![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এতো শক্তিমান আগে জানা ছিলো না। আজকাল মিত্র নয়, শত্রুদের সংখ্যা দেখে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। হুমায়ুন আজাদ
গতকাল রাত ১২টায় বাসায় ফিরেছি তো যথারীতি সারারাত জেগে থাকার উদ্দেশ্যে জেগেছি।। সকাল ৮টার পর একটু ঘুম আসল, মনে হইল অল্প কিছু সময় ঘুমিয়েছি কিন্তু ২ঘন্টা হওয়ার পর এক দোস্ত এসে দরজা খুলল সাথে সাথে লেপ মুড়ি দেয়া ছিল মাথাটা বের করলাম দোস্ত দেখি মশারি খুলার চেষ্টা করতেছে।। তো উঠলাম মনে হইল কে যেন টানতেছে বিছানাতে।।উঠে ২ জনরে ফোন দিলাম তারা প্রথম বলল ১০মিনিট তার পর ৫ মিনিট এভাবে ১টার দিকে আসল।।গোসল করলাম নাস্তা করে বের হলাম।।তার আগে ঘুম থেকে উঠে একটু ডাইল গিললাম। বসে আছি বাকি ২জনকে বলা যাবেনা মাইন্ড খাইতে পারে।।ওরা আসলে ৪জন বের হলাম ২টা বাইকে উদ্দেশ্য একটাই ডাইল গিলার।।গিলে আসলাম সাতক্ষীরার মোজাফফার গার্ডেনে।।আড্ডা মারি ছবি তুলি।তখন একজন গুরুর সিদ্ধি বানানো শুরু করল কিন্তু তার আগে দেখি খুলনা মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা পিকনিকে এসেছে।। আসার সময় অনেক ডানা কাটা পরীর লাহান ডাক্তারের ভিতর একটি মেয়ে কে ভাল লাগল ৭ সেকেন্ড তাকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যেই মেয়েটা তাকাল সে হতবাক হয়ে গেল প্রায় টাসকি যারে বলে।। আমি বুঝেই চোখ ফিরিয়ে নিলাম।।একটু সামনে যেয়ে বসলাম তখন ৩জন ধুন টানবে আমি টানব না তবুও ১টান দিলাম।সবাই সুয়ে আছি ভরপুর অনুভুতিতে যা ভাবছি ভাল লাগছে খুবি।। আমার চোখ দুইটা হালকা ফোলা আর পর্যাপ্ত লাল ছিল।।গত ২রাত না ঘুমায়ে, এমনিতে সিগারেট না টানা পাবলিকের পর্যায়ে অবস্থান আমার কারন টাকা থাকেনা তাই।।শুয়ে আছি অনেকক্ষন গান বাজছে আমি এক ভাঙা বাড়ির ভাঙা ঘরের ভাঙা বারান্দা তপুর একটি অদ্ভুত সুন্দর গান,মেয়েটার চেয়ারাটা ভাসতেছিল কল্পনায়।।তার চাহনি এতো বিধেছে যে ভুলতে পারিনি। মেয়েটিকে দুরে দেখা যাচ্ছে তাকিয়ে আছি গালে হাত দিয়ে উঠে বসে।। ১০মিনিট চোখ বন্ধ করে নেশা কাটছে আর কিছু হয়না।। মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছি এক পলকহীন চোখে।। ভাবছি এতো সুন্দর একটা মেয়ে এভাবে তাকাল আমার দিকে পুরা বিস্ময় নিয়ে।তখন দেখলাম দুইটা মেয়ে হাটতে হাটতে আমাদের দিকে আসতেছে চলে যাওয়ার আগে।।বোরকা পরা মুখ খোলা সেই মেয়েটি।।কি অপূর্ব লাগছিল কিছুক্ষন আগে দেখা এই মেয়েটির বোরকা ছাড়া চেহারাটা।। কিন্তু এখন বোরকা পরে আরেক রকম ভাল লাগা। মেয়েটি তার বান্ধবীর সাথে কি নিয়ে কথা বলছিল।এদিকে আসতেছে বলে আমি নিচের দিকে তাকিয়েছি যখন উপরে তাকালাম মেয়েটার সেই বিস্ময়কর চাহনি।। চুপ হয়ে চলে গেল।। আমরা উঠলাম ফিরব বলে তখন আমার দোস্ত বলল তোর চোখ অনেক লাল অনেক।।আমি বুঝলাম এইবার বিস্ময়ের কাহিনীটা।।হাটতে হাটতে যাচ্ছি এবার দেখলাম তারা ৭-৮ জন তাকাচ্ছে আমার মাথা নিচু আর ৩ ফ্রেন্ড গান গায় লাফায়ে হাটতেছে আর আমি চুপচাপ ভাবতেছি। হঠাত্ এক দোস্ত টিজ করা শুরু করবে বলে ভাল লাগছে বলবে সাথে সাথে বললাম এই কাজটা আমার সামনে করবানা আর কোনদিন,আমি এই টিজ করা অনেক ঘৃনা করি।দোস্তটা অনেকদিন পর এসে এমন বিহেব পাওয়ায় সাথে সাথে সরি(Sorry) বলল আর হবেনা।।তাকালাম তাদের দিকে এবার যে যায় আমার চোখের দিকে তাকায় সবাই বিস্মিত কারন এর ভেতরেই সেই দোস্তকে একটা থাপ্পর মারছি সেই মেয়েকে টিজ করার জন্য।।কোন কথা না বলে বেরিয়ে এলাম মেয়েটার দিকে পিছে তাকালাম দেখলাম তাকিয়ে আছে।।মনে ভাল লাগল যে একটি ছেলেকে যে আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড তাকে চড় মেরেছি একটি মেয়েকে টিজ করার জন্য।।নেশা করেছি কিন্তু পাগল হইতে জ্বালা আছে রে বাই,আমি জাতে মাতাল তালে ঠিক।। খারাপ ছিলাম হালি করে একটু চেষ্টা করি ভাল থাকার কিন্তু মনুষ্যত্ব ও বিবেক হারায়নি।। কিন্তু মেয়েটির সেই বিস্ময়কর মুখ ভাসছে কল্পনায়।। হয়ত সে ভুলেও গেছে।। অতঃপর চন্দ্র সূর্য যত বড় আমার দুঃখ তার সমান।।।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪০
পাগলাগারদের পাগল বলেছেন: নতুন লিখছি তো, আর ফোন থেকে লিখি তাই এতটা দাড়ি কমা দিতে মনে থাকেনা।একটু মানিয়ে নিন আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪১
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: আপনার কাজটা যথেষ্ট অনুপ্রেরনাদায়ক। কিন্তু বাক্যগুলা আরেকটু সুন্দর হইলে ভালো হইত। আই মিন আপনি ভাই দারি কমা ঠিক মত দিতাসেন না।
যাই হোক কিপ আপ দ্য গুড ওয়ার্ক। মেয়েটার কথা আরেকবার ভেবে যাবতীয় সব খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করবেন এই প্রত্যাশা রইল।