক না হই, তাহলে এর কঠিন
পরিণতি আমাদের ভোগ করতে হবে। শেষ
হয়ে যাবে আমাদের অস্তিত্ব। টিকে থাকা
কঠিন হবে নিজস্ব স্বকীয়তায়। তাই আসুন,
সালাম দিই মনপ্রাণ উজাড় করে।
©somewhere in net ltd.