নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন তালুকদার

মামুন তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোমলমতি শিশুদের খাতা পত্রেও ভারতীয় সিরিয়ালের কুপ্রভাব!

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

সময় বদলেছে । আমরা আধুনিক হয়েছি।
বদলেছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা,
শিক্ষা ব্যবস্থাও। নীতি-নৈতিকতা,
মূল্যবোধসহ পাল্টে গেছে আরো অনেক কিছুই। ভারতীয়
সিরিয়ালগুলো দেশের মানুষকে
সুপরিকল্পিতভাবে নৈতিক অবক্ষয়ের
দিকে ঠেলে দিচ্ছে।যেমন নৈতিক
চরিত্রের অধঃপতন হচ্ছে, তেমনি
পারিবারিক শান্তি ও মূল্যবোধ
কেড়ে নিচ্ছে । বাড়ছে সমাজে
অশান্তি, অস্থিরতা, আত্মহত্যা,
ধর্ষণ,পরকীয়া । চর্চা হচ্ছে নষ্ট
সংস্কৃতির!

সংখ্যাগরিষ্ঠ
বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে
ভারতীয় নগ্ন ও ব্রাহ্মণ্য কৃষ্টি-
কালচারের দিকে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে!
বিশেষ করে ভারতীয় সিরিয়ালের
নেতিবাচক প্রভাবে আক্রান্ত হতে
বসেছে সমাজের সবশ্রেণীর মানুষ!
ভারতীয় সিরিয়ালের কুপ্রভাব
বাংলাদেশে আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি
পাচ্ছে নানা ধরনের অপরাধ প্রবণতা ও বেহায়াপনা!

পোশাক থেকে নিয়ে
এবার কোমলমতি শিশু-কিশোরদের
খাতায়ও ঢুকে পড়ছে এই অপসংস্কৃতির
বেহায়াপনা!
পাখি, কিরণমালা পোশাকের পর
এবার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে স্টার
জলসা সিনেমা চ্যানেলে দেখানো
নানা সিরিয়ালের নামে স্কুলের
খাতা।
স্টার জলসা, কিরণমালা, জল-নুপুর,
বোঝে না সে বোঝে না ইত্যাদি
সিরিয়ালসহ প্রায় সব কয়টি
ধারাবাহিকের ছবিসহ খাতা অহরহ
বিক্রি হচ্ছে! কিনছে শিশু-কিশোর
কোমলমতি শিক্ষার্থীরা!

আজ আমার ৪র্থ শ্রেনির এক ছাত্রীর কাছে দেখলাম এইসব খাতা
দেখামাত্রই হতভম্ব ও নির্বাক
হয়েছি! কোমলমতি শিক্ষার্থীদের
খাতায় এসব চিত্র দেয়ার মতলবটা
কি?! এসব ছবি কি কোমলমতি
শিক্ষার্থীদের ওপর কুপ্রভাব বিস্তার
করবে না? খাতায় দেয়া চিত্রগুলো
নিঃসন্দেহে নেতিবাচক! এই
চিত্রগুলোতে ইতিবচাক কোন বিষয়
আছে বলে আমি মনে করি না! চলতি
বছরসহ বিগত বছরও ভারতীয়
সিরিয়ালের ধারাবাহিকের
নায়িকার নাম অবলম্বনে ‘পাখি
ড্রেস’ এবং চলতি বছর ‘কিরণমালা’
ড্রেস না পেয়ে দেশের বিভিন্ন
স্থানে বেশ কয়েকজন কিশোরী
আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যা বিভিন্ন
দৈনিক ও আনলাইন পত্র-পত্রিকার
খবরে দুনিয়ার মানুষ জানতে পেরেছে।
------------------------------
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খাতায়ও
ভারতীয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর
অশ্লীল ছবি! এর চেয়ে দুঃখের বিষয়
আর কি হতে পারে! অথচ স্টার জলসার
তথা নষ্ট সংস্কৃতির চর্চায় স্বামী-
স্ত্রীর মধ্যকার অমূল্য সম্পর্কে দিন
দিন দূরত্ব তৈরি হচ্ছে । মা-মেয়ে এবং
বাবা-ছেলেদের মধ্যে টিভি-রিমোট
দখলের প্রতিযোগীতায় সাংসারিক
অশান্তি নৈমত্তিক রুটিন ওয়ার্কে
পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের
লেখাপড়ায়ও চরম ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
ভারতীয় সিরিয়াগুলো সরাসরি
প্রভাব ফেলে ক্ষতিকর অবৈধ প্রেমসহ
আত্মহত্যার মতো করুণ পরিণতি
ঘটানো পর্যন্ত।
------------------------------
বাংলাদেশে
ভারতীয় তিন টিভি চ্যানেলের (স্টার
জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা)
সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশ দেয়া
হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি
করেছে হাইকোর্ট । এখনও এর জবাব
দেয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে । রিট
আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে
বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও
বিচারক আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে
গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি
করেন । তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব,
বিটিআরসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ
টেলিভিশনের মহাপরিচালক, ডিজি
জাদু ব্রডব্যান্ড লিমিটেডের
চেয়ারম্যান ও পুলিশের
মহাপরিদর্শককে এ রুলের জবাব দিতে
বলা হয়েছে।
রিটের আবেদনকারী এখলাছ উদ্দিন
ভূঁইয়া বলেন, স্টার জলসার {বোঝে না
সে বোঝে না} সিরিয়ালের পাখি
চরিত্রের নামে পোশাক কিনতে না
পেরে বাংলাদেশে অনেকে
আত্মহত্যা করেছে । এসবের পর এই তিন
টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে
লিগ্যাল নোটিসও দেয়া হয়েছিল ।
কিন্তু তারপরও এই চ্যানেল তিনটির
সম্প্রচার বন্ধ হয়নি । তিনি বলেন,
আমরা জোর করে বন্ধের পক্ষে না।
কিন্তু যখন আপনার সমাজে কোনো
শক্তিশালী প্রটেক্টর নেই, তখন যদি
এধরনের প্রলোভনের কারণে শিশু-
কিশোররা ক্ষতির সম্মুখীন হয় তখন
কিছু সিদ্ধান্তে আসা জরুরি। ভারতীয়
ধারাবাহিকগুলোর কোনো নাম
ব্যবহার করে পোশাক, খেলনা, খাতা
ব্যবহার করার যাবে না, এমন
সিদ্ধান্তে আসাটাও জরুরি।

(সূত্র-দৈনিক নয়াদিগন্ত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.