নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবনাকে লালন করি স্বদেশি হাওয়ায়

মাজহার পিন্টু

একজন মানুষ

মাজহার পিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুভব

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৫

কি চলছে এসব? কি হচ্ছে এসব?
মহান ভাষা শহীদ দিবস একুশের পথনাটক
অনুভব

আমাকে ক্ষমা করা দেবেন। আমি বোধহয় ভুল জায়গায় এসে গেছি। আমি বাংলাদেশের একজন সাধারণ মানুষ। এটা আমার জায়গা নয় এ সভা আমার নয় এ অনুষ্ঠান আমার নয়। একুশে ফেব্রুয়ারি কোনো বিতর্ক সভা দিবস নয় একুশে ফেব্রুয়ারি কোনো আনন্দ উৎসব নয়। ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়ে গেছেন যারা সংগ্রাম করেছেন তাদের স্মরণ করার দিন নিজেকে উপলব্ধি করার দিন। একুশ মানে ভালোবাসা, একুশ মানে স্বাধীকার আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ, একুশ মানে স্বার্থপরতাহীন রাজনীতি, একুশ মানে মমতাময় দেশের ছবি। একুশ মানে সাহস করে বাঁচতে শেখা, কিন্তু কি দেখছি আমরা? রাজনীতি আজ নির্বাসনে, চলছে অপরাজনীতি। দম্ভ, বড়াই আর ক্ষমতার লড়াই। চলছে লেজুড়বৃত্তি, বিকৃত সংস্কৃতি, কি চলছে এসব? কি হচ্ছে এসব?


চরিত্রলিপি ###########################################

উপস্থাপক.........................................................
স্থানীয় নেতা আক্কেল আলী.....................................
নেতা আদম আলী...............................................
ভাষা সৈনিক হাসান মোরশেদ.................................
ডিজিটাল সিলভানা সাকী শিল্পী...............................


মহান ভাষা শহীদ দিবস একুশের পথনাটক : অনুভব

একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে কোনো এক এলাকায় আয়োজিত বিশেষ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। কনসার্ট চলছে। মঞ্চে আসে উপস্থাপক। দর্শকদের সাথে অথিথিদের পরিচয় করিয়ে দেন।

উপস্থাপক : হাই ভিউয়ার্স। আমি মেন্টাল মজনু সবাইকে জানাই মহান একুশের সালাম শ্রদ্ধা শুভেচ্ছা। মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে এই ভাষা দিবসে আমরা আগরা নগর ক্লাব এক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এই অনুষ্ঠানটি লাইভ হচ্ছে সারা পৃথিবী জুড়ে। ইউএসএ থেকে লাইভে আছেন মদনা করিম, ইউকে থেকে লাইভে আছেন খদই মিয়া। ফেসবুকে নগদে লাইভ করছেন আমাদের সংগঠনের পেয়ারে ইয়ার মাননু ভাই। ইউটিউবের লিংকটা শিগগীরই পেয়ে যাবেন। জাস্ট ওয়েট। ইয়েস ভিউয়ার্স। আজকের এই একুশের অনুষ্ঠানের দুটি পর্ব প্রথম পর্বে থাকছে একুশ নিয়ে আলোচনা আর দ্বিতীয় পর্বে থাকছে ফাটাফাটি কালচারাল শো ইয়াহুহ্। তো এভরিবডি ওয়াচ অ্যান্ড সি। শুরু হচ্ছে প্রথম পর্ব। আজকের এই ভাষা দিবসে একজন ভাষা সৈনিক না থাকলে কেমন লাগে বলেন তাই আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি আমাদের এলাকার গর্ব। বড় ধামাকা। হ্যাঁ ভিউয়ার্স প্রথমেই মঞ্চে আসছেন অগ্নিঝরা সেই ভাষা আন্দোলনের অগ্নিযোদ্ধা বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক জনাব হাসান মোরশেদ। তার কাছ থেকে শুনবো সেদিনের সেই ব্যাড স্যাড সিচুয়েশনের কথা। আসুন স্যার আসুন। বস চালু কইরা। বক্তিমা কিন্তু অনেক।
উপস্থাপক এগিয়ে যায়। হাসান সাহেব মঞ্চে আসেন।
হাসান মোরশেদ : সবাইকে জানাই আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। বয়স হয়ে গেছে শরীর আর চলে না তারপরও আপনাদের সাথে একাত্ম হতে আসা। আজ এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করছি। একুশে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ তে কি হয়েছিলো কেন হয়েছিলো মনে হয় সবারই জানা। নতুন করে কি বলবো। চোখের সামনে আজো ভেসে ওঠে সংগ্রামী সেদিনের সেই রাজপথের অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের ছবি। এত দিন পরও এতটুকু মলিন হয়নি সেই স্মৃতি। মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা। মা গো তোমার কোলে তোমার বোলে কতই শান্তি ভালোবাসা। এই ভাষা নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি। এ ভাষা লড়াই করে ছিনিয়ে আনা। ভালো লাগছে আমার, আমি গর্ব বোধ করছি যে আজকের প্রজন্ম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে সেদিনের ভাষা সৈনিকদের। আমি অনেক কথা বলতে চাই না। আমিও আপনাদের সবার সাথে স্মরণ করতে চাই সেদিনের সেই উত্তাল দিনগুলোর কথা। আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছি এখন নতুন প্রজন্মের দায়িত্ব তাকে রক্ষা করা। সবাই ভালো থাকবেন।
হাততালি। হাসান মোরশেদ হাত নেড়ে গিয়ে চেয়ারে বসেন।
উপস্থাপক : থ্যাংকু মিস্টার হাসান আমাদের এখানে আসার জন্য। ওক্কে ভিউয়ার্স। মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে আগরা নগর ক্লাবের বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে এবারে আপনাদের সামনে আসছেন আজকের অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট নেতা স্বাধীনচেতা বিশিষ্ট শিল্পপতি উর্দ্ধগতি গান্ডু মিয়ার বড় ভাই দেশদরদী কোমলমতি বিশিষ্ট সমাজসেবক লোহা রাশির জাতক খাতক ঘাতক হুররে পার্টির প্রাণপুরুষ আক্কেল আলী দফাদার ওরফে মাখন আলী। আমাদের প্রিয় মাখন ভাই। আসেন লিডার আসেন।
হাততালি। বিরাট একটা হাসি ঝুলিয়ে আসেন আক্কেল।
আক্কেল আলী : আইসা পড়ছি। আসতেই হবে। আপনেরা মানে জনগণ যেইখানে আছে আমি সইখানে না আইসা পারি? আমি অধম আপনাদের এই সমাজের একজন সেবক। বড়ই সৌন্দর্য বড়ই সুন্দর। বড় জাক্কাস অনুষ্ঠান। ঝালাক দিখলা যা। একবার আ জা আ জা আ জা। বাজা ঢোল বাজা। ভাইসব, যেখানেই সমাজ সেখানেই সেবার দরকার কি বলেন আপনেরা? ঠিক কথা কিনা? ঠিক। কিন্তু এই সেবা কে করে? কয়জন মানুষ সমাজের সেবা করে? কিন্তু আমি করি। আমি তো করে যাবো মরে যাবো রেখে যাবো সবই। দুঃখ হইলো আমি যে কি মাল এইটা আমার অপজিট পার্টি চিনলো না। বুঝলো না। আমার অপজিট পার্টি খালি গলাবাজি কইরা দিন পার করল। আমার বদনাম করা ছাড়া অগো ঝুলিতে আর কিছু নাই। ভাইসব, আজকে এত যে উন্নতি এত আনন্দ এত ফুর্তি, এত তামশা আহহা পেয়ার ভারে সাজনা, সরকারি খাজনা মজাদার বাজনা কার জন্য বলেন? কার জন্য? আমার। আমি আক্কেল আলী দফাদার ওরফে মাখন আলী। ভাই এবং বোনেরা সকল জনগণ আপনেরা আমার পিছনে থাকবেন দেখবেন আমি কি করি। আপনাদের সব হবে, সব হবে। একুশ হবে বাইশ হবে তেইশ হবে। পুরা মাস হবে। শহীদে শহীদে সয়লাব হয়ে যাবে দেশ। আমার নেতৃত্বে প্রয়োজনে ভাইসব আরেকটা ভাষা আন্দোলন হবে। ভাষা কাকে বলে আমি শিখায়ে ছেড়ে দেব। যাক আর কথা বাড়াইতে চাই না। একুশে ফেব্রুয়ারি সবার ঘরে ঘরে হোক। আগামী কামিং ইলেকশনে ওয়াদা করতাছি আপনারা আমার সাথে থাকলে আমি সারা বছর একুশ পালন করবো। এই একুশ দিয়েই আমরা ঘায়েল করবো আমাদের অপজিশনকে। এই অমর একুশ দিয়েই জনগণকে সুখে শান্তিতে ভরপুর করে দেবো ইয়েস ইয়েস।
হাততালি। আক্কেল গিয়ে চেয়ারে বসে।
উপস্থাপক : মাই ভিউয়ার্স, আহা আংকেলের কথা শুনে বড় কষ্ট লাগলো। আহা কি সংগ্রাম ছিলো। আহা আহা। তো গাইস, মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে আগরা নগর ক্লাবের বিশেষ বিশেষ কালচারাল প্রোগ্রামের আলোচনায় এবারে আমাদের মাঝে আসছেন বিশিষ্ট নেতা জনদরদী সমাজচেতা সমাজসেবক বাটখারা পার্টির প্রাণপুরুষ প্রতিবাদের অগ্রযোদ্ধা উচ্চনাদের কন্ঠস্বর কংস রাজার বংশধর সংগ্রামের প্রতীক র রা রাজপথের লড়াকু সৈনিক ইনকাম দৈনিক হেভিওয়েট লিডার আদম আলী বাজনাদার ওরফে বারুদ আলী খান। আসেন আসেন লিডার আসেন।
গম্ভীর মুখে আসেন আদম। চারদিকে দেখেন। এরপর হাসি দিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে।
আদম আলী : আইসা পড়ছি। সবসময়েই আসতে চাই কিন্তু আসতে বইলা যদি রাস্তা বন্ধ কইরা দেন তাইলে আসুম কেমনে? কথা তো সেইখানে, কথা কইলে তো কইবেন বদরের চাচা খারাপ। খালি মন্দ কথা কয়। কি কমু কন। আমার প্রিয় ভাই, আমার বন্ধু অপজিট পার্টির নেতা আক্কেল আলী যা কইলো তো তারপর আর কোনো কথা থাকে? কন? থাকে। সব কথা তো উনিই বইলা দিছেন। কিন্তু এখন যদি আমি উত্তর না দেই তাইলে ওই নেতাই আমারে কইবো এই যে দেখছেন কি কইছিলাম? জবাব নাই জবাব নাই। তার মানে উনি যা বলছে সব সত্য কথা এর মধ্যে কোনো ভুল নাই। আপনেরা হয়তো কইবেন আমি কথা দিয়া কথা রাখি না। আরে ভাইসব, জগতের যত উন্নতি সব খালি উনারাই সারছেন। আর কেউ কিছু করে নাই। কি,বুঝলেন কিনা, উনারা শিয়াল পন্ডিত আর বাকী সব কুমিরের ছানা। শালার রাজনীতি কারে কয় আমি দেখাইয়া দিতাম কিন্তু আজকার জবান, একুশে ফেরবুয়ারি তাই কিছু খোলাসা করলাম না। সত্য কথা চাইপা গেলাম। কিন্তু যখন বলবো তখন এই আমি আদম আলী দফাদার কথা দিলাম, আরেকটা একুশ বানাইয়া দিব।
আক্কেল রেগে যায়।
আক্কেল আলী : আরে হ, তুই করবি আমার কচু। কত দেখলাম তরমতন। হুহ্ নেতা-
আদমও রেগে যায়।
আদম আলী : আরে ব্যাটা আক্কেল, ব্যাক্কলের মতন কথা কইস না। কচু খাবি না আলু খাবি সময়মত টের পাবি। দুইটাই রেডি থাকবে তোমাদের জন্য। রাজনীতি কারে কয় দেখায় দিবো। আইজ আমি কোনো রাগ দেখাইতে চাই না। কিন্তু আসল কথা আমি ঠিকই-
আদম মারতে আসে।
আক্কেল আলী : আরে ব্যাটা আদম, তুই আদম না জানোয়ার? যা যা তর মত নেতা আমার দেখা আছে। তুই রাজনীতি করস কোন দুঃখে। আরে ব্যাটা একুশের তুই কি বোঝস রে। খালি একুশ একুশ-
দুজনে হাতাহাতি শুরু হয়। উপস্থাপক থামানোর চেষ্টা করে।
উপস্থাপক : ভাই আপনেরা থামেন, বস। কুল কুল। ইজ্জত তো পাংচার হইয়া যাইব ওস্তাদ। লিডার লিডার-
আদম আলী : যা একুশে ফেরবুয়ারি দেইখা ছাইড়া দিলাম। নাইলে এই ভাষা দিয়াই তরে
আইজ কাইত করতাম। আরে বাটপারের বাটপার, তুই চিনস নাই আমারে আমি কত বড় ভাষা সৈনিক।
আক্কেল মারতে যায়।
আক্কেল আলী : এহ্ আমার ভাষা সৈনিক রে। ভাষা বলতে জানস তো খালি গালাগালি। নোংরা কোথাকার। ইতর।
রুখে ওঠে আদম।
আদম আলী : কি? ওই মাউট্টার পো, কি কইলি? আয় আয়-
দুজনে হাতাহাতি শুরু হয়। উপস্থাপক থামানোর চেষ্টা করে।
উপস্থাপক : ভাই ছাইড়া দেন। অইছে এইবার ক্ষান্ত দেন।
কিছু বলতে গিয়েও আক্কেল নিজেকে সামলে নেয়।
আদম আলী : আইজ ২১ তারিখ উৎসব দেইখা তরে ছাইড়া দিলাম যা।
আক্কেল আলী : আরে যা যা তর মতন বাটপার বহুত দেখছি। তুই জানসনি একুশ তারিখ কি হইছিলো? তর বাপে নি কইতে পারবো।
কিছু বলতে গিয়েও আদম নিজেকে সামলে নেয়। উপস্থাপক দুজনকে শান্ত করে বসায়।
উপস্থাপক : তো ভিউয়ার্স আমাদের প্রথম পর্ব আলোচনা অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে শেষ হলো এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে। মহান ভাষা দিবস উপলক্ষে এবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে আগরা নগর কালচারাল গ্রুপ। প্রথমে ডান্স নিয়ে আসছে সিলভানা সাকী।
মঞ্চে আসে উদ্ভট পোষাক পরা সিলভানা। উদ্ভট হিন্দি গানের সাথে শুরু হয় নাচ। দর্শকও নাচে। নেতা দুজনও নাচে। ভাষা সৈনিক হাসান মোরশেদ মঞ্চে উঠে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউ তার কথা শোনে না। চিৎকার করে ওঠেন হাসান মোরশেদ। সবাই নিরব হয়ে যায়।
হাসান মোরশেদ : আমাকে ক্ষমা করা দেবেন। আমি বোধহয় ভুল জায়গায় এসে গেছি। এটা আমার জায়গা নয়, এ সভা আমার নয় এ অনুষ্ঠান আমার নয়। একুশে ফেব্রুয়ারি কোনো বিতর্ক সভা দিবস নয়, কোনো রাজনৈতিক নোংরামী নয়। একুশে ফেব্রুয়ারি কোনো আনন্দ উৎসব নয়। ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়ে গেছেন যারা সংগ্রাম করেছেন তাদের স্মরণ করার দিন, নিজেকে উপলব্ধি করার দিন। একুশ মানে ভালোবাসা, একুশ মানে স্বাধীকার আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ, একুশ মানে স্বার্থপরতাহীন রাজনীতি, একুশ মানে আমার সংস্কৃতি। একুশ মানে মমতাময় দেশের ছবি। একুশ মানে সাহস করে বাঁচতে শেখা, কিন্তু আজ? কি দেখছি আমরা? রাজনীতি আজ নির্বাসনে, চলছে অপরাজনীতির খেলা। দম্ভ, বড়াই আর ক্ষমতার লড়াই। চলছে লেজুড়বৃত্তি, বিকৃত সংস্কৃতির উৎসব। আমি ভেবেছিলাম একুশে ফ্রেবুয়ারি কী এবং কেন, সবাই জানে। কিন্তু কোথায়? কারো মনে নেই। কেউ মনে রাখে না। কিন্তু... এমন তো হবার কথা ছিলো না। হায়, কি চলছে এসব? কি হচ্ছে এসব? আমরা কোথায় চলেছি?
সবাই নিরব।
হাসান মোরশেদ মঞ্চ থেকে নেমে চলে যান।

কোরাস : আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।


শেষ হইয়াও হইলো না শেষ.........................



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.