নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আততায়ী।

মেহরাব হাসান খান

আমি H2O,,,,Solid,Liquid & Gas.How do you deserve me?

মেহরাব হাসান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মহত্যার জন্য কি পরিক্ষা পদ্ধতি দায়ীঃ আসুন স্রোতে গা ভাসাই!

০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৫


যারা নিয়মিত পেপার পড়েন, তারা এতক্ষণে জেনে থাকবেন, কাল পর্যন্ত নয় জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে এবং ২৫ জন্য আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে। এরা সবাই এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছিল, এরা ফেল করেছে বা আশানুরূপ ফলাফল পায়নি। গত বছর রেজাল্ট দেবার পরেরদিনই ৭ জন আত্মহত্যা করেছিল। জীবনের কি বিকৃত অপচয়!

আমার এদের জন্য বেশ মায়া হয়।আহারে!জীবনে কত কিছুই না করে, এরা চলে যায়। এদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, মা-বাবার প্রতি খুব রাগ হয়, এরা কেউ দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি।

প্রথম আলো'তে পড়লাম, একজন লোক আত্মহত্যার কারণ হিসেবে পরিক্ষা পদ্ধতিকে দায়ী করেছেন, পরিক্ষা পদ্ধতিকে বিষাক্ত বলেছেন। আমার কাছে মোটেই তা মনে হয় না। আমার কাছে পরিক্ষা পদ্ধতি ঠিক লাগে। ঝামেলা অন্যখানে!
পাঠক, যারা আমাকে এই পর্যন্ত পড়েই ধুয়ে দেবার কথা ভাবছেন, দয়া করে পুরোটা পড়ুন।তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

এবার পরিক্ষার্থী ছিল ২১ লাখের কিছু বেশি, এ+ পেয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। তারমানে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এ+ পায়নি। ফেলের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়, ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫০ জন। এরা কেউ কি কিছুই করতে পারবে না?
সবাইকেই মরে যেতে হবে?
আত্মহত্যাই বা বেড়ে যাচ্ছে কেন?
আমি এ+ পাইনি, আমি মরে যাবো?
আমি ফেল করেছি, আমি মরে যাবো?

আচ্ছা, যে শিক্ষার্থীটা খারাপ করেছে সে কি এই পরিসংখ্যান জানে?
না, সে ভাবে "আমিই কেবল খারাপ করেছি,ফেল করেছি, আমি মুখ দেখাবো কি করে!"
অথবা, আমরা নিজেরাই বা তাকে কখন বোঝাই, এ+ না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। যে পরিশ্রম করবে সে পাবে; যে পরিশ্রম করবে না, সে পাবে না। তাহলে গত দুই বছরের আমলনামা তার চোখে সামনে ভেসে উঠবে, সে নিজেকে স্বান্তনা দিতে পারবে!আর যাইহোক আত্মহত্যা করবে না।

যারা আত্মহত্যার করেছে বা করার চেষ্টা করেছে, সবাই ভালো পরিবারের সন্তান। মানে গরীব নয়, বাবা-মা এদের পড়ানোর পেছনে শারীরিক, আর্থিক দুই ধরনের ব্যয় করেছেন!
এখন আসুন জেনে নেই, সমস্যাটা কোথায়?

বেশিরভাগ অভিভাবক শিক্ষার্থীকে স্কুলের শিক্ষকের কাছে পড়তে দিয়ে ভাবেন, কাজ শেষ। সন্তানকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, জজ, ব্যারিস্টার তারাই বানাবে। কখনো ভেবেছেন, ভালো শিক্ষার্থীরা শিক্ষক হতে চায় না। এ পেশায় সম্মান থাকলেও টাকা পয়সা নেই।
এখনতো শিক্ষকের সম্মান, দরকার কোনটাই অত জোরালো নয়। হবেই বা কেন? টাকা দিলেই জ্বীনের বাদশা পরিক্ষার প্রশ্ন দিয়ে যায়।
শিক্ষক হয় ২য়/৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীগুলো। আরে ভাই, সে নিজেই তো টেনেটুনে পাস করেছিল,কেউ কেউ দুই-চারবার ফেল করার পর পাস করেই স্কুল, কোচিং খুলে বসে। আপনি হয়তো বলবেন, অনেক ভালো রেজাল্টধারীরাও ভালো পড়াতে পারেন না। এটাও ঠিক!
তবে যার রেজাল্টই ভালো না, সে আপনার সন্তানকে পড়াবে কি? ভালো রেজাল্ট, আর জানা আলাদা? তাহলে ভালো জানার মানদণ্ড কি? অবশ্যই প্রথম মানদণ্ড ভালো রেজাল্ট!
অনেকে আবার শিক্ষক হয়েও দারুণ সব শেখানোর পদ্ধতি শিখে যান। তাদের কথা আলাদা।

অভিভাবকরা স্কুলের শিক্ষকের কাছে পড়ান বা পড়াতে বাধ্য হন। স্কুলের শিক্ষক সারা বছর প্রায় কিছুই পড়ান না৷ পরিক্ষার আগের দিন প্রশ্ন দিয়ে দেন বা প্রশ্নটা পড়িয়ে দেন। তা পড়েই আপনার সন্তান "তাইরে নাইরে না" করে ভালো করে ফেলে, আপনিও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন "বাহ!আমার সন্তান বিরাট মেধাবী"। ফলাফল কিন্তু পাব্লিক পরিক্ষা আসলে বোঝা যায়! তখন তো, প্রশ্ন স্কুলের শিক্ষক করেন না, খাতাটাও তিনি দেখেন না।
অথচ সারা বছর সন্তান ভালো করছে, আপনিও আশা করছেন ভালো ফলাফল। যখন উল্টো হচ্ছে, আপনি নিজেকে সামলাতে পারছেন না।ফলাফল ভোগ করছে শিক্ষার্থী, আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে!

আর হ্যা, প্রতিষ্ঠান কি দায় এড়াতে পারবে? না। দিনের বেশিরভাগ সময়টা শিক্ষার্থী স্কুলেই কাটায়।
কেন প্রতিষ্ঠানকে কেউ প্রশ্ন করে না?
আমার সন্তান নিয়মিত স্কুলে এসেছে, বাড়ির কাজ করেছে, আমি স্কুলের টিচারের কাছে পড়িয়েছি, স্কুলে কোচিং করিয়েছি; তবে কেন সে ভালো ফলাফল করল না?আপনারা তাকে কি শেখালেন? অভিভাবক কেন প্রশ্ন করতে পারেন না, জানেন? কারণ কিছুটা দায় তারও থাকে।

শিক্ষার্থীটা সাইন্স পড়তে চায়নি, কিন্তু তাকে বাবা ডাক্তার বানাবে! ছেলেটা এইটে বিজ্ঞানে এ+ পেয়েছে, সে বুদ্ধিমান; তাকে সাইন্স পড়তেই হবে। সব পরিবার বিভাগ নির্বাচন চাপিয়ে দেন, নয়তো শিক্ষার্থী সমাজ থেকে দেখে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়। সমাজ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া অন্য পেশাকে ঠিক পেশাই মনে করে না!

শিক্ষার্থীরা একটা ভালো বই পড়ে না, দারুণ একটা সিনেমা দেখে না, স্পোর্টস দেখে না।যে শিক্ষার্থীরা এই তিনটা কাজের একটাও করে তারা কখনো নষ্ট হয়ে যায় না।
ওরা দেখে ইউটিউব, টিকটক ভিডিও। ওরা তাওহীদ আফ্রিদি, হিরন, সালমান মুক্তাদিরের বিরাট ফ্যান!মোশাররফ করিম, নিশোসহ বাকিদের জোকারি নাটকের কথা বলাই বাহুল্য।
কারও শেখার ইচ্ছে নেই, ভাইরাল হবার ইচ্ছে,হুটহাট ফেমাস হবার ইচ্ছে। তাহলে যা সত্য তা মেনে নেবার শক্তিটা আসবে কোথা থেকে?

আর বইপড়া, ভালো সিনেমা দেখা, স্পোর্টস দেখার অভ্যাস হবে কিভাবে? বাসায়তো সারাদিন চলে ইন্ডিয়ান সিরিয়াল! এ ওর জামাইকে (সত্যিকারের) ভালোবেসে পাচ্ছে না বলে হরহামেশাই আত্মহত্যা করছে বা করা চেষ্টা করছে!
কেউ কি সন্তানকে নিয়ে দারুণ কোন সিনেমা দেখতে বসেছে? না।
একটা বই উপহার দিন, যদি একবার মজাটা পেয়ে যায়, তবে মানসিক শক্তি তৈরি হবে। আপনি একটা কথা সন্তানকে বলতে পারছেন না, লেখক গল্পে বলেছেন। সন্তান পড়ে পড়ে শিখবে, ওর সৃজনশীলতা তৈরি হবে।
তাকে সাথে নিয়ে একটা ভালো সিনেমা দেখুন, ক্রিকেট ফুটবল ম্যাচ দেখুন। মাঝেমধ্যে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যান, ওর পছন্দের খাবার এনে দিন। আপনার সন্তান ভালো ছাত্র না হলেও শক্তিশালী মানুষ হবে।

যদি মাঝেমধ্যে বই নিয়ে বসতে পারেন তবে ভালো ছাত্রও হবে।কিছুদিন দেখবেন, সে কিছুই পারে না।জানি, পড়াতে বসলেই মেজাজ আলফা লেভেলে পৌঁছে যাবে।মারবেন না, ধৈর্য্য নিয়ে শেখান। না পারলে পাশে বসিয়ে মুখস্থ করান। তারপর দেখবেন, ও পারছে। পড়াশোনা শেষ করলে বলুন,"যাও এই সময়টা তোমার, যা ইচ্ছে কর।" গেম খেলুক, টিভি দেখুক, বাইরে ঘুরুক, বাইরে খেলুক, শুয়ে থাকুক; কিছুই বলবেন না।
দেখবেন, ওর আগ্রহ বেড়ে যাবে। আপনাকে শত্রু মনে করবে না। আপনার আর তারমধ্যে দ্বন্দ্ব থাকবে না।

আর হ্যা, সন্তান যদি আপনাকে সারাদিনের বর্ণনা না দেয়; বুঝে নিন আপনি অভিভাবক হিসেবে নিম্নমানের।
বকাঝকা না করে, উপরের কাজগুলো করুন।একটু সময় লাগলেও, সন্তান ভালো হয়ে যাবে।
আপনার সন্তান আপনারই থাকবে, আপনিও তাকে চিনবেন। ওর পছন্দের কাজগুলো করতে করতে বোঝান, উপদেশ দিন।দেখবেন, সব শুনবে।মারামারি, চিল্লাচিল্লি করে দেয়া উপদেশ আপনি মেনেছেন?

আমার বেশ আফসোস লাগে; আমি যাদের পড়াই সবাইকে আমি তাদের মা-বাবার চেয়ে ভালো চিনি। তারা নিজের সন্তান সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন।
দয়া করে, পড়াশোনা না করে কে কি করলো;এগুলা বলবেন না। এসবও বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। তারা ধরেই নেয়, পড়াশোনা না করলেও চলে।আবার এই শিক্ষার্থীই রেজাল্ট খারাপ বা ফেল আত্মহত্যা করতে যায়!
এরচেয়ে পড়াশোনা করে কে কি ভালো করলো তা বলুন।

একটুআধটু পড়াতে বসলে সন্তানের সক্ষমতা জানতে পারবেন। আপনি পড়াতে পারেন না, অত শিক্ষিত নন; তাই ভাবছেন?
ভেবে দেখুন, পড়াশোনা এখন দুই ধরনের লোকের জন্য; যার টাকা আছে, যার মেধা আছে। শিক্ষকের কিসের ঠ্যাকা, সে আপনার সন্তানকে দায়িত্ব নিয়ে পড়াবে? শিক্ষকেরা পারে শুধু বিচার দিতে, আপনার সন্তান এই, আপনার সন্তান ঐ.......! তাকে আপনার সন্তানের দু'একটা ভালো গুণ জিজ্ঞেস করুন, বলতে পারবে না। শিক্ষকদের নজর খারাপ, এরা ভালো গুণ দেখতে পান না। দেখতে পেলেও, খারাপ গুণ যত আগ্রহ নিয়ে বলবেন; প্রশংসা করার সময় ঠিক তত বিমর্ষ থাকবেন।

আরে ভাই, দেখে দেখে তো পড়াতে পারবেন, পড়া ধরতে পারবেন, মুখস্থ করাতে পারবেন। এটাই বিশাল কিছু।
সন্তানের সক্ষমতা বুঝে তাকে জানান, সে কেমন। সবাই মেধা আকাশ থেকেই নিয়ে আসে, কেউ বেশি কেউ কম। তবে পরিশ্রমের কাছে মেধা কিছুই না। সে মেধাবী হলে, তার কাছে কি চান জানিয়ে দিন। হয়তো তবুও রেজাল্ট খারাপ করলো, তাকে বোঝান, সে ভালো পড়াশোনা করেছে, সে ভালো জানে, রেজাল্ট এখানে কোন বিষয় না।

আর মেধাবী না হলে কি করবেন? পরিশ্রম করতে বলুন, তাকে বোঝান, সে পরিক্ষায় কেমন করতে পারে। সে নিজেও আপনার DNA, আপনি যদি স্কুলে ভালো করতে নাই পেরে থাকেন, সে কিভাবে করবে?
এমন করলে সে কখনো হতাশায় ভুগবে না, আত্মহত্যা তো দূরের কথা!

এখন আসি শিক্ষার্থীদের কথায়।
সে সারাদিন মোবাইলে গেম খেলবে, চ্যাটিং করবে, টিকটক ভিডিও করবে-দেখবে, অন্যান্য অকাজের কথা বাদই দিলাম।সারাদিনে ২ ঘন্টাও পড়বে না, আর আশা করবে এ+।
যদিও মাঝেমধ্যে কেউ কেউ পেয়েও যায়, কারণ জ্বীনের বাদশা পরিক্ষার আগে প্রশ্ন দিয়ে যায়!
জ্বীনের বাদশার কারসাজি বাদ দিলে, এটা অসম্ভব। আর রেজাল্ট ভালো করা, তোমার কাছে জীবনের চেয়েও দামী! এটা কেন পরিক্ষার অনেক আগে মনে হয় না? কেন রেজাল্ট দেবার পর মনে হয়?
দিনে সব কাজ-গেম খেলা, টিভি দেখা, ভিডিও দেখা, খেলাধুলা করেও কমপক্ষে দুই ঘন্টা পড়াশোনা করার জন্য বরাদ্দ করাই যায়। তবে তোমাকে আর যাইহোক খারাপ রেজাল্টের জন্য আত্মগ্লানিতে ভূগতে হবে না, মরে যাবার ইচ্ছে করবে না।

সব শিক্ষার্থী ADD(Attention Deficiency Disorder) তে ভোগে। মানে হল, শিক্ষার্থী মানেই পড়তে চাইবে না, পড়ায় মনোযোগ দিতে পারবে না। শিক্ষক, অভিভাবকদের কাজ হল তাকে মনোযোগী করবে। শিক্ষক তো নিজের কাজ কিছুতেই করবেন না। আপনার সন্তান, আপনাকেই করতে হবে। কিছুটা সময় নিয়ে বসুন। দুই ঘন্টা বসে থাকলে আধাঘন্টা পড়া হবেই! তাকে বলুন, কারও কারও পড়া হতে অনেক সময় লেগে যায়। এজন্য তাকে ধৈর্য্য নিয়ে বেশি বেশি পড়তে হবে।
আবার সারাদিন পড়া পড়া করলেও সমস্যা, সে আপনাকে পছন্দ করবে না। পড়াশোনা করিয়ে বাকি সময়টা ওর নিজের কাছে ছেড়ে দিন!বলুন, পড়াশোনা আর চরিত্র ঠিক রেখে যা ইচ্ছে করুক।

বিষাক্ত পরিক্ষা পদ্ধতি যদি বাদ হয়ে যায়, তবে কিভাবে বুঝবেন, আপনার সন্তান পড়াশোনা করে, সে বেশ জানে? আপনিতো নিজে তাকে পড়াচ্ছেন না, তাই শিক্ষকের কথা বিশ্বাস করবেন? সেটা আরও ভয়ানক!
আসল কথা, এত ঘনঘন পরিক্ষা থাকার পরও শিক্ষার্থী পড়তে চায় না, পরিক্ষা না থাকলে পড়বেই না।
একটা মজার কথা বলি।
মনে করুন, অনলাইন ক্লাস-পরিক্ষা চালু হল। শিক্ষার্থীরা ভিডিও কলে বসে পরিক্ষা দিবে। বাবা মা তখনও রেজাল্টের উপরই গুরুত্ব দিবে, পড়াশোনায় না। ক্যামেরার পিছনে বাবা-মা বই, গাইড খুলে দাঁড়িয়ে থাকবে! শিক্ষার্থী দেখে দেখে লিখবে।আমি এব্যাপারে ১০০% নিশ্চিত!

এখানে সবাই সবার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে, শুধু শুধু পরিক্ষা পদ্ধতিকে দোষারোপ করতে হবে না। শিক্ষার্থী অত্যন্ত ভালো না করলেও, যে ভালোটা করবে তাতে আপনিও খুশি হবেন, সে নিজেও গ্লানিবোধ করবে না। তার জীবনী শক্তি, মানিয়ে নেয়ার শক্তি থাকবে।

এরপরেও যদি মনে হয়, না, সমস্যাটা পরিক্ষা পদ্ধতির। তবে এখন নিশ্চিন্তে আমাকে বয়ান দিয়ে যেতে পারেন।চাইলে গালি দিয়ে মনকে শান্ত করতে পারেন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: অদ্ভুদ সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপনি।
আমার মনে হয় বাংলাদেশের সব স্কুলে "থ্রি ইডিয়টস" সিনেমাটা বাংলা সাবটাইটেল দিয়ে+পজ করে+রিমাইন্ড করে মাসে একবার করে দেখানো উচিত।
টেক্সট বুক এর বাইরের দুনিয়াটা যে কত কত বড় সেটা বোঝানো উচিত।

০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০০

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: লাভ হবে না, ততদিন হবে না যতদিন আমাদের প্রজন্ম অভিভাবক হচ্ছে না।

২| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

জিকরুল বারী তমাল বলেছেন: অনেক সুন্দর বিশ্লেষণ। ভালো লাগলো।

০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: তবুও যদি পরিবর্তন আসতো! অভিভাবকরা তো ব্লগ পড়েন না।

৩| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫২

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: রেজাল্টের দিন দুপুরে বিভিন্ন কমার্শিয়াল এ আপনি কিছু কিছু শিক্ষক পাবেন যাদের দেখলে আপনার মাথা খারাপ হবার জোগাড় হবে।


কার্তিক মাসের কামার্ত কুকুর আর ওইসব টিচারদের মধ্যে আমি কোন অমিল দেখিনা। কার্তিক মাসে কুকুর থাকে কাম ক্ষুধায় পাগল আর এ টিচারগুলো থাকে জিপিএ-৫ পাগল। (অবিভাবকরাও দায় এড়াতে পারেনা)

০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: উত্তরা হাই স্কুলের এক ইংরেজি শিক্ষক দুই তলায় একসাথে মাইক দিয়ে ক্লাস নেন। অভিভাবক তার কাছেও শিক্ষার্থীদের পাঠান! আমার কাছে এত আশ্চর্য লাগে!

কিছুই করার নেই। আমরা নিজেরা নিজেদের বাচ্চাটার যত্ন নিলেই হবে।

৪| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ লেখা । সমাজের চলমান চিত্র

০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই।

৫| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০১

রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল একজন পোষ্ট দিলো- সে লিখলো ১২ জন আত্মহত্যা করেছে। আপনি লিখলেন নয় জন। আমি জানি আপনার টাই সঠিক।
আত্মহত্যা শব্দটা আমার খুব অপছন্দ।

০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০২

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: আমি গতকালের প্রথম আলো থেকে তথ্য নিয়েছি। উনি হয়তো অন্যকোন পেপার থেকে নিয়েছেন। তবে আজকে অবশ্যই সংখ্যাটা বাড়বে। গত বছর সংখ্যাটা ছিল ১৭ জন, এবার প্রথম দিনেই ১২ জন!

৬| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২২

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:




লেখক বলেছেন: উত্তরা হাই স্কুলের এক ইংরেজি শিক্ষক দুই তলায় একসাথে মাইক দিয়ে ক্লাস নেন।

==========================================================================

রুপকথার বই বাজার থেকে আস্তে আস্তে উঠে যাবে। রুপকথার লেখকরা না খেয়ে মরবে। এদের স্থানে এইসব টিচাররা বসবে।
এরকম ঘটনাও ঘটে???


০৩ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হ্যা, উনি যে কোন এক ফ্লোরে থাকেন। হাতে স্পিকার থাকে, তিনি কথা বলেন, অন্য ফ্লোরে বাচ্চারা মাইকে শোনে। উনার ক্লাসের এক ছাত্রকে আমি পড়াই।

৭| ০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আত্নহত্যা কোন ভালো কাজ না।

০৩ রা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: এটা শিক্ষার্থীদের কে বোঝাবে, আমরা ছাড়া?

৮| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নতুন একটা সামাজিক সমস্যা মনে হচ্ছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হ্যা, কমছেই না। কোনভাবেই কমছে না!এই যে এতএত মোটিভেশনাল স্পিকার কোন কাজে আসছে না।

৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সুপারডুপার বলেছেন:



বাংলাদেশে অনেক দার্শনিক ও গবেষক থাকলেও মূলত কোনো গবেষণাও হয় না, জার্নাল পেপারও লেখা হয় না। আমজনতার কথার শুধু ঢাক-ঢোল পেটানো হয়।

আত্মহত্যার জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি কোনো কালেই দায়ী ছিল না। আত্মহত্যার জন্য দায়ী হচ্ছে মাইন্ড কিভাবে ডেভেলপ হয়েছে ও হচ্ছে এবং জেনেটিক্স। এর জন্য বহু মেডিকেল জার্নাল পেপার লেখা হয়েছে। নিচে Mental Health Channel-এর The Biology of Suicide ভিডিওটিও দেখতে পারেন।



তবে নিজের ভালোর জন্য আত্মহত্যা নিয়ে বেশি কথা বলা বা চিন্তা করা ঠিক না। তাই এই পোস্টে এটাই আমার প্রথম ও শেষ মন্তব্য।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হ্যা, যত কম আলোচনা করা যায় নিজের জন্য ততই ভালো।

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা আত্মহত্যাই আসলে হত্যা।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৮

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: হত্যার জন্য দায়ী করবেন কাকে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.