নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
আন্দোলনের সময়ে কোন শিশু ছাদে গুলি খেয়েছে, কোন গৃহিনী বাড়ির ভিতরে বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন। আমরা সবাই ওদের সবাইকেই "শহীদ" হিসেবে ধরে নিয়েছি।
স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ দাবি করতেই পারে ওরা বাড়ির ছাদে বা ঘরের গৃহিনীকে হত্যা করতে গুলি চালায়নি, গুলি ছুটেছে অন্য কাউকে হত্যা করতে, ওরা সবাই মিসড ফায়ারের victim.
তো এখন যারা এইসব লাশকে সরকারের জুলুমের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, উনারা কি বলবেন এই শহীদদের স্বজেনেরা লাশের রাজনীতি করেছেন? নাহলে কেন উনারা এখনও বলছেন না উনাদের স্বজনদের পুলিশ ইচ্ছা করে হত্যা করেনি? অন্য কাউকে মারার উদ্দেশ্যে গুলি করেছিল, উনারা মারা গেছেন!
না, এমনটা বলা যাবে না, কারন পুলিশের গুলি চালাবারই কথা ছিল না। ছাত্রদের মাঠছাড়া করতে হলে পুলিশ কেন গুলি করবে? এইটাই মূল সমস্যা। কোন উদ্দেশ্যে কাকে টার্গেট করে চালিয়েছে, সেটা না।
এখন একই কনসেপ্টকে রাহুলদার পোড়া বাড়ির ঘটনায় এপ্লাই করা যাক। খবর বেরিয়েছে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পোড়ানোর সময়ে ওনার বাড়িও পুড়িয়ে দিয়েছে। লোকজন এমন আচরণ করছেন, যেন "একটার সাথে আরেকটা ফ্রি অফার" দিয়েছে। কারোর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া কোন বিষয়ই না। উল্টো রাহুলদা গালি খাচ্ছেন। উনি নাকি ভিক্টিম গেম খেলছেন। উনার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, উনি ভিকটিম নাতো ভিকটিম কে? হয়তো আমার ইংলিশজ্ঞান জয়ের হিন্দিজ্ঞানের মতন, "victim" শব্দের নতুন কোন মানে আছে যা আমি জানিনা আর আপামর ফেসবুক জনতা জানে।
কেউ বলছেন "তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতনের দাঙ্গা উস্কে দিয়েছেন।"
প্রথম কথা উনি কি কোথাও বলেছেন "আজ হিন্দু বলে আমার বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে? এদেশে হিন্দু হওয়াটাই সবচেয়ে বড় পাপ! এরচেয়ে ভারত মাতার কোলে অনেক সুখ!" আমিতো এমন কোন বক্তব্য পাইনি। কেউ পেয়ে থাকলে একটু দেখান।
উনার বাদ্যযন্ত্রের বেশিরভাগই নিজের হাতে তৈরী। একজন শিল্পী জানেন উনার কাছে রংয়ের তুলি, সাদা ক্যানভাস, প্রিয় বাদ্যযন্ত্র কতটা প্রিয়। একজন লেখকের কাছে ওর প্রিয় কলম কি সেটা কোন লেখককেই জিজ্ঞেস করুন। আমরা সন্তানকে যেভাবে ভালবাসি, তাঁদের কাছে এগুলোও তেমনই। চোখের সামনে তিনি দেখলেন শয়ে শয়ে বাদ্যযন্ত্র পুড়ে ভস্ম হয়েছে, তাঁকে এক কাপড়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছে - এই মেন্টাল ট্রমার সিচ্যুয়েশনে তাঁর কি সময় ছিল খোঁজ নেয়ার যে আগুন কে দিয়েছে, কেন দিয়েছে, উদ্দেশ্য কি ছিল? আপনার কাছে সাহায্যের হাত না পেতে তিনি বলেছেন "তবু দেশে শান্তি আসুক।"
যারা "সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা" ধরে নিয়ে গুজব রটিয়েছে, ভারতীয় হলুদ মিডিয়াকে ইন্ধন দিয়েছে - ওদেরতো সমস্যা আজকের না। ওদেরকে যদি বলেন আমেরিকা সেন্টমার্টিন দখল করে ফেলেছে, এই আহাম্মকগুলি সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাই না করেই ফেসবুকে মরাকান্না জুড়ে দিবে "হায় হায়রে আমাদের সেন্টিমার্টিন নিয়ে গেল! এখন ওখানে বেড়াইতে যাইতে পাসপোর্ট ভিসা লাগবো! ডলারে লবস্টার, চিংড়ি, ফিশ বারবিকিউ কিনতে হইবো! আমরাতো শ্যাষ হয়া গেলামরে!"
সুস্থ মাথার মানুষ, যেমন আমি, তাঁরা কি লিখেছেন? "তদন্ত হোক, সম্ভাব্য দোষীদের খুঁজে বের করা হোক, তারপরে কঠিন বিচার করা হোক।"
ঠিক এই কারণেই আমি পারলে মানুষের হাতে পায়ে ধরে বলি, আল্লাহর ওয়াস্তে, কোথাও থেকে কিছু শুনলে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস না করে সত্যমিথ্যা যাচাই করে তারপরে শেয়ার করবেন। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী!
আমি সম্ভাব্য দোষীদের তালিকাও দিয়েছিলাম, ১. ব্যক্তিগত শত্রু, যে সুযোগের ফায়দা লুটেছে ২. আওয়ামীলীগের লোকজন, কারন রাহুলদা শুরু থেকেই আমাদের পক্ষে ছিলেন এবং ওরা প্রকাশ্যেই থ্রেট দিচ্ছিল যে আমাদের সবাইকেই দেখে নিবে, এবং ৩. দাঙ্গাবাজ লোকজন, বিএনপি, শিবির ইত্যাদি যে কেউ হতে পারে।
এখন খবর আসছে যে দাঙ্গাবাজ লোকজন যারা বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে আগুন দিয়েছিল ওদেরই লাগানো আগুন থেকে রাহুলদার বাড়ি পুড়েছে। মানে ৩ নম্বরটা। কথাটা কে বলেছে? রাহুলদারই বৌয়ের পার্টনার। করা নিউজটা ভাইরাল করেছে? রাহুলদারই ব্যান্ড জলের গান।
তাহলে আমার প্রশ্ন হচ্ছে এখানে রাহুলদা কেন গালি খাচ্ছেন?
কিছু বেয়াক্কেল যুক্তি দিচ্ছে "লিটন দাসতো স্ট্যাটাসে জানিয়েছে ঐ পোড়া বাড়িটা ওর না। রাহুল কেন করলো না?"
কারন লিটনের বাড়ি পুড়েনি, রাহুলেরটা পুড়েছে। এদের মাথায় কমন সেন্স এতটা আনকমন কেন?
আপনারা এক্সপেক্ট করছেন যে লোকটা কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে বাড়িঘর, সংসার, আসবাব, পোশাক, বাদ্যযন্ত্র সব হারিয়ে পথে নেমে গেল, সে অতি ঠান্ডা মাথায় আপনাদের কাছে বয়ান দিয়ে বেড়াবেন যে "আগুন লাগায়নি, আগুন লেগে গেছে?"
শেখের বাড়িতে আগুন লাগানো জায়েজ হয়ে গেল? ঐ একই আগুন যার বাড়ি পুড়ালো, ওর দোষ কেন ও তৎক্ষণাৎ তদন্ত করে মাথা ঠান্ডা রেখে বক্তব্য দেয়নি?
আপনাদের সবার কি মাথা নষ্ট হয়ে গেল? আমি বুঝতে পারছি না, আমাকে একটু বুঝান।
২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৯
ঊণকৌটী বলেছেন: যারা এতদিন কামাই নি, তারা তো কামাবে যারা মিলিয়ন কামাইছে তারা বিলিয়ন কামাইব, মাঝে জনগণ পাঠা পূতার মাঝে মরিচ
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৪:০৪
কামাল১৮ বলেছেন: হয়তো না বলে উপায় ছিলো না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:০০
বাউন্ডেলে বলেছেন: মানসিক রোগীরা এখন মেন্টাল ডাক্তারের এপ্রন গায়ে দিয়ে উপদেশ বিলিয়ে বেড়াচ্ছে। গেন্জিরা এখন ক্লাস নিচ্ছে, পান্জাবী, কোট মনোযোগ দিয়ে শুনছে। সামনে পরিক্ষা। পাশ না করলে অর্ধচন্দ্র।