নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তাসনিফ।

মাওলানা মাহবুবুর রহমান তাসনিফ

যে কোন সময় এখান থেকে চলে যেতে হবে।তাই মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য কাজ করুন।প্রস্তুতি নিন।

মাওলানা মাহবুবুর রহমান তাসনিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহিদ মিনার

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

একজন মুসলিম খুব বেশি অজ্ঞ না হলে সে মাজারে গিয়ে মান্নত করা, কবরওয়ালার কাছে কিছু চাওয়া যে শির্ক তা বুঝেন, কিন্তু সেই একই মুসলিম নামধারী শহিদ মিনার, স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি “জাতীয়” যতো শির্কের জায়গা আছে সেখানে যাওয়া, সেগুলোকে সম্মান করা, রাস্তার পাশে বা স্কুল কলেজের সামনে কয়েকটা খাম্বা দিয়ে শহিদ মিনার বানিয়ে ফুল দিয়ে তার সম্মান(পূজা) করা, চুপ করে বেকুবের মতো তার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে সম্মান প্রদর্শন করা যে শির্ক তা বুঝেন না। নিজেদেরকে মুসলিম বলে উনারা পরিচয় দেন অথচ শির্ক করে যে উনারা মুশরিক হয়ে গিয়েছেন সে ব্যাপারে উনাদের কোন বোধোদয় নেই। আল্লাহ্‌ হিদায়াত দান করুক এদের।

দুনিয়ার ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানুষ, মহান আল্লাহ্‌ সুবাহানাহু তায়ালার মনোনীত শ্রেষ্ঠ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেও সাহাবারা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) কখনো দাঁড়াতেন না। কেননা তারা জানতেন এভাবে সম্মান প্রদর্শনের জন্য দাঁড়ানোকে রসুলুল্লাহ(ﷺ) অপছন্দ করতেন এবং যারা এভাবে দাঁড়ানোকে পছন্দ করে তাদেরকে জাহান্নামের ধমকিও দেখিয়েছেন। ব্রিটিশদের ২০০ বছর ধরে শিখিয়ে দেয়া মানুষের সম্মানার্থে দাঁড়ানোর এই কথিত “কার্টেসি” থেকে আল্লাহ্‌ আমাদেরকে হিফাজত করুক এবং অতীতের ভুলের জন্য মাফ করুক। দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন একমাত্র আল্লাহ্‌ সুবাহানাহু তায়ালার জন্যই। এখানে কারো কোন অংশীদারিত্ব থাকতে পারে না।

হযরত মু’আবিয়া(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ(ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এতে আনন্দ বোধ করে যে, লোকজন তার সম্মানে মূর্তির ন্যায় দাঁড়িয়ে থাকুক, তার জন্য উচিৎ যে, সে জাহান্নামে তার বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নেয়।
(আবু দাউদ, তিরমিযী)

রসুলুল্লাহ(ﷺ) আরও বলেন, এক ব্যক্তি একটি মাছির কারণে জান্নাতে যাবে আর এক ব্যক্তি একটি মাছির কারণে জাহান্নামে যাবে। সাহাবারা(রাদিঃ) বললেন তা কীভাবে?

উত্তরে রসুলুল্লাহ(ﷺ) বললেন, এক কওমের একটি ভাষ্কর্য বা মূর্তি ছিল। ওটার পাশ দিয়ে যেই যেত সেই উক্ত ভাষ্কর্যে কোন কিছু উৎসর্গ না করে যেতে পারতো না। সেখান দিয়ে একবার দু’জন লোক যাচ্ছিল। তাদের একজনকে মূর্তিওয়ালারা বলল কিছু দান করে যাও। সে বলল, আমার কাছে দান করার মত কোন কিছুই নেই। তারা বলল একটি মাছি হলেও তোমাকে উৎসর্গ করতে হবে। সুতরাং সে একটি মাছি উৎসর্গ করল। তারা তার পথ ছেড়ে দিল। এভাবে সে জাহান্নামে প্রবেশের ফায়সালা নিশ্চিত করল।

এবার অপরজনকেও বলল, কিছু দান করে যাও । সে জবাবে বলল, আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে কোন কিছুই দান করব না। ফলে তারা তরবারী দিয়ে তার গর্দান উড়িয়ে দিল। কিন্তু সে জান্নাতের ফয়সালা লাভ করল।

(মুসনাদে আহমাদ:হাদিস নং ২২)

মাছিকে ফুল দিয়ে রিপ্লেস করে নিজেদের অবস্থা বিচার করুন। মহান আল্লাহ্‌ আমাদেরকে এইসব জঘন্য শির্কি কালচার থেকে হিফাজত করুন
সংগৃহীত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.