![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবশেষে আবিষ্কার করে লজ্জিত হলাম যে, আমি এখনো একটা নির্বোধ মন্দগ্রাহী নেতিবাচক এক সমালোচক।
গভীর রাত্রি পর্যন্ত কাজ করি এক সুপারমার্কেটে।
দুজন ২৫-২৬ বছর বয়েসী ক্রেতা সে আসে, রাত দিপ্রহরের দিকে। দেখতে মনে হয় না পয়সা’কড়ি খুব একটা আছে। বেছে বেছে তারা কেনে সব কমদামী পণ্য। 'বিদায় করতে পারলে বাঁচি' ধরনের একটা ব্যবহার করে আমি বিদায় করি তাদের।
একদিন, আমি খুব স্মৃতিবেদনাতুর হয়ে বসে ছিলাম। অনেক পুরানো স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে অকারণে চোখ ভিজে যাচ্ছিলো। প্রতিনীয়ত অতীত হয়ে যাওয়া সময়ের গওভরে হারিয়ে যাওয়া জীবন কোনঠাসা করে ফেলছিল আমাকে। চোখের পানি সামলে নিলেও চোখের রং লাল হয়ে যাচ্ছিল। ছেলে দুইটা ঢুকলো দোকানে, আমি গগসে চোখ ঢাকলাম। পয়সা পরিশোধ করে একটি ছেলে আমার হাত ধরে কিছু একটা বললো। কথা বলা শেষে মাথা থেকে বুক'এ ক্রস করলো, বুঝলাম তারা ইসা (আ'এর অনুসারী। বিদায় নিল তারা। কৌতুহলী মন জানতে চাইছিল কি বলে গেল সেই স্প্যানিশ যুবক'টি। লাইন'এর পিছনে দাড়িয়ে থাকা আরেকজন যা অনুবাদ করলেন তার মানে হলো 'পরাজয় মেনে নিয়ে নতি স্বীকার না করা পর্যন্ত তুমি পরাজিত নও। ঈশ্বর তোমার সাথে এখনো আছেন'। ততক্ষণে তারা রাতের অন্ধকারে হারিয়ে গিয়েছিল।
বেশ কিছুদিন পর আজ জানতে পারলাম তারা দুই ভাই একটি এতিমখানা চালায় ব্রাজিলে। পয়সা বেশি পাওয়া যায় বলে তারা রাতের শিফটের কাজ তারা বেছে নিয়েছে। ঘরে ফেরার আগে টুক-টাক বাজার করে। অনেক পয়সা লাগে এতিমখানা চালাতে, তাই বেছে বেছে সবচেয়ে কমদামী খাবার নিজেরা খায়। আর আমি ...
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: পরোপকার বা মানবতার সেবা ওসবের মধ্যে কখনো কোন বাঙালি পাবেননা!
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৬
তাজবীর আহােমদ খান বলেছেন: মানবতা