নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Science without religion is lame, religion without science is blind.

মারছূছ

Humanity is on the march, earth itself is left behind Science without religion is lame, religion without science is blind. The sole meaning of life is to serve humanity

মারছূছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ডাইগোনিষ্টিক সেন্টার সম্পর্কে কিছু অজনা তথ্য বলতে চাই

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৮

আমাদের এক স্যার সুস্থ হয়ে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরলেন। বাংলাদেশে যে রক্ত দেওয়া হয়েছিল তাতে ভাইরাস ছিল যাকেই কিনা ডাক্তার ক্যান্সার মনে করেন। যার জন্য নেওয়া হয়েছিল থাইল্যান্ড।



আমাদের কয়েক বন্ধু জয়েন করেছে বাংলাদেশের ডায়গোনিষ্টিক সেন্টারে রিয়্যাজেন্ট এবং মেশিন সাপ্লাই দেয় এরকম সবচেয়ে বড় কোম্পানীতে। নাম বলতে চাচ্ছি না। যাই হোক তার এই কয়েক মাসের জবে সে বলল ঢাকা শহরে সব ডায়াগোনিষ্টিক সেন্টারের ইতিকথা।

রোগ নিয়ন্ত্রন যন্ত্রগুলো ওদের কোম্পানী বিনামুল্যে বিতরন করে বিভিন্ন ডাইগোনিষ্টিক সেন্টারে। এদের মূল ব্যবসা হল রিয়াজেন্ট। মেশিনের কথা যা বলল, বাইরে থেকে যেসব মেশিন রিজেক্ট হয়ে যায় সেগুলো এরা ইমপোর্ট করে নিয়ে আসে। তাছাড়া কি বিনামূল্যে মেশিন দেওয়া সম্ভব? আবার মেশিনগুলো মাসের কোন সময় না কোন সময় নষ্ট থাকে, এই সময়গুলোতে ল্যাব টেকনিশিয়ানরা নিজেদের মত বানিয়ে রিপোর্ট কম্পিউটারে প্রিন্ট দিয়ে দেয়। যার জন্য ল্যাব টেকনিশিয়ানদেরকে দেওয়া হয় হাজার হাজার টাকা ।

এবার আসা যাক রিয়াজেন্টের কথা। রিয়াজেন্ট হল এমন জিনিস যার সাথে পরিক্ষীত বস্তুর(যেমন: রক্ত) বিক্রিয়া ঘটিয়ে লেজারের মাধ্যমে রিপোর্ট দেওয়া হয়। এই রিয়াজেন্টগুলোর মেয়াদ উত্তির্ণ হয়ে যায় দ্রুত। তাই এই কোম্পানীগুলো ডাইগোনিষ্টিক সেন্টারের কাছে মেয়াদ উত্তীর্ণ রিয়াজেন্ট বিক্রি করে খুবই কম মূল্যে যা কিনা চালিয়ে দেবার জন্য ল্যাব এসিসটেন্টদের দেওয়া হয় হাজার হাজার টাকা আর ডাক্তারদের দেওয়া হয় লাখ লাখ টাকা। শরিষার ভিতরে ভূত। যা দিয়ে ভূত ছাড়াবে সেই নিজে ভূত হয়ে বসে আছে। এই ঘটনা ঢাকা শহরের পিজি থেকে শুরু করে..হলি ফ্যামিলি, ইবনে সিনা, ল্যাব এইডেও চলছে। ওর কাছ থেকে শুনার পর ঘটনা পরিষ্কার হল। কেন একই পরীক্ষা ৫ জায়গায় টেষ্ট করার পর সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না?

শেষে আমি জিজ্ঞাসা করলাম তাইলে কোন যায়গায় এখনও কিছুটা ভাল আছে । বলল এপোলো আর স্কয়ার। যারা টেস্টের জন্য গলা কেটে আগেই রুগী মেরে ফেলে ।

একটা সাধারন টেষ্টের যেখানে খরচ ১০০ টাকা ডাইগোনিষ্টিক সেন্টারগুলো নিচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা। যার এক অংশ চলে যাচ্ছে ডাক্তারদের ঠিকানায়। হায়রে বাংলাদেশ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সেক্টর যেখানে মানুষের মরা বাচা নিয়ে প্রশ্ন সেটাও চলে গেছে দূর্নীতির বাগিচায়। এ জন্যই কি আমাদের দেশের নেতা কর্মিরা জ্বর হলেও সিঙ্গাপুর দৌড় দেন?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: আমার জানামতে একমাত্র আইসিডিডিআরবি এবং এএফআইপি (সিএমএইচ) জার্মানীর রিএজেন্ট ব্যবহার করে।

বাকী রা ভারতীয় নিম্নমানের রিএজেন্ট ব্যবহার করে।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪০

মারছূছ বলেছেন: Ripon Canada নামের এক বড় ভাই জানালেন:
It is 100% and I saw it at Holy Family Hospital Lab too when I was working there as a software developer and I developed Fake Lab report by cristtal report where u can make reports putting the data manually only...They said me they will put the data after examining the reagent. Who is doing what who knows that?. I am sorry for developing that....

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫১

আম্মানসুরা বলেছেন: হায়রে!!!!
এহেন অবস্থায় আমরা কি করতে পারি????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

মারছূছ বলেছেন: এখন মনে হচ্ছে টেষ্ট ছাড়া হোমিওপ্যাথক অথবা হার্বালই ভাল......লল

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১৬

আলাপচারী বলেছেন: স্কয়ারের তৈরী ভুয়া রির্পোট আছে আমার কাছে। এ নিয়ে একটা লেখা দেখতে পাবেন আমার শীঘ্রই।

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪৫

এম এস সোহেল বলেছেন: এই বিষয়ে বলতে গেলে আপনার পোস্টের চেয়ে বিশাল বড় হয়ে যাবে।

তবে সব কিছুর মুলে ডাক্তার নহে,আবার খুব খারাপ কিছুর মুলে এই কিছু ডাক্তার দায়ি।

ঢাকা শহরের দু ধরণের ডায়াগনষ্টিক সেন্টার আছে।একটা হলো বিদেশগামী মানুষের মেডিকেল সার্টিফেকেটের জন্য আর অন্যটা হলো মানুষের সুস্থ্যতা বা রোগ নির্ধারণের জন্য।বিদেশগামী যাত্রীদের সনদ দেয়ার বিষয় যারা কাজ করছেন তাদের বিষয়টা মানুষের বাঁচা মরায় প্রভাব ফেলছেনা খুব একটা। তাই তাদের রিপোর্টের হেরফের কখনো কখনো কারো কারো জন্য সুবিধা নিয়ে আসে।
যেমন এইছবিএস পজেটিভ থাকলে কোন শ্রমিক মধ্যেপ্রাচ্যে যেতে পারেনা বা তাদের অযোগ্য ধরা হয়।এসব ক্ষেত্রে ডায়াগনষ্টিক গুলো কিছু অসাধু উপায়ে সনদ দেয় যা একজন শ্রমিকের জন্য বিদেশ যাওয়া সহজ হয়।এই ডায়ানষ্টিক গুলো সাধারণ রোগীর জন্য কাজ করেনা। তাই এদের ল্যবগুলোর গুনগতমানের দিকে নজর কম দেয়।

কিন্তু যারা সরাসরি রোগ নির্ণয়ে কাজ করে তাদের এমন অবহেলা মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।এই জায়গায় অনেক দুর্বলতা আছে সেটার জন্য দায়ী হলো ডাক্তারদের কমিশন। একটা ইনভেষ্টিগেশনে মোট বিলের থেকে ডাক্তারদের দিতে হয় ৫০ ভাগ টাকা।বাকি ৫০ ভাগ ক্লিনিকের জন্য থাকে । এর মধ্যে কিছু অসাধু ক্লিনিক মালিকগন আছে তারা আবার বেশি মুনাফার কথা চিন্তা করেও এমন করে থাকেন।

সব কিছুর পরে আমাদের স্বাস্থ্য খাতটাই সব চেয়ে বেশি অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

আলাপচারী বলেছেন: ভারতে গেলাম। অজস্র রিপোর্ট থেকে ছেনে ছেনে কয়েকটা আমার চোখের সামনে তুলে ধরলেন। বললেন, "একই রিপোর্ট আপনি ৬ বার ৬ টা করেছেন, কেন ? টাকা কি বেশী হয়ে গেছে ??"
আমি নিশ্চুপ, সত্যি বললে দেশের ডাক্তারের বদনাম হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.