নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন তালুকদার

মামুন তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অনেকটা মাদকাসক্তির মতোই আমাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল
মিডিয়া অনেকটা মাদকাসক্তির মতোই
আমাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে।
ঠিক আসক্তি না হলেও, ফেসবুকে যে অনেকেই
অতিরিক্ত সময় কাটিয়ে নিজের ক্ষতি
করছেন তা সত্যি। কী করে বুঝবেন আপনি
ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করছেন, আর এ
সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই বা কী করবেন?
জেনে নিন এই পোস্টে।
ফেসবুকে তো কতো মানুষই সময় কাটায়।
কিন্তু এই সময় কাটানোটা সীমা ছাড়িয়ে
যাচ্ছে কি না তা কী করে বুঝবেন? নিজের
আচরণ থেকেই।
প্রথমত, আপনার পরিবার-পরিজন এবং
বন্ধুরা যদি দূরে দূরে বাস করে, এবং তাদের
সাথে প্রতিদিন দেখা করা আপনার পক্ষে
সম্ভব না হয় তাহলে কী করার আছে?
তাদের প্রত্যেককে ফোন বা টেক্সট দিয়ে
যোগাযোগ রাখা তো সম্ভব না। তাই
সোশ্যাল মিডিয়াই সই। তবে ফেসবুকে বসে
থাকতে থাকতে একটা সময় দেখবেন আপনার
মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। তখনই বুঝবেন
সময় হয়েছে লগ আউট করার। বিশেষ করে
আপনি যখন দেখবেন ফেসবুকে অন্যরা
তাদের বন্ধুমহল, প্রেমিক-প্রেমিকা বা
পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছে তখন যদি
আপনার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, বুঝতে
হবে আপনি ইন্টারনেটে বেশি সময়
কাটাচ্ছেন। এখন আপনার নিজের পরিবার
নিয়ে সময় কাটানো দরকার।
শুধু পরিবার নিয়ে নয়, সোশ্যাল মিডিয়া
থেকে লগআউট করার পর নিজেকেও কিছুটা
সময় দেওয়া দরকার আপনার। এ সময়টা কী
করে কাটাবেন?
১) ঘুমান
নিজের শরীর ও মনকে বিশ্রাম দিতে
ঘুমিয়ে নিন বাড়তি সময়টায়। এ সময়ে ফোন
বা ল্যাপটপ রাখুন বেডরুমের বাইরে।
২) ব্যায়াম করুন
ফেসবুকে বসলে নিমিষেই ২০ মিনিট সময়
চলে যায়। অথচ এ সময়টুকুতে আপনি করতে
পারেন যোগব্যায়াম বা ফ্রি হ্যান্ড
ব্যায়াম। সম্ভব হলে বাইরে থেকে একটু
হেঁটেও আসতে পারেন।
৩) বই পড়ুন
ফেসবুকের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে
থাকতে থাকতে আমরা ভুলেই যাচ্ছি যে
জলজ্যন্ত একটা বই আসলে কতোটা আনন্দ
দিতে পারে আমাদের। তাই ফেসবুকে
উদ্দেশ্যহীন সময় না কাটিয়ে ভালো একটি
বই পড়ে সময়টার সদ্ব্যবহার করুন।
৪) বাচ্চাদেরকে বই পড়ে শোনান
আপনার বাড়িতে যদি বাচ্চারা থাকে তবে
তাদেরকে বই পড়ে শোনান। বাচ্চাদের
সামনে যতো বেশি ফোন এবং ল্যাপটপ
ব্যবহার করবেন, তারা ততই এসব
টেকনোলোজির প্রতি আসক্ত হয়ে উঠবে
ছোট বেলা থেকেই। বাইরে খেলাধুলা
করার বদলে কম্পিউটার গেম নিয়ে পড়ে
থাকার খারাপ অভ্যাস গড়ে উঠবে তাদের
মাঝে। এর চাইতে ফোন এবং ল্যাপটপ থেকে
দূরে কিছু সময় কাটান তাদের সাথে। ভালো
একটা বই পড়ে শোনান। এতে তাদের
মনোজগৎ অনেক সমৃদ্ধ হবে।
৫) ফোনে কথা বলুন
নেহায়েতই যদি ফোনকে ছেড়ে থাকতে না
চান, তবে অন্যদের সাথে যোগাযোগের জন্য
পুরনো উপায়ে ফিরে যান, অর্থাৎ ফোনে
কথা বলুন। ভেবে দেখুন তো, আপনার কোনো
বন্ধু কি আছে যাকে মনে পড়ে প্রায়ই কিন্তু
অনেকদিন কথা হয় না? তাকে একটা ফোন
কল দিন। টেক্সট নয়, সরাসরি ফোন কল। এতে
তিনি যেমন অবাক হবেন তেমনি কেমন
খুশি হবে ভাবুন তো। একইভাবে ফোন করে
খোঁজ নিতে পারেন আত্মীয়স্বজনের।
৬) লেখালেখি করুন
বিশেষ করে যারা অনলাইনে লেখালেখি
করেন বিভিন্ন মিডিয়ায় বা ব্লগে, তারা
একটু কাগজ কলম নিয়ে বসুন তো, দেখুন কেমন
লাগে। খুব দরকারি কিছু নয়। একেবারে
হালকা, চটুল কোনো বিষয় বা চিন্তা লিখে
ফেলুন। নিজেকেই অনেক ঝরঝরে লাগবে।
৭) একসাথে বেশি কাজ করবেন
না
একসাথে বেশি কাজ করতে গেলে কোনো
কাজই ঠিকমতো হয় না। কিছু কিছু ভূল
থেকেই যায়। ফেসবুক ব্যবহারের সময়ে
আপনি যদি ভাবেন যে সময় নষ্ট হচ্ছে,
ফেসবুক ব্যবহার করতে করতেই অন্য কাজ
করে নেবেন তাহলে সাবধান! এমন করতে
গেলে বিপদ হতে পারে। গাড়ি চালানোর
সময়ে ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারের
ফলে আহত হয়েছেন বা মারা গেছেন মানুষ,
এমন নজিরও আছে। অতএব কাজের সময়ে শুধুই
কাজ!

সূত্রঃপ্রিয়,কম

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

জগাখিচুড়ি! বলেছেন:

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪৭

মামুন তালুকদার বলেছেন: Very nice pic...

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

জেন রসি বলেছেন: কথা সত্য!! ;)

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

মামুন তালুকদার বলেছেন: তাই,,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.