![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু জনাব আর বেগমের দাম্পত্য জীবনের শুরু থেকেই থাকে অনেক বৈষম্য, সে বৈষম্য নিয়ে চলতে থাকে সংসার। দ্বিধা আর দ্বন্দ্বের লালবাতিতে জীবন কখন থেমে যায় জানেনা দুজনের কেও। শত সহস্র অভিযোগের পাহাড়ের নীচে নিজেকে চাপা দিয়ে রেখে 'দুঃখ বিলাসের সুখ'। এভাবেই চলে বহুদিন। ভালোবাসাহীন সংসারে জন্ম নেয় সন্তান। সন্তান বড় হতে হতে শেখে 'শান্তি বিসর্জিত এক সমঝোতার নাম সংসার', যেখানে শুধুমাত্র প্রয়োজন মেটানো হয়। সন্তানের ভরণ-পোষণ আর জনাব/বেগমের মাঝরাত্রির সেই প্রয়োজন, হৃদয়ের অনুপস্থিতিতে দেহের প্রয়োজন। দুজনের গায়ের গন্ধ'ও অপরিচিত হয়ে যায় ততদিনে, তবুও আত্মা বিসর্জিত দেহ বিনিময়ের আদিম খেলা চলে অন্ধকারে। রাতের অন্ধকারের চাদর চিড়ে সেই দৃশ্য দেখে লজ্জিত ঈশ্বর'ও মুখ ফিরিয়ে নেয়। সন্তানেরাও তাই শেখে, কুশিক্ষা।
এভাবেই চলে বহুদিন, ততদিন যতদিন না তৃতীয় কেও আসে অন্য পরিপ্রেক্ষিত থেকে জীবনকে দেখাতে। জনাব/বেগমের বাঁচবার সাধ জাগে আবার। আকাশে উড়তে সাধ জাগে মানবের। কিন্তূ, ততদিনে জীবন ডানা মেলেছে বহুদূর। সেই ডানার নিচে ঠাঁই নেয়া অজস্র স্মৃতি, সমাজের বহু রীতি আর নিজের সমঝোতা দিয়ে জীবন পরিষ্কার করা ধুলা। নিজের আজন্ম ক্রীতদাস মন স্বাধীনতাকে ভয় করে। অবুঝ মন মেনে নিয়েছে গলায় দড়ি লাগিয়ে চলতে। বাকি জীবন দড়ির সাথে সাথে হাঁটার অভ্যাস নিজেকে কবে পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে নিজেও তা জানেনা।অদৃশ্য সেই দড়ির বাঁধন খোলেনা গলা থেকে; আজীবন এক নপুংসক ক্রীতদাসের জীবনে বাঁচি আমরা অনেকে।
আসলে বাঁচেনা তাদের কেও, মরে প্রতিদিন একটু একটু করে। তবুও বেলা শেষে একেই সংজ্ঞায়িত করা হয় 'জীবন' নামে। হায়রে মানব জীবন!
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: স্বাধীনতাকে ভয় না করে সমঝোতা(ডিভোর্স) করা দরকার। অবশ্য সন্তান নামের যে 'বন্ধন' তৈরি হয় তার কারণেও এই স্বাধীনতাকে ভয় লাগে...
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: হায়রে মানব জীবন!