নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুনুর রশী২৪৩৭

বাস্তবতায় বিশ্বাসী

মামুনুর রশী২৪৩৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি এবং একটি পর্যালোচনা

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২২



মো. মামুনুর রশীদ



বর্তমান বিশ্বের সকল শক্তিশালী দেশগুলো পারমাণবিক অস্ত্রে তাদের উপস্থিতি জানাতে ব্যস্ত । অর্থনীতির পাশাপাশি তাদের হতে হবে পারমাণবিক শক্তিতে শক্তিশালী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঠিক সেই মুহুর্তেই চেয়েছেন পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসের স্বচ্ছতা। এই স্বচ্ছতার বিষয়ে ওবামা যখন তার স্টেট অব ইউনিয়নে ভাষণ দিতে ব্যস্ত ঠিক সে মুহুর্তে উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের সফল পরিক্ষা চালাচ্ছে। বিশ্বব্যাপি পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়ায় বিশ্ব স্থিতিশীলতা যে অদূর ভবিষ্যতে নষ্ট হবে না তার গ্যারান্টি কে দিবে? যুক্তরাষ্টের শত চাপ সত্ত্বেও ইরান তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। কথায় আছে, ‘কে শোনে কার কথা’। এখন সবাই সবার জায়গা হতে শক্তিশালী হতে চাচ্ছে। অথচ এই পারমাণবিক অস্ত্রবিস্তার রোধে একটি চুক্তি করা হয়েছে ১৯৬৮ সালে যেটা ঘচঞ (ঘঁপষবধৎ ঘড়হ-চৎড়ষরভবৎধঃরড়হ ঞৎবধঃু) বা পারমাণবিক অস্ত্রবিস্তার রোধ চুক্তি নামে পরিচিত। এই চুক্তির অন্তভূক্ত রয়েছে বর্তমান বিশ্বের ১৮৮টি দেশ। উন্মুক্তভাবে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে এ ধরণের ৮ টি দেশের মধ্যে ২ টি দেশ ভারত পাকিস্তান এবং আরেক পারমাণবিক শক্তি ইসরায়েল ঘচঞ চুক্তি রেটিফাই বা সমর্থন করেনি। আরেক সম্ভাব্য দেশ উত্তর কোরিয়া প্রথমে এই চুক্তি সমর্থন করলেও পরবর্তীতে এটা অস্বীকার করে। পরবর্তীতে উত্তর কোরিয়া ২০০৩ সালে ঘচঞ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।

উল্লেখ্য পারমাণবিক অস্ত্রবিস্তার রোধ চুক্তি মূলত তিনটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। অস্ত্র বিস্তার রোধ, নিরস্ত্রীকরণ, পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার। এই ঘচঞ বিশ্বের পাঁচটি রাষ্ট্রকে(যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য) পারমাণবিক অস্ত্র রাষ্ট ঘডঝ(ঘঁপষবধৎ ডবধঢ়ড়হ ঝঃধঃব) হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এই পাঁচটি রাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। এই পাঁচটি স্থায়ী রাষ্ট্র একমত হয় যে, তারা কোন অপারমাণবিক অস্ত্রসম্পন্ন দেশে কোন ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র ও পারমাণবিক বিস্ফোরণ যন্ত্র প্রদান , সহায়তা, বিক্রি বা তৈরীর উৎসাহ প্রদান করবে না যাতে নতুন কোন রাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্রে সক্ষমতা লাভ করে। কেননা এই সক্ষমতা তাদের জন্য হুমকি হিসেবে ভবিষ্যতে আসতে পারে এমন ধারনাও তারা করে রেখেছেন।

অপরদিকে ঘচঞ এর অপারমাণবিক দেশগুলোও একমত হয়েছে যে তারা কোন ধরণের পারমাণবিক অস্ত্র , বিস্ফোরক বা যন্ত্রপাতি গ্রহণ করবে না। এবং এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা অপারমাণবিক দেশগুলোর উপর নজর রাখবে। কিন্তৃু সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত পারমাণবিক শক্তি বিষয়ক চুক্তি ঘচঞ এর এই ভিত্তিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। যদিও ভারত ঘচঞ এই চুক্তি বহির্ভূত রাষ্ট্র।

ঘচঞ চুক্তির দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ। এর ৬ নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে পারমাণবিক শক্তি সমৃদ্ধ দেশ ক্রমেই তাদের অস্ত্র মজুত কমিয়ে আনবে। একই অনুচ্ছেদে আরো বলা হয়েছে,এই চুক্তিটি একটি শক্তিশালী ও কার্যকারী আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার পক্ষে যার মাধ্যমে বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তবতা আজ ভিন্ন পথের অভিযাত্রী। কেননা ঘচঞ এর আনুষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতা ঘচঞ স্বীকৃত পারমাণবিক রাষ্ট্রগুলো কর্তৃক কখনোই পালিত হয়নি। পূর্ণাঙ্গ এবং বৈশ্বিক নিরস্ত্রীকরণ সম্বলিত এ ধরনের অজ¯্র প্রস্তাবনা গত তিন দশক ধরে নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে ¯œায়ু যুদ্ধের পরবর্তী সময় থেকে ঘচঞ এর স্বীকৃত পারমাণবিক রাষ্ট্রগুলোর অসহযোগিতা ঘচঞ এর অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অসন্তোষকে আরো অতিমাত্রায় বাড়িয়ে তুলছে। বর্তমান সময়ে এসে ঘচঞ চুক্তির উপর অপারমাণবিক দেশগুলোর সরাসরি অভিযোগ এসে পড়ছে পারমাণবিক অস্ত্র সংক্রান্ত বৈশ্বিক বৈষম্যর কারণে।

বর্তমান বিশ্বে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন একুশ শতকের শক্তি সংকটপূর্ণ বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পারমাণবিক রাষ্ট্রসমূহ এবং ঘচঞ এর অন্যান্য রাষ্ট্রসমূহ এই পথের পথযাত্রী। ইতোমধ্যে অনেক রাষ্ট্র বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম বর্ধিতকরণের অনুমতি চেয়েছে ঘচঞ এর কাছে। ঘচঞ চুক্তির তৃতীয় ভিত্তি এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। কিন্তু সমস্যা হলো , ইউরেনিয়াম জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন এবং বিস্ফোরক উৎপাদন এ দুটি ব্যবস্থাকে পৃথক করা ঘচঞ ওহংঃৎঁসবহঃ এর মাধ্যমে দুরুহ ব্যাপার। কাজেই ঘচঞ এর প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে এর তৃতীয় ভিত্তি অবলম্বনের ক্ষেত্রে ১ম ও ২য় ভিত্তি পালনের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করছে। তবে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দেখা গেছে এই মুহুর্তে বিশ্বের কমপক্ষে ১৩টি অপারমাণবিক দেশ উঁবষ – টংব ঞবপযহড়ষড়মু ব্যবহার করে ইউরেনিয়াম সম্দ্ধৃ জ্বালানির মাধ্যমে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনে সক্ষম এবং পাশাপাশি বিস্ফোরক উৎপাদনেও সক্ষম হচ্ছে।

ঘচঞ এর উদ্ভব হয়েছিল বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর ধ্বংসাত্মক অস্ত্র ব্যবহার নিবারণের লক্ষ্যে। কিন্তু ঘচঞ সাক্ষরিত হয়েছিল তখন বিশ্বের শক্তির রাজনীতি যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়েনের ¯œায়ুযুদ্ধের উত্তাপে দ্বি- মেরুকৃত। এর ফলে ঘচঞ এর আদৌ কোন প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তারপরও ঘচঞ রয়েছে মধ্যম পর্যায়ের কোন পারমাণবিক রাষ্ট্রের কোন ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত বা পরাশক্তি প্রভাবিত তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে পারমাণবিক বিস্ফোরক ব্যবহারে নিবৃত্তির শেষ ভরসা হিসেবে।

ঘচঞ প্রস্তাবিত হয়েছিল আয়ারল্যান্ড কর্তৃক এবং এর প্রথম সাক্ষরকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায় ফিনল্যান্ড। ¯œায়ুযুদ্ধোত্তর ১৯৯২ সালের মধ্যে স্বীকৃত তৎকালীন পাচঁটি রাষ্ট্রই ঘচঞ তে সাক্ষর করে। ১৯৯৫ সালে আবার এটি নবায়ন করা হয়েছে তাদের নিজেদের স্বার্থে। ১৯৯৬ সালে ঘচঞ এর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয় ঈড়সঢ়ৎবযবহংরাব ঘঁপষবধৎ ঞবংঃ ইধহ ঞৎবধঃু(ঈঞইঞ) । এরপর অনেক সংখ্যক ঘচঞ সাক্ষরকারী রাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা পরিকল্পনা বাতিল করে। দক্ষিণ আফ্রিকা সত্তরের দশকে পারমাণবিক অস্ত্রের পরিকল্পনা গ্রহন করে এবং ইসরায়েলের সহায়তায় ক্ষুদ্র আকারে তার সফল পরীক্ষা চালালেও ১৯৯১ সালে এসে ঘচঞ সাক্ষরের পর সেটা ধ্বংস করে ফেলে এমনকি সাবেক সোভিয়েতের দেশগুলোও এ ঘচঞ সাক্ষরের পর সকল ধরনের অস্ত্র প্রকল্প থেকে সরে এসছে। কেননা তাদের যুদ্ধ নয় শান্তি দরকার। পারমাণবিক অস্ত্রের ঝামেলায় জড়ালে হয়তোবা পাকিস্তান ,ভারত, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট, ইরানের মতো অশান্তিতে ভুগতে হতো।

ঘচঞ চুক্তি নিয়ে যখন বিশ্ব রাজনীতিতে দরকষাকষি চলছে ঠিক সে মুহুর্তেই ন্যাটো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অস্ত্র শেয়ারিং এর গোপন চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির কিছু বিধি নিষেধ অমান্য করেছে। এই গোপন চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোভিত্তিক দেশ গুলোতে পারমাণবিক অস্ত্রের সম্প্রসারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেটির বিস্তারিত আজও জানা সম্ভব হয়নি। সাম্প্রতিক নিউইয়র্ক টাইমস্ এর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ঘঅঞউ ভুক্ত দেশগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করেই চলেছে। গত এক বছরে কমপক্ষে ১৯০ টি ট্যাকটিক্যাল ই-৬১ পারমাণবিক বোমা যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করেছে বেলজিয়াম জার্মানি ইতালি, নেদারল্যান্ড এবং তুরস্কের নিকট।

তবে ভারত পাকিস্তান ইসরায়েল এখনো ঘচঞ চুক্তির আওতাভুক্ত হতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে ভারত পাকিস্তান হলো আত্মস্বীকৃত পারমাণবিক সমৃদ্ধ দেশ। ইসরায়েল পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা না চালালেও ১৯৬৭ সালের পূর্বেই তারা পারমাণবিক শক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ভারত ১৯৭৪ সালে এবং পাকিস্তান তার পাল্টা জবাবে ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষ্ চালায়। বর্তমানে বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে ভারতের ২৫০টি এবং পাকিস্তানের ১৮০ টি পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। ইসরায়েলের নাগেভে অবস্থিত ‘ডিমোনা স্থাপনায় ’ পারমাণবিক স্টকপাইল গড়ে তুলেছে , যেখানে ২০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।

উত্তর কোরিয়া ২০০৩ সালে এনপিটি চুক্তি হতে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলেও ২০০৮ সালে তারা পারমাণবিক অস্ত্রের প্রকল্প গড়ে তুললে যুক্তরাষ্ট নতুন করে অস্থিরতার মধ্যে পড়ে এবং তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে মিলে প্রকাশ্যে তাদের পারমাণবিক ভিত্তি নড়বড়ে করে দেয়ার জন্য বারবারই উত্তর কোরিয়ার সাসুদ্রিক অঞ্চলে নৌ মহড়া চালিয়েছে । সম্প্রতি ঘটে যাওয়া উত্তেজনায় একই পক্ষ অবলম্বন করে যুক্তরাষ্ট্র নেী মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পক্ষ অবলম্বন একদিকে যেমন বিশ্ব পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। তেমনি এই দুই কোরিয়ার মাঝে যুদ্ধ বাধার সম্ভাবনা রয়েছে প্রকট। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জন উন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ অবলম্বন কে পরোয়া না করে সম্প্রতি আরেকটি পারমানবিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়ে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে আমরাও শক্তিতে পিছিয়ে নেই। বর্তমানে ইরানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো পড়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। ইতোমধ্যে ইরানকে নিয়ে একাধিক রাষ্ট্র অভিযোগ করেছে যে ইরান ঘচঞ এর ২ নং অনুচ্ছেদবরখেলাপ করে চলেছে । তবে ইরানি সরকার জানিয়েছে তাদের ইউরেনিয়াম প্রকল্প বিদ্যুৎ শক্তি উন্নয়নের লক্ষ্যে , বিস্ফোরক প্রস্তুতের জন্য নয়। ইতোমধ্যে আইইএ এর পরিদর্শক দল একাধিকবার পরিদর্শন করে গেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত পারমাণবিক বিস্ফোরণের অস্তিত্ব পাননি। তবে বিশ্বের বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের ধারণা মতে ইরান হবে আগামী দিনের পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তিতে শীর্ষে।

ঘচঞ চুক্তির পর্যালোচনার পরিশেষে উল্লেখ করতে হয় যে, পারমাণবিক অস্থিরতা থেকে বিশ্বরাজনীতি এবং রাষ্ট্রগুলোর আন্তসম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঘচঞ চুক্তির জন্ম। কিন্তু পারমাণবিক রাষ্ট্র গুলোর গোপন আতাঁত বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এই ঘচঞ চুক্তির বাস্তবায়নকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-ভারত, ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল-ভারত চুক্তি এবং ন্যাটো এর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ঘঁপষবধৎ ঝযধৎরহম স্পষ্টতই ঘচঞ এর বাধ্যতামুলক অনুচ্ছেদগুলোর বরখেলাপ। তথাপি বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা যদি ঘচঞ এর পক্ষে যায় তবেই আরও কোন ঈঁনধ পৎরংরং থেকে পৃথিবী রক্ষা পাবে। নতুবা বিশ্ব পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলতা এবং ঘচঞ চুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.