নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজকের দিনটাই সুন্দর......

মিআমি

মিআমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা আমার নতুন বাড়ীতে উঠলেন না

১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:২৭

আমি মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে, বাসার গেট থেকে একটু দুরে গেলে মা আবার ডাক দেয়। বাবা একটু শুনে যাওতো। মা যেটা বলবে সেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলামনা। কিন্তু মা আমার কিভাবে, কিবুঝে তা বলেছিল। সেটা নিয়ে আমি অনেক গভীরভাবে ভেবেছি।







হয়তো গভীর ভালবাসার টানে এবং খুব কাছে থেকে বাবাকে মা হয়তো দেখেছে। হাঁ আমি একবার দেখেছিলাম, মা কি ভাবে বাবা কে সেবা-যত্ন করেছিল। সেটাছিল তার আগের বছরের কথা। একরাতে মা নিজে নিজে দুঃখ করে একটু জোরে জোরে কথা বলাতে হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন যা আমার কানে আসে। মা বলছে...



কতবার বললাম উঠেন প্রসাব-পায়খানা করে আসেন, না করা লাগবে না বলে শুয়েই থাকলো। আর এখন আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। ওফ্ আসলে মা এমন কতদিনই না কষ্ট করেছে, আমি তো শুধু একদিনই না দেখেছি। রাতটাতে ছিল কনকনে শীত। সেদিন আমি বাবা-মার সাথেই শুয়েছিলাম। মাকে দেখি বাবার হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, সেকি বেদনা দায়ক দৃশ্য দুজনেই বুড়া, চলতে দুজনেরই কষ্ট। আমি একটু হাত ধরতেই বাবা চিল্লাইয়ে উঠে বলে ওরে বাবারে আমার হাত ভেঙ্গে ফেললো, মা বলে তুমি পারবেনা, তাকে ধরার কায়দা আছে। (বাবার ছোটকালে ফুটবল খেলতে গিয়ে নাকি হাত ভেঙ্গেছিল তার আছর এই বুড়া বয়সে হয়েছিল) তারপরও মা বাবাকে ঘরের বাহিরে আমাদের ছিল পায়খানা সেখানে নিয়ে গিয়ে তার বাকি কাজ সারায়ে আবার গোসল খানায় এনে তার সব কিছু পরিস্কার দেয়। এরপর তাকে গরম কাপড় পড়ায়ে প্রথমে চেয়ারে বসায়ে রেখে, মা খাট পরিস্কার করতে থাকে তখন আমিও ঘরে ভিতরে আসি, দেখি বাবা পায়খানা তো করেছে তারপর আবার বিছানার চাদরের এককনা জোড়ায়ে সাথে তার গায়ের চাদর নিয়ে পোটলা বেঁধে রেখেছে। বাবা নাকি এমন কাজটি মাঝে মধ্যেই করে। মা বকতে পারে বলে তার ভয়ে এটা সে করেছে। আর সেকি গন্ধ, মা বলে তুমি বাহিরে যাও। এরপর মা ঘর থেকে যেদিক দিয়ে বাবাকে পায়খানাই নিয়ে গিয়েছিল সেই সারা পথ এবং ঘরের মধ্যে যেখানে তা পড়েছিল, মা সব কিছু ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করে। তারপর মা গোসল করে ঘরে আসে।



তখন আমি ভেবেছিলাম, বাবার প্রতি মার কত গভীর ভালবাসা হয়তো সেই খাতিরে মা এটা করেছে, নাকি স্ত্রী হয়ে স্বামীর প্রতি দ্য়ীত্ব-কর্তব্যের সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে করেছে। আসলে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের মত মধুর সম্পর্ক আর এত আপনজন দুনিয়ার অন্য কিছুতেই নাই। যদি থাকে উভয়ের মধ্য আন্তরিকতা, ভালবাসা এবং সমঝোতা।





আমি তো নিজ চোখে এই কনকনে শীতের এক রাতের মার কষ্টটা দেখলাম, এরকম কত কষ্ট প্রতি দিনই মা এই বৃদ্ধ বয়সে বাবার সেবা-যত্ন করেছে। আর সেই সাথে দেখলাম নিজ চোখে বাবার কষ্টটা । তাই ভাবলাম আমি থাকি প্রবাসে যদিও নিজ হাতে তাদের সেবা-যত্ন এবং খেদমত করার তেমন সুযোগ হয় নাই, তবুও যেভাবে পারি তার কোন ত্রুটি করি না। তখন আমি মনে মনে ভাবি এবারে তো হলো না পরের বারে এসে আমার নিজ বাড়ীর তৈরীর কাজ করবো।





আবার এগার মাস পর দেশে গেলাম। আমাদের বাৎছরিক ছুটি এগার মাস পর মাত্র ৩০ দিন। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। তাই আমাদের একটা নিয়ম আছে এই বৃহস্পতি বা শুক্রবারে এক বছরের মধ্যে ৮৫ ঘন্টা ডিউটি করে কোম্পানীকে দিলে আরোও ১৫ দিন ছুটি Compensatory leave হিসাবে বাৎছরিক ছুটির যোগ হয়। তারপর আরো ১৫ দিন without pay নিয়ে মোট ৬০ দিনের ছুটিতে যাই এবং মনে মনে ঠিক করি আসার সময় আরো ৫দিন লেট করে দেশ থেকে ফিরবো। তাহলে মোট ৬৫ দিন ছুটি হবে।





এরপর দেশে গিয়েই দুইদিন পরেই বাড়ি করার কাজ শুরু করে দিই। আমি একা মানুষ আর শীতের দিন তারপর কত রকমের ঝামেলা আর কষ্ট সহ্য যে আমাকে করতে হয়েছে, তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা। তারপরও আমার খুব ভাল লাগছিল যে অল্প সময়ের মধ্যে আমি ছাদ ঢালাই পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলি। শুধু তাই নয় নিজের বুদ্ধির বলে স্যাটারিংটা আমি এমন ভাবে করেছিলাম যাতে একটা ঘরের কাজ অ্যাট্যাচ টয়লেট সহ তার মধ্যেই করতে পারি এবং স্যাটারিং খোলার আগেই তা করে ফেলি।



কারন আমি বাবা-মার কষ্ট নিজ চোখে দেখেছিলাম বলেই, সেই সময় আমি ঠিক করেছিলাম। যেহেতু বাবা তার কর্ম জীবন শেষ করেও একটা ভালো বাড়ী করতে পারে নাই, তাই আমি তাদের একটু সুখের আশায় এবং মার কিছুটা হলেও কষ্ট কম হবে আর শুধু বাবার কথা খেয়াল করে বাড়ীটির কাজ মোটামুটি শেষ করে করি।





আমি যেখানে বাড়ী করি, সেটা ছিল বাবার বাড়ী থেকে একটু দুরে ১০/১৫ মিনিটের রাস্তা। তাই প্রতি দিন এবং সব সময় কাজ তদারক করার জন্য কষ্টকর হবে বলে আমার বাড়ীর পার্শে একটা বাড়ীর নীচ তালার শুধু একটা রুম ২/৩ মাসের কথা বলে ভাড়া নিই, তা অনেক কষ্ট করে খুজে পাই। মা-বাবা কে সাথে নিয়ে এখানে থেকে বাড়ীটির কাজ শেষ করি।





এদিকে আমার ছুটি শেষ। আর দুইদিন পরই ছাদের স্যাটারিং খুলবে, সেই সাথে তাদের অ্যাট্যাচ টয়লেট ঘরটাও রেডী পরের দিন গিয়ে তারা সেখানে বসবাস করতে পারবে। আমি মনে মনে মহা খুশী হই, যাক মা-বাবার জন্য মানে একটু শান্তির জন্য কিছু একটা তো করতে পেরেছি। মাকে বলি মা তুমি তো খুশী, মা কোন জবাব দেয় না আমার জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করে। বলে বাবা আমাদের জন্য আর কিছু করা লাগবেনা, তোমার জীবনে কবে সুখ আসবে এইটাই আমার বড় চিন্তা।



এরপর আমি সব কিছু গোছায়ে রেডি হতে থাকি বিকেলও হয়েগেছে। সন্ধ্যায় আমার বাস। তারও টাইম হয়ে যাচ্ছে। আর ভোর বেলাতে আমার ফ্লাইট। যাক সব কিছু দেখে- শোনে সবাইকে বলে-কহে আমিও মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে, বাসার গেট থেকে একটু দুরে গেলে মা আবার ডাক দেয়। বাবা একটু শুনে যাওতো। মা যেটা বলবে সেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু মা আমার কিভাবে, কিবুঝে তা বলেছিল। সেটা নিয়ে আমি অনেক গভীরভাবে ভেবেছি।



মা কান্নার সুরে বলছে, বাবা পরের বারে এসে তুমি আর তোমার বাবাকে দেখতে পারবে না। আমি বললাম কেন ? কি ভাবে বুঝলে তা, সে বলে আমি তার সাথে থাকি তার সব কিছু আমি বুঝতে পারি। মাকে আমি আর আর কি বলবো কারন এই দুনিয়াতে সেতো আমার আগে এসেছে। শান্তনা দেবার ভাষা খুজে পেলাম না। বললাম মা, এই বাবার জন্যই তো এত তারাহুরু করে এই বাড়ীটি করলাম। সেই সাথে তোমার কষ্ট ও অনেক কমে যাবে। পরশু আমার নতুন বাড়ীতে গিয়ে তার সাথে একটু আনন্দ করে কিছুটা দিন তো কাটাও তা হলে আমি ও অনেক সুখ পাবো। এরপর আবার মার কাছ থেকে বিদায় নিলাম।



আমার প্রবাসে এসে দুইদিন হয়েগেছে। B shift থাকায় সকালে বাসায় ছিলাম। পাশের রুমে গিয়ে গল্প করছিলাম। তখন এক বন্ধু আমাকে খুজতে খুজতে এখানে এসে বলে আমি একটু কাজে অফিসে গিয়েছিলাম, জানতে পারি আপানার একটা fax এসেছে আপনার রুমে ফোন করে ,না পেয়ে আমি তা সঙ্গে করে নিয়ে এলাম। আপনার জন্য একটা দুঃখ জনক সংবাদ আছে। আমি খুলে পড়ি আর ভাবি শেষ পর্যন্ত মার কথাই ঠিক হলো

বাবা আমার নতুন বাড়িতে উঠলো না। তার আসল বাড়ীতে চিরদিনের জন্য চলে গেল।



বাবাকে আজ খুব মনে পড়ছে। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:৩৯

এ.কে.এম. ওবায়েদ-উল হক বলেছেন: আপনার বাবার আত্মা শান্তি পাক... সেই প্রার্থনা-ই করি।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:৪৬

মিআমি বলেছেন:
ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনি ও ভাল থাকবেন।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:৩৯

গাংচিল ২ বলেছেন: ভাই আপনার কষ্ট আমি বুঝতে পারছি। একটা সত্যি কথা বলি, আপনার লেখার মন্তব্য করছি চোখে জল নিয়ে। আর কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি না....................ধন্যবাদ লেখার জন্য।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:৫২

মিআমি বলেছেন:
এরকম কত বাবা-মার কষ্ট আছে আমাদের চারপাশে

আমার মনের কিছু কথা একটু শেঢার করলাম।

আপনি ও ভাল থাকবেন। ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:৪১

পরপারে একা বলেছেন: বাবাকে আজ খুব মনে পড়ছে। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:৫৪

মিআমি বলেছেন:
আপনার দোয়া কবুল হোক। আমিন।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:১৭

প্রতীক্ষা বলেছেন: গভীর ভালবাসার লিখা! আসলে সম্পর্কগুলো এমনই হওয়া উচিত নয়ত আর সম্পর্ক কি!

আপনার মাকে অজস্র সালাম! আর আপনার বাবার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।আপনার নতুন বাসায় উঠতে না পারলেও তিনি যেন জান্নাতে এর চেয়েও সহস্রগুণ সুন্দর বাসায় থাকেন!








১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:২৬

মিআমি বলেছেন:
সুন্দর কথাগুলি বলেছেন।
আপনি ও ভাল থাকবেন

মাও আমার যায় যায়। তার জন্য একটু দোয়া করবেন।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:২০

বড় বিলাই বলেছেন: বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। বাবা না থাকলেও তার দোয়া আপনার জন্য থাকবে সারা জীবন।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৩১

মিআমি বলেছেন:
আপনার কামনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:২৮

নতুন রাজা বলেছেন: চোখের পানি আটকাতে পারছি না ভাই... আল্লাহ্ উনাকে বেহেশত নসীব করুন... আমিন...

১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৩৮

মিআমি বলেছেন:
ভাই আপনি তো বুঝতে পারেন বিদেশে থাকার কষ্ট।
আর মা আমার সারা জীবন কষ্ট করে গেল।
তবুও যতটুকু পারি তাদের জন্য করি।
আপনার দোয়া কবুল হোক আমিন।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৩৬

ভাঙ্গন বলেছেন: আমি কী বলবো! ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। অনেক অনেক গভীর ভালবাসা থেকে যে কথাগুলো আপনি তুলে দিলেন, আমার অশ্রু বাঁধ মানছে না। সত্যি, এমন শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার বন্ধন চিরন্তন হয়ে থাকুক। আপনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর সীমাহীন শ্রদ্ধার মানসিকতা, বাবা-মা নামের জীবনের পরম দু'জন মানুষের জন্য আপনার যে আকুলতা, সেটা সকল কালের সকল সন্তানের জন্য শিক্ষণীয়।

আপনার বাবা-মা, আমার বাবা-মা।
প্রার্থনা বাবার জন্য।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৪৭

মিআমি বলেছেন:
আমি বাড়ীর ছোট, বড় ভাই থাকে ঢাকার মস্ত বাড়ীর মস্ত বড় ফ্ল্যাটে
বাবা-মার জন্য যতটুকু করা দরকার আমি সব সময় চেষ্টা করেছি।
তাদের দোয়াতেই আজ আমি যা কিছু করতে পেরেছি।


আপনি ও ভাল থাকবেন।

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৩৭

এন১২৩ বলেছেন:
আপনার বাবার আত্মা শান্তি পাক... সেই প্রার্থনা-ই করি।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৪৮

মিআমি বলেছেন:
আপনার দোয়া কবুল হোক। আমিন।

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৩৮

সকাল রয় বলেছেন:

তোমাকে কি বলবো
আমার তো বাবা নেই
তাই আমি বুঝি বাবা ছাড়া কেমন লাগে
--------------------------------




আমি কাদি হাতরে বেড়াই
বাবা কোথায়
আমার সেই ঘুড়ি নাটাই বন্ধু আমার বাবা

----------------------------



লেখাটা আমাকে আতীতে নিয়ে দাড় করালো
ধন্যবাদ

১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৫১

মিআমি বলেছেন:
ছোট্ট কথায় বড় অর্থ

আপনাকে ধন্যবাদ।

১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৪০

ততততততততততততততত বলেছেন: আপনার বাবার আত্মা শান্তি পাক... সেই প্রার্থনা-ই করি।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৫২

মিআমি বলেছেন:
আমিন

১১| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৪১

রিফাত- বলেছেন: আপনার বাবার আত্মা শান্তি পাক... সেই প্রার্থনা-ই করি।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৫৩

মিআমি বলেছেন:
আমিন

১২| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৫৭

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: লেখাটা পড়ে পাগলের মত কাঁদছি।। খুব কষ্ট হচ্ছে।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:০৫

মিআমি বলেছেন:
ভাই আমি যা কিছু করতে পেরেছি বাবা-মার দোয়াতেই করতে পেরেছি
কিন্তু তাদের জন্য কতটুকু করতে পেরেছি।

১৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৪১

এমআ০০৭ বলেছেন: আপনার বাবার আত্মা শান্তি পাক... সেই প্রার্থনা-ই করি।

১৭ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯

মিআমি বলেছেন:
আপনার দোয়া কবুল হোক। আমিন

১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:১৯

রাজসোহান বলেছেন: অকুন্ঠ শ্রদ্ধা তাদের আত্মার প্রতি ,সত্যি বলছি কেঁদে ফেলেছি কিছু বলার ভাষা নেই

১৭ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৪

মিআমি বলেছেন:
আমি দোয়া করি তুমি একজন বড় মাপের মানুষ হও

১৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১

ফালতু মিয়া বলেছেন: বাবা হীন আপনার অনুভূতির তুলনা হয় না, আমি শুধু এটুকুই বলবো আপনি তাও মনের শান্তির জন্য একটি বাড়ি করেছিলেন বাবা মায়ের জন্য। আমি হতভাগা তাও করতে পারিনি।

আপনার বাবার আত্নার শান্তি কামনা করছি এবং মা সব সময় ভাল থাকুক এই প্রত্যাশা করি।

১৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১:৩৫

মিআমি বলেছেন:
ভাই আমার জন্য দোয়া করেন।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ২:৪৬

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: কালকে পড়ে কমেন্ট করব..:)

১৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ২:৪৮

মিআমি বলেছেন:
ওকে

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ২:৫৫

পলাশমিঞা বলেছেন: না পড়েই আমি বুঝেছিলাম। পড়ে কষ্ট হয়েছে বলবনা কারণ মৃত্যুতো পরম সত্য।

বাবার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করি।

আমার জন্য দোয়া করবেন ভাই।

আল্লাহ তালা আপনাকে যেন উত্তম ধৈর্যশক্তি দান করেন।

১৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৩:০০

মিআমি বলেছেন:
আমিন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

দোয়া করি আপনি ভাল থাকবেন।

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২১

এস এম শাখওয়াত আহমেদ বলেছেন: আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৪৬

মিআমি বলেছেন:
আমিন।

ভাল থাকবেন।

২০| ১৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৩২

কালপুরুষ বলেছেন: অসম্ভব টাচি। কষ্টের একটা শীতল প্রবাহ মনকে ছুঁয়ে গেল। আপনার বাবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আল্লাহ্ তাঁকে বেহেশত নসীব করুন।

শুভ কামনা রইলো। ভাল থাকুন।

১৯ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:৪১

মিআমি বলেছেন:
দাদা আমার দ্বারা যা করা দরকার বাবা-মার জন্য আজ পর্যন্ত কোন ত্রুটি করি নাই, মা টা বেঁচে আছে দোয়া করবেন তার প্রতি যেন সর্ব খেয়াল রাখতে পারি।

আপনিও ভাল থাকবেন।

২১| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৩:০৮

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: :(



আপনার বাবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি.. আল্লাহ্ পাক ওনাকে চির শান্তির জান্নাত নসিব করুণ.. আমিন..

২০ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৩২

মিআমি বলেছেন:
আমিন

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২২| ২২ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:২৯

সবার প্রিয় বলেছেন: কি বলব? আমি কথার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। শুধু চোখের পানি মুছতে মুছতে দোয়া করি বাবা যেন জান্নাতবাসি হোন।

ভাল থাকবেন রেন্টু ভাই।

অ.ট : আমি থুলনা ছিলাম তারপর আবার পিসি নষ্ট তাই আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারছিরা।

২৪ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:২৯

মিআমি বলেছেন:
আমি ও খুব দৌড়রের উপর আছি কারন হাতে সময় কম

সেই সাথে বিভিন্ন ঝামেলাই আছি , পিসিতে বসার সময় নাই

তোমার দোয়া যেন কবুল হয়।


কাল চার দিনের জন্য ওমরা করতে যাচ্ছি, ফিরে এসে কথা হবে
সবার জন্য দোয়া করবো ইন্সাল্লাহ্

২৩| ২২ শে মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২

তাজা কলম বলেছেন: খুবই কষ্ট পেলাম।
আপনার বাবার জন্য মাগফেরাত কামনা করছি।

২৪ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:৩১

মিআমি বলেছেন:
ধন্যবাদ, স্যার

আমিন

২৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন:
আপনার বাবা এবং সকল মরহুম মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:০৬

মিআমি বলেছেন:
ধন্যবাদ বড় ভাই।

২৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:০৮

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন:
আপনি কি সৌদি আরব থাকেন নাকি অন্যত্র?

২৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০৬

মিআমি বলেছেন:
সৌদি আরব

২৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩৫

জাফরিন বলেছেন: এভাবে কাঁদালেন কেন?

আপনার লেখায় একদিকে যেমন বাবামার প্রতি ভালোবাসার কথা আছে, তেমনি আরেকটি সম্পর্কের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। সেটা হল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। সত্যিই আপনার মা যেমন একজন আদর্শ স্ত্রী, আপনিও আদর্শ সন্তানের মত কাজ করেছেন।

পরিশেষে প্রাণভরে দোয়া রইল আপনার বাবা-মা এবং আপনার জন্য।

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০২

মিআমি বলেছেন:
আসলে সবাই মনে হয় ব্যস্ত থাকে ?

তাই এই ভাবে মানে আপনার মত করে মন্তব্য কেহ করে নাই।

সে ---------------------------------ই

লিখার পর থেকে এমন মন্তব্যের আশা করছিলাম। আপনি মনযোগ সহকারে পড়েছেন বলেই এই কথাটা লিখেছেন................

"আপনার লেখায় একদিকে যেমন বাবামার প্রতি ভালোবাসার কথা আছে, তেমনি আরেকটি সম্পর্কের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। সেটা হল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক"

আপনাকে অন্তর থেকে দোয়া করছি এবং অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৪

মিআমি বলেছেন:
আসলে সবাই মনে হয় ব্যস্ত থাকে ?

তাই এই ভাবে মানে আপনার মত করে মন্তব্য কেহ করে নাই।

সে ---------------------------------ই

লিখার পর থেকে এমন মন্তব্যের আশা করছিলাম। আপনি মনযোগ সহকারে পড়েছেন বলেই এই কথাটা লিখেছেন................

"আপনার লেখায় একদিকে যেমন বাবামার প্রতি ভালোবাসার কথা আছে, তেমনি আরেকটি সম্পর্কের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। সেটা হল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক"

আপনাকে অন্তর থেকে দোয়া করছি এবং অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৪

মিআমি বলেছেন:
আসলে সবাই মনে হয় ব্যস্ত থাকে ?

তাই এই ভাবে মানে আপনার মত করে মন্তব্য কেহ করে নাই।

সে ---------------------------------ই

লিখার পর থেকে এমন মন্তব্যের আশা করছিলাম। আপনি মনযোগ সহকারে পড়েছেন বলেই এই কথাটা লিখেছেন................

"আপনার লেখায় একদিকে যেমন বাবামার প্রতি ভালোবাসার কথা আছে, তেমনি আরেকটি সম্পর্কের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। সেটা হল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক"

আপনাকে অন্তর থেকে দোয়া করছি এবং অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

২৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: এ শোকের কোন সান্তনা হয়না জানি। আল্লাহ আপনাদের এ শোক বহন করবার তাওফিক দিন। আর দোয়া করি আপনার বাবার আত্মাকে যেনো পরম করুনাময় আল্লাহতায়ালা জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ প্রদান করেন।

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৭

মিআমি বলেছেন:
আমিন।

আপনার দোয়া যেন কবুল হয়। আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.