![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথের দূরত্ব জানি না,এতটুকু জানি শুধু গন্তব্যের বাড়ি, হোক না যতই দূরে দিতে হবে পাড়ি।
সাঁতারের পোশাক খুলে ট্রাউজার আর জ্যাকেট পরে নিল আকিব। নাইম এম এম পিস্তলটা দ্বিতীয়বার চেক করলো। গুলি, সেফটি ক্যাচ, সাইলেন্সার সব ঠিক আছে। সাব মেশিন গানটা পিঠে ঝুলিয়ে নিল, জ্যাকেটের নিচে। গুলি ভর্তি চারটা ম্যাগজিন দুই হাটুর নিচে আটকে দিল। পাঁচ ইঞ্চি লম্বা ধারালো বার্মিজ চাকুটা চালান করে দিল জ্যাকেটের কলারে।
মৃদু হাসির রেখা ফুটে উঠলো আকিবের ঠোঁটের কোনে। চার বছর আগে থাইল্যান্ডে একটা অপারেশন করেছিল। সেই অপারেশনে মায়ানমারের নাগরিক ম্যাতিং অঝং এর সাথে পরিচয় হয়। বন্ধুত্ব হয়। পাঁচ ইঞ্চি বার্মিজ চাকুটা সেই গিফট করেছিলো। এই চাকুর বৈশিষ্ট্য হল অগ্রভাগে শক্তিশালি এন্টি কগুলেন্ট রিয়াজেন্ট (EDTA) ইউজ করা হয়েছে যা খত স্থান থেকে দ্রুত রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছরিয়ে যায়। এরপর ভেঙ্গে ফেলে রক্তের রেড ব্লাড সেল না লোহিত কণিকা। যা রক্ত জমাট বাঁধার শক্তিকে নিস্তেজ করে দেয়। দ্রুত রক্ত ঝরতে থাকে। সামান্য দুই-তিন ইঞ্চির একটা ক্ষত সুঠাম দেহি যে কাউকে রক্ত ঝড়িয়ে মেরে ফেলতে সময় নেবে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা।
সুইমিং ব্যাগটা তিনটা ফল আছে এমন এক ক্যাওরা গাছের নিচে দুই ফিট গর্ত করে পুতে রাখল। আশপাশে তাকিয়ে দেখল অনেক গাছেই তিনটা করে ফল ঝুলছে। কোমর থেকে কিচেন নাইফ বের করে গাছে থাকা একটা ফলের উপর নিচ করে অর্ধেক কেটে ফেললো। এখন এই কাটা ফলটাই পুতে রাখা সুইমিং ইকুয়েপমেন্ট খুজে বের করতে সাহায্য করবে।
নাফ নদি দ্বিতীয়বার সাঁতরে পার হবার ইচ্ছা নেই আকিবের, তবু ব্যাকআপ হিসেবে এগুল রেখে দেওয়া। একটা স্পিড বোট ঝেরে দিতে পারলেই ভাল হয়। এ ক্ষেত্রে সাঁতরানোর হাত থেকে বাঁচলেও নাসাকা বা বিজিপির একটা মিসাইলে শেষ হয়ে যেতে পারে আকিবের জীবন। আপাতত ফেরা নিয়ে ভাবছে না আকিব। সেটা অবস্থা বুঝে ব্যাবস্থা নেওয়া যাবে। এক যায়গায় বেশিক্ষন থাকা ঠিক হবে না। এছাড়া অর হাতে সময় ও বেশি নাই। আজ রাতেই যা করার করতে হবে।
ফেইসবুকে বিজিবির নায়েক রাজ্জাকের নাক দিয়ে রক্ত গড়ানো, চোরের মত মাল-সামান সামনে নিয়ে মাথা নিচু ছবি দেখে, উলঙ্গ করে ছবি তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল শুনে রাগে ফুসেছে আকিব। একবার ভেবেছিল নিজেই উদ্ধার করবে নায়েক রাজ্জাককে। বিজিবি আলোচনার মাধ্যমে অনেকদুর এগিয়েছে শুনে উদ্ধারের পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে। কিন্তু প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞা থেকে পিছু হটেনাই।
যে দিন বোটে করে নায়েক রাজ্জাক পা রেখেছে মাতৃভূমিতে, সে রাতেই আকিব সাঁতরে পাড়ি দিয়েছে নাফ নদি। সে এখন মায়ানমারের সীমান্তবর্তী সাগর উপকূলে। এখান থেকে সামান্য দূরে মংডু ২ নং বিজিপি ক্যাম্প। এই ক্যাম্পেই নায়েক রাজ্জাককে বেধে রেখে নির্যাতন করা হয়। সীমান্তবর্তী রাস্তা দিয়ে গেলে তিন কিলো। আকিব যাবে ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে। তাকে পাঁচ কিলো পথ পারি দিতে হবে। এই মুহূর্তে শত্রুর চোখে পরতে চায়না আকিব। গভির জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটছে সে। হাঁটছে বললে ভুল হবে, মধ্যগতিতে দৌড়াচ্ছে। নাইট ভিশন গগলস পরায় দেখতে একটুও অসুবিধা হচ্ছে না। বুক পকেট থেকে ম্যাপ বের করে শেষবারের মত দেখে নিল। প্রবেশ ও ফেরার পথ মুখস্ত, তবু একবার দেখে নেওয়া। ফেরার সময় দেখার সুযোগ নাও হতে পারে
পুরো পর্বটি পড়তে ক্লিক করুন
২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
হুজাইফা আহমাদ বলেছেন: লোল!! খারাপ বলেন নাই ভাই :p
২| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
ই- নাগরিক বলেছেন: ভাল লাগলো।
২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:০০
হুজাইফা আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ, পুরোটা কপি করিনি যেহেতু লেখাটা আমার না, বাকিটুকু এখানে পাবেন http://www.mukto.net/bn/litarature/article/3438
৩| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:০৬
ই- নাগরিক বলেছেন: লিংক পেয়ে আরো ভাল লাগলো।
আমিও একটা লিংক দিচ্ছি দেখতে পারেন।
http://enagorik.com/
২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৯:৩৪
হুজাইফা আহমাদ বলেছেন: ভাল কালেকশন ভাই
৪| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:২০
এহসান সাবির বলেছেন: আচ্ছা পুরো পর্বটি পড়তে ক্লিক করব.......
৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:২২
হুজাইফা আহমাদ বলেছেন: জি যদি পড়তে ইচ্ছা হয় কইরেন।
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২০
bond007 বলেছেন: স্বীকার করছি, প্লটটি নতুন। কিন্তু ভিতরের বিষয়গুলো কপি করা। এমনকি সেবা প্রকাশনী দেখলে হয়তো কপিরাইট মামলাও ঠুকে দিতে পারে। কাজী আনোয়ার হোসেনের মাসুদ রানা সিরিজের বইগুলো পড়লে নিচের লাইনগুলো ভিন্ন নামে ভিন্ন বিষয়ে পাওয়া যায়।।
ফ্রি কমেন্ট করেছি। ভালো না লাগলে বইকেন না......
**** পাঁচ ইঞ্চি বার্মিজ চাকুটা সেই গিফট করেছিলো। এই চাকুর বৈশিষ্ট্য হল অগ্রভাগে শক্তিশালি এন্টি কগুলেন্ট রিয়াজেন্ট (EDTA) ইউজ করা হয়েছে যা খত স্থান থেকে দ্রুত রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছরিয়ে যায়। এরপর ভেঙ্গে ফেলে রক্তের রেড ব্লাড সেল না লোহিত কণিকা। যা রক্ত জমাট বাঁধার শক্তিকে নিস্তেজ করে দেয়। দ্রুত রক্ত ঝরতে থাকে। সামান্য দুই-তিন ইঞ্চির একটা ক্ষত সুঠাম দেহি যে কাউকে রক্ত ঝড়িয়ে মেরে ফেলতে সময় নেবে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা।
**** ২ নং সেনা ক্যাম্পে দীর্ঘদিন রান্নার কাজ করত আব্দুর রেহমান। বর্তমানে সে টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আছে। ৭ বছরের মেয়ের উপর বিজিপি অফিসারের নজর পরায় বাধ্য হয় পরিবার নিয়ে টেকনাফে পারি জমাতে। ২ নং ক্যাম্পের আদ্যোপান্ত মুখস্ত আব্দুর রেহমানের। এই মিশনে নামার আগে দুইদিন সে রেহমানের সাথে থেকেছে। ক্যাম্পের ম্যাপ বানিয়েছে। ক্যাম্পের প্রতিটা তাবুর অবস্থান, কে কোন তাবুতে থাকে, কোন সময় কাকে কোথায় পাওয়া যাবে সব ছড়ার মত মুখস্ত আকিবের। এখন সে চোখ বুজলে দেখতে পাবে অধিনায়ক জিন হাং কি করছে।
******* জ্যাকেটের কলার থেকে চাকু বের করে কুণ্ডলী পাকিয়ে সামনে ফুটবলের মত ড্রাইভ দিল।
০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৮
হুজাইফা আহমাদ বলেছেন: হতে পারে তবে আপনি যদি সেই ভিন্ন ভিন্ন নামে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের কোটেশনসহ উল্লেখ করে এই সমালোচনাটা করতেন তাইলে সেবা প্রকাশনীর মামলা দিতে সুবিধা হইত :p
৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৩
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ্ বলেছেন: #বন্ড০০৭- সমালোচনা গ্রহন করার মত মানসিকতা আমার আছে। কিন্তু ভাই এটা সেবার কোন বইয়ের কত পৃষ্ঠা থেকে কপি করা হয়েছে এটা সহ সমালোচনা করলে আমার নিজের জন্যও সহজ হত। কারণ "এই চাকুর বৈশিষ্ট্য হল অগ্রভাগে শক্তিশালি এন্টি কগুলেন্ট রিয়াজেন্ট (EDTA) ইউজ করা হয়েছে যা খত স্থান থেকে দ্রুত রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছরিয়ে যায়।" এমন মাল আদও আছে কি না সেটা নিয়ে সন্দিহান আছি। নিশ্চিত হতাম সেবার বইয়ে দেখলে।
আর আরেকটা কথা, মাসুদ রানা নিজেই একটা ছায়া চরিত্র। কয়েকটা বিদেশী বই পড়ে দেইখেন।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওরা ইয়াবা দেবে না, সাহিত্য মাহিত্য সব বন্ধ হয়ে যাবে!