নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Science without religion is lame, religion without science is blind.

মারছূছ

Humanity is on the march, earth itself is left behind Science without religion is lame, religion without science is blind. The sole meaning of life is to serve humanity

মারছূছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার প্রথম মুসলমান বোরহান উদ্দিন

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৯




হ্যা, বাংলার প্রথম মুসলমান বোরহান উদ্দিন। হয়ত তারই কোরবানীর বদৌলতে আজ আমরা মুসলমান। ১৩০০ সনের দিকের ঘটনা।গৌরগোবিন্দের রাজ্য। রা্জ্যে তখন গরু জবাই নিষিদ্ধ। নিরীহ মুসলমান বোরহান উদ্দিন নি:সন্তান। মানত করলেন সন্তান হলে গরু কুরবানী করবেন। আল্লাহ তায়ালা সন্তান দিলেন। মানত পুরা করার জন্য গরু কুরবানী দিলেন। কিন্তু জবাই নিষিদ্ধ হওয়ায় কিছু গোশত ভক্ষনের পর পুরোটাই মাটির নিচে চাপা দিয়ে দিলেন। কিন্তু একটা কাক গর্ত থেকে একটা হাড্ডি বের করে গৌর গোবিন্দের যাত্রাপথে ফেলে দিলেন। মনে হয় এটাই ছিল বাংলায় মুসলমান আবির্ভাবের পটভূমি। রাজা ক্ষিপ্ত হলেন বোরহান উদ্দিনের পরিবারকে ডেকে পাঠালেন। মা ও বাবার সামনে গরু হত্যার প্রতিবাদে বোরাহান উদ্দিনের শত সাধনার ধন একমাত্র সন্তানকে জবাই করে দেওয়া হল এবং বোরহান উদ্দিনের হাত কেটে দেওয়া হল।
বোরহান উদ্দিনের বিচার দেওয়ার যায়গা তখন আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে রইল না। মনের দু:খে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। যাই হোক এক পর্যায়ে শাহজালাল রহ: এর সাথে দেখা। তিনি দ্বীন প্রচারের জন্য ৩৬০ আউলিয়া সহ সফর করছিলেন। বোরহান উদ্দিনের কান্নায় তিনি সব বিস্তারিত শুনলেন এবং বললেন তবেত সিলেটেই প্রথম দ্বীন প্রচার করা দরকার অত:পর সিলেটের দিকেই রওনা করলেন।
সুরমা নদীর তীরে পৌঁছে দেখলেন এখানে কোনো নৌকা নেই।গৌরগোবিন্দ টের পেয়ে সব নৌকা সরায় নিছে। তিনি আল্লাহর কুদরতে তার জায়নামাজ বিছিয়ে দিয়ে সকলকে নিয়ে নদী পার হয়ে যান।
তাঁরা যখন সিলেটের চৌকি পরগনায় পৌঁছলেন, তখন গৌড়গোবিন্দের সৈন্যরা তাঁর প্রতি অগ্নিবাণ ছুঁড়তে লাগল। কিন্তু হযরত শাহজালাল (র.) তাঁর অলৌকিক ক্ষমতায় তা প্রতিহত করলেন, যা ফিরে গিয়ে গৌড়গোবিন্দের আস্তানায় অন্ধকার জালের সৃষ্টি করল। এ দৃশ্য দেখে সৈন্যরা ঘাবড়ে গেল। এ খবর শুনে বিচলিত হয়ে পড়লেন গৌড়গোবিন্দ নিজেও।
এরকম আর অনেকগুলো ঘটনা এবং অলৌকিক কুদরতের দ্বার সিলেট জয় হল, ধ্বনিত হল প্রথম আজান আর উড়া শুরু করল ইসলামের পতাকা। আর যার বদৌলতে আমরা মুসলমান।
বাংলার জমিনের অনেক ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে থাকলেও শাহজালাল রহ: এর ঘটনা স্থান পায় নি। যা প্রত্যেক মুসলমানের জানা দরকার। আজকে যারা বলে ইসলাম শুধু নামাজ রোজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তাদের নিকট প্রশ্ন ইয়ামেন থেকে যদি শাহজালাল রহ: হিজরত করে না আসতেন তবে হয়ত আমরা দ্বীন পেতাম না। আর একইভাবে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে মানুষ যতদিন পর্যন্ত হিজরত করতে থাকবে দ্বীনের প্রচার প্রসারও ততদিনিই টিকে থাকবে। দাওয়াত যেদিন বন্ধ হয়ে যাবে দ্বীনের প্রচার প্রসারও সেদিন থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।
এটাই ছিল বাংলার জমিনে মুসলমানদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
ছবি: সুরমা নদী
হ্যা, বাংলার প্রথম মুসলমান বোরহান উদ্দিন। হয়ত তারই কোরবানীর বদৌলতে আজ আমরা মুসলমান। ১৩০০ সনের দিকের ঘটনা।গৌরগোবিন্দের রাজ্য। রা্জ্যে তখন গরু জবাই নিষিদ্ধ। নিরীহ মুসলমান বোরহান উদ্দিন নি:সন্তান। মানত করলেন সন্তান হলে গরু কুরবানী করবেন। আল্লাহ তায়ালা সন্তান দিলেন। মানত পুরা করার জন্য গরু কুরবানী দিলেন। কিন্তু জবাই নিষিদ্ধ হওয়ায় কিছু গোশত ভক্ষনের পর পুরোটাই মাটির নিচে চাপা দিয়ে দিলেন। কিন্তু একটা কাক গর্ত থেকে একটা হাড্ডি বের করে গৌর গোবিন্দের যাত্রাপথে ফেলে দিলেন। মনে হয় এটাই ছিল বাংলায় মুসলমান আবির্ভাবের পটভূমি। রাজা ক্ষিপ্ত হলেন বোরহান উদ্দিনের পরিবারকে ডেকে পাঠালেন। মা ও বাবার সামনে গরু হত্যার প্রতিবাদে বোরাহান উদ্দিনের শত সাধনার ধন একমাত্র সন্তানকে জবাই করে দেওয়া হল এবং বোরহান উদ্দিনের হাত কেটে দেওয়া হল।
বোরহান উদ্দিনের বিচার দেওয়ার যায়গা তখন আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে রইল না। মনের দু:খে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। যাই হোক এক পর্যায়ে শাহজালাল রহ: এর সাথে দেখা। তিনি দ্বীন প্রচারের জন্য ৩৬০ আউলিয়া সহ সফর করছিলেন। বোরহান উদ্দিনের কান্নায় তিনি সব বিস্তারিত শুনলেন এবং বললেন তবেত সিলেটেই প্রথম দ্বীন প্রচার করা দরকার অত:পর সিলেটের দিকেই রওনা করলেন।
সুরমা নদীর তীরে পৌঁছে দেখলেন এখানে কোনো নৌকা নেই।গৌরগোবিন্দ টের পেয়ে সব নৌকা সরায় নিছে। তিনি আল্লাহর কুদরতে তার জায়নামাজ বিছিয়ে দিয়ে সকলকে নিয়ে নদী পার হয়ে যান।
তাঁরা যখন সিলেটের চৌকি পরগনায় পৌঁছলেন, তখন গৌড়গোবিন্দের সৈন্যরা তাঁর প্রতি অগ্নিবাণ ছুঁড়তে লাগল। কিন্তু হযরত শাহজালাল (র.) তাঁর অলৌকিক ক্ষমতায় তা প্রতিহত করলেন, যা ফিরে গিয়ে গৌড়গোবিন্দের আস্তানায় অন্ধকার জালের সৃষ্টি করল। এ দৃশ্য দেখে সৈন্যরা ঘাবড়ে গেল। এ খবর শুনে বিচলিত হয়ে পড়লেন গৌড়গোবিন্দ নিজেও।
এরকম আর অনেকগুলো ঘটনা এবং অলৌকিক কুদরতের দ্বার সিলেট জয় হল, ধ্বনিত হল প্রথম আজান আর উড়া শুরু করল ইসলামের পতাকা। আর যার বদৌলতে আমরা মুসলমান।
বাংলার জমিনের অনেক ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে থাকলেও শাহজালাল রহ: এর ঘটনা স্থান পায় নি। যা প্রত্যেক মুসলমানের জানা দরকার। আজকে যারা বলে ইসলাম শুধু নামাজ রোজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তাদের নিকট প্রশ্ন ইয়ামেন থেকে যদি শাহজালাল রহ: হিজরত করে না আসতেন তবে হয়ত আমরা দ্বীন পেতাম না। আর একইভাবে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে মানুষ যতদিন পর্যন্ত হিজরত করতে থাকবে দ্বীনের প্রচার প্রসারও ততদিনিই টিকে থাকবে। দাওয়াত যেদিন বন্ধ হয়ে যাবে দ্বীনের প্রচার প্রসারও সেদিন থেকে বন্ধ হয়ে যাবে।
এটাই ছিল বাংলার জমিনে মুসলমানদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
ছবি: সুরমা নদী

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

"সুরমা নদীর তীরে পৌঁছে দেখলেন এখানে কোনো নৌকা নেই।গৌরগোবিন্দ টের পেয়ে সব নৌকা সরায় নিছে। তিনি আল্লাহর কুদরতে তার জায়নামাজ বিছিয়ে দিয়ে সকলকে নিয়ে নদী পার হয়ে যান। "

-এটা ঘটা সম্ভব?

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৭

সাইদু১১ বলেছেন: হায়রে মুসলমান আজ আমরা তাসবির মধ্য ইসলাম খুজি

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

পুকু বলেছেন: আবার মারামারি শুরু কইরা দেন আর দেরী করেন কেন।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সূত্র উল্লেখ করলে ভালো হতো।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রথম মুসলিম বলাটা সঠিক নাও হতে পারে। কারণ, ইতিহাসে জানা যায়, হযরত উমর (রাঃ)-এর সময় বা তাঁর পরপরই ইসলামের দাওয়াত এই বাংলায় এসেছিল...

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: রাজা গৌরগোবিন্দের রাজ দরবার এখন সিলেটের কোথায় আছে ? ঘুরতে যাব তো তাই বাড়ী টা দেখে আসব।
জানালে উপকৃত হতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.