![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব ব্লগাররাই আমার চেয়ে জ্ঞানী, তাই নিজেকে জাহির করার দৃষ্টতা দেখাচ্ছি না। ফেসবুক: www.facebook.com/foooysaaal.own
2006 world cup, ঢাকায় মাত্র আসা, এক চাচার বাসায় থাকতাম তখন। রাত ৩টায় খেলা হতো তখন। একা একা অপেক্ষা করতাম, কেউ খেলা দেখতো না বাসায়। টিভির রুমে বড় চাচ্চু ঘুমাতেন তাই সাউন্ড অফ করে দেখতে হতো সব খেলা। সব খেলাতো আর দেখতাম না, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনারটা শুধু দেখতে পারতাম। গোল হলে আনন্দে কোন শব্দ করতে পারতাম না, চিল্লানোতো দূরে থাক একদিন ব্রজিলের খেলার সময় গোল হবার পর এতটাই উচ্ছসিত হয়েছি কি করবো কি করবো, পরে চিল্লাইতে না পেরে বালিশের কভার খুলে নাচতে শুরু করছি! কিছূক্ষন পরে দেখি চাচ্চু বড় চোখ করে তাকিয়ে আমার দিকে! উনি আবার আর্জেন্টিনার ফ্যান, চুপচাপ বসে পড়লাম, মনে মনে বলছিলাম, 'কাঁদেনা কাঁদেনা...'
একা খেলা দেখার কি কষ্ট, সেটা আমার হতো না; কারন চাচার ছোট মেয়ে রাত ২টায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া করতো আর আমার সাথে বসে খেলা দেখতো। কত যে গল্প করতাম আমরা! (যারা প্রেমের গন্ধ পাচ্ছেন, তারা জ্ঞানী বলেই পাচ্ছেন, পেতে থাকেন) ও আমার জন্যেও যে কতকিছু রেডি করতো! আহা কি সে দিন, i mean রাত! মিস করি এখনো। আমি যদি ঘুমিয়ে যেতাম ও জাগিয়ে দিত, "ভাইয়া! ভাইয়া, ওঠো" ওর তুলতুলে হাতগুলা এখনো ভুলিনি। তারপর চিপস, চানাচুর, চকলেট একসাথে খেতে খেতে খেলা দেখতাম। ওর নাম ফারিয়া, আমি ওকে পারু বলে ডাকতাম। এখনো দেখা হলে পারু বলে ডাকলেই লজ্জায় হেসে দেয়। ও ছিল নিশাচর, রাতে জাগতো, সকালে স্কুল আর দুপুর থেকে ঘুম। ও তখন নার্সারীতে পড়ত, স্কুল থেকে এসে আমার কাছেই পড়তে বসতো। মাঝে মাঝে আমি নিয়ে আসতাম স্কুল থেকে কোলে করে। আমার আদরের ছোট বোন, বেশি আদরের। আজ রাতে খেলা দেখার সময় সে পিচ্চিটাকে মিস করবো।
©somewhere in net ltd.