নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"মরুর পাখি\" এর দ্বিতীয় ব্লগ \"জুলকার নাঈন\"। \"মরুর পাখি\" -ই- \"জুলকার নাঈন\"।

মোঃ জুলকার নাঈন

ভাল আছি ভাল থেকো- আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ। [email protected]

মোঃ জুলকার নাঈন › বিস্তারিত পোস্টঃ

"মায়ের পোলা" নাকি "বাপের বেটা"-কারে করবেন বিয়া???

১৬ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৬

মেয়ে শিশু মায়ের সাথে বেশি সময় কাটাবে, লালন/পালন করবে, যত্নশীল হবে এবং তার ভেতর ফেমিনিন বৈশিষ্ট্য প্রস্ফুটিত হবে; অন্যদিকে ছেলে শিশু ছোটবেলা থেকে বাবার সাথে ঘুরবে শিকার করবে, জ্বালানী সংগ্রহ করবে এবং পরিবারকে সরবরাহ করবে এই ছিল আমাদের মানবজাতির আদিম জেনেটিক ড্রাইভ। স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠা মেয়েদের ভেতর মাসকুলিন বৈশিষ্ট্য এবং ছেলেদের ভেতর ফেমিনিন বৈশিষ্ট্য মূলত সাপ্রেসড থাকে। মাসকুলিন বা পুরুষের বৈশিষ্ট্য হল সংসারে সরবারহ করা, স্পষ্টবাদীতা, যুক্তিনির্ভর হওয়া, সংকল্পবদ্ধতা, নেতৃত্ব দেয়া এবং প্রটেক্ট করা। ফেমিনিন বা নারীদের বৈশিষ্ট হল গ্রহন করা ও কৃতজ্ঞ হওয়া, সযত্নে লালন-পালন করা, অনুভুতি প্রবন ও সহানুভুতিশীল হওয়া, স্পষ্টরূপে ভাব প্রকাশ করা ইত্যাদি। এই বৈশিষ্ট্যগুলি পুরুষ ও এবং নারীর ভেতরে জেনেটিক্যলি ইমবেডেড।
এখন--ধরুন আপনি একজন ইনসিকুর মা কারন আপনার মা/বাবা আপনাকে শিশু অবস্থায় যথেষ্ট ইমোশনাল নীড (আদর/ভালবাসা) এবং প্রয়োজনীয় বস্তুগত জিনিস সরবরাহ করতে ব্যার্থ হয়েছে অথবা আপনি ছোটবেলায় বুলিং এর শিকার হয়েছেন। আপনি এতটাই ইনসিকুর যে আপনার স্বামীকেও অবিশ্বাস করেন এবং নিয়ন্ত্রন করতে যেয়ে ব্যার্থ হয়েছেন। এমন মায়ের ঘরে যে ছেলে শিশুটি জন্ম নিল, তাকে কেন্দ্র করেই সেই ইনসিকুর মা বাঁচতে চাইবে। এটা এমন একটা বিষয় যে, সে হারানোর ভয় থেকে তিলে তিলে অতিরিক্ত ভালবাসা দিয়ে ছেলেকে শুধু তার সাথেই কো-ডিপেন্ডেন্ট করে রাখেন, ছেলেকে তিনিই শুধু সার্ব করেন, বিনিময়ে ছেলে সকাল-বিকেল এনসিয়র করে যে মাকে ছেড়ে সে কোথাও যাবে না। এর ব্যত্যয় ঘটলে--মা ছেলেটিকে সাময়িক ভাবে এবানডোন করেন। শিশু ছেলেটি তার মায়ের সাথে এটাচমেন্ট ডেভেলপ করতে যেয়ে মাসকুলিন বৈশিষ্ট্যর পুরুষ হিসেবে উঠতে পারে না। এভাবেই শিশু ছেলেটি দিনে দিনে "মায়ের পোলা" হয়। কোনভাবেই অন্যকেউ যে ছেলেটার প্রয়োজন মেটাবে এটা সেই মা মেনে নিতে পারেন না কারন তার ভেতর ফিয়ারফুল এভোয়ড্যান্ট পার্সোনালিটি ট্রেইট গড়ে উঠেছে। ফলে ছেলেটা যখন বড় হয়--তখনও সে তার মাকে সেই ছোট বেলার মতই অন্ধের মত ফলো করে এবং তার ভেতরও তার মাকে হারানোর ভয় তৈরী হয়, এভোয়ড্যান্ট ট্রোমার কারনে। এতদিনে ছেলেটার ভেতর যে মাসকুলিন বৈশিষ্ট্য প্রস্ফুটিত হওয়ার কথা ছিল, তা হয় নি। তাকে দ্বায়িত্ব এবং নেতৃত্ব দেয়া শেখানো হয় নাই। পুরুষের খোলসে নারীর কব্জায় আত্ববিশ্বাসহীন এক নপুংশক হয়েছে। তার ভেতর নারীদের কাছে সহজেই বশ্যতা স্বীকার করা, নিজের ক্ষতি করে হলেও নারীদেরকে সার্ব করা এবং গুডি গুডি বয় হিসেবে এক হাইব্রিড নপুংশক ভাব তৈরী হয়েছে যা ইনসিকুর মেয়েদের জন্য সেফ হাউজ। বেশিরভাগ ইনসিকুর মেয়েরা এইসব ছেলেদেরকে পছন্দ করে এবং নিজেরা ড্রাইভিং সিট এ বসেন।
"মায়ের পোলা" নাকি "বাপের বেটা"---কারে করবেন বিয়া???
----<আপনি শারীরিকভাবে নারী হয়েও যদি মনে করেন----আপনার ভেতর কিছু মাসকুলিন বৈশিষ্ট্য আছে, আপনি লিডারশিপ ইনজয় করেন। তাহলে "মায়ের পোলারেই" বিয়া করেন, এবং তার মা তাকে যেভাবে শিশু হিসেবে ট্রিট করত সেভাবেই লালন পালন করেন---তাহলে আপনার নারী নেতৃত্ব আপনার স্বামী সহজেই মেনে নিবে এবং ঐ পুরুষ ফেমিনিন বৈশিষ্ট নিয়ে আপনার সাথে সুন্দরভাবে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে। তবে সুখে থাকতে চাইলে অবশ্যই তার মায়ের সাথে বসবাস করবেন না, সেক্ষেত্রে আপনার এবং ছেলে শিশুটির মায়ের মধ্যে দন্দ্ব হবেই। দুই নারীর চাপে পড়ে ছেলেটা পালশ সাহা হয়ে যাবে। সমস্যা হল কোন একদিন আপনার নারীত্ব বলবে আহারে কেন যে আমার স্বামী আর দশটা স্বামীর মত এক হাতে সব ম্যানেজ করতে পারে না, তারপর আপনি আপনার গুডি গুডি স্বামিকে মাঝে মধ্যেই পুরুষ হওয়ার জন্য থেরাপী দিতে থাকবেন অথচ আপনি নিজেই এই মায়ের পোলারে পছন্দ করেছিলেন আপনার মসৃণ জীবনের জন্য, কারন মায়ের পোলারা নারীর প্রতি অসীম শ্রদ্ধাশীল এবং নমনীয় হয়। এই জিনিসই কয়েক বছর পর আপনার আর ভাল লাগবে না।
----<আপনি যদি ভেতরে আসলেই নারীর সকল ফেমিনিন বৈশিষ্ট্য নিয়ে বড় হন, এবং নিজেকে সম্মান করেন---তাহলে অবশ্যই "বাপের বেটারে" বিয়া করবেন। এই "বাপের বেটাদের" তার মাও সম্মান করে এবং মুল্য দেয়। সেও অন্যকে সম্মান করে। দেখবেন সে আপনাকে সবকিছু প্রভাইড করবে, ভালবাসবে, সংসারকে প্রটেক্ট করবে, হাইভ্যালু ম্যান হিসেবে আপনার নারী বৈশিষ্ট্যগুলিকে অনেক মুল্য দিবে। আপনি গ্রহন করবেন এবং সাবমিসিব/কৃতজ্ঞ থাকবেন, মায়া মমতা দিয়ে সংসার আগলে রাখবেন। খবরদার টক্সিক নারীবাদীদের খপ্পরে পড়বেন না। দেখবেন--পুরাই সুখের সংসার।
----< আপনি এবং আপনার স্বামী দুজনই যদি ইনসিকুর হন, এক্ষেত্রে দুজনেরই আত্ববিশ্বাস কম থাকবে। জীবনে রিস্ক কম নিবেন, ফেমিলি বা অর্থনৈতিক গ্রোথ কম হতে পারে। ইনসিকুর এটাচমেন্ট স্টাইলের কারনে সংসারে মারমারি, কটাকাটি হলেও কেউ কাউকে হয়ত ছাড়তে পারবেন না। দুজনে দুজনকে আকঁড়ে ধরে বাঁচতে চাইবেন। এটা ভালাবসাময় কিছুটা টক্সিক লাইফ।
----< অন্যদিকে দুজনই যদি খুব কর্মঠ, রুচিশীল, শিক্ষায় এবং যোগ্যতায় একেবারে কাছাকাছি হন। সেক্ষত্রে সংসারের একমাত্র আঠা হল, মর্যাদা/সম্মান। দুজন দুজনকে প্রশংসা করবেন উৎসাহ দিবেন এবং সম্মান করবেন। ডাইনামিক এক সুখের সংসার হবে, ফ্যামিলির গ্রোথ একদম রকেটের গতিতে হবে। সমস্যা হল--একবার যদি কেউ কারও আত্বসম্মানে আঘাত করছেন--সেদিন থেকে এই সংসারের ভেতর ঘুন ঢুকে যাবে। কাজেই এ ধরনের সম্পর্কে দুজনের কাউকেই কেউ যেন ডাউন-প্লে না করে।
যাইহোক--অনেক বকবক করলাম, নিজেরা যে যেমন আছেন এক্সেপ্ট করুন এবং নিজেকে সম্মান করুন। যে কোন ভায়োলেন্স এবং মানসিক বা শারীরিক ভাবে এবিউজড হলে আজই সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যান। যে আপনাকে একবার এবিউজ করেছে সে আবারও করবে। এবিউজ না করে সম্পর্ক থেকে নিরবে সরে আসাটাও স্ট্রং স্বাধিনচেতা পার্সোনালিটির লক্ষণ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চান?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.