নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একেবারে সোজা সাপটা ভাষায় নিজের সম্বন্ধে কিছু কথা বলতে চাই;আমি একজন মুসলিম;জন্মসুত্রে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে।হানাফি,মালিকি,শাফেয়ী,হাম্বিলি কিংবা আহলে হাদিস,সুন্নী,সালাফী কোন পরিচয়ে পরিচিত হতে আমি অভ্যস্ত নই।জানার ইচ্ছা আমার চিরন্তন।জানানোর ইচ্ছাও ব্যাপক।

মু মাহফুজ আজিম

পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দদায়ক কাজগুলোর একটি হল নিজের সম্বন্ধে লেখা।কাজেই বোঝা যায় মিথ্যা আর তোষামোদে ভরপুর।অনেক দিন অপেক্ষা করেছি এই অংশটা লেখার জন্য। কিন্তু লিখি নাই কারণ আমাদের আশেপাশের লোকজন খুবই যন্ত্রণাদায়ক।একটা মানুষকে তারা ভালবাসবে সেটা যে কারণেই হোক কিন্তু কোনদিন বুঝতে দেবে না।খালি এখানেই শেষ না, যেই কারণে ভালবাসা আবার সেই কারণকেই সবার সামনে নিজের কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ হিসেবে প্রচার করে।

মু মাহফুজ আজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্পোরেট দিবস ও সাময়িক ভালবাসা।

১৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

বুদ্ধভিত্তিক পঙ্গুত্ব অথবা মানসিক দাসত্বের কারনেই আমরা বিজাতীয় প্রথায় অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি ক্রমাগত। আমরা যতই আমেরিকা ইন্ডিয়াকে ঘৃণা করি না কেন ঘুরে ফিরে তাদের প্রোডাক্ট গুলোকেই গ্রহণ করি খুব উৎসাহ এবং তৃপ্তির সাথে। ওই দেশগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্তানেরা বাবা-মা'য়ের কোন খোঁজই রাখে না, তাদের আবার মা দিবস,বাবা দিবস !!

আচ্ছা,মুসলিম হিসেবে বাবা-মা'কে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার জন্য কি আদৌ কোন দিবসের প্রয়োজন আছে!! একজন ভালো মুসলিম মাত্রই বাবা-মা'কে ভালোবাসে, সে সবসময়ই তাদের সম্মান করে। বাবা-মা'কে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় কোন সময়ই কোন রকম ফ্লাকচুয়েশন হয় না। যারা বাবা-মা'কে একদিনের জন্য ভালোবাসে/ভালেবাসতে চায় তারাই এই দিবসের প্রবক্তা।

তাদের বাবা-মা'কে ভালবাসা আর শ্রদ্ধার জন্য এই একদিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমি জানি না এসব কর্পোরেট দিবসে আমাদের কর্পোরেট ভালবাসা বাবা-মা'য়ের জন্য কতটুকু বেড়েছে বা কে কি করেছেন। যাদের ভালোবাসার স্বরূপ উদঘাটিত হয় বাবা- মাকে বৃদ্ধ বয়সে হোম কেয়ার আর বৃদ্ধাশ্রম গুলোতে ফেলে আসার মাধ্যমে। এই দিবস নিয়ে সে সব দেশগুলোতেই বেশি মাতামাতি যেসব দেশের বড় একটি অংশ সত্যিকার অর্থেই তাদের পিতৃ পরিচয় নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। আমরা মুসলমানরা কি তাদের মত? যদি নাই হই তাহলে এইসব দেশের একটি কালচার নিয়ে আমাদের কেন এতো মাতামাতি !!

আমরা মুসলিমরা আমাদের পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা যেন সেই সভ্যতার অনুকরণে না হয় যেই সভ্যতার লোকেরা জানেই না বাবা-মায়ের মর্যাদা কোথায়।

তা না হলে ওরা কেবল আমাদেরকে নাচাবার জন্যই একটা দিবস চালু করে দেবে ‘গার্ডিয়ান'স কিলিং ডে’ নামে যেটা পালন করতেও আমরা নিজেদেরকে পিছিয়ে রাখব না। নিশ্চয়ই মনে আছে, ‘এপ্রিল ফুল’ নামক দিবসটা চালু হয়েছে মুসলিমদের বোকামিকে চির স্মরণীয় করে রাখার জন্য।

আল্লাহ সকল মুসলিমকে এইসব দিবসের বিদ'আত থেকে বিরত রাখুন এবং এসব কর্পোরেট ভালবাসা আর ভন্ডামি আমাদের সমাজ থেকে দূর করার শক্তি দান করুন।

আমিন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রথম লাইনটা একেবারে দুর্বোধ্য!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.