নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইদ্রসুর

প্রাকৃিতর পূজারী

ইদ্রসুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ কখনই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ কে ভালোবাসতেন না । মন্তব্য প্রতিবেদন

০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:০৩

প্রতি বছর ৮ মে ঘনিয়ে আসলেই আমাদের টিভি চ্যানেল গুলো ভ্যা...ভ্যা.......প্যা...........প্যা....শুরু করে দেয়। আর তখনই আমরা বুঝতে পারি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের জম্নদিন আসছে। টিভির পাশাপাশি পত্রিকাগুলো বিশেষ করে ভারতের দালাল প্রথম আলোর মত পত্রিকা গুলো দেশের খবর বাদদিয়ে কে কোথায় ভ্যা...ভ্যা.......প্যা...........প্যা..করছে, নাচোন কোদন দিছে, কে কতটা পাছা দুলাইছে তার খবরে ভর্তি থাকে।কিন্তু আমি গত বছর এবং এবছর ও রবীন্দ্রনাথের জম্নস্থান ভারতের টিভি গুলোর দিকে লক্ষ্য করে দেখেছি তারা রবীন্দ্রনাথের র ও দেখায় না। বাংলা চ্যানেল গলো খবরে অল্প দেখালেও কোন বিশেষ অনুস্ঠানের নামে আজাইরা প্যাচাল পারে না। হিন্দি গুলোতে শিলাকি জওয়ানি, মুন্নি বদনাম ছাড়া ঠাকুর কে দেখায় না। তাহলে আমরা এত লাফাই ক্যা। কারণ আমরা বাংলাদেশী বাঙালী।আমরা সবকিছুতেই একটু বেশি লাফাই।

রবীন্দ্রনাথ বিশ্বের প্রথম সারির কবি,সাহিত্যিক,ছড়াকার সোজা কথা যত প্রকার লেখার মেধা আছে তার সবটাই তারমধ্যে পরিপূর্ণ ছিলো।সাথে কিছু বদ বা কুট কৌশলেও পটু ছিলেন।বাংলাদেশের মানুষ কে তিনি ভাল চোখে দেখতেন না।বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল চাইতেন না। আমরা সবাই জানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সময় প্রথম বিরোধিতা করছেন রবীন্দ্রনাথ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাতে না হতে পারে সে জন্য সব চেস্টাই গুরূ করেছেন। না পেরে ঢাবির নাম দিয়েছেন মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়, কারণ এখানে মুসলমানেরা পরবে। বাংলাদেশের মানুষকে অন্ধকারে রাখাই ছিল তার উদ্দেশ্য। বলতে পারেণ সে তো বাংলাদেশে আসছিলেন। কি জন্য আসছিলেন তা আমরা সবাই জানি। তখনকার জমিদারদের কাজ ছিলো প্রজাদের উপর অত্যাচার করে খাজনা আদায় করা ,আর নিজেরা ভোগ বিলাশে জীবন যাপন করা।রবীন্দ্রনাথ সেই জমিদার গিড়ি ফলাতেই এই দেশে আগমন করে। কুষ্টিয়ার কুটিবাড়ি সহ বাংলাদেশের যেসব জায়গায় এসে ঘাটি স্থপন করেছিলেন সেগুলো ছিল টর্চার শেল ও রঙ্গমঞ্চ।

রবীন্দ্রণাথ কখনই আন্যের ভাল দেখতে পারতোনা। তাই তো আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যাকে বঙ্গবন্ধু দেশে এনে সম্মানিত করেছিলেন তার পিছনে মেয়ে লাগিয়ে দিয়ে ছিলেন। কবি নজরুল যাতে উপরে উঠতে না পারে তার জন্য এমন কোন হীন কাজ নেই যা রবীন্দ্রণাথ করায়নি। সুধু নজরুল না ঐ সময়ের অন্য কবিদের সাথেও তিনি হিংসাত্তক আচারন করতেন। আর এ সবই করতেন টাকা ও জমিদারির জোরে। বিদ্রহী কবি যখন ইংরেজদের বিরুদ্দে কবিতা লিখে কারা বরণ করে তখন রবীন্দ্রণাথ ইংরেজদের সাথে আতাত করে জমিদারি ভোক করতে ব্যাস্ত।বিদ্রহী কবি নজরুল যখন মজলুম, নিপিরিত, অসহায় মানুষরে পক্ষে কবিতা লিখে তখন রবীন্দ্রণাথ প্রেমের কথা বলতে ব্যাস্ত। রবীন্দ্রণাথ কে মজলুম, নিপিরিত, অসহায় মানুষরে পক্ষে কবিতা লিখতে তেমণ একটা দেখতে পওয়া যায়না।

রবীন্দ্রণাথ যখন বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষা চায়নি,

রবীন্দ্রণাথ মজলুম, নিপিরিত, অসহায় মানুষরে পক্ষে কবিতা লেখা বা কথা বলেনি তাহলে আমরা রবীন্দ্রণাথ কে নিয়ে এত ফালমারি ক্যা।আরকোন কাজ নাই। বাংলাদেশে আনেক ভালো ভালো কবি, লেখক আছেন আমরা বাংলাদেশীদের রেখে ভারত যাই কেন?

বলতে পারেণ আমার সোনার বাংলাতো রবীন্দ্রণাথ গাইছে। আমরা তার গানকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে নেবার কারণে কৃতঙ্ঘ থাকতে পারি। রবীন্দ্রণাথ পরিবার ও ভারতের ও কৃতঙ্ঘ থাকা উচিত বাংলাদেশীদের প্রতি ,আমরা রবীন্দ্রণাথের গান জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে নিয়েছি।

কিন্তু ঐ গানতো সে বাংলাদেশের জন্য গায়নি। গেয়েছে অবিভক্ত বাংলার জন্য।

আমাদের প্রধান মন্ত্রী হাসিনা বলেছেন রবীন্দ্রণাথ ও তার বাপ শেখ মুজিব এর আদর্শে !দেশ গড়বে !!!। এই যদি রবীন্দ্রণাথের ( মুজিবের আদর্শ তো জানিই) আদর্শ !!!তাহলে দেশ কোথায় যাবে?

তাই আমার কাছে ইকটু বেশি বারাবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +২৬/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:০৮

মানুষ বলেছেন: জোকারি ভাল হয়েছে

২| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:০৯

সৌম্য বলেছেন: অনেক নতুন কিছু শিখলাম। পোষ্টে প্লাস।
আমি জানতাম কবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন, কারন উনি পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থা'কে পরিবর্তন করে নতুন ব্যাবস্থা প্রবর্তনের পক্ষপাতি ছিলেন, এজন্য একই সময়ে উনি শান্তি নিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যাই হোক কোন নির্ভরযোগ্য রেফারেন্স কখনো পাইনি। দির্ঘদিন কলকাতা'তেই রবীন্দ্রনাথের মুর্তি ভাংচুর হয়েছিল বুর্জোয়া কবি আখ্যা দিয়ে।
আমরা বাংলাদেশী বাঙ্গালী। পশ্চিম বঙ্গ বা কলকাতা কোন ভুল কাজ করলে বা কোন সঠিক কাজ না করলে আমরা সেটা করবো না তা নয়। একজন গুনি ব্যাক্তি (শুধু সাহিত্যিক হিসাবেই কতোটা প্রতিভাবান)'কে কে শ্রদ্ধা জানালো কে জানালো না সেটা কোন ব্যাপার না। এখনো আমাদের জাতিয় সঙ্গিত তাঁর লিখা। বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি'তে 'পুরানো সেই দিনের কথা গানের তালে তালে ক্যাডেট'রা মার্চ পাস্টের মাধ্যমে আর্মি অফিসার হয়। অনেক কিছুই চাইলেই পালটানো যাবে না।

তবে আপনার পোষ্ট টা আসলেই ভালো লাগলো।

৩| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:১৩

প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: :(( :((

৪| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:১৫

নোঙ্গর ছেঁড়া বলেছেন: শিশুদের মতো কথা বললেন, ভাই।

৫| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:১৬

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: ঢাক গুড় গুড়
পোস্ট ভালো হয়েছে

৬| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:১৬

নীল_পদ্ম বলেছেন: দেখি কে কি বলে!! ;)

৭| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:২৫

মোসাজস বলেছেন:
ইংরেজরা যখন বাংগালীগো মা-বোন জোর করে কুঠি বাড়ীতে ধরে নিত তখন তিনি কোন প্রতিবাদ না করে ইংরেজদের সাথে খানা-পিনা ও বন্ধুত্ব করে বেড়াতেন|



কবিতা লিখে নজরুল যখন জেল খাটে উনি তখন কবিতা লিখে ইংরেজদের হাত থেকে পোরস্কার নেন|

ঘটনা ক্লীয়ার!

৮| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:২৬

কবিতা পোস্ট বলেছেন: নোঙ্গর ছেঁড়া বলেছেন: শিশুদের মতো কথা বললেন, ভাই।

৯| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:২৮

পেঁচালি বলেছেন: আরে কত কিছু অজানারে :((

১০| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:২৯

লাল কলম বলেছেন:

পোস্ট - ১ - মডুরা যখন মৃত ! তখন আমরাই মডু ! ( ব্যান খাওয়ার হাত থেকে আশা করি বাঁচাবেন )

১১| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:২৯

পেঁচালি বলেছেন: আরে কত কিছু অজানারে :((

১২| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:৩০

কাজলভোমোরা বলেছেন: মালটা একটু বেশী হইয়া গেসে আজকা, ওস্তাদ।

কালকা সকালে দেখবেন মাথা ক্লিয়ার। তখন এই পোষ্টটা না পইরাই মুছে দিয়েন।

১৩| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:৫৩

কালো চিতা বলেছেন: + + + + +

১৪| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:৫৬

মরহুম আসমান ফকির বলেছেন: জাতীয় সঙ্গীতের সুর হুবুহু নকল করা! লালন শিষ্য গগণ হরকরার আমি কোথায় পাবো তারে এই গান থেকে! শুইনা দেখেন। পোষ্টে প্লাস!

১৫| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ৩:০৪

প্রফেসর হিজিবিজবিজ বলেছেন: ১। অবিভক্ত বাংলাকে তিনিই তাঁরা লেখাতে সবসময় বাংলাদেশ বলে এসেছেন, এই বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ এভাবে উল্লেখের কারনেই বাংলায় এই বাংলাদেশ কথাটার প্রচলন স্হায়িত্ব পায় এবং যুদ্ধের সময় আমাদের দেশের নাম ওখান থেকেই নেয়া হয়েছে এটা কি জানেন ভাই?

২।ইংরেজদের অত্যাচারের প্রতিবাদ স্বরুপ বৃটিশের দেয়া নাইট উপাধি
নিতে অসিকৃতি জানিয়েছিলেন এটা কি জানেন ভাই?

৩।তাঁর এই কাজে ভারতবাসী মহত্না গান্ধী কে ইংরেজদের দেয়া মহত্না উপাধি ত্যাগ না করার জন্য তিরস্কার করেছিল এটা কি জানেন ভাই?

৩।কুষ্টিয়া ও শাহজাদপুর অন্চলে আজকের গ্রামীন ব্যাংকের আদলে তিনিই সর্বপ্রথম গরীবদের জন্য সমব্যায় ব্যান্ক গঠনের পুরোধা ছিলেন সেটা কি জানেন ভাই?

৪। গরিব প্রজাদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য শিলাইদহে হাসপাতাল স্হাপন করেছিলেন এটা কি জানেন ভাই?

৫। যে নজরুলের সাথে বারবার তুলনা করলেন সেই নজরুল তাঁকে কি পরিমান শ্রদ্ধা করতেন তা কি জানেন ভাই?

৬।দেশে বিদেশে যেখানেই বাংগালী জাতির কথা এসেছে সেখানেই আলাদা করে উনি প্রায়ই যে পূর্ব বাংলার মানুষের অতিথিপরায়নতা ও সরলতা ও স্বাধীনচেতা মনোভাবের আলাদা প্রশংসা করতেন তাকি জানেন ভাই?

৭। নজরুল যে তার কাব্যগ্রন্থ কবিগুরুর নামে উৎসর্গ করেছেন তা কি জানেন ভাই?

৮। মামার জমিদারী দেখতে কুষ্টিয়া এসে সাধারন মানুষের কষ্ট দেখে তাঁর ব্যাক্তি সত্তায় যে আমূল পরিবর্তন এসেছে, উনি ব্যাথিত হয়েছেন ও এসব বিষয় তাঁর লেখায় প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলার কারনেই তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা এই গ্রাম বাংলায় রচিত হয়েছে ও সুনাম কুড়িয়েছহে তাঁর খবর কি জানেন ভাই?

৯। সর্বপোরি তাঁর আমলেই গরিব প্রজাদের ভালবাসার কারনে তাঁদের জমিদারী লাটে উঠেছে সেটা কি জানেন ভাই।

নজরুল আর মুসলমান প্যাঁচায়া যা লিখতে চাইছ তা পাক আমলের কথা।তখনও ঠিক এই সব কথায় বলা হইসে আমাদের।

এত কিছু তোমার মত লোককে লিখে জাননর জন্য আমি লিখলাম না।
লিখলাম অল্পবিদ্যা কতখানি ভয়ংকর হতে পারে তা অন্যদের বোঝানর জন্য।

১৬| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ৩:০৫

ইমন কুমার দে বলেছেন: দুনিয়াতে কিছু কিছু গাধারূপি মানুষ এখনো আছে, থাকবে ও ভবিষ্যতে। X( X( X(

১৭| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ৩:১১

প্রফেসর হিজিবিজবিজ বলেছেন: যে দেশভাগই দেখল না, যার হিসেবে পুরো বাংলাই ছিল বাংলাদেশ সে মানুষ আলাদা করে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ কে ভালবাসেন নাই, বাহ বাহ কি চমেতকার কতা।বাংলাদেশরে না বাইসা কাগোরে ভালবাসত, সে কি অন্য ভাষায় লিখত? তোমাগো লাইগা করুনা হয়।

১৮| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ৩:২০

কবিতা পোস্ট বলেছেন: @প্রফেসর হিজিবিজবিজ
তিনি পুষ্টির অভাবে বুগতেছেন । কিছুই বুজব না । শুধুই কষ্ট করলেন ।

১৯| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ৩:২৭

ইমন কুমার দে বলেছেন: @প্রফেসর হিজিবিজবিজ, সত্যি কথা বলতে কি, এই ধরনের লোকগুলাকে আপনি কখনই ভালো জিনিস খাওয়াতে পারবেন না। কারন তাদের পাকস্থলি জন্ম থেকেই তৈরি হয়ে আছে ভেজাল জিনিসের উপযোগী হয়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য।

আর @লেখক আপনার জন্য এই সত্যটি.। এখানে ক্লিক করে দেখেন।
View this link

২০| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ৩:৪৫

মনির৭১ বলেছেন: পড়াশোনা কর বাছাধন পড়াশোনা কর ! যে রকম লেখা লিখছো তা রবীন্দ্র বিরোধী কুনো মুল্লা লিখতো কিনা সন্দেহ ! আপনের পড়াশোনার বহর দেইখা আমার না আপনার পেয়ারের কাজী নজরুলের বিখ্যাত একটি লাইনে মনে পড়ে গেলো . . . দে গরুর গা ধুইয়ে ! যত্তসব আবাল আকাঠ সাম্প্রদায়িক গণ্ডমূর্খ X(

২১| ০৭ ই মে, ২০১১ ভোর ৪:১৫

সাদাকালোরঙিন বলেছেন: বুদ্ধির অভাব থাকলে বেশি বেশি আয়োডিন খান।


রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন ???? হা হা হা ..... ছাগল যেমন যা পায় তাই খায় .....তেমনি আপনার মত গোমূর্খ যা শোনে সব বিশ্বাস করে। এতবড় পোষ্ট লিখতে পারেন রবীন্দ্রনাথের বিরোধিতা করে আর একটু পড়াশোনা করতে পারেন না ? ছাগলামি যা পারেন নিজের বাসায় করেন, ব্লগে এসে ছাগলামি করলেই সর্বনাশ।

রবীন্দ্রনাথের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা একটা সস্তা অপপ্রচার। এখানে বিস্তারিত দেখুন :



http://shoily.com/?p=2177

========================================



রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন বলে একটি অপপ্রচার রয়েছে। কিন্তু এটা নিছকই অপপ্রচার। এর কোনো ভিত্তি নাই। রবীন্দ্রবিদ্বেষী কিছু ছাগু এটা বানিয়েছে।

সে রকম একটা নমুণা : ২০০০ সনে আহমদ পাবলিশিং হাউস থেকে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতা এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা’ নামে একটি বইয়ে মেজর জেনারেল (অব.) এম এ মতিন, বীরপ্রতীক, পিএসসি (তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা) একটি তথ্য জানান যে, ”১৯১২ সালের ২৮শে মার্চ কলিকাতা গড়ের মাঠে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়।” তিনি অভিযোগ করেন যে, রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন।

এ জেড এম আব্দুল আলী দৈনিক সমকালে লেখেন–শোনা যায়, এই তথ্যটি (লেখক আব্দুল মতিন কর্তৃক উত্থাপিত রবীন্দ্রনাথের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করা) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোন বইতে আছে। তিনি অনুসন্ধান করে জানান – রবীন্দ্রনাথ ঐ মিটিংএ উপস্থিত থেকে এবং মিটিংএ সভাপতিত্ব করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছেন বলে একজন লেখক উল্লেখ করেন। লেখকটি এই তথ্যটি কোথায় পেয়েছিলেন তার কোনো সূত্র ব্ইটিতে উল্লেখ করেন নাই। আব্দুল আলী জানান, বইটি ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত হয়। এবং রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে এই বানানো গপ্পটি ব্যবহার করা হয়। ঐ তারিখে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোলকাতায়ই উপস্থিত ছিলেন না এবং তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করেন নাই।

রবীন্দ্রনাথ যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারই বিরোধিতা করবেন—রবীন্দ্রনাথকেই এই বিশ্ববিদ্যলয় প্রতিষ্ঠার মাত্র পাঁচ বছর পরে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনেই তিনি বিপুলভাবে সংবর্ধিত হন কিভাবে? ১৯১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। তখনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা প্রস্তাবটি বিরোধিতা করেছিলেন তিন ধরনের লোকজন–
১. পশ্চিমবঙ্গের কিছু মুসলমান–তারা মনে করেছিলেন, ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের কোনো লাভ নেই। পূর্ববঙ্গের মুসলমানদেরই লাভ হবে। তাদের জন্য ঢাকায় নয় পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়াটাই লাভজনক।
২. পূর্ব বাংলার কিছু মুসলমান–তারা মনে করেছিলেন, পূর্ব বঙ্গের মুসলমানদের মধ্যে ১০০০০ জনের মধ্যে ১ জন মাত্র স্কুল পর্যায়ে পাশ করতে পারে। কলেজ পর্যায়ে তাদের ছাত্র সংখ্যা খুবই কম। বিশ্ববিদ্যায় হলে সেখানে মুসলমান ছাত্রদের সংখ্যা খুবই কম হবে।
পূর্ববঙ্গে প্রাইমারী এবং হাইস্কুল হলে সেখানে পড়াশুনা করে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়বে। আগে সেটা দরকার। এবং যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে মুসলমানদের জন্য যে সরকারী বাজেট বরাদ্দ আছে তা বিশ্ববিদ্যালয়েই ব্যয় হয়ে যাবে। নতুন করে প্রাইমারী বা হাইস্কুল হবে না। যেগুলো আছে সেগুলোও অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সেজন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় চান নি।
৩. পশ্চিবঙ্গের কিছু হিন্দু মনে করেছিলেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হলে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ কমে যাবে। সুতরাং কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চলবে কিভাবে? এই ভয়েই তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন।
ইতিহাস ঘেটে এ বিষয়ে যা পাওয়া যায় আসুন একটু দেখা যাক–

কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ব বাংলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত উদীয়মান মুসলমানদের মধ্যে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করে। চব্বিশ পরগণার জেলা মহামেডান এসোসিয়েশন ১৯১২-র ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যায় স্থাপনের বিরোধিতা করে। বলা হয় এর ফলে সমগ্র প্রদেশের মুসলমানদের শিক্ষাগত স্বার্থে পক্ষপাতদুষ্ট প্রভাব পড়বে এবং তাদের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি করবে। (সূত্র : দি মুসলিম পত্রিকা)।

মৌলানা আকরাম খান আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করলে সাধারণ মুসলমানদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিশেষ সুযোগ-সবিধা দানের ক্ষেত্রে অর্থের ব্যবস্থা করবেন না। মুসলমানদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা অপেক্ষা প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি (প্রাথমিক ও মাধ্যমিক) শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর তিনি গুরুত্ত্ব আরোপ করেন। আবদুর রসুল আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় মুসলমানদের পক্ষে ‘বিলাসিতা’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তার মতে কয়েকজন ভাগ্যবানের জন্য অর্থ ব্যয় না করে বেশিরভাগ মানুষের জন্য তা ব্যয় করা উচিৎ। দি মুসলমানের মতে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যারয় হবে একটি অসাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান, ফলে বাংলার মুসলমানের বিশেষ কিছু লাভ হবে না। বরং গরীব অথবা যোগ্য মুসলমান ছাত্রদের বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা এবং দু-একটি প্রথম শ্রেণীর কলেজ স্থাপন ইত্যাদি করলে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার সম্ভব হবে।

কিন্তু ইস্টার্ন বেঙ্গল এন্ড আসাম মুসলিম লিগ সর্বসম্মতিক্রমে ঐ প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। তাঁরা আশা করেন ঐ কেন্দ্রীয় প্রস্তাব কার্যকরী হলে পূর্ববাংলায় শিক্ষাবিস্তারে নতুন বেগের সঞ্চার হবে। ঐ বছরেই সলিমুল্লাহ সরকারের নিকট বাংলার পূর্বাংশের মুসলমানদের জন্য পৃথক তহবিল সৃষ্টির একটি নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করেন। কিন্তু দি মুসলিম পত্রিকায় ঐ দাবী সমর্থিত হয় নি। বলা হয়েছিল ঐ দাবী ‘শিক্ষাগত বিভাগ’ সৃষ্টি করে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার মধ্যে বিচ্ছিন্নতা বৃদ্ধি করবে। ঐ প্রস্তাবের পরিবর্তে সমগ্র বাংলা প্রেসিডেন্সিতে মুসলিম শিক্ষা বিস্তারে উদ্রোগ গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য এক ‘স্পেশাল মহামেডান এডুকেশন অফিসার’ নিয়োগের দাবী করা হয়।

এ সময়েই বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসলমান ছাত্ররা তাঁদের শিক্ষা সংক্রান্ত নানা সমস্যা সমাধানের দাবীতে আন্দোলনের পথে অগ্রসর হয়েছিলেন। ১৯১৪ সালের এক পরিসংখ্যানে জানা যায় প্রতি ১০,০০০ মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে মাত্র একজন স্কুলস্তর অতিক্রম করে কলেজস্তরে উন্নীত হত। দি মুসলিম পত্রিকায় মুসলমান ছাত্রদের শিক্ষাবিস্তারের সাহায্যার্থে তাদের আনুপাতিক সরকারি অনুদান দারী করা হলে মুসলমান ছাত্র আন্দোলন এক নতুন মাত্রা লাভ করে।

১৯১৩ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ঐ প্রতিবেদনে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাদানের ব্যবস্থা কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম সংক্রান্ত শিক্ষার পরিকল্পনাও পেশ করা হয়েছিল। তাছাড়া উচ্চবিত্ত মুসলমানদের জন্য ঢাকায় একটি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাবও করা হয়। দি মুসলিম পত্রিকায় উচ্চবিত্তদের জন্য কলেজ স্থাপনের প্রস্তাবটির বিরোধিতা করা হয়। উচ্চবিত্ত শ্রেণীর লোকেরা তাদের সন্তানদের শিক্ষাদানের কোনোই অসুবিধা ভোগ করেন না বলেও যুক্তি দেখানো হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯১৭ সালে বরিশালে অনুষ্ঠিত বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি মহামেডান এডুকেশন কনফারেন্সে ঢাকা উইনিভার্সিটি সংক্রান্ত মতবেদের অবসান হলেও ১৯২১ সালের ১ লা জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।

১৯১২ সনের মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যারিস্টার রবার্ট নাথানের নেতৃত্বে নাথান কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির ২৫ টি সাবকমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ভারত সরকার প্রস্তাবিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রুপরেখা স্থির করে। ভারত সচিব ১৯১৩ সালে নাথান কমিটির রিপোর্ট অনুমোদন দেন। কিন্তু, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা পথে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে ইমপেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পেশের আহ্ববান জানান। ১৯১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর লর্ড চেমস্jফোর্ড কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাসমূহ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিশনের উপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে পরামর্শ দেবার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এই কমিশনের প্রধান ছিলেন মাইকেল স্যাডলার।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন (স্যাডলার কমিশন) ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। কিন্তু, এ কমিশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারি বা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় করার নাথান কমিটির প্রস্তাব সমর্থন করেনি। কিন্তু, ঢাকা কলেজের আইন বিভাগের সহঅধ্যক্ষ ড. নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত পূর্ণ স্বায়ত্বশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তিরূপে অভিহিত করেন। একই কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানও অর্থনীতির অধ্যাপক টি সি উইলিয়ামস অর্থনৈতিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ন স্বাধীনতা দাবি করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন ঢাকা শহরের কলেজ গুলোর পরিবর্তে বিভিন্ন আবাসিক হলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটরুপে গন্য করার সুপারিশ করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল হাউসের পাঁচ মাইল ব্যাসার্ধ এলাকাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অওতাভুক্ত এলাকায় গন্য করার কথাও বলা হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয প্রতিষ্টার ব্যাপারে তেরটি সুপারিশ করেছিল, এবং কিছু রদবদলসহ তা ১৯২০সালের ভারতীয় আইন সভায় গৃহীত হয়। ভারতের তদানীন্তন গভর্ণর জেনারেল ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ তাতে সম্মতি প্রদান করেন।স্যাডলার কমিশনের অন্যতম সদস্য ছিলেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক রেজিস্টার পি. জে. হার্টগ। তিনি ১৯২০ সালের ১ ডিসেম্বরঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিক ভাবের কার্যক্রম শুরু করে।

ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ তার ঢাকা সফর শেষে কলকাতা প্রত্যাবর্তন করলে ১৯১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ড. রাশবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল তার সাথে সাক্ষৎ এবং ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতামূলক একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বিরোধী ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় আর রাজনীতিক সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী। ভারতের গভর্ণর জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কি মূল্যে অর্থাৎ কিসের বিনিময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধীতা থেকে বিরত থাকবেন? শেষ পর্যন্ত স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চারটি নতুন অধ্যাপক পদ সৃষ্টির বিনিময়ে তার বিরোধীতার অবসান করেছিলেন। ড. রমেশ চন্দ্র মজুমদার তার আত্মস্মৃতিতে লিখেছিলেন ১৯১৯ সালের নতুন আইন অনুসারে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী প্রভাসচন্দ্র মিত্র শিক্ষকদের বেতন কমানোর নির্দেশ দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয প্রতিষ্ঠার সময় রিজর্ভ ফান্ডে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ছিল। বাংলা সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদত্ত সরকারী ভবন বাবদ সেগুলো কেটে নেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রতিবছর মাত্র পাঁচ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। ফলে শিক্ষকদের বেতন কমিয়ে দিতেহয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় পূর্ব বঙ্গের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও শিক্ষাবিদ নানাপ্রকার প্রতিকুলতা অতিক্রম করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য ঢাকার নবাব নবাব স্যার সলিমুল্লাহ। কিন্তু, হঠাৎ করে ১৯১৫ সালে নবাব সলিমুল্লাহের মৃত্যু ঘটলে নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী শক্ত হাতে এই উদ্দ্যেগের হাল ধরেন। অন্যান্যদের মধ্যে আবুল কাশেম ফজলুল হক উল্লেখযোগ্য।

২২| ০৭ ই মে, ২০১১ ভোর ৬:২২

ওয়াসিম বলেছেন: পঠিত।

০৭ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৩১

ইদ্রসুর বলেছেন: আমি কবি গুরু রবীন্দ্রণাথ ঠাকুর কে অসম্মান করিনা। আমিও তাকে সম্মান করি, তার কবি প্রতিভা বিষ্ময়কর। প্রতিভায় কবি গুরু রবীন্দ্রণাথ ঠাকুরের তুলনা হয়না। আমি শুধু বলতে চাই বাংলাদেশে যে সব কবি, লেখক আছেন যেমন-শামসুর রাহমান, আল-মাহমুদ, জসিম উদ্দিন ,ফররুক আহমেদ সহ অনেকে আছেন যাদের কে আমরা রবীন্দ্রণথের একশ ভাগের একভাগ ও স্বরণ করিনা। এতে আমাদের যে সাংবিধানিক বাংলাদেশীয় জাতীয়তাবাদ, সে চেতনা আমরা লালন করিনা। ভারত থেকে শিল্পী এনে একুশের মাস ভাষার মাসে হিন্দি গান ও অর্ধনগ্ন নাচ দেখি। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশীয় জাতীয়তাবাদ চেতনা বলতে কিছু থাকবেনা

০৭ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৩১

ইদ্রসুর বলেছেন: আমি কবি গুরু রবীন্দ্রণাথ ঠাকুর কে অসম্মান করিনা। আমিও তাকে সম্মান করি, তার কবি প্রতিভা বিষ্ময়কর। প্রতিভায় কবি গুরু রবীন্দ্রণাথ ঠাকুরের তুলনা হয়না। আমি শুধু বলতে চাই বাংলাদেশে যে সব কবি, লেখক আছেন যেমন-শামসুর রাহমান, আল-মাহমুদ, জসিম উদ্দিন ,ফররুক আহমেদ সহ অনেকে আছেন যাদের কে আমরা রবীন্দ্রণথের একশ ভাগের একভাগ ও স্বরণ করিনা। এতে আমাদের যে সাংবিধানিক বাংলাদেশীয় জাতীয়তাবাদ, সে চেতনা আমরা লালন করিনা। ভারত থেকে শিল্পী এনে একুশের মাস ভাষার মাসে হিন্দি গান ও অর্ধনগ্ন নাচ দেখি। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশীয় জাতীয়তাবাদ চেতনা বলতে কিছু থাকবেনা

২৩| ০৭ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৩৫

ইদ্রসুর বলেছেন: আমি কবি গুরু রবীন্দ্রণাথ ঠাকুর কে অসম্মান করিনা। আমিও তাকে সম্মান করি, তার কবি প্রতিভা বিষ্ময়কর। প্রতিভায় কবি গুরু রবীন্দ্রণাথ ঠাকুরের তুলনা হয়না। আমি শুধু বলতে চাই বাংলাদেশে যে সব কবি, লেখক আছেন যেমন-শামসুর রাহমান, আল-মাহমুদ, জসিম উদ্দিন ,ফররুক আহমেদ সহ অনেকে আছেন যাদের কে আমরা রবীন্দ্রণথের একশ ভাগের একভাগ ও স্বরণ করিনা। এতে আমাদের যে সাংবিধানিক বাংলাদেশীয় জাতীয়তাবাদ, সে চেতনা আমরা লালন করিনা। ভারত থেকে শিল্পী এনে একুশের মাস ভাষার মাসে হিন্দি গান ও অর্ধনগ্ন নাচ দেখি। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশীয় জাতীয়তাবাদ চেতনা বলতে কিছু থাকবেনা

২৪| ০৭ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৩২

মশিউর মামা বলেছেন: @প্রফেসর হিজিবিজবিজ, আপনার ২ নং পয়েন্টে - আমার যতদুর মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথ জালীয়ানবাগ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে নাইট উপাধি ফিরিয়ে দিয়াছেন | এর আগে তিনি গ্রহণ করেছিলেন |

২৫| ০৭ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৩৯

মিং রাও বলেছেন: াতি রবীন্দ্র প্রেমে মশগুল

২৬| ০৭ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:০১

পরিযায়ী বলেছেন: দিলাম প্লাস।

২৭| ০৭ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:০৩

শায়েরী বলেছেন: Bunhtesina thik...manuser commnt dekhe confused hoye gelam

২৮| ০৭ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৩৯

শেষাদ্রী শেখর বাগচী বলেছেন: আচ্ছা কবির নাম যদি শাকীব খান হোতো?

২৯| ০৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:১৩

ঠোট কাটা বলেছেন: যা বলতে এসেছিলাম তা প্রফেসর হিজিবিজবিজ এবং সাদাকালোরঙিন বলে গেছেন । গালাগালি করতেও ভালা লাগে না । শুধু বলে গেলাম - পাব্লিক প্লেসে এই ধরণের সস্তা চাপাবাজী ও জোকারী বন্ধ করেন ।

৩০| ০৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:১৮

সৈয়দ ফয়সল রেজা বলেছেন: "প্রফেসর হিজিবিজবিজ" আর "সাদাকালোরঙিন" এর মন্তব্যে উত্তম ঝা ঝা।

৩১| ০৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:২১

সকাল>সন্ধা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ কাট্টা ইসলাম বিরোধী এবং ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারী ব্যক্তিদের একজন। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ তার ‘বীর গুরু’ প্রবন্ধে কালিমা শরীফ-এ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক থাকা নিয়ে কটাক্ষ করেছে। সে বলেছে, “দেব-দৈত্য সকলেই নিজের উপাসনা প্রচলিত করিতে চায়; গোরখনাথ রামানন্দ প্রভৃতি ধর্মমতের প্রবর্তকেরা নিজে নিজে এক-একটা পন্থা বাহির করিয়া গিয়াছেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিবার সময়ে মুহম্মদ নিজের নাম উচ্চারণ করিতে আদেশ করিয়া গিয়াছেন।” এছাড়াও তার রচিত ‘গোরা’ অপন্যাসে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে চরম আপত্তিজনক মন্তব্য করেছে। সে বলেছে, “ভালো মানুষী ধর্ম নয়; তাতে দুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’ সে কথা বুঝতেন, তাই তিনি ভালো মানুষ সেজে ধর্মপ্রচার করেননি।” নাঊযুবিল্লাহ! এ ধরনের বক্তব্য যে দেয়, একজন মুসলমান তাকে কি করে শ্রদ্ধা করতে পারে? আর এই ইসলাম অবমাননাকারী রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার কিভাবে রাষ্ট্রীয় খরচে তিনদিন ব্যাপী রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারে?

৩২| ০৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:২৭

কেলেভুষো বলেছেন: হয় হয়, নিজামী ধরা খাইলে এমন অনেক ডাইভার্শন পোষ্ট আসে।

৩৩| ০৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৬

সিকদার বলেছেন: কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষ ছিলেন তার দোষ-গুণ থাকতেই পারে । তার দো্ষ কি ছিল সে বিষয় আলোচ্য নয় ? তার গুণ কি ছিল সেটা আলোচ্য। তবে আমাদের দেশের কিছু দালাল উনাকে নিয়ে যে ভাবে বাড়াবাড়ি করে তা দুঃখজনক। যেখানে বংগবন্ধু কবি নজরুল ইসলামকে আমাদের জাতীয় কবি করেছেন।, সেখানে কবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে মাতামাতি করা দৃষ্টিকটু বৈ আর কিছুই নয়।

৩৪| ০৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:১২

পরান বলেছেন: প্রফেসর হিজিবিজবিজ ,সহমত পোষণ করছি ।

৩৫| ০৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:২৪

দিগন্ত বলেছেন: তাও ভাল কবিগুরু নজরুলের মত মসজিদ ভাঙার কথা বলেননি।

৩৬| ০৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৬

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: পোস্টখান দিয়া ভালো হইছে অনেক কিছু জানলাম কমেন্ট পড়ে।

৩৭| ০৭ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:

মন্তব্য দিয়ে গেলাম। পরবর্তীতে আরো অনেক মন্তব্য পড়ার লোভে।

৩৮| ০৭ ই মে, ২০১১ রাত ৯:১১

ছত্রপতি বলেছেন: বাঙ্গালি যে বেশী লাফায়, তা আপনার এই পোস্ট দেখেই বোঝা যায়। আর আপনি কম জানেন বা ভুল জানেন, তাতে কার কিছু আসে যায় না। তবে আর দশ জনকে ভুল কিছু জানতে বাধ্য করবেন না।

৩৯| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১:০০

তন্ময় চক্রবর্তী বলেছেন: আমি জীবনের এতটা সময়ে এতটুকুই জানতে পেরেছি যে উনি হলেন,

বিশ্বকবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

উনি চারিধারে জলঘেরা ছোট্ট দ্বীপসম জমিতে রয়ে গেছেন আর সোনার তরী ছড়িয়ে দিয়েছে ওনার সোনার ধান। আইনস্টাইন না কে যেনো বলেছিলেন, "আমি আজো জ্ঞান সমুদ্রের ধারে নূড়ি কুড়াচ্ছি।"

সোনার ধান দূরে থাক, আমার একটুকরো জমিও নেই আর জ্ঞান সমুদ্র আমি মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখে ভয় পাই এটা ভেবে যে যে পথে শিক্ষা গ্রহণ করছি তাতে ১০০০-১৫০০ বছর বাঁচলেও জ্ঞানসমুদ্রের দেখা বাস্তবে মিলবে না।

৪০| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ১২:৫৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: রবীন্দ্র নাথ ছিল তীব্র মুসলিম বিদ্বেষী মারাঠী বর্গী নেতা শিবাজীর ভক্ত। এই শিবাজী মুঘলদের পতন পূর্ব সময়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের হত্যা, নির্যাতন ঠিক ১৯৯২ এর বোম্বে ও ২০০২ সালে গুজরাটের মত দাঙ্গা করেছিল। শিবাজীকে নিয়েই রবীন্দ্রর প্রশংসা সূচক কবিতা আছে। ১৯১২ সালে বৃটিশ রাজ ৫ম জজ ভারতে আসলে তাকে নিয়ে রবীন্দ্র রচনা করেন জনগণ ভাগ্য বিধাতা। তার জীবনাদর্শ হিন্দু ধর্মের ভাব ধারার তাকে বাঙালীর আদর্শ বলা মানে মুসলমান হতে খারিজ হয়ে যাওয়া। মুসলমানদের জন্য ১৯০৫ সালে বঙ্গকে বিভক্ত করে আলাদা রাজ্য গঠন করা হলে রবীন্দ্র আমার সোনার বাংলা গানটি লেখেন। অথচ র্দূভাগ্যের বিষয় এটিই আমাদের জাতীয় সংগীত। শুধু মুজিব নয় জিয়াও এই গানটিকে আমাদের জাতীয় সংগীত হিসেবে রেখে দিয়ে ছিলেন। রবীন্দ্র হল অখন্ড ভারতের প্রেরণা সে কোনদিনও স্বাধীন বাংলার জন্য কিছু বলেন নি।

৪১| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ১:২৩

তন্ময় চক্রবর্তী বলেছেন: @বাংলাদেশ জিন্দাবাদ:: আপনি বললেন যে, "রবীন্দ্র হল অখন্ড ভারতের প্রেরণা সে কোনদিনও স্বাধীন বাংলার জন্য কিছু বলেন নি।"

আমার জানামতে, বাংলা স্বাধীন বা ভারতের খন্ড হওয়ার আগেই বিশ্বকবি মারা গেছিলেন।

৪২| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ১:৩৪

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: @ তন্ময়, তিনি ১৯৪১ সালে পরলোক গমন করেছেন এটা সত্য। তবে উনার ধ্যাণ ধারণায় অখন্ড ভারতের ধারণা সুস্পষ্ট জনগণ ভাগ্য বিধাতা। উনি বাংলাকে নিয়ে কখনও স্বাধীন রাষ্ট্র চেয়েছিলেন তা কখনই বলেন নি। আর মনে রাখতে হবে ১৯৪০ সালে শেরে বাংলা ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব করেন। সেই আলোকে রবীন্দ্রর বলা উচিত ছিল স্বাধীন অখন্ড বাংলার পক্ষে। কিন্তু তিনি মনে প্রাণে অখন্ড ভারত মাতাই চেয়েছিলেন।

৪৩| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ১:৪২

অরণ্যচারী বলেছেন: ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেন, আয়োডিন সাপলমেন্ট খান। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন আশা করি।

৪৪| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ১:৪৬

তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: থু!

৪৫| ২০ শে মে, ২০১১ রাত ২:৩৫

তন্ময় চক্রবর্তী বলেছেন: @বাংলাদেশ জিন্দাবাদ:: ও আচ্ছা। থ্যাংকস।

৪৬| ২২ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:৫৮

উপদেশ গুরু বলেছেন: oneak kicuy janlam. +++++++++

৪৭| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১:৪৪

সৌম্য রাউত বলেছেন: মানসিক বিক্রিতির বহিঃপ্রকাশ......

৪৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৪৭

জনৈক একজন বলেছেন: ফালতু কথা বন্ধ করেন। জ্ঞান-বুদ্ধি কম, চুপ করে থাকেন। নজরুলের পিছনে রবীন্দ্রনাথ মেয়ে পাঠাইছেন না? এক রাত থেকে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালাইতে তো উনি-ই বলে দিসিলেন না? স্টুপিড কোথাকার!!

৪৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০৬

রাখালছেলে বলেছেন: ভালো বলেছেন । তবে আপনার লেখায় কোথাও কোন রেফারেন্স ব্যবহার করেননি। এটা কি ঠিক হল । উনি জমিদার ছিলেন এবং অবিভক্ত বাংলার স্বপ্ন দেখতেন। এগুলা শুনতে পাই ব্লগের পাতায় পাতায়। তারপরও কার লেখা থেকে আপনি অনুপ্রানিত হয় লিখলেন তা বললে ভাল হত । এতে আমাদের জ্ঞানের পরিধি কিছুটা হলেও বাড়ত।

৫০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৪০

উপপাদ্য বলেছেন: এ বিষয়গুলো আরো বেশী করে রেফারেন্স সহ চর্চ্চা হওয়া উচিত।
বাঙাল (পশ্চিম বাংলায় আমাদের অবহেলা করে ডাকা হতো) জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে দূর্ভাগ্যতম ঘটনা হচ্ছে বঙ্গ ভঙ্গ রদ হওয়া। আমরা ভারতীয় চেতনা থেকে ও পাকি চেতনা থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে থাকতাম যদি সেদিন বঙ্গ সত্যিই আলাদা হয়ে যেতো। আর এই উন্নুয়নের সিঁড়ি থেকে আমাদের নামিয়ে এনেছিলো রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। দু:খ হয় যে আমরা এমন মানুষদের পুজা করি যারা আমাদের ক্ষতি করেছে। আমাদেরকে শোষন আর নির্যাতনের বলি করেছে।

আজো ভারতের পূর্ব দিকে তাকান দেখেন কি অভিশাপ নিয়েই এদের জন্ম না নিজের দেশ না আছে নিজের চেতনা। পরাধীন এ আসাম নিয়েই সেদিন গঠিত হয়েছিলো পূর্ব বংগ। কিন্তু নিয়তি এমনই যে শত্রুকে চিনিয়ে দেয়ার জন্য এটি রদ হয়ে গিয়েছিলো। আর স্বান্তনা স্বরুপ পেয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সেটার বিরোধীতারও আছে কতো ইতিহাস।

ধন্যবাদ পোস্টদাতাকে। সত্য একটু তিতা হয়। তবুও গিলতে হয়।

৫১| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:০৬

অচিন্ত্য বলেছেন: আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে বেশি চর্চা হলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের যে অপূরণীয় ক্ষতি হবে, এটা চিন্তা করেই মাননীয় লেখক মহোদয় লেখাটি লিখেছেন। চলুন আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পড়া বাদ দিয়ে ইদ্রসুর পড়া শুরু করি।

৫২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই রে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.