নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবনাকে লালন করি স্বদেশি হাওয়ায়

মাজহার পিন্টু

একজন মানুষ

মাজহার পিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভোগের পেয়ালায় ডুবে থাকা এক সভ্যতা

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

ফাগুন এলেই নগরের মিলনায়তনগুলোতে কৃত্রিম ঝলমলে আলোয় রাতভর চলে বসন্ত বিলাসের বিকৃত মহড়া। কৃত্রিম আলোয় ঝলসানো দামি হোটেল, মোটেল রিসোর্টি ভোগের পেয়ালায় ডুবে থাকা এক সভ্যতার দ্রুত বিস্তার ঘটছে। যেখানে বসন্তের সৌন্দর্য শুধুই বইয়ের পাতায় লেখা ইতিহাস। ঋতুর বৈচিত্র্য তাই নগরের কৃত্রিম আলোয় মঞ্চে ফুটিয়ে তোলা নস্টালজিক চিত্রকল্প ছাড়া কিছুই নয়। বসন্তের রূপ-রস-গন্ধহীন প্রজন্ম আর লিখতে পারে না বন উদাসী বাতাসের গল্প, কবিতা কিংবা ছন্দ। তাই বসন্ত আজ শুধুই নজরুল আর রবিঠাকুরের কবিতায় কিংবা গানে বেঁচে আছে। বসন্তের প্রসঙ্গ এলেই ইউটিউবে জুড়ে দিই মুখস্ত গানগুলো। অবশ্য, ফাগুন এলেই কারো কারো মনে পড়ে যায় শিমুল, পলাশ কিংবা কৃষ্ণচুড়ার লালে লালে হাওয়া আকাশের কথা। মনে পড়ে ভাষার মাস, ভাষা শহিদদের কথা। ফুলে ফুলে ভরে ওঠা শহিদ মিনারের কথা। আজও সেই চিরচেনা চিত্র রয়ে গেছে। আজও শহিদ মিনার ভরে ওঠে ফুলের স্তূপে স্তূপে। তবে সেই ফুলগুলো নিজের হাতে পরম যত্বে তৈরি করা কোনো বাগান থেকে আর আসে না। আসে বাণিজ্যিক চাষের ফুলবাগান থেকে। যেখানে আগুন ছড়ানো পহেলা ফাগুনের মন রাঙানো অনুভূতি নেই। থাকে না ভালোবাসা দিবসের আবেগ। কেননা, ফুল এখন শুধুই বাণিজ্যিক পণ্য। ফুলেল ভালোবাসা এখন শুধুই করপোরেট বিশ্বের স্বার্থপর কৃত্রিমতা। তবে কখনও কখনও বদলে যাওয়া চিরচেনা বসন্তের খররোদে নস্টালজিক হয়ে আমরা গেয়ে উঠি, ‘প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস/ তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ’। সব সর্বনাশের অন্ধকার থেকে শান্তির পথে যাত্রাই হোক আজ আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতি। সেজন্য আজ দাঁড়াতে হবে বিশুদ্ধ প্রকৃতির পাশে। কারণ প্রকৃতি কখনও নিরাশ করে না। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায়, ‘প্রকৃতি তার নিজের ভক্তদের যা দেন, তা অতি অমূল্য দান। অনেক দিন ধরিয়া প্রকৃতির সেবা না করিলে সে দান মেলে না’।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.