![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am a house wife, I love to write something
নয়: ( আমি ওর ফুপি হই)
আমার কয়েকজন পরমাত্মীয় আছেন। কেউ ভাই কেউ ভাবী এ রকম অনেক। এরা সকলে মুসলিম। সকলের সাথেই আমার পারিবারিক সম্পর্ক। তাদের বাড়ীতে আমি খুব প্রিয় একজন।আমাকে বাদ দিয়ে এই সব বাড়ীতে কোন শুভ অনুষ্ঠান হয় না।
এ রকম এক ভাই এর মেয়েকে ঢাকাতে স্কুলে ভর্তি করতে হবে। ভাই অতি ব্যাস্ত মানুষ। তাই দায়িত্ব পড়লো আমার উপরে।
নির্ধারিত দিনে আমি মেয়টিকে নিয়ে স্কুলে গেছি। ভর্তি ফরম যথারীতি পূরনে করে পিতা/অভিভাবকের স্বাক্ষরের জায়গায় পূর্ণ নাম লিখে স্বাক্ষর করেছি। ভেজাল বাধলো তখন। “আপনি ওর কে হন?”।”ও আমার ভাই এর মেয়ে” ”কেমন ভাই?’ ”ভাই আবার কেমন কি?”
”না উনি তো মুসলিম, আপনি হিন্দু। ভাই হলো কেমন করে?” এই কথার জবাবদিহি করার জন্য আমাকে স্কুল প্রশাসনের র্উধ্তন স্তরে যেতে হয়েছে।শেষে আমি বললাম, ”দেখুন ভাই বোন হতে হিন্দু মুসলিম লাগে না। লাগে আত্মার গভীরতা।” অবশেষে আমি মেয়েটিকে ভর্তি করতে পেরেছিলাম।
এ রকম আর এক ভাই এর ছেলে পড়ে কার্শিয়াং আমার মেয়েদের স্কুলে। ছুটির সময় ভাই আনতে যেতে পারছেন না। আমি যাবো মেয়েদের আনতে। স্বাভাবিক ভাবেই ছেলেকে আনার দায়িত্ব বর্তালো আমার উপরে।
ভাই অথোরাইজেশন লিখে দিলেন যেখানে আমার পরিচয় অমিয়া বিশ্বাসের মা, মজ্ঞু রানী সরকার। স্কুল কর্তপক্ষ শুধু জানতে চাইলো, ”আপনি ওর কে হন?” আমি বললাম, :আমি ওর ফুপি হই।” দ্বিতীয় আর কোন প্রশ্নের উত্তর আমাকে দিতে হয় নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ ছেলেটিকে আমার হাতে তুলে দিলেন।(চলবে)
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:১৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এক সময় আমার গ্রামে অনেক হিন্দু ছিল। আমার বাল্যকালের বন্ধুবান্ধব বেশির ভাগ হিন্দু। তাদের সাথে চলাফেরার সময় দুরের মানুষ বুঝতেই পারতো না আমরা দুই ধর্মের লোক একত্রে চলাফেরা করতেছি। এমন গভীর বন্ধুত্বে আমরা আবদ্ধ ছিলাম। ইন্ডিয়াতে গিয়েও তাদের রান্না ঘরে বসে ভাত খেয়েছি। আপনার লেখায় আমার সেই পুরানো দিনগুলির কথা মনে পড়ে গেল।