![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূরে থাকা মেঘ তুই দূরে দূরে থাক, যতটুকু পারা যায় সামলিয়ে রাখ।মন, মন, মন, সেতো কত কথা বলে; তার কথা শুনে কেউ ঝাঁপ দেয় জলে...
অনেকদিন পর লিখছি। আজ কেন জানি লিখতে ইচ্ছে করলো।
দুপুরবেলাটা কেন জানিনা অলস লাগে, ভাবি কি করবো অথচ অনেক কিছুই করার থাকে। করতে কেবল ইচ্ছে হয়না আরকি!
তাই পেছনের বারান্দায় বসে বাতাসে ডোরবেলের অাওয়াজ শুনছিলাম। মাঝে মনে হলো তোমার কথা, পেছনে তাকিয়ে তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছিলোনা,তাই পেছনে দেখিনি। রাগ হওয়ার কোন কারণ নেই,আজও ভালোবাসি পাগলের মতোন,তবে সেয়ানা পাগল আজ। সামনে তাকিয়ে যাকে দেখিনা তাকে পেছনে তাকিয়ে দেখে কি হবে? সামনে থাকলে হয়তো আশা হতে, পেছনে থাকার মানে তো দুঃখ,তাই দেখিনা।
তোমাকে দুপুরে বলতাম, থাকলে পাশে ভালো হতো, অলস সময়টা অলস হতোনা, কেটে যেতো চোখের পলকে। তুমি মাঝে মাঝে বুঝতে আমায়, আমি তাতেই খুশি ছিলাম। আজও আমি বাঁশি বাজাই ভাবি তুমি তোমার সেই পরিচিত হাসিটা দিবে, একটা প্রসংশার হাসি। ওহ, আশা না,একটা চাওয়া। না, তোমার কথা শুনলাম, ভেতরটা ফাঁকা হয়ে গেলো, মনে হলো তুমি তো নেই।
ঠিক ততবার আমি তোমাকে মনে করি যতবার আমি আর কাউকে আমার পাশে দাঁড়াতে ভাবি, কিন্তু আমি পালাই, পারিনা ভাবতে,একের পর এক বিয়ের প্রস্তাব না করে দিয়ে আমি হয়তো একলাই থাকতে চাই। পারছিনা।
গরম পড়লো বলে,গাছে আমের মুকুল তোমাকে মনে করায়, কাঁচা আমভর্তার কথা মনে করায়। আমার আর শাড়ি পরা হলোনা,সবাই কতো সখ করে পয়লা ফালগুনে শাড়ি পরলো,আমার খুব একটা আফসোস হয়না,তোমার কথা মনে করে। তবে কেউ যখন বলে, বান্ধবী জোর করে তখন অজুহাত খুঁজে বের করতে পারিনা,সত্যিটাও বলতে পারিনা।
তবে আমি ভালো আছি,এই দুপুরগুলোর একটা আলাদা অাকর্ষন আছে,একটা টান,মাতাল টান, তোমার ভদকার বোতল তা দিতে পারে কি না আমি জানিনা। বারান্দায় পা ছড়িয়ে বসে আশেপাশের গাছগুলো দেখি। মা এইজন্যই সারাদিনের কাজ করেও গাছগুলোর কাছে এসে বসে দু'দন্ড শান্তি পায়। চোখের সামনে গোলাপজাম গাছটা কবে বড় হবে ভাবি,সেই কবে বড় গাছটা কেটে ফেলে দিলো। তরুণ নারিকেল গাছটার পাতাগুলো রোদের তেজটা আমার গায়ে পুরোটা আসতে দেয়না। একটা সবুজাভ সোনালি আলো ছড়িয়ে দেয়। বড়ো ভালো লাগে। তুমি থাকলে হয়তো কোন কথা না বলেই দিব্যি কাটিয়ে দেওয়া যেতো এই লম্বা দুপুরটা।
সবুজ দূর্বার উপর হাঁটতে ইচ্ছে করছিলো খুব। নেমে মনে হলো ভুল করিনি, একটুখানি নরম ঘাস,দূর্বা বোধ হয় সবচেয়ে সুন্দর ঘাস। কে জানে!
কুমড়া গাছের গাঢ় সবুজ পাতাগুলোর ফাঁকে সোনালি রোদ দেখে বসে পড়লাম ঘাসের উপর। শুয়ে পড়তে ইচ্ছে হলো। মনে হলো যেন সবটুকু সুখ, শান্তি এই দুপুরে ঘাসের উপর শুয়ে থাকার মাঝে, তোমার পাশে থাকার চেয়েও।
আমি আরো তো দুপুর দেখেছি, আজকের মতো নয়। আরো দুপুরের সাথে আমার শৈশব ছিলো, আমার কৈশোর ছিলো, তারুণ্যের শুরুর দুপুরগুলো এরকম বাড়ির পেছনে খানিকটা জায়গায় গাছের সাথে জড়িয়ে ছিলোনা হয়তো, ছিলোনা ঘাসের উপর শোয়ার সাথেও, তবে দুপুর তো ছিলো। হ্যাঁ, এরকম ছিলোনা। আজকের দুপুরটা আর বাকি সবগুলো দুপুরকে ভুলিয়ে দেয়। দুঃখ মনে করিয়ে হয়তো দেয়, আশা হয়তো দেয়না, তবে শান্তি দেয়। হয়তো মৃত্যুর মতো শান্তি।
নাহ, আজকে আর লিখবোনা, তুমি খুব ভালো থেকো। আমার দুপুরগুলোতে আমাকে উদাস করে দিয়ে তুমি ভালো থেকো, আমায় রাতের তারা দেখার সঙ্গীবিহীন করে দিয়ে তুমি ভালো থেকো। আমাকে মিথ্যে করে দিয়ে ভালো থেকো। তবুও তুমি ভালো থেকো।
সু
জানো, দুপুরবেলাটা কেন জানিনা অলস লাগে, ভাবি কি করবো অথচ অনেক কিছুই করার থাকে। করতে কেবল ইচ্ছে হয়না আরকি!
তাই পেছনের বারান্দায় বসে বাতাসে ডোরবেলের অাওয়াজ শুনছিলাম। মাঝে মনে হলো তোমার কথা, পেছনে তাকিয়ে তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছিলোনা,তাই পেছনে দেখিনি। রাগ হওয়ার কোন কারণ নেই,আজও ভালোবাসি পাগলের মতোন,তবে সেয়ানা পাগল আজ। সামনে তাকিয়ে যাকে দেখিনা তাকে পেছনে তাকিয়ে দেখে কি হবে? সামনে থাকলে হয়তো আশা হতে, পেছনে থাকার মানে তো দুঃখ,তাই দেখিনা।
তোমাকে দুপুরে বলতাম, থাকলে পাশে ভালো হতো, অলস সময়টা অলস হতোনা, কেটে যেতো চোখের পলকে। তুমি মাঝে মাঝে বুঝতে আমায়, আমি তাতেই খুশি ছিলাম। আজও আমি বাঁশি বাজাই ভাবি তুমি তোমার সেই পরিচিত হাসিটা দিবে, একটা প্রসংশার হাসি। ওহ, আশা না,একটা চাওয়া। না, তোমার কথা শুনলাম, ভেতরটা ফাঁকা হয়ে গেলো, মনে হলো তুমি তো নেই।
ঠিক ততবার আমি তোমাকে মনে করি যতবার আমি আর কাউকে আমার পাশে দাঁড়াতে ভাবি, কিন্তু আমি পালাই, পারিনা ভাবতে,একের পর এক বিয়ের প্রস্তাব না করে দিয়ে আমি হয়তো একলাই থাকতে চাই। পারছিনা।
গরম পড়লো বলে,গাছে আমের মুকুল তোমাকে মনে করায়, কাঁচা আমভর্তার কথা মনে করায়। আমার আর শাড়ি পরা হলোনা,সবাই কতো সখ করে পয়লা ফালগুনে শাড়ি পরলো,আমার খুব একটা আফসোস হয়না,তোমার কথা মনে করে। তবে কেউ যখন বলে, বান্ধবী জোর করে তখন অজুহাত খুঁজে বের করতে পারিনা,সত্যিটাও বলতে পারিনা।
তবে আমি ভালো আছি,এই দুপুরগুলোর একটা আলাদা অাকর্ষন আছে,একটা টান,মাতাল টান, তোমার ভদকার বোতল তা দিতে পারে কি না আমি জানিনা। বারান্দায় পা ছড়িয়ে বসে আশেপাশের গাছগুলো দেখি। মা এইজন্যই সারাদিনের কাজ করেও গাছগুলোর কাছে এসে বসে দু'দন্ড শান্তি পায়। চোখের সামনে গোলাপজাম গাছটা কবে বড় হবে ভাবি,সেই কবে বড় গাছটা কেটে ফেলে দিলো। তরুণ নারিকেল গাছটার পাতাগুলো রোদের তেজটা আমার গায়ে পুরোটা আসতে দেয়না। একটা সবুজাভ সোনালি আলো ছড়িয়ে দেয়। বড়ো ভালো লাগে। তুমি থাকলে হয়তো কোন কথা না বলেই দিব্যি কাটিয়ে দেওয়া যেতো এই লম্বা দুপুরটা।
সবুজ দূর্বার উপর হাঁটতে ইচ্ছে করছিলো খুব। নেমে মনে হলো ভুল করিনি, একটুখানি নরম ঘাস,দূর্বা বোধ হয় সবচেয়ে সুন্দর ঘাস। কে জানে!
কুমড়া গাছের গাঢ় সবুজ পাতাগুলোর ফাঁকে সোনালি রোদ দেখে বসে পড়লাম ঘাসের উপর। শুয়ে পড়তে ইচ্ছে হলো। মনে হলো যেন সবটুকু সুখ, শান্তি এই দুপুরে ঘাসের উপর শুয়ে থাকার মাঝে, তোমার পাশে থাকার চেয়েও।
আমি আরো তো দুপুর দেখেছি, আজকের মতো নয়। আরো দুপুরের সাথে আমার শৈশব ছিলো, আমার কৈশোর ছিলো, তারুণ্যের শুরুর দুপুরগুলো এরকম বাড়ির পেছনে খানিকটা জায়গায় গাছের সাথে জড়িয়ে ছিলোনা হয়তো, ছিলোনা ঘাসের উপর শোয়ার সাথেও, তবে দুপুর তো ছিলো। হ্যাঁ, এরকম ছিলোনা। আজকের দুপুরটা আর বাকি সবগুলো দুপুরকে ভুলিয়ে দেয়। দুঃখ মনে করিয়ে হয়তো দেয়, আশা হয়তো দেয়না, তবে শান্তি দেয়। হয়তো মৃত্যুর মতো শান্তি।
নাহ, আজকে আর লিখবোনা, তুমি খুব ভালো থেকো। আমার দুপুরগুলোতে আমাকে উদাস করে দিয়ে তুমি ভালো থেকো, আমায় রাতের তারা দেখার সঙ্গীবিহীন করে দিয়ে তুমি ভালো থেকো। আমাকে মিথ্যে করে দিয়ে ভালো থেকো। তবুও তুমি ভালো থেকো।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
দূরে থাকা মেঘ বলেছেন:
সপ্নেরা বেঁচে থাকলে কষ্ট হবে যে?
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আগে কোথায় যেন পড়েছি মনে হচ্ছে !
পোষ্টে +++
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
দূরে থাকা মেঘ বলেছেন: ভাই, ফিরলেন তবে?মেইল করেছিলাম। কেমন আছেন? অনেক মিস করেছি।
কি বলেন?কোথায় পড়লেন? কারোর সাথে মিলে গেলে ভাই জানিনা।তবে আমি এখানেই কেবল আছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
মামুন রশিদ বলেছেন: আশাজাগানিয়া স্বপ্নেরা বেঁচে থাক ।