| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব সভ্যতা এখন বহুবিধ সংকটে জর্জরিত। আস্থার সংকট, অস্তিত্বের সংকট। ফিলিস্তিনি আরবদের ভুখণ্ডে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে ফিলিস্তানিরা নিজভূমে পরবাসী হয়ে আছে। অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে অনেকে বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এ শরণার্থীদের ঢল এখনো অব্যাহত আছে। গাজা উপত্যকা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জন্য নামমাত্র স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্রের সৃষ্টি হলেও ইসরাইলি বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনে এ অঞ্চলের আরব অধিবাসীরা মানবাধিকারবর্জিত নিত্য অস্তিত্বের সংকটে সম্মুখীন পলায়নপর এক জাতি। অধিকন্তু স্বায়ত্তশাসিত এ অঞ্চলে জোরপূর্বক আরবদের উচ্ছেদ করে ইহুদি বসতি স্থাপন করায় দলে দলে ফিলিস্তিনিরা শরণার্থী হয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার জাতিগত নির্মূল অভিযানের শিকার ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাংলাদেশে আশ্রয়ের ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য মানবিক সংকট। পরিকল্পিত হামলা ও গণহত্যার শিকার হয়ে ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে শরণার্থীর ঢল নামে। সিরিয়া ও আফগানিস্তানের যুদ্ধকবলিত এলাকা থেকে লাখ লাখ ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ নিরাপত্তা ও অভাবের তাড়নায় ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ নানা দেশে পাড়ি জমায়। ভূরাজনীতির শিকার যুদ্ধকবলিত দেশগুলোর নিরপরাধ দুর্দশাগ্রস্ত শরণার্থীরা নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে জেনেভা কনভেনশনের রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন দেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। আফগানিস্তানে তালেবানদের বিজয়ের পর প্লেনের চাকায় ঝুলে এক আফগানের পালানোর দৃশ্য মনে হলে এখনো শরীরে লোম শিহরিত হয়ে ওঠে। মানবসভ্যতার এই সঙ্কট কি সভ্যতার অন্তরেই নিহিত? এত মারণাস্ত্রের উৎপাদন, আমদানি ও রফতানির বহর তো আমাদের সভ্যতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের সামরিক খাতে ব্যয় শিক্ষার থেকে অনেক বেশি। অস্ত্র কারবারিদের নিশানা কি এই সভ্যতাকেই? গণহত্যা বলতে ঠিক কী বোঝায়, তা দেখা গেল ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে। প্রতিশোধজনিত হিংসা চরিতার্থ করতে এগোলো ইজরায়েল, আর আমেরিকা, ব্রিটেনসহ কিছু পশ্চিমি দেশ মদত জুগিয়ে গেল ইজরায়েলকে। একেবারে ব্যক্তি পর্যায়ের সম্পর্কের বাইরে এই যুদ্ধ একটি বৈশ্বিক সংকট হয়ে উঠেছে। ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী যে প্রভাব পড়েছে, এই যুদ্ধের প্রভাব তার চেয়ে অনেক বেশি সুদূরপ্রসারী হয়ে দেখা দিচ্ছে। ক'দিন আগে পড়া প্রখ্যাত লেখক জর্জ অরওয়েলের সাড়া জাগানো গ্রন্থ অ্যানিমেল ফার্মের (Animal Farm by George Orwell) তাৎপর্যপূর্ণ একটি উক্তির ভাবানুবাদ করলে এমন হতে পারে। ‘সকল পশুই সমান তবে কিছু পশু অন্যদের চেয়ে কিছু বেশি সমান’। এ বাক্যটি প্রতীকী বা রূপক। বাক্যটির অন্তর্নিহিত বক্তব্যটা যদি মনুষ্য সমাজের দিকে টেনে আনা হয়, তবে বলা যায়, সাধারণের চেয়ে কিছু ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টি অনেক বেশি সমান। অরওয়েল কথাটা সম্ভবত উপহাসোচ্ছলেই তাঁর লেখায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর ব্যাখ্যা হতে পারে, সমাজে সবার জন্য আইন-কানুন সমভাবে প্রযোজ্য হওয়াটাই নিয়ম।

২|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৯
মাজহার পিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। অবশ্যই করবো। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫০
বিজন রয় বলেছেন: অনেকগুলো পোস্ট দিয়েছেন।
১০টি।
আপনার লেখাগুলো ভালো।
আমিই আপনাকে প্রথম মন্তব্যকারী।
অন্যের ব্লগে মন্তব্য করুন।
তাহলে সবাই আপনাকে চিনবে।
ধন্যবাদ।