![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে কি লিখবো বুঝতে পারছিনা। একটা জিনিস বলতে ইচ্ছা করছে যে আমার ভুলে যাওয়ার রোগ আছে। কোন মানুষের সাথে কয়েকমাস দেখা সাক্ষাত না হলে আমি তাদের নাম ভুলে যাই। আরো বেশী সময় দেখা সাক্ষাত না হলে তাদের চেহারাও ভুলে যাই। আর আমি বই পড়তে ভালবাসি। বলতে গেলে আমি বুক আয়ডিক্টেড। এইতো ........
যেকোন পরিস্থিতিতে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয়া হিমুর কাছে কোন ব্যাপার না।শুধু একটু হেলান দেয়ার জায়গা দরকার। চট করে নদীটাকে বের করে আনে।চোখ বন্ধ না করেই নদীটাকে দেখতে পায়।নদীর ঠান্ডা জলে পা ভিজিয়ে বসে থাকে।ময়ুরাক্ষীর পাড়ে একটা পাকুড় গাছ।পাকুড় গাছটার ডালে বসে একটা ঘুঘু মাঝে মাঝেই বিষন্ন সুরে ডেকে যায়।সমস্ত চিত্রটা হিমুর কাছে এতটাই সাবলীল যে ঘুঘুর বিষন্ন ডাকে ওর চোখ ভিজে ওঠে।
হিমুর সাথে আমার একটা মিল আছে। সেটা হলো আমিও কোথাও বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতে পারি।তবে হিমুর মত আমার কোন নদী নেই।একটু চেষ্টা চরিত্র করলে একটা মুখ ভেসে ওঠে। একই মুখ প্রতিবারই আমার কাছে নতুন লাগে। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি।
আরে! গালের এই তিলটা তো আগে দেখিনি।
চুল এতদিন সোনালি দেখে আসছি। আজ একদম কালো।কলংকিনি নারীর চুলের মতই মিশমিশে কালো!
বেশীরভাগ সময়ই তার সাথে কোন কথা হয়না। আমি শুধু দেখে যাই।Like an omniscient narrator I can see every movement of that face. Even I can feel her every heartbeat.
ঝুম বৃষ্টিতে মেয়েটা ঘুরে ঘুরে ভিজছে, আমি পাশে হাটু ভেংগে বসে আছি।আমি ভিজছি না।ডান পায়ের নূপুরটা রিনরিনে আওয়াজ তুলে মেয়েটার খুশিতে হাসছে।বৃষ্টির ছল ছল শব্দ আর নূপুরের রিনরিনে আওয়াজ।আমি ঝিম ধরে অপার্থিব সে সংগীত শুনছি। আর মনে মনে বলছি,
'বাহ! ভালো তো!'
মাঝে মাঝে দুএকটা বাক্যবিনিময় হয়।তবে আমার অধিকাংশ কথার জবাবে সে কিছুই বলে না। মিটমিট করে হাসে।আর আমি মনে মনে বলি,
'বাহ, ভালো তো!'
'তোমার কানে দুল একটা কেন? আরেকটা কই? '
মেয়েটা চুপ করে হাসছে। জবাব নেই।
'প্রশ্নের উত্তরে হাসি কেন? গলা বসা?'
আবারো মিটিমিটি হাসি।নো জবাব।
'কথার পিঠে কথা বল না কেন? আমি কি রাস্তার মানুষ যে কথা বললে ইজ্জত যাবে?'
এবারও চুপ।তবে হাসি বন্ধ।
'কথা চালাচালি যদি বন্ধই হয় তবে আমি বিদায়। B দায়।'
'কানের দুল একটা হারানো গেছে। দুলজোড়া অতি প্রিয় বলে যেটা আছে সেটাই পড়েছি।'
'ও।'
এমন বাক্যবিনিময় যখন চলছে তখন কেউ একজন আমায় ডাকে। আমি শুনতে না পেলে গায়ে ধাক্কা দেয়।আমি বাস্তবে ফিরে আসি।আশেপাশে তাকিয়ে দেখি বিরক্তিকর সব চেহারা।একজন বিশ্রী ভংগিতে হাই তুলছে।পান খাওয়া নোংরা লাল দাঁত গুলো বেড়িয়ে পরেছে।আমি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছি। আরেকজন নাক ঝেড়ে পানজাবীর হাতাতেই মুছছে।দেখেই পেটের ভেতর মোচর দিয়ে ওঠে।আর ভাবি,
'ছিলাম সিংগাপুর, আসলাম ফরিদপুর! '
চট করে উঠে পরি।গা ঘিনঘিনে অবস্থায় আর থাকতে ইচ্ছা করছেনা।হাটতে হাটতে মেয়েটার কথা একটু ভাবি।আয়েশ করে শিশ দিতে দিতে এগিয়ে চলি।বেশিরভাগ সময় সুরটা উঠতে চায়না।
'তোমার আমার দেখা হবে ঐ পাড়ে বন্ধু ঐ পাড়ে ..
তোমার আমার দেখা হবে ঐ পাড়ে ....'
©somewhere in net ltd.