![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব সভ্যতা বিকাশের এ পর্যায়ে এসে মানুষের মানবতাবোধ আজ উধাও। নরপশুদের হিংস্রতা আজ ভয়াবহ। নরপশুদের ভয়াবহ কর্মকান্ডে মানুষ আজ দিশাহারা। ভুলে গেছে প্রতিবাদের ভাষাও। প্রতিবাদহীন মানবতাবোধ দেশ ও জাতির ধ্বংসের কারণ। সত্য ও মিথ্যার মাঝে যদি স্বার্থ, অন্ধ দলবাজি ও মানবতার মৃত্যু হয় তবে সেখানে মিথ্যাই জয়ী হবে। সত্যকে সত্য ন্যায়কে ন্যায় এবং মিথ্যাকে মিথ্যা আর অন্যায়কে অন্যায় বলার মত সাহসী লোক যে দেশে বা যে সমাজে নিরব সে দেশ ও সমাজের অধ:পতন ঘটবেই। যারা আজ অপরাধী তারা আজ সংঘবদ্ধ। নিজেকে বাঁচাবার জন্য নিজের অন্যায় অপকর্মকে আড়াল করার জন্য নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে প্রমাণ করতে রাজনৈতিক ও সামাজিক বন্ধন শক্ত করতে ব্যস্ত। আর যাদের এসব দেখার কথা তারা আজ দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা কর্মচারী জনপ্রতিনিধি নাম ভাঙিয়ে নিজেদের স্বার্থ ও অনৈতিক কাজে ব্যস্ত। ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় যারা একনিষ্ঠ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে মানবসভ্যতার সকল অর্জনই ব্যর্থ হবে। করোনা নামক ভাইরাস কিভাবে গিলে খেয়েছে পৃথিবীকে। এটি মানবসৃষ্ট এবং নিয়ন্ত্রিত একটি ভাইরাস। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ভাইরাস আর দেখা যায়নি। বিশ্ব মোড়লদের এটি একটি ডিজিটাল প্রজেক্ট। ভাইরাস ওয়ার। তাইতো এর নতুন নতুন পাখা গজায়। পৃথিবী এখন মানবসৃষ্ট দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের চাইতেও বহুগুণ বেশি মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। এ সমস্যা উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। প্রকৃতির শিকার হতে হবে পরবর্তী প্রজন্মকে। অপরিকল্পিত নগরায়ণে বাড়ছে আবাসিক সমস্যা, জলাধারগুলো ভরাট হয়ে গেছে, খালগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। নেই সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ। অপরিকল্পিত শিল্পায়ণে বায়ু ও পানি দূষিত হচ্ছে। শব্দদূষণে তৈরি হচ্ছে মানুষের শারিরীক ও মানসিক নানা রোগ। বিষাক্ত ধোঁয়া ও শিল্পবর্জ্যের কারণে মাটি তার গুনাগুণ হারাচ্ছে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে গাছ কাটছে অথচ সেই পরিমাণ গাছ লাগায়নি।বন উজাড় করায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাড়ছে। পাহাড় কাটা হচ্ছে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। বাড়ছে খরা, ঘটছে মরুকরণ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষিতে। স্বার্থ ও আধিপত্যের লড়াইয়ের ফলে তৈরি হচ্ছে উদ্বাস্তু সমস্যা। ক্ষমতলোভী ও স্বার্থপর মানুষের খেয়ালখুশির খেসারত দিচ্ছে লক্ষ কোটি মানুষ। নতুন নতুন প্রযুক্তি মানুষের জীবনযাপনকে সহজ ও উপভোগ্য করেছে। টিভি মোবাইল কম্পিউটারের মত লাভজনক পণ্যের ব্যবসা দুনিয়াব্যাপি বিস্তৃত কিন্তু এগুলোর তেজষ্ক্রিয়তা বা ইলেকট্রিক বর্জ্যের মাধ্যমে যে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে তার ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেউ ভাবছে না। পারমনবিক অস্ত্রের ফল হিরোশিমা নাগাসাকি ফুকোশিমা চেরনোবিলের ভয়াবহ ক্ষতি বিশ্ববাসি দেখেছে। ১৯৪৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এ পর্যন্ত চালানো আড়াই হাজার পরীক্ষার মধ্যে ১৪৬৬টি মাটির গভীরে ৪২৯টি বায়ুমন্ডলে এবং ১৬টি গভীর সমুদ্রের তলদেশে। আজ মানবসৃষ্ট ভুমিকম্পে কাঁপছে পৃথিবী। আজ পৃথিবী ও মানবজাতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অথচ আমরা নিশ্চিন্তে ফুটবল খেলি সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে। দোদুল্যমান পৃথিবী দোদুল্যমান জীবনের হিসেব নিকেশ। মাবধান পৃথিবীর অভিমান বাড়ছে। পৃথিবীও প্রতিশোধ নিতে জানে।
©somewhere in net ltd.