নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞানী লোকের কাছে প্রতিনিয়ত শিখছি। অজ্ঞের থেকে শেখার কিছু নেই। সম্মান যতটুকু দিবেন ততটুকু ফেরত পাবেন।

এম ডি মুসা

আমি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নই। আমি কোন কবিও নই।কবিতা লেখি, শখের বিষয়। জানি ছন্দ জানি মাত্রা এই নিয়ে আমার পথ যাত্রা।। কুসংস্কার এবং অন্যায় বিরুদ্ধে সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার বুকের ভেতর মজুদ করা।

এম ডি মুসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওআইসি ব্যর্থ সংস্থা

২৩ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ওআইসি ব্যর্থ, প্রয়োজন মানবতার ঐক্য সংস্থা

বর্তমান বাস্তবতায় স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, ওআইসি (Organization of Islamic Cooperation) তার মূল উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন সংকটে এ সংস্থার কার্যকর ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইরান ,ইয়েমেন কিংবা রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওআইসি কেবল বিবৃতি দিয়েছে, কিন্তু কার্যত কোনো দৃশ্যমান সহায়তা বা অবস্থান নিতে পারেনি।

মূলত, মুসলিম বিশ্ব আজ ঐক্যবদ্ধ নয়। একে অপরের প্রতি সহযোগিতার মনোভাব নেই। রাজনৈতিক স্বার্থ, আঞ্চলিক বিভাজন এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্ব মুসলিম দেশগুলোকে পৃথক রেখেছে। এই বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠে: ওআইসি কাদের জন্য? কীসের জন্য?

তাই, এখন সময় এসেছে নতুনভাবে চিন্তা করার।
আমার প্রস্তাব হলো— ওআইসি-র নাম ও কাঠামো পরিবর্তন করে একটি মানবতাকেন্দ্রিক বৈশ্বিক সংস্থা গঠন করা হোক, যার নাম হতে পারে "মানবতার ঐক্য সংস্থা" (Unity of Humanity Organization)।
এই সংস্থার সদস্য হতে পারবে বিশ্বের সব শক্তিধর ও উদারনৈতিক রাষ্ট্র, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে।

এই নতুন সংস্থার বৈশিষ্ট্য হবে:

ধর্ম নয়, মানবতা হবে মূল ভিত্তি।

প্রত্যেক জাতি ও ধর্ম নিজেদের সংস্কৃতি ও আচার মানবে স্বাধীনভাবে।

ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকবে, তবে ধর্ম রাজনীতির হাতিয়ার হবে না।

যে কেউ ধর্মীয় নিদর্শন অবমাননা করলে, সে নিজ দেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় শাস্তির আওতায় আসবে।

সকল ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা নিশ্চিত করা হবে।


ওআইসি এখন কেবল একটি সাইনবোর্ড। এটি মুসলিমদের সংকটে পাশে দাঁড়ায় না, বরং রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানে থাকে। এই ধর্মকেন্দ্রিক বৈষম্য বিশ্বের জন্য হুমকি। সময় এসেছে— ধর্মীয় বিভাজনের পরিবর্তে মানবতার ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর বিশ্বসংস্থা গড়ে তোলার।

এতে করে মুসলিম-ইহুদি বা হিন্দুদের মধ্যকার ধর্মীয় দ্বন্দ্ব হ্রাস পাবে। বিশ্বজুড়ে সহনশীলতা ও সহাবস্থানের পরিবেশ গড়ে উঠবে। কারণ, ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাস— রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি হওয়া উচিত মানবতা, ন্যায়বিচার এবং সমতা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

ফারমার২ বলেছেন:



মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর মাঝে ঐক্য না'থাকার পেছনে কি কি সমস্যা আছে বলে আপনি মনে করেন?

২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:১২

এম ডি মুসা বলেছেন: সক্ষমতার দূর্বলতা ‌ । যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ভয়

২| ২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



ওআইসি নামসর্বস্ব একটি ব্যর্থ সংগঠন।

২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:২২

এম ডি মুসা বলেছেন: ঠিক। রাশিয়া___ বললেন, তাদের এটা ইসলামী সংগঠন দেশ। বলছেন ইরান কে। বুঝাতে চেয়েছেন ও আইসি সদস্য। ও আইসি ধর্মীয় কেন্দ্র বাদ দিয়ে মানবতা এবং শক্তির সহযোগিতা জোট করা। বেঁচে থাকলে ধর্ম পালন করা যাবে আগে বাঁচা

৩| ২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে বিভক্ত করে কোন লাভ হবে না।তাতেকরে সমস্যা আরো বাড়বে।

২৩ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:২২

এম ডি মুসা বলেছেন: না বলছি পোস্টে। মানবতা দিকে এগিয়ে শক্তি জোট করা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.