![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে কি লিখবো বুঝতে পারছিনা। একটা জিনিস বলতে ইচ্ছা করছে যে আমার ভুলে যাওয়ার রোগ আছে। কোন মানুষের সাথে কয়েকমাস দেখা সাক্ষাত না হলে আমি তাদের নাম ভুলে যাই। আরো বেশী সময় দেখা সাক্ষাত না হলে তাদের চেহারাও ভুলে যাই। আর আমি বই পড়তে ভালবাসি। বলতে গেলে আমি বুক আয়ডিক্টেড। এইতো ........
ছোটবেলায় কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতাম বড় হয়ে ডাক্তার হবো। কিন্তু মনে মনে চাইতাম পুলিশ হতে। না, তখনই আমার মাঝে দেশপ্রেম উতলে উঠে নি। পুলিশ হতে চাইতাম শুধু একটা কারনে, পিস্তলের জন্য। হাতে একটা পিস্তল থাকা মানে বিশাল কিছু। এটা দিয়ে সারা বিশ্ব জয় করা যাবে। সিনেমায় নায়কদের হাতে দেখে দেখে ওটা মহা আকাংখিত বস্তুতে পরিণত হয়েছিল।
মোঃপুর বয়েজে ক্লাস থ্রিতে যখন চান্স পেয়েছিলাম, তখন আমার স্যার খুশি হয়ে হাতে একশ টাকার নোট গুঁজে দিয়েছিলেন। আমি ও'তে ডাবল খুশি হয়ে এক দৌড়ে গলির মাথার স্টেশনারির দোকান থেকে ফাইভ স্টার পিস্তল কিনে আনলাম। পিস্তল হাতে পেয়ে নাওয়া নেই, খাওয়া নেই, সারাদিন লক্ষ্যবস্তু নিশানা করি। বাড়ির কার্নিশে বসে থাকা চড়ুইপাখি, নালার আশেপাশে পায়চারি করা কাক, দেয়ালে ঝুলতে থাকা টিকটিকি, অদূরে গ্যাঁজাতে থাকা ব্যাং; কিছুই রেহাই পায়নি।
আর ছিল সমবয়সীদের সাথে চোর পুলিশ খেলা। আমার হাতে পিস্তল ছিল। তারমানে আমি অবভিয়াসলি পুলিশ।
ছোটবেলায় যারা পুলিশ হতে চেয়েছে, তাদের প্রায় অর্ধেক বড় হয়েও পুলিশ হতে চেয়েছে। তবে এখন পিস্তলের লোভে নয়। বরং ঘুষের লোভে। এ সেক্টরে একবার ঢুকতে পারলে বড়ললোক হতে আর কি লাগে! হাবিলদার বা ইন্সপেক্টর যাই হোক না কেন, মূল বেতনের কয়েকগুণ তো এমনিতেই পকেটে চলে আসবে। ঘুষের জন্য দরবার করতে হবে না, স্রোতের পাংগাস হয়ে থাকতে পারলেই হলো! জীবনে আর ভাবনা নেই।
আমরা পুলিশের দূর্ণীতি দেখে মুখ খিচিয়ে গালি দেই। আবার পেপারে যখন পুলিশের দুঃখ ধান্দা নিয়ে রিপোর্ট ছাপায়, তখন হা হুতাশ করি। রিপোর্টার যখন ছাপায় যে কোন এক হাবিলদার বেতন কম থাকার কারনে বাচ্চার জন্য দুধ কিনতে পারেনি, তখন কফিমগ হাতে বসে থাকা পাঠক নিজেকে অপরাধী মনে করে। কফিতে চুমুক দিতে গিয়েও দেয় না।
আজ বাসায় ফেরার সময় বাস যখন গাবতলিতে, বাহিরে রোদ মাথায় বৃষ্টি। বাসে বসে ভাপসা গরমে ঘেমে উঠছি। পাশেই ছাতা মাথায় ট্রাফিক পুলিশটা লাঠি হাতে কাজ করে চলছে। গায়ে থাকা মোটা কাপরের প্যান্ট হাটু পর্যন্ত ভিজে উঠছে। প্যান্ট ভিজে উঠলেও গায়েই নিশ্চয়ই তা শুকাবে। হুট করে কোথাও গিয়ে তা বদলে আসতে পারবে না। আমার একটু কেমন কেমন লেগে উঠলো। কিন্তু মন কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারলো না। মন খারাপ করবে নাকি খুশি হবে। পুলিশের ব্যাপারে আমরা বেশিরভাগই সিদ্ধান্তে আসতে পারি না।
২| ৩১ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৮
মাসুম সোহাগ বলেছেন: পুলিশ নিশ্চয়ই কোন গালি না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:০৭
শিশির খান ১৪ বলেছেন: হুম তা খারপ বলেন নাই অনেক পুলিশ রে তো মসজিদে নামাজ পড়তে দেখি তারা ও নিশ্চই অন্য পুলিশ দের মতো না