নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উদ্ভট দুনিয়া....

আমি তোমার পথ চেয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবো, দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আমার পায়ে শিকড় গজাবে, আমার শাখা-প্রশাখা গজাবে, আমি বৃক্ষমানব হয়ে যাবো তবুও আমি অধৈর্য্য হবো না... ... ...

মো: মাসুদুর রাহ্‌মান

এই ব্লগের কোন লেখা লেখকের অনুমতি ব্যতিরেকে হুবহু অথবা আংশিক পরিবর্তন করে প্রকাশ করা নিষেধ। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন [email protected]

মো: মাসুদুর রাহ্‌মান › বিস্তারিত পোস্টঃ

৬টা ডিম আর ১টা গার্লফ্রেণ্ড!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

তখন বুয়েটে ভর্তি ফরম কিনতে এসেছিলাম। পেটে খুব খুধা। ক্যাফেতে এক বড়ভাইকে দেখলাম ডিম দিয়া ভাত খাইতেছে! সাথে এক আপু বসে বসে খাওয়া দেখতেছে। মনে হয় কোনদিন ডিম খায় নাই!



আমিও ডিম ভাত নিলাম। মনে মনে ভাবলাম বুয়েটে চান্স পেলে আমি একসাথে ৬টা ডিম খাব। একলা খাব। কাউরে দিব না। অবশ্য ৬টা ডিম খাওয়ার যৌক্তিকতা আছে। ৬টা গার্লফ্রেণ্ড হবে!



ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারে ডিমদুধের কথা মনে ছিল না। থার্ড ইয়ারে ডিম জল খেয়ে নামলাম গার্লফ্রেণ্ড খোজায়। একদম গরু খোজা!



মেডিকেলের একটা পাইলাম। দেখতে ভালই। অবশ্য দেখতে আমার চেয়ে বড় মনে হয়। মনে হয় ভাইবোন! ঐডারে নিয়া কিছু দিন কাটালাম। মেয়েটার একটা ভয়ংকর বদ অভ্যাস ছিল। যা দেখে তাই খাইতে চায়! গাছ পালা, পাথরের মূর্তি পর্যন্ত খেয়ে ফেলতে চায়! পেট কাটলে মনে হয় কিছু কনিকেল ফ্লাস্ক পাওয়া যাবে! ওই পাঠ চুকিয়ে ফেললাম।



এরপর প্রায় ডজনখানেক প্রেম করার সুযোগ হল। শেষটা এক বড়লোকের দুলালী। মারাত্নক বোকা! মেয়ের বাপ বড় ব্যাবসায়ী। একদিন দাওয়াত দিল বাসায়। নোংড়া টিশার্ট আর চটি স্যান্ডেল পড়ে গেলাম।



মেয়ের বাপের সাথে কথা হল। যত্ন করে বসতে দিল।

-কি নাম তোমার বাবা?

-কুদ্দুস।

-কই থাকো?

-ভিআইপি মেসে থাকি। (উপরে টিনশেড এই জন্য ভিআইপি!)

-বাহ্ খুল ভাল......।

-তোমার আব্বু কি করেন?

-তিনি কয়েকটা ফার্মের মালিক।

-বাহ্ দারুন তো.....! আগে খাওয়া দাওয়া, এরপর গল্প করবো।



খুশিতে অস্থির অবস্থা উনার। ভাবছে মাইয়া আমার আসল জায়গায় হিট করছে! শালা লোভী কোথাকার!



খাওয়ার টেবিলে গেলাম। দেখলাম সবই আছে। কিন্তু ডিম নাই! বললাম ডিম আমার চাই। সাথে সাথে ডিম সিদ্ধ হাজির!



খাওয়া দাওয়া বেশ তৃপ্তি নিয়া শেষ করলাম। ইশ কত্তদিন পর ডিম দিয়া কয়ডা ভাত খাইতে পারলাম। আংকেল আবার শুরু করলেন-

-আচ্ছা কুদ্দুস, তোমার বাপের ফার্মের নাম কি?

-কুদ্দুস এগ্রো ফার্ম।

-কিসের ফার্ম এটা?

-ধান আর পাটের।

-মানে! কই এটা?

-কেন আমাদের গ্রামে।

-হাউ ননসেন্স ইউ আর!

-কেন আঙ্কেল?

-বামন হইয়া চান্দের দিকে হাত বারাস!

-আংকেল যদি কিছু মনে না করেন একটা পার্সোনাল কথা জিগাই।

-কি বলতে চাও?

-আপনার কি হাই প্রেশার?

-একটু হাই। কিন্তু কেন?

-তাহলে আমার আপনার সাথে কথা বলা উচিত না।

-কেন?

-একজন দার্শনিকের নিষেধ।

-আমি কি দার্শনিকের নামটা জানতে পারি।

-পারেন........।

-কে সেই মহান ব্যক্তি?

-আমার বাবা।

-খামোশ বেয়াদপ!

-উনি একজন জনপ্রতিনিধি। অনেক বড় জনপ্রতিনিধি।

-কী উনি?

-ওয়ার্ড মেম্বার।

-চুপ ফকিরের বাচ্চা!



ভদ্রলোক রাগে গজগজ করতে করতে ভিতরে চলে গেলেন। ভিতরে গিয়ে মেয়েকে মনে হয় পিটুনী দিবে। কি মনে করে যেন ফিরে এলো। মনে হয় পর পুরুষের সামনে পিটুনী দিবে না।



এসে বলল-

-আচ্ছা কত টাকা হলে আমার মেয়েকে ভূলে যাবে?

-সত্তর টাকা।

-মাত্র সত্তর টাকা! কি করবি এত কম টাকা দিয়ে?

-২০ টাকা রিক্সাভাড়া। আর ৫০ টাকায় দেড় হালি ডিম.....।

-আমার মেয়ের প্রেমের দাম মাত্র ৭০ টাকা! ফাইজলামী করস? বেশি করে চা।

-দেন। ৭০ কোটি দেন।



মাথা চুলকাতে চুলকাতে ভিতরে গেল। একটু পরে সত্তর টাকা নিয়া ফিরে আসলো। আমার হাতে গুজে দিল। বলল,

-আবার যদি আমার মেয়ের সাথে দেখা করিস তাহলে তোর কান ছিড়ে ফেলবো।

-ঠিক আছে। আপনার মেয়ে যদি আমার সাথে দেখা করে তবে ৭০ টাকা করে জরিমানা হবে।



বাসা থেকে চলে আসলাম। বসলাম সেই চিরচেনা চন্দ্রিমা উদ্যানে। দেখি একজোড়া কোমল হাত আমার মাথায় অনুভব করলাম। না দেখে চিনে ফেললাম। এই হাত আমার চিরচেনা।



এক সপ্তাহ পর আবার ওর বাসায় গেলাম। ওর বাবার কাছে ৭০০ টাকা চাইলাম।

-৭০০ টাকা কেন?

-আপনার মেয়ে গত সপ্তাহে ১০ বার আমার সাথে দেখা করেছে।



টাকা নিয়ে বিদায় হলাম। অনেকগুলা ডিম কিনলাম। ডিম হলে সব হবে। ডিম থেকে বাচ্চা হয়। বাচ্চা থেকে মুরগী। এর পর আমার ডিম। চারপাশে শুধু ডিম আর ডিম। ডিমময় দুনিয়া। একটা কবিতা -



"হাট্টি মা টিম টিম

তারা মাঠে পাড়ে ডিম

তাদের খাড়া দুটি শিং

শুধু ডিম আর ডিম"



দীর্ঘ্যদিন দেখা হয় না। বাবা মনে হয় মেয়েকে আটকে রেখেছে। আজ আকাশে অনেক তারা। একটা চাদও আছে। তারাগুলো ছোট ছোট। কারণ আমাদের চেয়ে তারার দুরত্ব অনেক। দুরের জিনিস বড় হলেও ছোট দেখায়। চাদের আলোয় হাটছি। গন্তব্য জানি না......

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: ভাই হাসতে হাসতে শেষ, বেশ রোমান্টিক কাহিনী, তা ভাই এত দিনে কয়টা প্রেম পুরন হইল?

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

মশিকুর বলেছেন:
আপনারতো দেখি সব হালি আর ডজনে হিসাব। নতুন সংখ্যা পদ্ধতি আবিস্কার করেন... ৪, ১২, ১হালি, ২হালি, ১ডজন.. তয় বেশি কেরাবেরা করতে যাইয়েন না, জায়গা মত কট খাইলেও কিন্তু ডিমের ব্যবস্থা আছে।

গল্প হাসির.. +

চালাইয়া যান

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

বটের ফল বলেছেন: ;) ;) ;) |-) |-) |-)

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১১

ডরোথী সুমী বলেছেন: মশকরা করেন?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

মো: মাসুদুর রাহ্‌মান বলেছেন: মশকরার সম্পর্কের মানুষের সাথে তো মশকরাই করবো! না'কি?

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

তারছেড়া লিমন বলেছেন: বুঝলাম একদিন আপনিও ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;)

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: B-)

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাহ! একেবারেই অন্য রকমের একটা লেখা পড়লাম! খুবই ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫০

শুঁটকি মাছ বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.