![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পথের দূরত্ব জানি না,এতটুকু জানি শুধু গন্তব্যের বাড়ি, হোক না যতই দূরে দিতে হবে পাড়ি।
(গত পর্বের পর)
আগের পর্বটি পড়ুন
হ্যান্ডকাফ পরা অবস্তায় জ্ঞান ফিরল আকিবের। প্রচণ্ড আলোয় তাকাতে গিয়ে ব্যার্থ হয়ে সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললো। চোখ কে মানিয়ে নিতে কিছু সময় দেওয়া উচিৎ। চোখ বন্ধ করে কান খাড়া করলো সে। পরিস্থিতি আঁচ করার চেষ্টা। নাহ! তেমন কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। দেড় মিনিট সময় নিয়ে ধীরে ধীরে চোখ খুলল। চোখ খুলেই চমকে ওঠার পালা। তার সামনে চেয়ারে আয়েশি ভঙ্গীতে বসে আছে দক্ষিন এশিয়ার ড্রাগলর্ড উজেইন সেং। আকিব সপ্নেও যাকে কল্পনা করেনাই।
২০০৯ সালে উজেইন সেংকে মারতে একটা অ্যাসাইনমেনট এ গিয়েছিলো আকিব। ইটালিতে। অল্পের জন্য সেবার প্রান রক্ষা পায় মিঃ সেং। পালানোর আগে খুন করে আকিবের প্রিয় ইটানিয়ান বান্ধবী জ্যাকুলিনকে। সেদিন থেকেই গোপনে গোপনে খুঁজে বেড়াচ্ছে মালটাকে। ঠোঁটের কোনে নিষ্ঠুর হাসি দেখা দিলো আকিবের। সেদিন চাতুরতা আর ভাগ্য তোকে বাচিয়ে দিয়েছিলো। আজ হাতের কাছে পেয়েছি। বাপ-মায়ের কাছে মাফ চেয়ে নে কুত্তা, মনে মনে বলল আকিব। ‘হাহাহাহহাহাহ মিঃ আকিব, ভুলে যেওনা তোমার হাত বাঁধা, আর পিস্তলটা আমার হাতে’,আকিবের মনের কথা যেন স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে উজেইন সেং। ‘সেটা মানছি, কিন্তু তোমাকে এখানে দেখে সত্যিই আমি অবাক হয়েছি’, এবার শব্দ করে বলল আকিব।
‘অনেক দিন পর দেখা তাইনা, একটু গল্প করা যাক, উজেইন সেং ইশারা করতেই দুই পাশের পাঁচ পাঁচ দশজন প্রহরী পঞ্চাশ গজের মত দূরত্বে গিয়ে আকিবের দিকে আর্মস তাক করে দাঁড়ালো। ওরা এখন আকিব-সেং এর কথোপকথন শুনতে পাবে না।
-তুমি মারতে এসেছিলে ২ নং ক্যাম্পের অধিনায়ক জিন হাংকে, সামনে পড়ে গেলো দক্ষিণ এশিয়ার হেড অফ মাফিয়া, ড্রাগ লর্ড উজেইন সেং? যাকে মারতে ইটালি হয়ে জার্মান, তুরস্ক, দুবাই, থাইল্যান্ড চষে বেড়িয়েছ?
-হ্যাঁ, একদম ঠিক বলেছ, কিন্তু এখানে তুমি কি করছ? বিস্ময় আকিবের চোখে মুখে।
এই প্রশ্নে আকাশ কাঁপানো হাসি দিলো ড্রাগ লর্ড। ওর হাসিটাই যেন সব প্রশ্নের উত্তর। মুখ থেকে হাসি কেড়ে নিলো আকিব।
-এই দাঁড়াও, তার মানে মাফিয়া উজেইন সেং আর বিজিপি অধিনায়ক জিন হাং একই ব্যাক্তি? আলোর যগতে যে বিজিপি অফিসার, অন্ধকার যগতে সেই ড্রাগস লর্ড। একই সাথে দুইটা কাজ করে যাচ্ছ সমান দক্ষতায়। এশিয়ার অন্যতম ইয়াবার রুট মংডু-টেকনাফ তোমার দখলে রাখতে ২ নং সেকটরের দায়িত্ব নেওয়া? সেই ইয়াবার চালান বার বার ব্যার্থ হওয়ায় বিজিবি সেনাদের উপর রাগ? যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে নায়েক রাজ্জাকের উপর।
-একদম ঠিক ধরেছ বাঙ্গালী বাবু। এই জন্যই বলি বুদ্ধির জোরের কারনেই ব্রিটিশ থেকে শুরু করে পাকিস্তান পর্যন্ত কেউ টিকতে পারে নাই তোমাদের কাছে। তা ভাই, তোমার সাথে তো আমার হিসেব নিকেশ সব চুকে গেছিলো, আবার কেন পুরনো ফাইল বের করলে?
-তোমার হাতে আমার খুব বিশ্বস্ত বান্ধবী মারা গেছে। প্রথম বার তোমাকে মারতে গিয়েছিলাম বসের অ্যাসাইনমেন্টে। বান্ধবীটাকে মেরে তুমি শত্রুতা ব্যাক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে গেছো। তুমি তো জানই মিঃ সেং আকিব যাবে একবার ব্যাক্তিগত শত্রু বলে গণ্য করে সেদিন থেকে তার কাউন ডাউন শুরু হয়ে যায়। এদিক থেকে তুমি ভাগ্যবান, অনেক দিন বেঁচে আছো।
-তাই নাকি মিস্টার ভাড়াটে খুনি। তুমি বাঘের ডোরায় পা দিয়ে বাঘকেই মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছ। খুব হাস্যকর লাগছে।
-রান্না ঘরের দুধ চুরি করে খাওয়া বিড়াল ও নিজেকে বাঘ বলে দাবি করতে পারে। বাঘ কখনো হরিন শিকারের আগে হরিনকে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে রাখেনা।
আবার আকাশ কাঁপিয়ে আট্ট হাসি হাসল সেং,
পুরো পর্বটি পড়ুন
©somewhere in net ltd.