নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মফিজুল ইসলাম খান

আইনজীবি।

খান এম ইসলাম

আইনজীবী।

খান এম ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালশির ফাতেমা বেগম

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

কালশীর ফাতেমা বেগম কখনো ভাবিনি

এই কালো রাতের শেষ প্রহরে

আপনার সাথে আমার আচমকা

দেখা হয়ে যাবে।



কাগজে পড়েছিলাম খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে

আপনিসহ নয়জন কালশীর তালাবদ্ধ ঘরে

পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হয়েছিলেন আগ্রাসী নেতার

আক্রোশ অনলে।



নেতার দীর্ঘ খায়েস কালশীর বিহারী ক্যাম্প

দখলে নেবেন নরকের বিহারী কীট তাড়িয়ে

জমিতে বানাবেন শপিং মল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা

জমা হবে সুইচ ব্যাংকে।



ফাতেমা বেগম কেনো খুন হলেন পুড়ে পুড়ে

হলেন অঙ্গার বলতে পারেন? দয়া করে একটু ভাবুন।

চোখ বন্ধ করে স্মৃতির সাগরে ডুব দিন ।

মনে কি পড়ছে না নেতার নির্দেশ হুমকি ধমকি

‘অনতিবিলম্বে ক্যাম্প খালি করো, নো বাড়াবাড়ি

চলে যাও যেখানে খুশি ব্যর্থতায় জ্বলবে আগুন

কালশীতে’?



আপনারা বড়ই বদনসীব নেতার আদেশ নির্দেশ

করেননি পালন তার স্বপ্ন পুরণের পথে দাঁড়িয়ে ছিলেন

কাঁটা হয়ে।

তাইতো নেতা গোস্সায় লাল হলেন

তার কর্মীবাহিনী রেগে মেগে হলেন ফায়ার।



নেতা কর্মী ডাকলেন পুলিশ ডাকলেন

কর্মী পুলিশ ভাই ভাই এক সাথে বিহারী খেদাই

বলে ঝাপিয়ে পড়লেন ক্যাম্পে। ক্যাম্পের

নয়টি ঘরে তালা লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিলেন আগুন।

সেই আগুনে আপনারা পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হলেন।

এইতো ইতিহাস।



নেতার কি দোষ বলেন

নেতার কোন দোষ ছিল না

নেতাদের কোন দোষ থাকে না।



আপনার শরীরে চামড়া নেই

মাংস ঝরে গেছে মাথার চুল পুড়ে

হয়েছে ছাই। এখন আপনি

শুধুই কংকাল ফাতেমা বেগম। তবু আমি

আপনাকে চিনতে পারছি আপনি

কালশীর সেই ফাতেমা বেগম

এক অসহায় বিহারী বধু।



মাঝ রাতে

এক স্বপ্ন রথে সওয়ার হয়ে

এসেছি আমি এই অচেনা ভূবনে

দেখবো বলে। তাই আপনার সাথে

আমার দেখা হলো ফাতেমা বেগম।



কাগজে পড়েছি আপনার বেঁচে যাওয়া

সন্তান দুটিকে দেখার কেউ নেই। বিশ্বাস করুন

আমি জানি না কে তাদের খাবার দেয়

কে করে দেখভাল। হয়তো পড়ে আছে

রাস্তার মোড়ে নয়তো বেনারসী পল্লীর গেটে।



আমরাতো মানুষ নই অমানুষের খাতায় নাম

লিখেয়েছি বহুকাল আগে কতো আগে মনে

করতে পারছি না। আমরা ব্যস্ত আপন ধান্ধায়

তাদের খোঁজ নেয়ার সময় কই।



আপনার দুঘর পরেই ছিলো আজাদের ঘর।

বেঁচে যাওয়া

আজাদের বউয়ের খবর আমি জানি।

তার কোন আয় নেই আগেও ছিলো না

স্বামীর রোজগারে চলতো সংসার। এখন

স্বামী নেই রোজগারও নেই। সংসারে

তিনটি ছেলে মেয়ে কে দেয় ভরণ পোষণ।

তাই আজাদের বউ সন্ধার মিয়ানো আাঁধারে

সেজেগুজে বের হয় রোজগারের আশায়

কখনো রাতেই ফিরে আবার কখনো ভোরে।



আমি জানি এ খবর শুনে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন

কিন্তু কি করবেন বলুন এইতো রাষ্ট্র এইতো সমাজ

এইতো বিচার।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো লেগেছে!

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬

খান এম ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদব জনাব ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.