নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাসুদ রানা

মাসুদ রানা*

মাসুদ রানা* › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে লেখা।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৭

আমি খুব বন্ধুপ্রিয় মানুষ। তাই ছোট বেলা থেকেই বন্ধুত্ব করার আগ্রহ ছিলো আমার। ভাগ্য গুনে আমি পেয়েছিলাম অনেক ভালো ভালো বন্ধু যাদের কথা আমার মনে পড়ে। প্রায়ই ওদের কথা ভেবে আমি খুব কস্ট পাই। প্রিয় বন্ধুদের খুবই মিস করি আমি। আমার সেই প্রিয় বন্ধুদের কয়েকজনের কথা আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম:



গিয়াসউদ্দিন: আমার খুব ছোট বেলার বন্ধু ও। একজনকে ছাড়া আরেকজন চলতেই পারতাম না তখন। লেখা পড়া, খেলাধুলা সব কিছুতেই ওর সাথে আমার প্রতিযোগিতা হতো। আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি, ফাইনাল পরিক্ষায় আমি আর ও সমান নম্বর পেয়েছিলাম। আমি খুব অবাক হয়েছিলাম সেদিন। আমার এই বন্ধুটির কথা আমার খুব মনে পড়ে। যদিও অনেকদিন দেখা নেই । এবার দেশে গেলে ওর খোঁজ করবো।



রানী: রানীও আমার খুব ছোট বেলার বন্ধু। ও আমার হাতের লেখার খুব ভক্ত ছিলো। আমরা একই স্যারের কাছে পড়তাম। স্যারের কাছে আমার প্রশংসা করতো ও। কিন্তু হঠাৎ করেই রানীকে আর খু্ঁজে পাইনি। কিন্তু ওর মায়াবী চেহারা এখনও চোখে ভাসে।





রফিক: রফিক আমার খুবই কাছের বন্ধু। আমার জীবনের অনেক সুখ-দুঃখের গল্প ওর সাথেই জড়িত। আমরা একে অপরকে ভালোবাসতাম খুবই। রফিকের সাথে আমার বন্ধুত্বের শুরু হয় আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। সেই থেকে আজও রফিক আর আমি আমাদের বন্ধুত্বকে বাঁচিয়ে রেখেছি একে অপরকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে।



সুজানা: সুজানা পত্রমিতালি জগতে আমার সব চাইতে প্রিয় নাম। আমার এই পত্রমিতালির বন্ধুটি আমাকে তার বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসার মধ্য দিয়ে প্রমান করেছিলো পত্রমিতালী জগতেও অনেক ভালো ভালো বন্ধু থাকে। প্রয়োজন শুধু ভালো মন দিয়ে খোঁজ করা। সুজানা ছিলো আমার বিপদের বন্ধু। আমি যখন বেশ কয়েকটা বেপার নিয়ে ব্যথিত ছিলাম ঠিক সেই মূহুর্তে সুজানা যেনো ছিলো আমার জন্যে মরুভূমির বুকে এক ফোটা বৃস্টি। সুজানাকে আমি কোনোদিনই ভুলতে পারবো না।





ওসলাম গণি: ওসলাম ছিলো আমার গানের ভক্ত। আমার গান শুনলে নাকি ওর খুব ভালো লাগতেো। খুব ভালো মনের বন্ধু ছিলো ও। সহজ সরল এই বন্ধুটিকে প্রায়ই মনে পড়ে।



কাজল: কাজল পত্রমিতালিতে আমার আরেক বন্ধু। খুবই আবেগপ্রবণ ছিলো ও। একবার আমার চিঠি পড়ে ওর মায়ের সামনেই কেঁদে ফেলেছিলো। মা যখন জানতে চাইলো তখন আর আমার কথা লুকোতে পারেনি। মেয়ের এই মনোভাব দেখে কাজলের আম্মু আমাকে ফোন করেছিলো। সেই থেকে কাজল আমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায়। কাজল আমাকে অনেক গুলি চিঠি দিয়েছিলো। আমার অনেক খোঁজ নিয়েছিলো ও। চিঠি পড়ে বুঝতে পারতাম ও আমাকে নিয়ে খুব চিন্তিত থাকতো। অবশ্য কাজলের সেই বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসার মূল্য দিতে পারি নি আমি। কাজল আমাকে ক্ষমা করেছে কিনা জানিনা। আজও কাজলের কথা আমার খুব মনে পড়ে।



মিল্টন: ময়মনসিংহের ছেলেটা। আমাকে খুব পছন্দ করতো। ওকে চিঠি লিখতাম প্রায়ই। আমার চিঠির উত্তর দিতো ও খুব তাড়াতাড়ি। আমাকে ও প্রায়ই বলতো আমি নাকি ওকে এমন তাড়াতাড়িই ভুলে যাবো। কারণ জানতে চাইতাম। ও বলতো গরিব বলে। আমি হাসতাম । মিল্টন, তোমার সাথে আমার যোগাযোগ নেই সত্য, কিন্তু তোমাকে আমি দেখো ঠিকই মনে রেখেছি।



আমার আরো বন্ধুদের মধ্যে অনলাইনের টুইন্কল, অধরা , বর্ষা অন্যতম। ওদের সাথে আমার পরিচয় হয় দেশীচ্যাট রুম থেকে। এখন অবশ্য তেমন কথা হয়না। তবে বেশ মনে আছে ওদের।





মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-১

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৭

সালাহউদ্দীন মুহম্মদ সুমন বলেছেন:
আপনার বন্ধুরা ভালো থাক এই কামনা করি।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫২

মাসুদ রানা* বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:২৮

সুরভিছায়া বলেছেন: বন্ধুদের কথায় নষ্টালজিক হয়ে পড়ি।ধন্যবাদ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

মাসুদ রানা* বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪৬

শুকলা দাস বলেছেন: শুভকামনা আপনার সকল বন্ধুকদেরকে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মাসুদ রানা* বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৯

মাসুদ রানা* বলেছেন: আমার সকল বন্ধুদের জন্যে দোআ করবেন। সবাই ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.