![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্ঞান অর্জন করাই আমার জীবনের মূল লক্ষ্য।
এ কথা বিনা দ্বিধায় বলা যায় যে, একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ও সুদৃরপ্রসারী সাংবিধানিক পদক্ষ্যপ ছিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিশ্বব্যাপী প্রচারের ব্যবস্থা করা। এর ফলে বাঙালীদের মুক্তির জন্য শুরু হওয়া সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ লাভ করে বিশাল ব্যাপকতা এবং শুরু হয় বিশ্বব্যাপী আমাদের স্বপক্ষ্যে জনসমর্থন অর্জনে ব্যাপক সাড়া। আসলে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা ছিল একটা বাস্তবসম্মত ও সময় উপযোগী সাংবিধানিক পদক্ষেপ। এটা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম একটা উজ্জ্বল ঘটনা এবং জাতীয় জীবনের একটা বিশেষ গুরম্নত্বপূর্ণ দিন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলের স্বাধীনতার প্রোক্লেমেশনের ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণের প্রচারণা করা হয়। মুজিবনগর সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল কয়েক শত দেশী-বিদেশী সাংবাদিক ও অন্যান্য প্রচার মাধ্যমের কর্মীরা। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর সাবডিভিশনের বৈদ্যনাথতলা আমবাগানে(বর্তমানে মুজিবনগর)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে করা হয় প্রেসিডেন্ট এবং তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় সৈয়দ নজরুল ইসলামকে। প্রধানমন্ত্রী করা হয় তাজউদ্দীন আহমদকে। ক্যাপ্টেন মুনসুর আলীকে অর্থমন্ত্রী এবং কামারম্নজ্জামানকে করা হয় স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী। পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী করা হয় খন্দকার মোশতাক আহম্মদকে এবং তৎকালীন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এমএজি ওসমানীকে করা হয় সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। পাকিস্তানী বাহিনীকে প্রতিরোধ ২৬ মার্চ ১৯৭১ তারিখেই শুরু হলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সংগঠন ও সমন্বয়ে, আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে এবং, সর্বোপরি এই যুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহায়তাকারী দেশ ভারতের সরকার ও সেনাবাহিনী সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক রক্ষায় মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। মুজিবনগর সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর বিরূদ্ধতা যুদ্ধের রূপ নেয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা প্রতিভাসিত হয়ে ওঠে। আমি জানি বাংলাদেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে গৌরব করারমত সবকিছুই আমার মধ্যে অনুপস্থিত, তবুও মাঝে-মধ্যে মহাগৌরবে আর অহংকারে বুকটা ফেপে ওঠে একারণে যে, আমি মুজিবনগরের সন্তান আর এখান থেকেই উদয় হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের চিরস্থায়ী সুর্য যা কখনো অস্ত যাবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
++++