নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি কাজী নজরুল ইসলামের আসল পরিচয়টা তবে কি? তিনি বিদ্রোহী? তিনি প্রেমিক? তিনি আস্তিক? তিনি নাস্তিক? স্বদেশী? বিদেশির গোলাম? তিনি কী?

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:০৩

কাজী নজরুল ইসলাম যখন বেঁচে ছিলেন, তখন বেচারার সমস্যা ছিল এই যে মোল্লারা তাঁকে ডাকতেন কাফের, এবং হিন্দুরা বলতো যবন। যেহেতু তিনি বিলেত ফেরত ছিলেন না, তাই বিদ্বানরা তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার দৌড় নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতো।
পুরুষেরা গালি দিত, তিনি নাকি প্রচন্ড নারীঘেঁষা, এবং নারীরা তাঁকে জ্ঞান করতো নারী বিদ্বেষী হিসেবে।
তাঁর কবিতায় উর্দু ফার্সি শব্দের ছড়াছড়ি ছিল, ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি, তাই পন্ডিতরা তাঁকে নিয়ে করতেন সমালোচনা, "শনিবারের চিঠিতে" চলতো হাসাহাসি।
শুধু এই না, ইংরেজরা যে তাঁকে জেলে ভরে দিত, সেটাতো আমরা সবাই জানি, কিন্তু যারা স্বরাজ আন্দোলন করতেন, তাঁরাও যে ধরে নিতেন কবি কাজী একজন পাজি, যে স্বরাজেতে নিমরাজি, এইটা কয়জন জানেন?
মোট কথা, তখনকার যুগে, সেই সমাজে যত রকমের উপগোত্র ছিল, সবাই ছিল এই কবির উপর খ্যাপা। সবাই তাঁর দোষ ধরতেন, গালাগালি করে দূরে ঠেলে দিতেন।
তারপরে তিনি হলেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি। জীবিতাবস্থায় যে সম্মান আর ভালবাসা তাঁর প্রাপ্য ছিল, বোধশক্তি হারানো ও দৈহিক মৃত্যুর পরে সেটা পেলেন।
তবে সমস্যা এখনও দূর হয়নি। দৃশ্য উল্টে গেছে, তবু লেন্সের ফোকাস জুম আউট করলে বুঝা যায়, মূল চিত্র পাল্টে যায়নি।
সে যুগে নাস্তিকরা তাঁকে আস্তিক বলে গালাগাল করলেও বর্তমান নাস্তিকরা দাবি করে নজরুল ছিলেন ধর্মবিদ্বেষী। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, যে লোক জিন্দেগীতে নজরুলের একটি কবিতাও পড়েনি, সে তাঁরই কবিতার এক দুইলাইন কোট করে বলে, এই যে দেখুন, নজরুল এই যুগে জন্মালে কোপ খেতেন। উদাহরণ,
"বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে আমরা তখনও বসে
বিবি-তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি ফেকা ও হাদিস চষে!"
কিংবা,
"মূর্খরা সব শোনো,
মানুষ এনেছে গ্রন্থ; গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো।"
প্রথম উক্তিটি কবির "খালেদ" কবিতা থেকে নেয়া। "খালেদ" মানে আমাদের মুসলিমদের অতি প্রিয় খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ), সাহাবী, ইসলামের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বসেরা জেনারেল, বিশ্ব বিজয়ী বীর। যাকে নবী (সঃ) ভালবেসে নাম দিয়েছিলেন "আল্লাহর তরবারি।" এই কবিতাটি সেই মহাবীরের প্রতি একজন "সিপাহী" কবির শ্রদ্ধার্ঘ্য। পুরো কবিতা পড়লে যে লোক দাবি করছিল/করে/করবে যে নজরুল ধর্মবিদ্বেষী কিংবা নাস্তিক, সেই একই লোক বলবে, "এই কবিতো জঙ্গি! জিহাদের ডাক দেয়! তরবারি হাতে শহীদ হতে চায়!"
দ্বিতীয় কবিতাটি কবির "মানুষ" কবিতা থেকে নেয়া। বিশ্ব সাহিত্য রত্নভাণ্ডারে এমন হীরা কোহিনূর দ্বিতীয়টি আছে কিনা কে জানে! সাতদিন ধরে ক্ষুধার্ত এক ভুখারীর আর্তনাদ এই কবিতার চরণে ফুটে উঠেছে। একবার শুধু পড়ে দেখুন। যদি "মানুষ" হয়ে থাকেন, আগামী হাজার বছর পরেও এই কবিতা পাঠককে মানসিকভাবে ভীষণ নাড়া দিবে, আবেগ ছিন্নভিন্ন করে দিবে, চোখের বাঁধে বিস্ফোরণ ঘটাবে। উপরে উল্লেখিত চরণগুলির ঠিক পরের লাইনগুলোই পড়ুন,
"আদম দাউদ ঈসা মুসা ইব্রাহিম মোহাম্মদ
কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবির, —বিশ্বের সম্পদ,
আমাদেরি এঁরা পিতা-পিতামহ, এই আমাদের মাঝে
তাঁদেরি রক্ত কম-বেশী করে প্রতি ধমনীতে বাজে।
আমরা তাদেরি সন্তান, জ্ঞাতি, তাঁদেরি মতন দেহ।
কে জানে কখন মোরাও অমনি হয়ে যেতে পারি কেহ
হেসো না বন্ধু! আমার আমি সে কত অতল অসীম,
আমিই কি জানি কে জানে কে আছে
আমাতে মহামহিম।"
এরপর শুধু পড়তে থাকুন, এবং অবাক হয়ে ভাববেন এ কি লিখে গেলেন কবি! আমরা কেন কখনও এইভাবে ভেবে দেখিনা! কবিতাটিতে নবীজির এক বিখ্যাত হাদিসের উল্লেখ আছে, কবি বলছেন, "তবু জগতের যত পবিত্র গ্রন্থ ভজনালয়/ঐ একখানি ক্ষুদ্র দেহের সম পবিত্র নয়!" এটুকু পড়ে আস্তিক লোকে গালাগালি করতে পারে শুনে। বলে কি ব্যাটা! দুনিয়ার সব মন্দির মসজিদ গির্জা নাকি একটি মানুষের ক্ষুদ্র দেহের সমান নয়!
কিন্তু সুনান ইবনে মাজায় বর্ণিত হাদিস বলে, এই যে মহাপবিত্র কাবা ঘর, যার সমকক্ষ পবিত্র আর কিছুই নয় মুসলিমদের কাছে, সেটিও মানুষের প্রাণের তুলনায়, জান মালের তুলনায় সমকক্ষ নয়। মূল ভাব হলো, একটি মানুষকে অকারনে হত্যা করা, তাঁর জানমালের ক্ষতি করা, তাঁকে কষ্ট দেয়া, তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানো, কাবা ঘরে হামলার চাইতেও গর্হিত কাজ।
মূর্খেরা তর্ক করতে পারে, নবীজি বলেছেন "মুমিনের প্রাণ/জান/মাল" আপনি বা নজরুল কেন বললেন, "মানুষ"?
তা এই মূর্খ কি এই তর্ক করার আগে এই প্রশ্নের উত্তর দিবে, কে মুমিন, কে মুনাফেক ইত্যাদি বিচারের দায়িত্ব কি আল্লাহ একে দিয়েছেন? সে কি মানুষের অন্তরে কি আছে জেনে বুঝে ফেলেছে?
যদি আমরা এই সহজ সত্যটাই বুঝতাম!
এবং তা বুঝিনা বলেই কবিতাটি শুরু হয় দুই ভন্ডের ভণ্ডামি দিয়ে, মন্দিরের পূজারী ও মসজিদের মোল্লা, একজন ক্ষুধার্তকে তাড়িয়ে দিয়ে ভজনালয়ের দরজায় তালা ঝুলিয়ে শিরনি/প্রসাদ নিয়ে বাড়ি চলে যায়। খোদার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষকে লাথি দিয়ে এরাই দাবি করে এরা খোদার আপনজন!
মোট কথা, যারা দাবি করে নজরুল নাস্তিক ছিলেন, ধর্মবিদ্বেষী ছিলেন, এরা জীবনেও তাঁর লেখা পড়েনি। পড়েনি তাঁর লেখা ইসলামী গজল, গান, কবিতাগুলো। পড়েনি তাঁর "এক আল্লাহ জিন্দাবাদ" "অনাগত" সহ অসংখ্য কবিতা। নজরুল সমস্ত জীবন আরাধনা করে গেছেন "শহীদ" হবার মধ্য দিয়ে পৃথিবী ছাড়তে, এই কথা অস্বীকার করবে কিভাবে? "আমপারা কাব্য" নামে কুরআন শরীফের শেষ অধ্যায়টি যে এই কবি আস্ত তর্জমা করে ফেলেছেন, এবং এজন্য তাঁকে প্রচন্ড পরিশ্রম করে একই সাথে আরবি ও ফার্সি ভাষা শিখতে হয়েছে, তা এরা জানেই না।
এবং এ সূত্র ধরেই একবার এক মোল্লা আমাকে বললেন, "নজরুলের রেফারেন্স নেয়া উচিৎ না। তাঁর ঈমানের ঠিক নাই।"
আমি বলেছিলাম, "তাহলে উনার সমপর্যায়ে বাংলা সাহিত্যে ইসলামী লেখা কেউ লিখেছেন কিনা আমাকে জানান। একশো বছর পেরিয়ে গেল, বাংলার এত এত মুসলিম সাহিত্যিক "রমজানের ঐ রোজার শেষে" বা "তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে" কিংবা "ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ" গানগুলোর বিকল্প তৈরী করতে পারলো না, আর আপনারা ফতোয়া দিয়ে দিচ্ছেন তাঁর ঈমানের ঠিক নাই?"
নজরুলের জীবনকালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমেরই এই ধারণা ছিল। তাঁর কাব্যে দেবদেবীর নাম উল্লেখ করা হয়, কাজেই তিনি মুমিন হতেই পারেন না। তাছাড়া বিয়েও করেছেন হিন্দুকে। এখন আবার উল্টো দৃশ্য। লোকজন দাবি করেন তিনি এক্সক্লুসিভলি ইসলামের কবি। এরপক্ষে রেফারেন্সের অভাব নেই। আগেই বলেছি, তাঁর পর্যায়ে ইসলামিক কবিতা বাংলার কোন বাপের ব্যাটা সাহিত্যিক লিখতে পারেনি, পারবেও না। সেই ভাষা, সেই অলংকারই গত হয়েছে বহুদিন হলো। তবে ওরা যেটা ভুল করে তা হচ্ছে, নজরুলের আরও অন্যান্য সাহিত্যকর্মকে তাঁরা ঢেকে রাখেন। "আনন্দময়ীর আগমন" "শ্যামা সংগীত" ইত্যাদি থেকে নজরুলকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। তিনি যে হিন্দু রমণী বিয়ে করেছিলেন, সেটাও চেপে যান। এইটাওতো আরেক পর্যায়ের এক্সট্রিমিজম।
ধর্ম থেকে সরে রাজনীতিতে আসা যাক।
এই কথা আমরা সবাই জানি যে নজরুল ছিলেন ইংরেজদের জুলুম বিরোধী। কিন্তু এও সত্য, একই সাথে তিনি স্বরাজীদেরও চাঁদা আদায়ের বিরোধী ছিলেন। বিশেষ করে ভারতে যেখানে কোটি কোটি মানুষ না খেয়ে মরছে, সেখানে "স্বরাজ এনে দেব" - প্রতিশ্রুতি দিয়ে এদের কাছ থেকেই টাকা তুলে নেয়া নজরুল সমর্থন করতেন না। তিনি নিজে দেখেছেন ক্ষুধার্ত মা তাঁর শিশুদের না খাইয়ে সেই টাকা তুলে দিয়েছেন নেতাদের হাতে। তিনি দেখেছেন বাড়িতে ছেলের লাশ ঢেকে রেখে মা গিয়েছেন ভিক্ষা করতে। এইসব দৃশ্য তিনি নিতে পারতেন না। রক্তে বিদ্রোহী সৈনিক হলেও, একজন বীর যোদ্ধা হলেও, তিনিইতো ছিলেন একজন প্রেমিক কবি। মানব প্রেমকে নিজের আত্মা থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন কিভাবে? তাঁর নিজের ভাষায়, "বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ-জ্বালা এই বুকে!
দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে।" (আমার কৈফিয়ৎ)
সাহিত্যিকরা তাঁর কবিতা নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতো। মর্মাহত হয়ে তিনি প্রেমের গান/গজল লেখা শুরু করেন। এই সময়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনিই বলেন, "ঈশ্বর তোমাকে তলোয়ার দিয়েছেন যুদ্ধ লড়তে, আর তুমি কিনা তা দিয়ে দাড়ি কামানো শুরু করে দিলে?"
গুরুর স্নেহে কবি আবারও তাঁর মনোবল খুঁজে পান। তাঁর হাত ধরে আবারও ঝলসে উঠে তলোয়ার। কণ্ঠ পায় নিপীড়িতের আর্তনাদ।
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, কবি কাজী নজরুল ইসলামের আসল পরিচয়টা তবে কি? তিনি বিদ্রোহী? তিনি প্রেমিক? তিনি আস্তিক? তিনি নাস্তিক? স্বদেশী? বিদেশির গোলাম? তিনি কী?
উত্তরটা তিনিই দিয়েছেন "রাজবন্দীর জবানবন্দি"তে। যেখানে তিনি বলেন তাঁর ভগবান হচ্ছে "ন্যায়।" তিনি ন্যায়ের পক্ষে কণ্ঠ তুলে গেছেন, তিনি অন্যায়ের বিরোধিতা করে গেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি যা বলেন, তা তাঁর হয়ে ভগবান/ঈশ্বর/খোদা তাঁকে দিয়ে বলান। তিনি বিশ্বাস করেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে আসামির কাঠগড়ায় তাঁকে যখন দাঁড়াতে হয়, তাঁর পেছনে পরমকরুনাময় ঠিক সেভাবেই থাকেন যেভাবে তিনি ছিলেন যীশু বা গান্ধীর সময়ে।
নজরুল কোন মহান সাহিত্যকর্ম, সাহিত্যের সেবা, মহাকাব্য রচনা, কিংবা সাহিত্য জগতে নিজের নাম চিরস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে কলম ধরেননি। তিনি বলেছেন, ওটা তাঁরাই করুক, যারা সুখে শান্তিতে থাকেন। তাঁর সাহিত্যিক জীবনের ব্রত ছিল একটিই, অন্যায়ের প্রতিবাদ, ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান এবং জালিমের সর্বনাশ ঘটানো। কাজী নজরুল ইসলামকে তাই বিশেষ কোন বিশেষণে বিশেষায়িত না করে এইভাবেই গ্রহণ করতে শিখুন। তিনি আমাদের জাতীয় কবি, তাই দোহাই লাগে, নজরুল রচনাবলী একবার হলেও পড়ুন। ভাবুন। এতে লাভ ভিন্ন ক্ষতি হবে না।
যে কারনে এত দীর্ঘ লেখা লিখলাম, তা হচ্ছে, আমাদের হতভাগা গ্রূপটির ভাগ্যও এই কবির সাথে মিলে যায়।
নাস্তিক বলে আমরা ছাগল পুষি, ছাগলের রাখাল বলে আমাদের তারা ডাকে "ছাখাল।"
আর ছাগু বলে আমরা মডারেট/সুশীল, নাস্তিকদের পেইড এজেন্ট, ইহুদি নাসারাদের পেইড এজেন্ট। মানে আমি বুঝিনা, কার এত টাকা আছে আর আজাইরা সময় আছে যে কাউকে এমন লেখালেখির জন্য পয়সা দিবে, মানে, ব্রেইন কতটা ডিফেক্টিভ হলে লোকে এমন আজাইরা চিন্তাভাবনাও মনে আনে!
দুই পক্ষের গালাগালির ভিড়ে লোকে ভুলে যায়, যখন ওর বিরুদ্ধে কোন অন্যায় হয়, তখন এই গ্রূপটাই সবার আগে ওর পাশে দাঁড়ায়, এবং সে যদি অন্যায়কারী হয়, তবে তার বিরুদ্ধে। ক্যানভাস কখনই অন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয় না। এজন্য যার বিরুদ্ধেই যেতে হোক না কেন।
আমাদের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে নিজেদের কথা টেনে আনলাম বলে দুঃখিত।
প্রিয়তম কবি কাজী নজরুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে স্মরণ করছি, এবং তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। লিখে দিতে পারি, আসানসোলের দুখু মিয়া যদি পৃথিবীতে না আসতেন, তবে সম্পদশালী বাংলা সাহিত্য তাঁর বিপুলাংশের ঐশ্বর্য্য, স্বর্ণ রৌপ্য মনিমুক্তা ভান্ডার হতে বঞ্চিত হতো নিশ্চিত।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪২

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: কবির প্রতি হাজারও বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই খুবি ভাল লে্খেছেন কবি কে নিয়ে স্যালুট জানাই

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:০১

হাবিব বলেছেন: বিদ্রোহী কবির মতোই বিদ্রোহী একখান পোস্ট। ভালো লাগা রেখে গেলাম। নজরুল সম্পর্কে এমন পোস্ট এর আগে পড়িনি। ধন্যবাদ মঞ্জুর ভাইকে। ভালো থাকবেন।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকবেন।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১১

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: "প্রথমেই প্রিয় কবির রুহের মাগফেরাত কামনা করছি"

প্রিয় কবি স্বরনে সত্যিই সুন্দর লিখেছেন। অনেক অজানা কিছু জেনেছি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩১

রবিন.হুড বলেছেন: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন আদর্শ মানুষ ও সাচ্চা মুসলমান। তাঁকে আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। আজ তাঁর মতো ব্যক্তির বেশি প্রয়োজন।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাংলা ব্লগে নজরুল ইসলাম যদি কখনও ব্লগিং করতেন, বিদুষী ব্লগাররা তার আস্তিক নাস্তিক পরিচয় নিয়া বিরক্ত হইয়া শেষ পর্যন্ত 'হিটসিকার' ট্যাগ দিয়া ঢেঁকুর তুলিত।

নজরুল সত্যিকারের একজন অসম্প্রদায়িক ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ইসলামি সংগীত যেমন রচনা করেছিলেন, তেমনি কীর্তন, শ্যামা সংগীত ইত্যাদিও রচনা করেছিলেন। অথচ বাংলার রক্ষনশীল সমাজের একটা অংশ শুধু মাত্র তাঁর মুসলিম পরিচয়ই খুঁজে পেয়েছেন, তাঁর কালী সাধক পরিচয় খুঁজতে যান নি।

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১০

বিটপি বলেছেন: নজরুলকে নাস্তিক ট্যাগ দিয়েছেন, এমন কারো লেখা এখানে উদ্ধৃত করতে পারবেন? আপনি জানেন, কেউ সত্যি তার ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে সন্দেহ করেছে? নাকি চিলে কান নিয়েছে শুনেই চিলের পেছনে দৌড়েছেন? আপনার বিশ্লেষণ খুব ভালো লেগেছে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: কোট চেয়েছেন? এই যে দিলাম। "গোড়া রাম ভাবে নাস্তিক আমি, পাতি-রাম ভাবে কনফুসি।" রেফারেন্স? "আমার কৈফিয়ৎ" কবিতা যার কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মানে, আমি তাঁর কথা শুনেই লিখেছি, "চিলে কান নিয়েছে" ধরনের অভ্যাস আমার নেই। এবং আপনার না পড়ে, না জেনে এই ধরনের প্রশ্ন করাটা রীতিমতন অপমান।

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: সালাম জানাই শ্রেষ্ট বাঙালি কবি নজরুলকে। আমাদের মতো অল্প বিদ্যা নিয়ে নজরুলের জ্ঞানের পরিধী মাপতে যাওয়া বোকামি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ।

৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২০

রাজীব নুর বলেছেন: কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি কি?

আপনি তা আগে বলুন ''ঘি'' কি?

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: কাজী নজরুল ইসলাম মানুষ ছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.