নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একেবারে সোজা সাপটা ভাষায় নিজের সম্বন্ধে কিছু কথা বলতে চাই;আমি একজন মুসলিম;জন্মসুত্রে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে।হানাফি,মালিকি,শাফেয়ী,হাম্বিলি কিংবা আহলে হাদিস,সুন্নী,সালাফী কোন পরিচয়ে পরিচিত হতে আমি অভ্যস্ত নই।জানার ইচ্ছা আমার চিরন্তন।জানানোর ইচ্ছাও ব্যাপক।

মু মাহফুজ আজিম

পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দদায়ক কাজগুলোর একটি হল নিজের সম্বন্ধে লেখা।কাজেই বোঝা যায় মিথ্যা আর তোষামোদে ভরপুর।অনেক দিন অপেক্ষা করেছি এই অংশটা লেখার জন্য। কিন্তু লিখি নাই কারণ আমাদের আশেপাশের লোকজন খুবই যন্ত্রণাদায়ক।একটা মানুষকে তারা ভালবাসবে সেটা যে কারণেই হোক কিন্তু কোনদিন বুঝতে দেবে না।খালি এখানেই শেষ না, যেই কারণে ভালবাসা আবার সেই কারণকেই সবার সামনে নিজের কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ হিসেবে প্রচার করে।

মু মাহফুজ আজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানের গুরুত্ব।

৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

রমজান সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন-

"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।"

[সূরা বাকারা : ১৮৩]



অর্থাৎ সিয়ামের মূল লক্ষ্য হল তাকওয়া অর্জন। তাকওয়া শব্দের অর্থ আল্লাহভীতি। মুমিন তার সকল কথা, কাজ এবং চিন্তায় আল্লাহকে ভয় করবে-এর নাম তাকওয়া। আর তাকওয়ার প্রায়োগিক দাবী হল মুমিন আল্লাহর যাবতীয় অপছন্দনীয় কাজ থেকে বিরত থাকবে এবং সাধ্যানুযায়ী ভালোকাজ করবে। রমযান মাসের সবচেয়ে বড় তাৎপর্য হলো যে, এ মাসে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন- "রমযান মাস, ইহাতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হইয়াছে।"

[সূরা বাকারা : ১৮৫]



কুরআন হচ্ছে মানুষের দিশারী, সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারী। আর এটা নাযিল হয়েছে রমযান মাসে। কাজেই এ মাসের একটা স্বাভাবিক দাবী হল এই 'সৎপথের দিশারী' বেশি বেশি অধ্যয়ন করা, চিন্তা করা গবেষণা করা। অনেকে আছেন যারা মানুষকে কুরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে নিরুৎসাহিত করে। অথচ আল্লাহ বলেন- "তারা কি কুরআন অনুধাবনের চেষ্টা করে না? নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?" [সূরা মুহাম্মদ : ২৪]

এই আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছে কাফির মুশরিকদের লক্ষ্য করে। অর্থাৎ আল্লাহ কাফির মুশরিকদের কে কুরআন নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বলেছেন। আর আমরা মুসলিমদের কে কুরআন পাঠে নিরুৎসাহিত করছি, নিজেদের অন্তরে তালা লাগালে চাচ্ছি।

আফসোস! অথচ আল্লাহ বলেন- "আর আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য। উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি??"

এই আয়াতটি সূরা ক্বমারে ৪বার উল্লেখ করা হয়েছে, ১৭, ২২, ৩২ এবং ৪০ নং আয়াতে। আসলে কুরআন হচ্ছে পাঠ করার, অনুধাবন করার, অনুসরণ করার একটি কিতাব। কুরআন শুধুমাত্র চুমু খেয়ে আকর্ষণীয় গিলাফ জড়িয়ে উচুঁ তাকে রেখে দেওয়ার কিতাব নয়।

সর্বোপরি রমযান হল প্রশিক্ষণের মাস এবং তওবার মাস। দীর্ঘ একমাস মুমিন এসময়ে ভালো ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার এবং খারাপ অভ্যাস বর্জন করার প্রশিক্ষণ পাবে। আর এই প্রশিক্ষণ তার বাকি মাসগুলোতে তাকওয়ার উপর টিকে থাকতে সাহায্য করবে। সেইসাথে পূর্বের গুনাহসমূহ মাফ করিয়ে নেওয়ার উত্তম সময় হল এই রমযান মাস। তাই চলুন আমরা তওবা করি, বিশুদ্ধ তওবা যেমনটি আল্লাহ বলেছেন-

"হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর- বিশুদ্ধ তওবা..।"

[সূরা তাহরীম : ৮]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.