নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আততায়ী।

মেহরাব হাসান খান

আমি H2O,,,,Solid,Liquid & Gas.How do you deserve me?

মেহরাব হাসান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ প্রশ্ন

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

আমার ভেনাস্ট্রাফোবিয়া(Venustraphobia) আছে।কিন্তু দাদিকে ভয় লাগে না।বলাই হয়নি, ভেনাস্ট্রাফোবিয়া মানে রূপবতী নারী ভীতি। দাদি কেমন রূপবতী ছিলেন এই বুড়ি বয়সেও আচ করা যায়। অতি রূপবতী মেয়েদের মতই তিনি অহংকারী আর মানুষকে খুব একটা দাম দেননা।এইতো গতকাল তিনি বড় মেঝ ভাবির মুখের উপর বলেদিলেন, নিয়া যা তোর বাপের মিষ্টি। ঘুষের টাকার মিষ্টি ছফিনা বেগম পুছেও না, থুহ।মেঝো ভাবির বাবা ঘর থেকে অবশ্যই শুনতে পেয়েছেন।

আমার দাদা নাকি যাত্রা দলের নায়ক ছিলেন।ঘুরে ঘুরে যাত্রায় অভিনয় করতেন।তাকে ঘরে আটকানোর জন্য তার বাবা ছফিনা নামে অসম্ভব রূপবতী কিশোরীর সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন।এবং তার পরিকল্পনা কাজে লেগেছিল। দাদি সারা জীবন তাকে আঁচলের তলেই রেখেছেন। দাদা কোন দিন ইনার কথার অবাধ্য হননি, বাড়ি ত্যাগ করাতো অসম্ভব।

আমি নাকি দেখতে অবিকল দাদার মতই, কথাবার্তা, চালচলন সব।এজন্য দাদি, ফুপুরা আমায় বেশ গুরুত্ব দেন।বাকিদের ধারণা, এগুলা কিছু না।আমি আর মা মিলে দাদিকে তাবিজ করেছি।এজন্যই দাদি সারাদিন মুহিব মুহিব করে।আমার নাকি দাদির সিন্দুকের হাতিয়ে নেয়ার ধান্দা।বাকিরা যে দাদির প্রিয় হবার চেষ্টা করেনি তা না, যারা চেষ্টা করেছে সবাই দাদির দু'চৌক্ষের বিষ।বাড়ির সবার ধারণা, দাদি তার সিন্দুক আমাকে দিয়ে যাবেন। তার সিন্দুকে কি আছে, এটা একটা রহস্য। তাকে জিজ্ঞেস করলে, তিনি রহস্যজনকভাবে হাসেন।

আমাদের বাড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এখানে সারাদিন কলহ লেগেই থাকে।যদি কেই ঝগড়া করার ইস্যু না পায়, তবে এই গুরু দায়িত্ব পালন করে শোভন, অনন।ওরা পড়ছে বা খেলছে, হঠাৎ তুমুল মুষ্টিযুদ্ধ শুরু করে দিবে।ব্যতিক্রম কেবল ছোট ভাবি আর আমি, আমরা কখনো কোন ঝগড়ায় অংশ নেই না।কোন ঝগড়ার আগেপাছে নেই।আমাকে কেউ কিছু বললে আমি হাসি, আর ছোট ভাবি মাথা নিচু করে থাকে।

আচ্ছা, বলা হয়নি।শরৎচন্দ্র আমাদের বাড়ি দেখলে খুব খুশি হতেন।তার উপন্যাসের জন্য আদর্শ। ছোট, মেঝো, বড় সব ধরনের বৌ আছে।আমি ঝগড়া করি না, কারণ আমি এই পরিবারে উচ্ছিষ্ট। আমার কোন রোল নেই।দাদি ছাড়া কেউ আমার কথার গুরুত্ব দেয় না, শোভন অনন কেউই না।ওরাও বুঝে গেছে, মুহিব কাকা অপদার্থ। না বুঝে উপায়ও নেই।প্রতিনিয়ত এটা তাদের মনে করিয়ে দেয়া হয়, মুহিব বাড়িতে বসে বসে খাবার নষ্ট করছে।
ছোট ভাবি ঝগড়া করে না। এই অসম্ভব রূপবতী মেয়েটি তার স্বামীর শোক হয়তো এখনো ভুলতে পারেনি, তবে মুখে শোকের কোন চিহ্নই নেই।আমার ধারণা, তিনিও দাদির মত অসম্ভব অহংকারী।মানুষকে দাম দেয়ার কথানা, কিন্তু তিনি ব্যতিক্রম।

এইতো গত বছর জানুয়ারীতে ছোটভাইয়ের সাথে তার বিয়ে হল।আমরা বাজনা বাজিয়ে শেরপুর থেকে বাসে করে ফিরছিলাম।মাইক্রোবাসে ছিলেন ছোট ভাই, ভাবি আর আর ছোট কাকা। সবাই দূর্ঘটনায় মারা গেলেন, শুধু ছোট ভাবি অলৌকিকভাবে বেচে গেলেন, শরীরে নাকি একটু আচরও পরেনি। পরিচিত অপরিচিত সবাই তাকে ডাইনী বলে আখ্যায়িত করলো। ভাবি তাদের বাড়ি ফিরে গেলেন না।তিনি এখন আমাদের বাড়ির বেতনহীন কাজের মেয়ে।আম্মা অনেক আগেই আমাদের কাজের মেয়ে রাহেলাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ভাবির কোন দুঃখ নেই।তিনি এক মনে কাজ করেন, কখনো কোন কাজে নিষেধ করেছেন বলে শোনা যায়নি।ছোট ভাই মারা যাওয়ায় দাদি কোন আক্ষেপ করলেন না। ইনিয়েবিনিয়ে বললেন,"ছেড়া মইরা ভালো হইছে, তার মেয়েছেলে পছন্দ ছিল না।সেতারা পতিত থাকতো।"

আমি পাস করে বসে আছি, চাকরির চেষ্টা করছি না।এতে সবাই গালি দিলেও দাদি কিছু বললেন না।আকাশে পূর্ণ চাঁদ এবং ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলে দাদি আর আমি ছাদে শুয়ে থাকি।দাদি তখন গল্প করেন, অত্যন্ত নোংরা গল্প।দাদা কিভাবে তাকে আদর করতেন এইসব হাবিজাবি! আকাশে চাঁদ ঊঠেছে বা বৃষ্টি নেমেছে, কিন্তু দাদি বিছানায় পরে আছেন; এমন কখনো হয়নি।অসুস্থ থাকলেও দাদি জ্যোছনা আর বৃষ্টি নামলে হুট করে সুস্থ হয়ে যেতেন!

আমার ঘরে কেউ আসে না।তবে আমার ছোটবোন সাথী আসে, আমার ঘর গুছিয়ে দেয়।একমনে কাজ করে আর আমায় গালিগালাজ করে, যার মূলকথা হল আমার চাকরি খোজা উচিত।গত একবছরে তাকে ১০টা পাত্র দেখে গিয়েছে, একজনও পছন্দ করেনি। তারাতো জানে না, আমার এই বোনটি অত্যন্ত ভাগ্যবতী তবে গায়ের রঙ কালো। আব্বা জমি বিক্রি করে জুয়া খেলতেন,ওর জন্মের পর জুয়া খেলা বন্ধ করে কাজে মন দিলেন।ও আমাদের পরিবারে সৌভাগ্য নিয়ে এসেছিল।

আমি প্রতিদিন রাতেই দেরি করে বাসায় ফিরি, কোন কাজ করিনা। ঐযে কথায় আছে 'যার কাজ নেই সে অতিব্যস্ত'। আজও দেরি করে ফিরলাম। মা দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পরেছে।ছোট ভাবির ঘর থেকে ফুপিয়ে কান্নার আওয়াজ আসছে।বড় ভাই আর ভাবি ঝগড়া করছে।ভাবিকে আজ কেনাকাটার জন্য দশ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল, ভাইয়া দেইনি।সাথীকে আজকেই বরপক্ষ দেখতে এসেছিল, ভাইয়া বাজার করেছে।মেঝোভাই বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে।আমি নিজের ঘরে ঢুকলাম।

মশারী টানিয়ে শুয়ে পরব তখনি দরজায় শব্দ হল। দাদি ছাড়া আর কেই না, আজ যে পূর্ণিমা।দাদির সাথে চাঁদ দেখা অত্যন্ত কুৎসিত ব্যাপার!তিনি কাপড় খুলে শুয়ে থাকেন আর যত আজেবাজে গল্প শুরু করেন।
"দাদি বিরক্ত করো না,আমার মাথা ধরেছে!"
"মুহিব, বাইরে আয়।দেখ চারপাশ ফকফকা।"

"তুমি যাও, ঘুমাও।আমার শরীর ভালো না।"
"ওরে মরন, এই রাতে ঘুমানো যায়?আয় দাদা, একলা চাঁদ দেখে আরাম নাই!"

"তুমি খুব জ্বালাও।বললাম আমার মাথা ধরেছে।"
"আমি মাথা টিইপা দিবনে।আয় দাদা।কয় দিন আর বাচুম!মইরা গেলেইতো সিন্দুক নিয়া পরবি, আমার কথা তখন মনে থাকবোনি?"

আমি আর দাদি ছাদে শুয়ে আছি।দাদি কাঁদছেন, আজ দাদার মৃত্যুদিন।বাসার কারো মনে নেই।অথচ দাদা সবার জন্মদিন ধুমধামে পালন করতেন।সময় কত দ্রুত বদলায়!
"মুহিব, চল আমরা বাইরে ঘুইরা আসি।সেতারাকেও নিয়ে চল।যুবতী মেয়ে, না জানি কত কিছু মন চায়, কাউরে কইতে পারে না।"
"পাগল হয়েছ দাদি!এতরাতে?আর তুমি হাটতেও পারো না।গাড়ি নিয়ে গেলে বাবা খুব রাগ করবেন।"

"তুই চল, হের রাগ আমি দেখবো। যা সেতারা আর ড্রাইভাররে ডাক দে।আমি শাড়ি পরে আসি।"
"দাদি, আজ বাদ দাও।"

"চল দাদা, তর দাদার সাথে একটা রেস্টুরেন্টে যেতাম।তিনি মরার পর আর যাইনি!"

আমি নিতান্ত অনিচ্ছায় পাঞ্জাবি পরলাম।ছোট ভাবিকে দাদি জোরাজোরি করে শাড়ি পরালেন। দাদিও পরেছেন টকটকে লাল শাড়ি, তার বিয়ের শাড়ি।আমাদের দিকে তাকিয়েই ড্রাইভারের ঘুম ছুটে গেল।ছোট ভাবি আতঙ্কে হতবাক!এত রাতে হচ্ছেটা কি?

আমরা ঢাকা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পাশে ঘরোয়া হোটেলের দোতলায় বসে আছি। দাদির মুখ হাসিহাসি, ভাবির চোখ তার পায়ের বুড়ো আঙুলের দিকে।তিনি পায়ের আঙুল নাড়াচ্ছেন।কিছুক্ষণ পরেই বয়স্ক একজন লোক প্রায় দৌড়ে এলেন।
"আপা আসছে!আমার আপায় আসছে গো!তরা সব কই একটা খাসির আস্তরানের কোরমা বানা, একটা ইলশামাছ ধনে পাতার রস দিয়া ভাজি কর।তাড়াতাড়ি কর, আপার দেরি সহ্য হয় না।"

ভদ্রলোক আমার দিকে তাকিয়ে আবার বললেন,"ও আল্লাহ ভাইজানের দেখি বয়স বাড়ে নাই!"
মালিকের এমন আচরণে হোটেলের সকল মেশিয়ার অবাক।
"আপা ভালা আছেননি?আপনের লেইগা মন পোড়ে, ঠিকানা জানি না, কই কই খুজছি হিসাব নাই।আপনে ভালা আছেননি?" ভদ্রলোক ভেইভেই করে কান্না শুরু করলেন।মেশিয়ার সব কাজ ফেলে এই আশ্চর্য দৃশ্য দেখতে লাগলো। যে লোকটা সারা দিন গালিগালাজ করে সে একজন বুড়ির হাত ধরে কাঁদছে!
"জামাল, এইটা তোমার ভাইজান না।আমার নাতিন মুহিব!তোমার ভাইজান আর নাই, হেরে ছাড়া কেমনে আসি বল?"

আমরা ভোরবেলা বাসায় ফিরলাম।আব্বা বারান্দা থেকে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন।তার চোখ দিয়ে আগুন বের হলে এতক্ষণে আমরা ভস্ম হয়ে যেতাম।ভাবি দৌড়ে নিজের ঘরে চলে গেলেন।
দাদি আব্বাকে বললেন,"আমার দিকে চৌখ গরম করবি না, আমি তরে ডরাই না। তর গরম চোখে আমি থু দেই।থুহ...."

সেদিন রাতেও ঝুম বৃষ্টি নামলো।আমি অপেক্ষা করছি কখন দাদি ডাকেন।উনি একা বৃষ্টিতেও ভিজতে পারেন না।দরজায় যে কড়া নাড়ছে সে দাদি না, অন্যকেউ।দাদি দরজায় মোটামুটি ঝড় তোলেন, তার ধারনা দেরি করলে বৃষ্টি থেমে যাবে।
দরজা খুলে দেখি ছোট ভাবি দাঁড়িয়ে আছেন।
"দাদি কেমন জানি করছেন!আপনাকে ডাকে।"
এই প্রথম ভাবির গলা শুনলাম।

দাদির ঘরে সবাই দাঁড়িয়ে আছে।সবার চোখ চকচক করছে।দাদি মারা গেলেই আজ সিন্দুক খুলে গুপ্তধন ভাগাভাগি করা হবে। শোভন আমায় জিজ্ঞেস করলো,"কাকা, বড়মা কি সব তোমাকেই দিবে?আমাদের কিছু দিবে না?"

সবাই আমার দিকে হিংসাত্মক চোখে তাকিয়ে আছে। দাদি তাদের হিংসা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবার জন্য সবাইকে বাইরে যেতে বললেন। ঘরে কেবল আমি আর ছোট ভাবি। আমি দাদির ডানহাত, তিনি বামহাত ধরে আছেন।যেন হাত ছাড়লেই খেলা শেষ!

দাদি বললেন,"মুহিব, তুই সেতারাকে বিয়ে কর।" আমি চুপ করে রইলাম।
"দাদা, কিছু বলিস না কেন?আমার এই কথাটা রাখ।সেতারার কোন মত-অমত নাই।মেয়ে মানুষের আবার মতামত কি?তুই রাজি হইলেই.....!"
তিনি লম্বা করে দম নিলেন।
"দাদা, কথা ক!রাখবি আমার কথা?"

আমি জবাব না দিয়ে বাইরে চলে এলাম।ভেতরে তালা ভাঙার শব্দ হচ্ছে।নিশ্চয় দাদি আর নেই, সিন্দুকের তালা ভাঙা হচ্ছে।

ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।আমি উঠোনে দাঁড়িয়ে ভিজছি। সেতারা আমার হাত ধরে দাড়ালো। আশ্চর্য! কোন সংকোচ নেই। সেতারার চোখে জল নেই কেন?অবশ্য দুজনের চোখের জল বৃষ্টিতে মিশে যাবার কথা!

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



অনেকদিন পর একটা কিছু পড়লাম, অদ্ভুত

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩০

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আগেতো নিয়মিত আমার লেখা পড়তেন, এখন নিশ্চয়ই পড়েন না।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হচ্ছে, বেশ কিছু সময় আপনার লেখা পড়া হয়নি; গল্পটির প্লট অনেক সুন্দর

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩১

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়ে ফেলুন সব, কেমন হল জানাবেন।বাজে হলেও বলবেন।

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:০৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গল্পটা হৃদয় ছুঁয়েছে।

যৌথ ফ্যামিলিতেই শৈশব, কৈশোর কেটেছে। দাদী মারা যাওয়ার পর বাবা চাচারা আলাদা আলাদা বাসাবাড়ি করে চলে গেছেন। গল্পের কিছু ঘটনা পড়তে পড়তে পুরানো কিছু স্মৃতি চোখে ভাসছিলো।

+

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩৩

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: যাক এই বিবেচনায় নিজেকে স্বার্থক মনে করছি ।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক সুন্দর

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:৪৫

ইসিয়াক বলেছেন: পুরোটুকু শেষ করলাম। অসম্ভব রকমের সুন্দর ।
শুভসকাল

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: শুভ অপরাহ্ন। ভালো থাকুন।

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: যা লিখেছেন তা কি সত্য?? না বানোয়াট।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধুরো কি বলেন, সত্য হবে কিভাবে? বানিয়ে বানিয়ে লিখা, মিথ্যা গল্প!

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

নাসির ইয়ামান বলেছেন: গল্প আমার পসন্দ না,আমার পসন্দ সমাজ সংস্কার!
গল্প ভালো হয়েছে!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: মৌলবাদ আমাদের শিরায় শিরায় সেখানে সংস্কার আদৌ সম্ভব কিনা আমি জানি না!

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:০৪

নাসির ইয়ামান বলেছেন: আপ্নার নিকট মৌলবাদের সংজ্ঞাটা কেমন? জানতে চাচ্ছি!

১৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:০২

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আদি সামাজিক রীতিনীতি আঁকড়ে থাকা।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা গল্প। শেষটা কিছুটা অনুমেয় ছিলো। তবে আপনি সেটা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে যে কয় জনের লেখা পড়েছি, বিশেষ করে গল্প তাদের মধ্যে আপনার লেখা বেশ আকর্ষনীয়। আশা করি আরো নিয়মিত লিখবেন। লেখার মধ্যে কিছু ছোট খাটো টাইপো আছে, অনুগ্রহ করে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

অনেক দিন পর আমি কোন গল্প পড়ে মন্তব্য করলাম। কারন তৃপ্তি পেয়েছি।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১১

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আপনি উৎসাহিত করলেন, ধন্যবাদ।
আমি "টাইপো" কি বুঝিনি। দয়া করে বুঝিয়ে বলুন।

আমি আপনার মুগ্ধতা ধরে রাখার চেষ্টা করবো।ফেল করলে, আমায় ক্ষমা করবেন। আমি মানুষ সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে নই। ভালো থাকুন।

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি সাম্প্রতিক সময়ে একটা তালিকা প্রকাশ করেছিলাম, কারা এই সময়ে ভালো লিখছেন। খুব দ্রুত আমি সেই পোস্টটি আপডেট করব। আপনার নাম সেখানে অবশ্যই থাকবে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি!আরও দু'একটা গল্প পড়ুন, দেখা গেল আমি আপনার তালিকায় থাকার যোগ্য না।

১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গল্প শেষ হলেও মুগ্ধতার রেশ টুকু শেষ হলো না!

যেন বৃষ্টিতেই দাড়িয়ে আছি অনন্তকাল!!! হাত ধরে আছে সেতারা - - -

:)

++++++

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: দাঁড়িয়ে থাকুন, সেতারাদের হাত ধরে ভিজতে নিশ্চয়ই খারাপ লাগছে না।হা হা....

১২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৪২

মাহের ইসলাম বলেছেন: ভাইরে ভাই, এতো সুন্দর লিখেন কিভাবে?
অসাধারণ হয়েছে। +++++

কিভাবে অল্প কথায় সুন্দর গল্প লেখা যায়, তাঁর একটা পারফেক্ট উদাহরণ হতে পারে এই গল্পটি।
আমি নিশ্চিত ঠাকুরমাহমুদ ভাই, আমাকে এই রকম কিছু লিখতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি পারছি না। আপনার লেখা পড়ে ঈর্ষা হচ্ছে।

গল্পের বই বের করলে অটোগ্রাফ নিতে আসবো।
তখন অনেকের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবেন।
তাই আমাদেরকে নিরাশ করবেন না যেন।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: এহেন প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি আবার একটা গল্প লিখে ফেলেন। দেখুন, সব লিখা হয়েগেছে, হুমায়ুন আহমেদ, শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, আহমদ ছফা, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদারসহ বাকিরা সব লিখে ফেলেছেন। আমাদের আবার নতুন করে নিজেদের মত করে লিখতে হবে।
আপনি আবার লিখুন!
লিখতে থাকুন, ভালো থাকুন।

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:২৪

নাসির ইয়ামান বলেছেন: মৌলবাদের ভুল সংজ্ঞা আপনি করেছেন!

১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আমি দুঃখিত। আমার জ্ঞান সীমাবদ্ধ। আপনি বলে দিন, আমি শিখে নিচ্ছি।

১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৩২

নাসির ইয়ামান বলেছেন: মৌলবাদ হলো,ধর্মের মূলকেন্দ্রীকতা বা ফান্ডামেন্টালি বলতে পারেন।
উগ্র ধার্মিকরাও মৌলবাদী এবং এটা সব ধর্মের মধ্যেই ব্যপকহারে আছে।যেমন ভারতের গেরুয়াপার্টি,ইসরাইলের জায়নবাদীরা।
এটা কখনোই সুখকর নয়।কারণ এরা পরধর্ম পরমতকে একেবারেই সহ্য করতে পারে না।

২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:০৯

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: তাহলে ব্যাপারটা পুরোপুরি ধর্মীয়।
মনে রাখবো।
শুভ সকাল। আপনার সারাদিন ভালো কাটুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.