![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয় ছোঁয়া বাবা
বাবা,আজ তোমাকেই লিখছি-
তেইশটি বছর পার হয়ে গেল।
তোমাকে দেখছি, খুব কাছ থেকে দেখছি।
সেই যে প্রথম চোখ খুললাম,
আমার কপালে তোমার স্নেহের প্রথম স্পর্শ।
মায়ের আগে নাকি তোমাকেই দেখেছি!
তেইশ বছর ধরে দেখছি
অথচ চিনেছি কতো’না পরে।
কত নির্ঘুম রাত পার করেছ
আমার ঘুমন্ত চোখে অবসাদ দূর করেছ।
তেইশ কছরে কত প্রেমিক দেখলাম
তোমার মতো প্রেম দেখিনি কারো মাঝে।
বাবা, আজ তোমাকেই লিখছি-
তোমায় চিনেছি কতো’না পরে।
কত আহ্লাদে কবিতা পড়তে
ছড়ায়, গানে ছন্দ মেলাতে।
তখন আমি খিলখিলিয়ে হাসি।
সেই হাসিতে কতো স্বপ্নই না দেখতে!
আমার মনে পড়ে বাবা সেই শীতে,
সার্কাস দেখার বায়না ধরেছিলাম।
তোমার কাঁধ ছিল আমার প্রিয় বসার জায়গা,
লোকলজ্জা ছেঁড়ে কোট-প্যান্ট পড়ে কাঁধেই বসালে।
হাতির শুঁড়ে বল দেখে নেচে উঠেছিলাম
নাজানি কতোটা ব্যাথা সয়েছিলে।
তখন আমি খিলখিলিয়ে হাসি।
বাবা, সত্যি বলছি অমন প্রেম দেখিনি কারো মাঝে।
মায়ের হাতে মার খেয়েছি,
কেঁদে কেঁদে তোমার কাছে শত অভিযোগ।
তখন তুমি গল্প শোনাতে।
পরীর দেশ জয় করার স্বপ্ন দেখাতে।
আমি ঝোঁপের মাঝে টারজান খেলতাম
মার বকুনি জংলী মেয়ে ঘরে নেবনা,
তুমি আমায় পাহাড়া দিতে।
অমন ভালোবাসা দেখিনি কারো মাঝে।
অথচ সেই বাবা তুমি, চিনেছি কতো’না পরে।
দিয়েছ আমার শৈশব হাতে তুলে।
আজ তোমাকে বড়ই মনে পড়ে।
দোয়া করো বাবা, দিতে পারি কিছু তোমায় ভালোবেসে।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪০
মিহির মিহির বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান কমেন্ট আমাকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করলো। দোয়া কামনা থাকলো।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: নিয়মিত লেখুন। বেশী বেশী পাঠ করুন। এখানে সবাই হেল্পফুল। আমি আগে লেখতেই পারতাম না। ছাইপাঁশ লেখতাম। এখনো শেখার পর্যায় শেষ হয়নি। তবে লেখার মান অনেক উন্নত হয়েছে হলফ করে বলছি। তাই নিয়মিত লেখুন। আপনার পছন্দসই যে কোন বিষয়ে মন খুলে লেখুন। আসে পাশে অনেকেই আছি। শুভকামনা ব্লগার।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩২
মিহির মিহির বলেছেন: একাডেমিক কারিকুলামের কারণে খুব ভালোভাবে বাংলা শেখা বা পড়া হইনি।ছিল সময়েরও অভাব। কিন্তু সবসময়ই ছিলাম প্রচন্ড আগ্রহী। আর এখন কিছুটা সময় বের করেছি সেই আগ্রহকে চেষ্টায় রূপ দেবার জন্য। শব্দভান্ডার খুব সীমিত হবার ফলে ভাবনাগুলো লিখবার পর কেমন যেনো অখাদ্য-কুখাদ্য হয়ে ওঠে। অনেকদিনের জমানো সাহসে আজ পোস্ট দিলাম। তবে আপনার সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব আমাকে অনুপ্রাণিত করলো খুবই। আবারো ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩১
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: বাবাকে নিয়ে বেশ সুন্দর কবিতা লিখেছেন।ভালো লাগল খুব।কিন্তু আমার বাবাকে আমি দেখিনি
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২৩
মিহির মিহির বলেছেন: অনেক থ্যাংকস। কিন্তু, মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল।
আপনার জন্য মনের মাঝে খুব দুঃখ অনুভব করছি। আর ভীষণভাবে দুঃখিত যদি আমার এই লেখার কারণে আপনি বিন্দুমাত্রও ভাবাবেগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
সন্তানদের মাঝেই বাবা-মা সব লুকিয়ে থাকে। আপনার মাঝেও আপনার বাবা বাস করেন।
সেই ছোটোবেলা থেকেই বাসার বাইরে থাকার ফলে আমিও খুব একটা পাইনি। যাওয়া-আসার পরিমাণও খুব বেশি নয়।খুব মিস করি।
আমার খুব মনে হয়, মহাকালের রিসাইক্লিং শেষে যেন জেগে ওঠার পর এমন এক দুনিয়াতে আবার যাই যেখানে কখনো আমাদের আলাদা হতে না হয়।
আপনার জন্য রইলো অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক শুভকামনা।
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই মুগ্ধ হয়ে গেলাম, আপনার কবিতা পড়ে যতটা না, কবিতার বিষয়বস্তু নির্বাচন দেখে তার চেয়ে বেশী। বাবাকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন, একজন বাবা ও দাদা হয়ে তা দেখে আমার হৃদয়টা ভরে গেল। ধন্যবাদ, বাবাকে নিয়ে কবিতা লিখার জন্য। আশাকরি আজীবন আপনি আপনার বাবার স্নেহধন্য হয়ে জীবনে সফলতার মুখ দেখে যাবেন। দোয়াও করছি তাই যেন হয়! আল্লাহ কবুল করুন!
কিছু সম্পাদনার প্রস্তাবঃ
প্রথম এবং দ্বিতীয় স্তবকের শেষ শব্দটা পড়ে<পরে হবে। শেষ স্তবকের ৫ম লাইনেও তাই হবে। কোর্ট-প্যান্ট<কোট-প্যান্ট হবে।
মন্তব্যে আপনার বিনয় ও বাঙলা শেখার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে। তা দেখেই সম্পাদনার প্রস্তাবটা রাখলাম।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬
মিহির মিহির বলেছেন: আমি আসলে খুব একটা ভালো মানের লেখা লিখতে পারিনা।তবে আমি চেষ্টা করছি শিখতে।আমার ভাবগুলোকেও ঠিকমতো বের করে আনতেই কেমন যেন বেগ পেতে হয়।
আপনার মতো একজন মানুষ আমার এই সামান্য লেখায় মন্তব্য করেছেন এটাই আমি অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবে নিচ্ছি। আর আপনার সম্পাদনা প্রস্তাবের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আমি খুবই আনন্দিত এই বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শিখতে পারলাম বলে আর অবশ্যই সংশোধন করব।
আর আপনাকে কি বলে সম্বোধন করব জানিনা।তবে শিখলে ছাত্র হয়ে যায়! তাই আবারো ধন্যবাদ এবং অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন স্যার।
৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার খুব মনে হয়, মহাকালের রিসাইক্লিং শেষে যেন জেগে ওঠার পর এমন এক দুনিয়াতে আবার যাই যেখানে কখনো আমাদের আলাদা হতে না হয়
৩ নং মন্তব্যের উত্তরে দেয়া আপনার এ কথাগুলো খুব ভালো লেগেছে।
কবিতাটিতে প্লাস।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭
মিহির মিহির বলেছেন: খুবই অনুপ্রাণিত হলাম আর শেখার আগ্রহ আরো বহুলাংশে বেড়ে গেল।
প্লাস দিয়ে উৎসাহিত করে ঋণী করলেন।
অনেক শ্রদ্ধা রইল,স্যার।
৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন:
ধন্যবাদ। আপনার বিনয়ে মুগ্ধ হলাম।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৮
মিহির মিহির বলেছেন: শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দোয়া করো বাবা, দিতে পারি কিছু তোমায় ভালোবেসে।
ব্লগের প্রথম লেখাটি বাবাকে নিয়ে লিখেছেন। বাবার প্রতি যে ভালবাসা দেখিয়েছেন আজকাল সেটা অনেকের মধ্যে সেটা খুব বেশি লক্ষ্য করা যায় না। আপনার বাবা ভাগ্যবান।
অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভালবাসা জানবেন।